নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছিন্নপত্র

আশরাফুল ইসলাম রাসেল

প্রভাষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ। শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি(সম্মান) কলেজ, হবিগঞ্জ(নিয়োগ আছে দুই বছর ধরে। তদবিরের অভাবে কাজ নেই, ভাতাও নেই। গভর্নিং বডির সভাপতির সাথে দেখা করার জন্য অধ্যক্ষ পরামর্শ দিলেও এ ব্যাপারে আমি অদক্ষ) )। সম্মান শ্রেণির শিক্ষক আমরা একবেলা খাই- শিরোনামে ইত্তেফাক-এ একটি লেখা প্রকাশ করায় প্রভাষকের(সৈয়দ সঈদ উদ্দীন কলেজ, মাধবপুর, হবিগঞ্জ) দায়িত্ব হতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত।

আশরাফুল ইসলাম রাসেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জোচ্চুরদের চুনারুঘাট প্রেসক্লাব অথবা চোর-ডাকাতের প্রেত ক্লাব নয় একটি ফ্রেশ ক্লাব স্থাপন জরুরী

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সংবাদপত্র নাকি জাতির দর্পন বা আয়না আর সাংবাদি নাকি দর্পনধারী। একদা হয়তো সাংবাদিকদের সংগঠন হিসাবে প্রেসক্লাবের অস্তিত্ব মেনে নেয়া যেত কিন্তু এখন সাংবাদিক নাম ও ‘কাট’ধারী সুযোগ সন্ধানীদের দখলে থাকা ক্লাবটিকে এরা নিজেরাই বলেন- প্যাঁচ ক্লাব। চুনারুঘাটের আর্-সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নসহ মানবিক উন্নতিতে প্যাঁচক্লাবের কোন ভূমিকা তো নেই ই বরং চুনারুঘাটে চলমান সকল অসঙ্গতিকে পুঁজি করে বেড়ে চলছে কাটধারী সাংবাদিকদের বিচরন। দুর্নীতি কমানোর বদলে দুর্নীতির মাত্রা বাড়াতে অন্য যেকোন পেশার চেয়ে বেশী অবদান রাখছেন। পাশাপাশি এরা জড়িয়ে পড়ছে ব্যাপক দূর্বৃত্তায়নে। এ যেন দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। হবেই তো। এই কেলাবের বেশীরভাগ সদস্য নিজেরা কি লেখেন নিজেরাই পড়তে পারেন না। কেউ কেউ তাদেরকে ফটোস্ট্যাট সাংবাদিক বলেন। কারন, ফটোস্ট্যাট দোকানে কাজ করার সময় অন্যের লেখা ফটোস্ট্যাট করার সময় নিজের জন্য এককপি রেখে দিতেন। বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার নামে জনগনের উপর এরা ছড়ি ঘুরায় আর নিজেদের রক্ষার জন্য ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে প্রেসক্লাব নামক ভীতিকর একটি অবৈধ সংগঠনকে। অথচ, সাংবাদিকরাই অনেক স্বৈরশাসককে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছিল আর এখন এরা নিজেরাই স্বৈরাচারের তল্পীবাহকে পরিণত হয়েছে। স্পষ্টতই: দেখা যায় এরা কেউ অনুমোদন ও মানহীন ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক ব্যবসায়ী, কেউ আদম পাচারের ট্রাভেল ব্যবসায়ী, কেউ কম্পিউটার প্রশিক্ষনের নামে ভূয়াসনদ ব্যবসায়ী। এছাড়াও, সাংবাদিক নেথা বলেবলে কেউ অবৈধ দখলদার। কেউ ফটোস্ট্যাট ব্যবসায়ী। নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে এরা ব্যবহার করছে চুনারুঘাট প্যাঁচক্লাব। অনেকে বলেন, এরা যেসব লেখেন তা শুধু টয়লেট-পেপারে ছাপানোর যোগ্য- বললে টয়লেট পেপারকে অপমান করা হয়। কারন, টয়লেট পেপার জাতিকে কিছুটা হলেও সেবা দান করে থাকে। টয়লেট পেপারের মর্যাদা বুঝেছিল উত্তর কোরিয়া। কয়েকদিন আগে, উত্তর কোরিয়া বেলুনে করে ব্যবহৃত টয়লেট পেপার উড়িয়ে দেয় দক্ষিন কোরিয়ার ভূ-খন্ডে। তাই, জাতির স্বার্থরক্ষার প্রয়োজনে একটি FRESH Club স্থাপন জরুরী।

কি করিলে কি হয়:

