নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন নতুন লেখক। আমাকে উৎসাহ দিন।

সব্যসাচী ব্লগার

আমি একজন নতুন লেখক। বাংলাদেশ, দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে লেখার চেষ্টা করব।

সব্যসাচী ব্লগার › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষ আছাড় খেতে প্রস্তুত আওয়ামী লীগ

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪০



আমার চাচা প্রায় সময় আমাদের একটা গল্প বলেন। গল্পটা হল- আমাদের বাড়ির পাশে এক চাপাবাজ ছিল। লেকটার স্বাস্থ্য খুবই হেংলা পাতলা হলেও মুখের কথা ছিল অনেক স্বাস্থ্যবান। সে যেখানে সেখানে সেখানে ইচ্ছামত চাপাবাজি করে বেড়াতো। একবার এক কুস্তিগীরের সঙ্গে চাপাবাজি করছিল। বলছে, ধুৎ তুমি কি খেল এটা কোন খেলা হইল? আমি হইলে মিনিটে মিনিটে মানুষরে আছাড় দিতাম.... জীবনে কত দিছি। এখন না কুস্তি খেলি না। তবুও আজ খেললেও তোমার মত দু-এক জনকে আছাড় দেয়া কোন ব্যপারই না।

চাপাবাজি করতে করতে তারা এক পর্যায়ে বাস্তবতায় চলে গেল। শুরু হল কুস্তি লড়া, দু'জনই প্রস্তুত। প্রথম দফায়ই চাপাবাজকে ধরে আছাড় দিল কুস্তিগীর। সঙ্গে সঙ্গে উঠে সে বলল, আমি তো সকালে খেয়ে আসিনি তাই....

জবাবে কুস্তিগীর বলল, যা খেয়ে আয় তার পর লড়ব। খেয়ে এল চাপাবাজ, আবার শুরু লড়াই। এবারও ধরেই আছাড়!

এবার কিছুটা কান্না জড়িত কণ্ঠে চাপাবাজ বলল, আমার কাছে টাকা ছিল না। তাই মাত্র একটি রুটি খেয়েছি, নয়লে....

কুস্তিগীর বলল, টাকা আমি দেব ভালো করে খেয়ে আয়। যথারীতি সে ফিরে এল। আবারও আছাড় দিল কুস্তিগীর। এবার আর উঠার শক্তি নেই তাই শুয়ে থেকেই কেঁদে কেঁদে চাপাবাজ বলল, এমনিতে গত তিনদিন পর আজ খেয়েছি তার ওপর তুই টাকা দেয়ায় একটু বেশি খাওয়া হয়েছে। তাই লড়তে পারছি না বলে তুই আছাড় দিতে পেরেছিস। নইলে....

বর্তমান আওয়ামী লীগের অবস্থা হয়েছে এই চাপাবাজের মত। তারা চাপাবাজির ছলেই শুরু করেছিল যুদ্ধাপরাধের বিচার নাটক। প্রথম দফায় বিচার প্রক্রিয়ার চুরি ধরা পড়ে আছাড় খেলেও দ্বিতীয় দফায় এসে কিছু ফাঁসির রায় দিয়ে ভেবেছিল বিজয় পেয়েছে। কিন্তু এ বিজয় নিয়ে তারা সন্তুষ্ট থাকেনি। বরং চাপাবাজি আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল, যা তাদেরকে ফাঁসি বাস্বায়ন পযর্ন্ত যেতে বাধ্য করে। জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দিয়ে তারা ইতিহাসের দায় মুক্তির ঢেকুর তোলে। কিন্তু নেতাদের শাহাদাতের মাধ্যমে জামায়াতের জনপ্রিয়তা ও গ্রহনযোগ্যতা আরো বেড়ে যায়, এতে দ্বিতীয় বারের মত আছাড় খায় আ'লীগ। তবুও থামেনি তাদের চাপাবাজি।

এবার তারা তৃতীয় বা শেষ আছাড়টি খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর এ প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জামায়াতের নতুন আমির মকবুল আহমদকে যুদ্ধাপরাধী বানানোর মাধ্যমে।
মজার বিষয় হল, চাপাবাজরা কখনো চাপাবাজির সময় চিন্তা করে না- আগামী কাল আমার এ চাপার প্রভাব কি হবে? যার ফলে তারা কোন কথা বলতে ভালোভাবে ভেবেচিন্তে বলে না। এতে অল্প সময়েই ধরা পড়তে হয় তাদের। সেই ঘটনাই ঘটেছে আ'লীগের ক্ষেত্রে।



এইতো গত কয়েকদিন আগে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীকে ফাঁসি দেয়ার পর আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর বাম রামরা ঘোষণা করেছিল দেশ আজ কলঙ্কমুক্ত। সেই সময় তারা ভুলে গিয়েছিল যে, গোলাম আযম, নিজামী, সাঈদী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জমান ও মীর কাসেম আলীদের ফাঁসি দেয়ার পর জামায়াতের আমির অথবা সেক্রেটারি হিসেবে অন্য কেউ আসতে পারে। তাই তারা তখন দায় মুক্তির খাতা বন্ধ করে দিয়েছিল।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হল যে, তাদের দায়মুক্তি হতে না হতেই জন্ম হল আরেক রাজাকারের। জামায়িাতের নতুন আমিরের দায়িত্ব পেলেন মকবুল হোসেন।
তাই এখন শুরু হয়েছে মোখলেস মকবুলকে যুদ্ধাপরাধী বানানোর প্রক্রিয়া। শুরু হয়েছে নতুন চাপাবাজি। এ চাপাবাজীর পরিনাম যে ‘কোমর ভাঙ্গার শেষ আছাড়’ সেটা এখনো বুঝতে পাছে না আওয়ামী লীগ।

আমি স্বভাবিত সেন্সে চিন্তা করে দেখুন, বিজয়ের পরের ৪০বছর নয় বাদই দিলাম। গত পাঁচ বছরে তো যুদ্ধাপরাধের বিচরের বেশ তোড়জোড় হয়েছে। তখনতো মকবুল আহমদ জামায়াতের উপরের স্তরের নেতাই ছিলেন। প্রকাশ্য মিটিং মিছিল করেছেন, ঘুরে বেড়িয়েছেন। কই তার বিরুদ্ধে তখনওতো আসেনি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ? অথচ এখন আমির হতে না হতেই মিলছে যুদ্ধাপরাধের নানা দলিল প্রমাণ। সত্যিই অবাককর ঘটণা তাই না?

জাতি আজ ঠিকই বুঝতে পারছে জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে তোলা যুদ্ধাপরাধের দায় আসলে মিথ্যা ছিল। সরকার যুদ্ধাপরাধীদের নয় জামায়াতকে ফাঁসি দিতে চাচ্ছে আর বার বার জনতার আদালতে আছাড় খাচ্ছে!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.