নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখি....

মো: হাসানূর রহমান রিজভী

একদিন তুমি এসেছিলে ভবে,কেঁদেছিলে তুমি হেসেছিলো সবে... এমন জীবন করিবে গঠন,মরনে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবন......

মো: হাসানূর রহমান রিজভী › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্কুলে বেত্রাঘাত চলছেই!

২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:১৯

কিন্ডারগার্টেন এ আদরে পড়া এই আমার বেতের সাথে ফাস্ট পরিচয় জেলা স্কুলে ক্লাশ থ্রিতে ভর্তি হওয়ার পর।এমনি কিন্ডারগার্টেন থেকে শুনে আসছিলাম সরকারি স্কুলে মোটা বেত ব্যাবহার হয়।কিন্তু তা এমন কারুশিল্পময় তা ধারনার বাইরে ছিল।

ক্লাশে সুভাস চন্দ্র স্যার সমাজ পড়াতেন।প্রতিদিন ২-৩ পেজ মুখস্ত পড়া দিতেন।মোটা বেত নিয়ে আসতেন ক্লাশে।বেতের ওপড় সাপের মত প্যাঁচানো কারুকাজ করা।পড়া একদম না পারলে ২ টা,অল্প না পারলে একটা,ক্লাশে বিশৃঙ্খলা করলে ২ টা ফিক্সড ছিল।কিন্ডারগার্টেনএ পড়া এই আমার ম্যাক্সিমাম একফুটি কাঠের স্কেলে হাতে এক দুইটি মার খেয়ে অভ্যাস আছে,কিন্তু পোড়ানো কারুকার্যময় বেতের পশ্চাৎদেশের উপর মারের এক্সপিরিয়েন্স ঐ প্রথম এবং সে অভীঙ্গতা ছিল ভয়াবহ।

স্কুলে আমি দুবার ভয়াবহ বেতের মার খেয়েছিলাম।একবার জোড়া বেত আর একবার সিঙ্গেল বেতের।স্কুল মাঠে এক বন্ধুর সাথে দুষ্টামি করত অবস্হায় স্কুলের পিওন'স্যার ডাকে' বলে আমার হাত ধরে টানতে টানতে প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে নিয়ে গেল।প্রিন্সিপাল স্যার টেবিলে রাখা জোড়া বেত নিয়ে পেটাতে শুরু করলেন!আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার শরীরে ১০-১২ টি বারি পড়ে গেল।শরীরে জোড়া জোড়া লাল দাগ।কানতে কানতে স্যারের রুম থেকে বের হয়ে কলের পাড়ে গিয়ে পানি লাগাচ্ছি,আমার বন্ধু দেখি (যার সাথে দুষ্টুমি করছিলাম) একটি আইসক্রিম নিয়ে দৌড়ে আসছে।এসে আমার ক্ষতস্থানে আইসক্রিম লাগতে শুরু করল।আমি সব ভূলে গেলাম!

যেদিন সরকার স্কুলে বেত ব্যাবহার বন্ধ ঘোষনা করলেন,আমি খুশিতে আত্বহারা হয়েছিলাম।কিন্তু ইদানিং জানতে পারলাম স্কুলে বেত ব্যাবহার চলছেই! এতদিন কাগজে যে দু-একটা বেত ব্যাবহারের ঘটনা চোখে পড়ত বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে এড়িয়ে যেতাম।আজ আর একটা চোখে পড়ল ঠাকুরগায়ে।এভাবে চলতে পারে না।এটা সরকারি আইন অমান্য।যেসব স্যার এখনও বেত ব্যবহার করেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্হা নেওয়া উচিৎ।

আমাদের সন্তান এ দেশের সম্পদ।তাদের সঠিক ভাবে ভয় প্রহসন মুক্ত বেড়ে ওঠানোর দায়িত্ব আামাদের।তাদের হিংস্রতা দেখালে বড় হয়ে তারাও হিংস্র হয়ে উঠবে।আসুন আমাদের সন্তান এবং দেশের সম্পদকে সঠিক ভাবে গড়ে তুলি।

ধন্যবাদ

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২৭

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: শিশুদের উপর বেত্রাঘাত লেখাপড়ার প্রতি ভয়ের জন্ম দেয়। আনন্দ হারিয়ে যায়। স্কুল ভীতি সৃষ্টি হয়। শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমে যায়। মারধোর করে কি লেখাপড়া হয় নাকি! এটা আর কবে বুঝবেন আমাদের শিক্ষকরা।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:২০

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: বেত ব্যাবহার কারি শিক্ষকরা নিজেদের নিয়ে মনে মনে অহংকার করেন,বেত ব্যাবহার করাটা পৌরষবোধ মনে করেন।এটা অন্যায়।

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:০৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এসব অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। বাচ্চারা স্কুলে গিয়ে শিক্ষার পরিবর্তে ভয় নিয়ে ফিরবে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।ঠিক বলেছেন।

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৪৬

সম্রাট৯০ বলেছেন: যাদের মগজ মুখ বোবা তারাই বেতের ব্যবহার করেন।যাদের হবেনা তাদের কোন আঘাতেই হয়না, হয়না ভালোবাসায়ও, হলে ভালোবাসায় হয় হবেই,

কোমলমতি শিশু কিশোরের মন মস্তিষ্ক বুঝেই বলতে হয় চলতে হয়।

এসব অজ্ঞতা দুর হবে একদিন।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬

প্রামানিক বলেছেন: আপনি ঠিক কথাই বলেছেন। সেদিন আমার ছোট ছেলের পা দেখি ফুলে আছে জিজ্ঞেস করতেই বলল, পড়া না পাড়ায় স্যার পিটন দিয়েছে। যে স্যার তাকে মেরেছে সে স্যারের বয়স নাকি সত্তুরের কাছাকাছি। ছেলের পায়ে মারের দাগ দেখে খুব কষ্ট লাগল।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: কষ্টকর, ছোট ছেলে পেলেকে পেটানো একটি পৈশাচিক আনন্দময় বলেই মনে হচ্ছে।নইলে মৃদু প্রহার না করে দগ কেন হবে??

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




যেসব শিক্ষক শিক্ষকতায় আনন্দ পান, তাঁরা রাগান্বিত হলেও নিজকে সংবরণ করেন।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: ছোট বাচ্চাদের যারা প্রহার করে আনন্দ পায়, তাদের মাথায় সমস্যা আছে বলে আমি মনে করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.