চুনারুঘাট প্যাঁচক্লাবের ধান্ধাবাজরা জানে কি করলে নিজেদের আখের গোছানো সহজ হয়। যেমন-
১. স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ অনুপস্থিত থাকলে জাতি অচেতনভাবে গড়ে ওঠবে এবং বিড়ালকে বাঘ বলে স্বীকার করে নিবে। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার দান-গ্রহন বন্ধ থাকলেই ছাত্র-ছাত্রীরা দোকানে দোকানে ঘুরবে এবং ঘুরতে ঘুরতে একদিন সাংবাদিক প্রতিষ্ঠিত মানহীন শিক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করবে।
২. সরকারী হাসপাতাল বন্ধ রাখলে নিজেরা চিকিৎসা ব্যবসায় আলোর মুখ দেখবে।
৩. সরকারী ওষুধ চুরি করলে নিজেদের ফার্মেসী-ব্যবসা জমে ওঠবে।
৪. সরকারী অফিসে দুর্নীতি চললে নিজেদের প্রতিপত্তি বাড়বে।

(সর্বশেষ জানতে চোখ রাখুন)

পরিবেশ নষ্টকারী চুনারুঘাট প্যাঁচক্লাব ভবনটি বন্ধ করে দেওয়ায় চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদকে ধন্যবাদ
দেরীতে হলেও মঙ্গলজনক একটি পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদ অসংখ্য ধন্যবাদ পাওয়ার দাবী রাখেন। আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপনপূর্বক বলতেই হয় যে, চুনারুঘাট উপজেলা কমপ্লেক্সের সরকারী ভবনে প্যাঁচক্লাব নামধারী একটি অনৈতিক ও জনবিরোধী অবৈধ সংগঠনের ভবনটি উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহন একটি যুগান্তকারী ঘটনা। সরকারী সম্পত্তি ব্যবহার করে কতিপয় দূর্বৃত্তের নির্লজ্জ আস্ফালনে বিরক্ত এলাকাবাসী। প্যাঁচক্লাবের মধুবন্টন নিয়ে কিছুদিন পরপর এদের মধ্যে চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এ যেন, বিয়ে বাড়ীর উচ্ছিষ্ট হাড্ডি নিয়ে কুকুর দলের টানাটানি। সুশীল সাংবাদিকতার দিন শেষ হয়েছিল অনেক আগেই। লাভ-লোভের হিসাবে এরাও বিভক্ত। কেউ প্যাঁচক্লাব, কেউ লিপোটারসস ইউনিটি আবার কেউ ফেডারেল সাংঘাতিক। সাধারনত: সরকারী কর্মকর্তারা এদের হাবভাবেই ঘাবড়ে থাকেন সেখানে গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে আসাও নিজেদের নৈতিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে মনে করি। কিছুদিন পূর্বে উপজেলা প্রাচীরের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে প্যাঁক্লাবের গেইট বসানোর চেষ্টা করে ওই ক্লাবটির দখল নিতে আগ্রহী আরেকদল প্রতিপক্ষ সাংবাদিক। ওই সময় কয়েকজন সাংঘাতিক নেথা উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষ সাংবাদিক দলটি গেইটটি খুলে নিয়ে যায়। এরপর অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও গেইট হরণের বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেননি প্যাঁচক্লাবের নেথারা। পরের দিন কয়েকটি পরতিকায় গেইট লুন্ঠনের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও কে বা কারা লুন্ঠনে জড়িত তা প্রকাশ পায়নি। উল্লেখ্য, গেইট লুন্ঠনের সময় সাংঘাতিক নেথারা স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন এবং লুন্ঠনকারীদের সাথে কথাও বলেন।

কমছে সরকারী স্বাস্থ্যসেবা বাড়ছে মানহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দৌরাত্ম; নেপথ্যে চুনারুঘাট প্যাঁচক্লাব
মিথ্যা নয় যে, চুনারুঘাট উপজেলায় সরকারী স্বাস্থ্যসেবায় চলমান হীন অবস্থার জন্য প্যাঁচক্লাবের কতিপয় সাংবাদিক নামধারী কিছু সুযোগ সন্ধানীর কৃতিত্ব অপরিসীম। ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সরকারী চিকিৎসকদের নিজের মানহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতে বাধ্য করেন। সরকারী যন্ত্রপাতি নষ্ট করিয়ে অনুমোদন, মানহীন ও অকেজো যন্ত্রপাতি দিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার নামে জনগনের পকেট কাটার পাশাপাশি জনভোগান্তি বৃদ্ধির জন্র ফাঁদ পাতেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অসাধু কর্চারীদের সহায়তায় সরকারী ওষুধ ভান্ডার থেকে ওষুধপত্র আত্মসাত করে থাকেন। সাধারন মানুষের সরলতা ও চক্ষুলজ্জাকে বোকামী ভেবে, অযোগ্য লোক দিয়ে করিয়ে নেন প্যাথলজি বিভাগের রিপোর্ট।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.