![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন তুমি এসেছিলে ভবে,কেঁদেছিলে তুমি হেসেছিলো সবে... এমন জীবন করিবে গঠন,মরনে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবন......
বাঙ্গালি তেল যেমন দিতেও পছন্দ করে আবার নিতেও পছন্দ করে।বিশেষ করে সরকারি কোন অফিসে কোন কাজে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারী যেন বধীর হয়ে বসে থাকে।আপনার কথা যেন সাইরেনের আওয়াজ, মাইল পাচেঁক দূর থেকে মৃদু গতিতে ভেসে আসে।ওনারা প্রয়োজন মনে না করলে উত্তর অথবা ঘাড় ফিরিয়া তাকাবার কষ্ট করা থেকে বিরত থাকেন।
অথচ, "স্যার" বলে ডাকেন,দেখবেন কোথাকার জল কোথায় যায়।অতিমাত্রায় স্যার বললে সরকারি অফিসের ক্লার্ক, পিওন দ্বারা চায়ের অফার পেয়ে আপনি নিজেকে ধন্য মনে করতে পারেন।
একদিন কোন এক কারনে আমি কোর্টে গিয়েছিলা। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট।পেশকার দশ লাইন বলতে কমপক্ষে একশত বার স্যার সম্বোধন করে বসলেন।আমি বিরক্ত হলাম।প্রতিটা বাক্যের আগে পিছে স্যার সম্ভোধন!!!
চাকরির সুবাদে পৃথিবীর অনেক দেশ ঘোরা হয়েছে(মালয়শিয়া,থাইল্যান্ড,সিঙ্গাপুর,ভিয়েতনাম ইত্যাদি)।কিছু কিছু দেশের এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন অফিসার আমাকে স্যার বলে সম্ভোধন করিয়া আমাকে চমকাইয়া দিয়েছেন।যেটা বাংলাদেশে কল্পনারও অতীত।
অথচ আমি কোন কাজ নিয়ে সেইসব দেশের সিটিজেন বড় কোন কর্মকর্তাকে স্যার বলে ডাকলে তারা বিরক্ত হতেন।শুধু ইমিগ্রেশন নয় সেই সব দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাধারন মানুষকে স্যার বলে সম্ভোধন করে থাকে।
বাংলাদেশের সরকারি হসপিটালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা তাদের আপু/ভাইয়া বলে সম্ভোধন করায় বিরক্ত বোধ করার কারন দেখতে পাচ্ছি না।এবং সন্মান রক্ষার্থে হাতাহাতিরও প্রয়োজন পরিলক্ষিত হচ্ছে না!!
স্যার যদি সন্মানের নাম হয়ে থাকে,তাহলে সরকার আইন করে নিজের আপন বাবা -মা কে" স্যার " সম্ভোধন করার প্রঙ্গাপন জারি করতে পারে।কারন বাবা মায়ের চেয়ে সন্মানিত ব্যাক্তি তো আর কেউ নেই আমার জানা মতে।অথবা আইন করে এই স্যার ডাক বাংলাদেশ থেকে পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারে।
হসপিটালের মত এমন স্পর্শ কাতর জায়গায়, দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষিত ছেলে মেয়ে কর্তৃক এমন আচরন আমাকে পীড়া দিয়েছে।
ঘটনা তদন্ত পূর্বক, দোষীদের শাস্তি প্রদানের দাবি রইল।
নিম্নে সংবাদের লিংক সহ কিছু অংশ প্রদান করা হইল।
"আহত রুম্মান হোসেন শান্ত জানান, তার দাদি মাহেলা বেওয়ার শরীরে রক্ত দেয়া হচ্ছিল। রক্ত শেষ হলেও তা খুলে দেয়া হয়নি। বিষয়টি একজন মহিলা ডাক্তারকে বলতে গিয়ে আপু বলে ডাক দিয়েছিলাম। এতে তিনি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক মাইন্ড করেন। এ কারণেই আমার কলার চেপে ধরা হয়। তারপর মারপিট করেন। একটু পরই একদল ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা ছুটে আছেন। তারা আমাকে ও আমার বাবাকে বেঁধে কিলঘুষিসহ রড দিয়ে মারপিট করতে থাকেন। আমরা চিৎকার করলেও কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। পরে অসুস্থ অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জোর করে আমাদের জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয় এবং বলা হয় বগুড়ার কোনো ক্লিনিক বা হাসপাতালে যেন চিকিৎসা নেয়া না হয়।
https://www.jagonews24.com/country/news/364519
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬
মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: ডাক্তারদের এটা মনে করার কোন কারন নেই যে,সে সাধারন মানুষের প্রভু। সে এটা ভাববে সে সাধারন মানুষের সেবক।বিশেষ করে ডাক্তারেরা নিজেদের এলিট শ্রেণীভুক্ত মনে করে।
সাধারন মানুষের সন্মান পাবে কি ভাবে?? ভালো মানের ডাক্তার ৮০০-১০০০ টাকা ফি নেয়।সরকারের ও নজরদারি নেই।সব বিজনেসম্যান।
২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫০
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আমি যে কয়জন ডাক্তারদের চিনি তাদের মধ্যে ২০% কে ভাল বলে মনে হয়। এবং যেকজন মেডিকেল স্টুডেন্টকে চিনি তাদের মধ্যে ৮০% ভাল। দুই একটা চিটা থাকবেই।
আপনার কথাগুলো ভাল লেগেছে। সময় উপযোগী।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬
মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: আপনার সাথে সহমত জাহিদ ভাই,বেশিরভাগ মেডিক্যাল স্টুডেন্ট ভাল এবং বেশিরভাগ ডাক্তার খারাপ।তবে তাদের মনে রাখা দরকার,তারা দেশ তথা পমথিবীর সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধীকারি নয়।তাদের এটা মনে রাখা প্রয়োজন এই সাধারন মানুষের সেবার মাধ্যমে তাদের সংসার চলে।
৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩২
করুণাধারা বলেছেন: এই ঘটনা আগেও একবার হয়েছিল ফরিদপুর মেডিকেলে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টের জন্য।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৪
মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ,করুনাধারা।শুভকামনা জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৪০
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে ডাক্তারী পেশাটা সাধারন মানুষের ছেলেমেয়েদের নাগালের বাহিরে চলে গেছে; এখানে এখন আসছে ডাক্তার, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সরকারী কর্মচারীদের ছেলেমেয়েরা ও হাসপাতালের মালিকদের ছেলেমেয়েরা; এখন এটা ভদ্র মাফিয়াদের যায়গা।
অবশ্য মানুষ এদেরকে এক পয়সারও সন্মান করে না, এদের উপর গরু ছাগলেরও আস্হা নেই