নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন নতুন লেখক। আমাকে উৎসাহ দিন।

সব্যসাচী ব্লগার

আমি একজন নতুন লেখক। বাংলাদেশ, দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে লেখার চেষ্টা করব।

সব্যসাচী ব্লগার › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাদিজা নিখোঁজ!

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:২৫

গত ২০ মার্চ কুমিল্লায় সোহাগী জাহান তনু নামের এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনে অংশ নেয় দেশের সব শ্রেণীর মানুষ। তনু হত্যার কারণ ও ঘাতক চিহ্নিত না হলেও হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে সারাদেশে মিছিল, সমাবেশ, মানববন্ধন হয়েছে। এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তরুণদের সংগঠন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। এছাড়া তনু হত্যা প্রসঙ্গে নানা কর্মসূচি দিয়েছে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ছাত্রশিবির ও বামদলগুলোসহ প্রায় সকল রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন। ফলে এ আন্দোলন রূপান্তরিত হয় গণআন্দোলনে। জাতি পায় আশার আলো। কেননা স্বাধীনতার পর দেশের মানুষ সকল আদর্শের রাজনৈতিক দলের কোন বিষয়ে একমত হওয়ার নজির দেখেছে বলে মনে হয় না। কিন্তু কোন আলোর মুখ দেখেনি তনু হত্যার বিচার

হঠাৎ অজানা ইশারায় থেমে যায় সব আন্দোলন। চুপ হয়ে যায় গণজাগরণ মঞ্চও। জাতিকে শুনতে হয় তনু ধর্ষণ কিংবা হত্যা নয়, ভালুকের আক্রমণে মরেছে। কি আর করার। যেহেতু আমাদের কাছে কোন প্রমাণ নেই তাই ডাক্তারের রিপোর্টই মেনে নিতে হয়। তাই মন না মানলেও চুপ থাকতে হয় প্রমাণের অভাবে।

এর পর রাজধানীতে রিশা হত্যার ঘটনায় শুরু হয় আন্দোলন। এতেও অংশ নেন ইমরান এইচ সরকার। এ দফায় কিছুটা সফলতাও আসে। আটক হয় ঘাতক ওবায়দুল। তার মামলা বিচারধীন রয়েছে।

তার পর সর্বশেষ গত ৩ অক্টোবর সোমবার বিকালে পরীক্ষা দিয়ে বের হলে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। এতে গুরুতর আহত হয়ে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুর মুখোমুখি শুয়ে আছে খাদিজা। এ ঘটনার ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। আবারও শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল তনু, চাঁদনি, রিশাকে গোপনে হত্যা করা হলেও তাদের হত্যার বিচারের দাবিতে সরব ছিল সবাই। তাছাড়া তাদেরকে কে বা কারা কেন হত্যা করেছে তাও স্পষ্ঠ ছিল না, তার প্রমানও ছিল না। তাদেরকে এতটা নিঃসংশভাবে কুপিয়েও হত্যা করা হয় নি। অথচ দিন দুপুরে প্রকাশে চাপাতির একর পর এক কোপে ক্ষত বিক্ষত করা হয় খাদিজাকে। রয়েছে স্পষ্ঠ প্রমাণ, কিন্তু এ ঘটনার বিচারের দাবিতে তার কিছু সহপাঠী ছাড়া কাউকে দেখা যায় নি রাজপথে। দেখা মিলেনি গণজাগরণ মঞ্চ কিংবা কোন মানবাধিকার কর্মী বা সুশিল সমাজের।

প্রথম দিকে অনলাইন বেশ সরব দেখা গেলেও এখন সেখানেও নিখোঁজ খাদিজা। এর কারণ কি?
অনেক চিন্তার পর খাদিজা ইস্যূ নিখোঁজ হওয়ার দু'টি কারণ খুঁজে বের করেছি।
১) বাঙালি হুজুগে জাতি, যেদিকে বাতাস সবাই সেদিকে পাল ঘুরায়।
২) বদরুল ছাত্রলীগ নেতা তাই রাজনৈতিক বিবেচনায় চুপ রয়েছেন সুশিল সমাজ। আর তাদের পাল যেদিকে জনতার পালও সেদিকে।
এখন আমার প্রশ্ন হল- দেশের সব কিছুই কি রাজনৈতিক বিবেচনায় চলবে? শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক বিবেচনায় পার পেয়ে যাবে প্রকাশ্য চাপাতি সন্ত্রাসীরা। পা পেয়ে যাবে বদরুল, জঙ্গি তাহমিদরাও?

আমাদের বোধ এমন হলে কখনো কি বন্ধ করা যাবে ধর্ষণ, হত্যা, গুম, জঙ্গিবাদ কিংবা চাপাতী সন্ত্রাস?

প্রশ্ন রইলো সুশিল সমাজের কাছে...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.