![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালূ -সুরা ফাতিহা আয়াত-১ ।
হাদীসের কিতাবসমূহে নামাজ না পড়ার উপর কঠিন আজাব ও শাস্তির কথা বর্ণিত হইয়াছে। নমুনা স্বরুপ কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করা হলো।
১। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশদ ফরমাইয়াছে- নামাজ ছাড়িয়া দেওয়া মানুষকে কুফুরের সহিত মিলাইয়া দেয়। অন্যত্র ফরমাইয়াছেন যে, বান্দা এবং কুফরকে মিলানোর বস্তুু একমাত্র নামাজ ছাড়িয়া দেওয়া। আর এক হাদিসে এরশাদ ফরমাইয়াছেন যে, ইমান ও কুফুরের মধ্যে পার্থক্য হইল নামাজ ত্যাগ করা (তারগীব)।
২। হযরত উবাদায় (রাযিঃ) বলেন আমাকে আমার প্রিয় হাবীব হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাতটি নসিহত করিয়াছেন। তন্মধ্যে ৪টি এই-(১) তুমি আল্লাহর সহিত কাহাকেও শরীক করিও না; যদিও তোমাকে টুকরা টুকরা করিয়া ফেলা হয় কিংবা তোমাকে আগুনে জ্বালাইয়া দেওয়া হয় অথবা শুলিতে ছড়ানো হয় (২) ইচ্ছাকৃতভাবে নাজাম ত্যাগ করিওনা; কেননা যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগ করে, সে দ্বীন হইতে বাহির হইয়া যায় (৩) আল্লাহ তায়ালার না-ফরমানী করিও না। কেননা, ইহাতে আল্লাহ তায়ালা অসন্তষ্ট হন (৪) শরাব পান করিও না। কেননা-ইহা যাবতীয় পাপ কাজের মূল (তারগীব-তাবারনী)।
৩। হযরত মুআয (রাযিঃ) বলেন, আমাকে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১০টি বিষয়ে ওসিয়ত করিয়াছেন-
(১) আল্লাহর সঙ্গে কাহাকেই শরীক করিও না ; যদিও তোমাকে কতল করা হয় কিংবা আগুনে জ্বলাইয়া দেওয়া হয়।
(২) পিতা-মাতার নাফরমানী করিওনা ; যদিও তাহারা তোমাকে স্ত্রী অথবা সমূদয় ধন-সম্পদ ত্যাগ করিতে বলেন।
(৩) ইচ্ছাকৃত ভাবে ফরজ নামাজ ত্যাগ করিও না। কারণ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ভাবে ফরজ নামাজ ত্যাগ করে তাহার প্রতি আল্লাহ তায়ালার কোন জিম্মাদারী থাকে না।
(৪) শরাব পান করিও না ; কারণ হইা যাবতীয় মন্দ ও নির্লজ্জ কাজের মূল।
(৫) আল্লাহ তায়ালার না ফরমানী করিও না-কারণ ইহাতে আল্লাহ তায়ালার গযব নাজিল হয়।
(৬) জেহাদ হইতে পলায়ন করিও না-যদিও তোমার সকল সাথী মারা যায়।
(৭) যদি কোন এলাকায় মহামারী ছড়াইয়া পড়ে (যেমন প্লেগ ইত্যাদি) তবে সেখান হইতে পলায়ন করিওনা।
(৮) নিজ পরিবারের লোকদের জন্য সাধ্যমত খরচ করিও।
(৯) তাহাদের উপর হইতে শাসনের লাঠি হটাইওনা।
(১০) তাহাদিগকে আল্লাহর ভয় দেখাইতে থাকিও ।
৪। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন যে ব্যক্তির এক ওয়াক্ত নামাজ ছুটিয়া গেল, তাহার যেন পরিবার পরিজন ও ধন-সম্পদ সবকিছুই লুট হইয়া গেল।
৫। নবীয়ে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেন যে,ব্যক্তি শরীয়তসম্মত ওজর ব্যতীত দুই ওয়াক্ত নামাজ একসঙ্গে পড়িল সে কবীরা গোনাহের দরজাসমূহের মধ্য হইতে একটিতে প্রবেশ করিল।
হযরত আলী (রাযিঃ) বলেন হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশদ ফরমাইয়াছেন তিন কাজে বিলম্ব করিওনা।
(১) নামাজ যখন উহার সময় হইয়া যায়।
(২) জানাযা যখন উহা তৈরী হইয়া য়ায়।
(৩) অবিবাহিত নারী যখন তাহার উপযুক্ত স্বামী মিলিয়া যা।
৬। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজের বিষয় উল্লেখ করিয়াছে যে, ব্যক্তি নামাজের এহতেমাম করে, তাহার জন্য নামাজ কিয়ামতের দিন নূর হইবে এবং হিসাবের সময় দলীল হইবে এবং নাজাতের উপায় হইবে। আর যে ব্যক্তি নামাজের এহতেমাম করেনা, কিয়ামতের দিন নামাজ তাহার জন্য নূর হইবে না এবং নাজাতের জন্যও কোন উপায় হইবে না। এইরুপ ব্যক্তি হাশস ফেরআউন, হামাম ও উবাই ইবনে খলফের সহিত হইবে (দুররে মানসুর,আহমদ, ইবনে হিব্বান,তাবারনী )।
আসুন মুসলিম ভইয়েরা নিয়মত ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের মাধ্যমে আদায় করি।
©somewhere in net ltd.