![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন তুমি এসেছিলে ভবে,কেঁদেছিলে তুমি হেসেছিলো সবে... এমন জীবন করিবে গঠন,মরনে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবন......
মেয়াদ শেষ হবে ফেব্রুয়ারি তে।প্রথম বার (২০১১ সালে)এমআরপি করতে গিয়ে বাজে অভিঙ্গতা হয়েছিল।
কথায় আছে যায় দিন ভাল আসে খারাপ। এবার আবার গিয়ে যেন এই কথারই যথার্তথা প্রমান করলাম। আগে থেকেই আমার কাছে ইনফরমেশন ছিল পাসপোর্ট রিনিউ হবে না।নতুন পাসপোর্টট করতে হবে।
ব্যাপারটা নিয়ে আমি যথেষ্ট বিরক্ত ছিলাম।কারন আমার পাসপোর্ট (এমআরপি)এর মেয়াদ শেষ হলেও বিশ এরও অধিক পেজ ছিল আবার ব্যাবহার যোগ্য।
তাই আমার মনে হল নতুন পাসপোর্ট করা আমার জন্য অর্থ,সময়,শ্রম এর অপচয় ছাড়া কিছুই নয়।তাই ভাবলাম পাসপোর্ট ফর্ম জমা দানের আগে দায়িত্বরত ব্যাক্তির সাথে কথা বলা দরকার।
ছোট ভাই এর দেওয়া দুকপি ফ্রম ফিলাপ করত,বন্ধু (সরকারি কর্মকর্তা) কে দিয়ে সত্যায়িত করত ৩রা জানুয়ারি দুপুর একটা বাজার মিনিট পাচেক পূর্বে জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে হাজির হলাম।
কোলাপসিবল গেট,একজন যাতায়ত করতে পারবে এমন ভাবে খোলা। গেটে একজন আনসার একজন পুলিশ কনস্টেবল পাহারায়।আশপাশে আরও অনেক পুলিশ এবং ওয়কিটকি হাতে একজন পুলিশ অফিসার কেও দেখলাম।
যেহেতু পুরাতন পাপি,তাই এক্সপপিরিয়েন্স বলছে এসব ক্ষেত্রে গার্ড ইগনোর করে এগিয়ে যেতে হবে,নাইলে,যদি বুঝতে পারে আপনি নিউ! বাংলাদেশের সব অাইন আপনাকে শিখিয়ে ছাড়বে।
বাট আমার এক্সপপিরিয়েন্স কাজ দিল না,গেটে বাধাপ্রাপ্ত হলাম।
আনসারঃ কই জাবেন ভাই?
আমি ঃজ্বী পাসপোর্ট ফর্ম জমা দিব।
আনঃ আজ হবে না,একটা পর্যন্ত টাইম।কাল আসেন।
আমিঃএকটা বাজতে তো আরো কিছু সময় বাকি।
আনঃএকটা বেজে পার হয়ে গেছে ঐ দেখেন আজান পড়ে।
আমিঃআচ্ছা আমি একটু অফিস্যার এর সঙ্গে কথা বলব।কিছু বিষয় জানা দরকার।
আনঃ আমাকে বলেন আমি বলে দিচ্ছি.....
আমি অবাক হয়ে তাকালাম,পাশের পুলিশ কনস্টেবল আমাকে নানা ভাবে বুঝিয়ে গেট থেকে সরিয়ে দিলেন,আমি হতাশ হয়ে দরজাদিকে তাকিয়ে রইলাম। আর গেটে অবস্হিত আনসার পুলিশ দের টাকা লেনদেনের সুমধুর দৃষ্য দেখলাম।
***আমার প্রশ্নের জওয়াব আনসার দিতে পারবে না,পাসপোর্ট অফিসে পুলিশের ঘুষ নেওয়া নিয়ে চ্যালেঞ্জ করলাম,চেষ্টা করলে ছবি সহ দিতে পারব।
আজ আবার গিয়েছিলাম, গত কালকের কনস্টেবল আমাকে বলে "কাউকে ধরছেন,নাকি নিজে নিজেই জমা দিবেন"
আমার জানা মতে পাসপোর্ট অফিসে পুলিশ ডিউটি দেওয়া দালাল দের ঠেকাতে,এখন দেখি সর্ষে তেই ভূত!
যেহেতু পুলিশদের ফিক্সড স্যালারি আছে,তাই কিছু বেকার যুবক(দালাল) এর কর্মসংস্থান লক্ষ্যে পাসপোর্ট অফিস থেকে পুলিশ সরানোর দাবি জানাই!
ধন্যবাদ
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২০
মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: আমি ইচ্ছে করেই পাসপোর্ট পাওয়ার ব্যপারটা এড়িয়ে গেছি।পাসপোর্ট পেতে হলে আপনাকে দুটির যে কোন একটি যোগত্যা থাকতে হবে।এক.দালালকে ১০০০-১৫০০ টাকা দিয়ে কার্য সমাধান দুই.পরিচিত রাজনৈতিক নেতা/পাসপোর্ট অফিসে কাজ করা কাউকে ধরে বিনা ঘুষে কাজ করা।
৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রশাসনের কাউকে সন্মান করার উপায় তারা রাখেনি
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৭
মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: কিছু ভাল আছে।কিন্তু বেশির ভাগই সুযোগ সন্ধানী।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৭
করুণাধারা বলেছেন: শেষ পর্যন্ত কিভাবে পাসপোর্ট পেলেন তা জানালে পাসপোর্ট এর ঝামেলা সম্পর্কেকে অনেকেই জানতে পারত। পাচ বছর পার হলেই নতুন পাসপোর্ট করার আ সিস্টেম কেবল আমাদের দেশেই হয়েছে- আগে তো পুরানাটাতেই সময় বাড়ান যেত। আপনাকেই যদি এত ভোগান্তি পোহাতে হয় তবে আশিক্ষিত শ্রমিকদের অবস্থা কি হয় তা কি কেউ ভাবে? এদের অনেকেই পাচ বছরে হয়ত একবার দেশে আসেন, তাদের পুরা পাসপোর্টইই তো খালি, সহজেই আরো পাচ বছর ব্যবহার করা যায় কিন্তু তা না করে এদের নতুন পাসপোর্ট। এর ঝামেলায় ফেলা হয়। এরা সবচাইতে অসুবিধায় পড়ে সত্যায়িত করতে গিয়ে- এরা সরকারি অফিসারের নাগাল কিভাবে পাবে? অতএব দালাল ধরতেই হবে। ধিক! যারা এই সিস্টেম চালু করেছে।