![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
২০০৮ সালের এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে একটি ম্যাচে ৮৬ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন বাংলাদেশি সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার অলরাউন্ডার অলোক কাপালি। এটি বাংলাদেশি ব্যাটারদের দ্বারা প্রথম দ্রুততম সেঞ্চুরি (দুই বছর পর আরেক অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান তাঁর এই রেকর্ডটি ভাঙেন)। ওই সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল তেমন ভালো খেলতে পারত না। বড় দলগুলোর বিপক্ষে সম্মানজনক পরাজয় হলেও আমরা ক্রিকেটপ্রেমীরা নিজেদের সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করতাম।
যাহোক, ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটার ও ডানহাতি লেগ ব্রেক বোলার অলোক কাপালি ওই ম্যাচটায় দারুণ খেলেছিলেন। ভালো দিনে মানুষ যা করতে চায়, ঠিক তাই হয়। এই কথাটার প্রমাণ সেদিন পেয়েছিলাম ভালোভাবে। বোধকরি অলক কাপালিও বুঝতে পারছিলেন। উনি একটা করে শট দিচ্ছিলেন, খেয়াল করলাম উনি নিজেও নিজের নৈপুণ্যে মুগ্ধ। কোনো শটই মিস যাচ্ছিল না। যদিও এই ঘটনার আগে বা পরে খুব কমই উনি এত ভালো খেলেছেন।
.
ভালো মন নিয়ে বাসা থেকে বের হলাম, গাড়িতে উঠে কিছুক্ষণ যাওয়ার পর যানজন শুরু হলো। অথবা গাড়ির চাকা পাংচার। যে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়েছি, কাজটা ঠিকমতো হয়নি। মনটাই বিষিয়ে যায়। কুসংস্কারে বিশ্বাসী না হলেও বিরক্ত হয়ে বলে ফেলি, ‘দূর ছাই। দিনটাই কুফা’। একরাশ হতাশা নিয়ে ফিরে যাই। যদি কিছু লিখতে বসি, কোনো লেখাই আসে না। সময় নষ্ট।
অথচ মাঝেমাঝে এমন হয়, যা চাইনি, তা তৎক্ষণাৎ হয়ে যাচ্ছে। একজনের কাছে টাকা পাই। সে দেয় তো না-ই, ফোনও ধরে না। হঠাৎ সে ফোন দিয়ে বলল বিকাশ-নগদে টাকা পাঠিয়েছে। যখন কিছু লিখতে বসি, অনর্গল লাইন বেরোচ্ছে। যে কথা মনে করতে দিনের পর দিন চলে গেছে, সে কথা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসছে। লিখে কূল পাই না।
.
বড় পদে থাকলে একটা সুবিধা হলো যে কাউকে যেকোনো সময় পাওয়া যায়। যাকে তাকে কাজে লাগাতে পারা যায়। মনেই হবে না এই দিন সবসময় থাকবে না। নিজের ছোটখাট ভুলত্রুটি চোখে পড়ে না। কেউ ধরিয়ে দিলে তার ওপর মেজাজ খারাপ হয়। মনে হতে পারে এ বড় আপদ! একে বিদায় করতে পারলেই বাঁচি।
সমস্যা বাঁধে দুঃসময়ে। সুসময়ে অনেক টাকা উড়ানো হয়েছে, দুঃসময়ে কোনোমতে বেঁচে থাকাও কঠিন। যাদের যারা পরিবেষ্টিত থাকা হতো, যারা তৈলমর্দন করত, খুশি হয়ে তাদের পেছনে কত অপচয়, অথচ দুর্দিনে তাদের টিকির দেখাও মেলে না। দেখা যায় ওদের কাজের দায়ভার নিয়ে আরও বিপদে পড়তে হয়।
সুঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বের হওয়া প্রবাদটা খাপে খাপ মিলে যায়। আরও স্পষ্টভাবে বললে ধরেন আপনার ছোট একটা অসুখ হয়েছে, পাত্তা দিলেন না। একটা সময় আসবে এটাই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। তখন চিকিৎসক বেটে খাওয়ালেও কাজ হবে না।
২৭ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:২৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জীবনের অভিজ্ঞতাই এসব।
২| ২৭ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: আজকাল আপনাকে ব্লগে কম দেখি?
২৭ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:২৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সময় পাই না।
৩| ২৮ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: ডে অফ নাই?
২৮ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:০৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আছে। সাপ্তাহিক ম্যালা কাজকর্ম জমে থাকে। সেসব শেষ করতে করতেই বেলা শেষ। লেখালেখিতে আর একটু সময় দেওয়া দরকার আসলেই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৫৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জীবনের অনেক বাস্তব সত্য আপনার লেখায় ফুটে উঠেছে ।