![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালূ -সুরা ফাতিহা আয়াত-১ ।
কমিউনিটি পুলিশিং কি ?
কমিউনিটিং পুলিশের অভিধানিক অর্থ সমাজমুখী পুলিশী কার্যক্রম। এটা হচ্ছে সে প্রশাসনিক নীতি ও কৌশল যা পুলিশকে আগাম কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক অপরাধের উৎসমূলের পরিবর্তন ঘটিয়ে কার্যকরভাবে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, জনগণের অপরাধভীতি কমানো, জীবনযাত্রার গুনগত পরিবর্তন এবং উন্নতমানের পুলিশী সেরা নিশ্চিত করে।
সর্বপ্রথম ইসরাঈল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় এই ব্যবস্থা চালু হয়। বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে ১৯৯২ সালে ময়মনসিংহ জেলায় পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে ঢাকা ঢাকা মহানগরীর কাফরুল এলাকায় কমি্উনিটি পুলিশিং চালু হয়। পরবর্তীতে ২০০০ সালের দিলে সারা বাংলাদেশে চালু হয়।
কমিউনিটি পুলিশ এর দায়িত্ব ও কর্তব্য কি ?
১। সামাজিক অপরাধ ও বিশৃঙ্খলা জনিত সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে সমাধানমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।
২। সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে জনগণকে সংগঠিত করা, জনগনের প্রতিভা মেধা ও ক্ষমতাকে কাজে লাগানো এবং আইনপ্রয়োগে জনগণকে অংশগ্রহণ করানো।
৩। সমাজে অপরাধ প্রবণতা, চোরাচালান, মাদকের অপব্যবহার, নাশকতা ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডের তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশকে প্রদান করা।
৪। অপরাধ দমনে স্বীয় ক্ষমতাবলে আইন প্রয়োগ, প্রয়োজনে নিয়মিত পুলিশের সাহায্য গ্রহণ।
৫। সমাজের দুর্বল শ্রেণী যথা-নারী, শিশু, বৃদ্ধ সংখ্যালঘু, প্রতিবন্ধী ও অসহায়দের স্বার্থ রক্ষা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা।
৬। এলাকায় টহলের মাধ্যমে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৭। মানবাধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশে এ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা কি ?
১। স্থানীয় পুলিশের প্রতি এলাকার জনগণের আস্থার অভাব।
২। স্থানীয় পুলিশের নেতিবাচক মনোভাব।
৩। পুলিশ বাহিনীর কাঠামোতে এ ব্যবস্থার অনুপস্থিতি।
৪। স্থানীয় দলাদলি ও রাজনৈতিক কোন্দল।
৫। ছদ্মবেশী অপরাধী ও অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধাচরণ।
৬। পুলিশের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জনগণের অজ্ঞতা ও পুলিশের নিকট থেকে প্রাপ্তির উচ্চাশা।
৭। চাঁদাদাতাদের অনীহা তথা আর্থিক সীমাবদ্ধতা।
তথ্যসূত্র-ফৌজধারী তদন্ত ও বিবিধ-একেএম আবুল বাছের, ইন্সপেক্টর অব পুলিশ।
©somewhere in net ltd.