নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন নতুন লেখক। আমাকে উৎসাহ দিন।

সব্যসাচী ব্লগার

আমি একজন নতুন লেখক। বাংলাদেশ, দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে লেখার চেষ্টা করব।

সব্যসাচী ব্লগার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঘ রেখে মহিষ নিয়ে টানাটানি

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৭


এক ‍রাখাল প্রতিদিন ছাগল চারাতে মাঠে যেত। সেখানে কিছু বুনো মহিষও আসত। প্রায়দিনই মহিষগুলো ছাগলগুলোকে তাড়া করতো। একদিন মাঠে বাঘের আগমন ঘটল। বাঘ দেখে চমকে গেল রাখাল। ছাগলগুলো নিয়ে দোড় শুরু করল সে। এদিকে বাঘ দেখে প্রতিরোধে এগিয়ে আসছিল মহিষের পাল। মহিষের বিশাল পাল দেখে পিঁছুও হটছিল বাঘ। কিন্তু রাখাল বেটা বুঝেছে ভুল। সে ভেবেছে মহিষগুলো তার ছাগলের উপর আক্রমণ করতে আসছে। তাই সে লেগে পড়ল মহিষ তাড়াতে। ফলে যা হওয়ার তাই হল, ক্ষতিগ্রস্থ হল সবাই।

আগামীকাল ৯ই ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) অনুষ্ঠিতকব্য ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় হিজাব নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কতৃপক্ষের দাবি, নকল প্রতিরোধের সার্থে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে শেকৃবি কতৃপক্ষের এ দাবি আমার কাছে বেশ হাস্যকর মনে হয়েছে। এ ঘোষণা শুনে আমার মনে পড়েছে বাঘ মহিষের এই ঘটনার কথা। শেকৃবি কতৃপক্ষকে মনে হয়েছে বোকা রাখালের ভূমিকায়।

কেননা
* সারা দেশের সব পরীক্ষায় যখন আগ থেকে প্রশ্ন পাওয়া যায় তখন নকল ঠেকানো হাস্যকর ছাড়া আর কী হতে পারে?
* যেখানে ভর্তি পরীক্ষা না টিকেও অটো ভর্তি হওয়া যায়,সেখানে নকলেরইবা কী দরকার।
* যে দেশে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ভর্তি নিয়ে ব্যবসা করছে সেখানে নকল করেই বা লাভ কী?
* আর নকল করতে কি হিজাবের প্রয়োজন হয়। যদি নকল করতে হিজাবের প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে ছেলেদের দশা কী হবে?

এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি বলছে, শেকৃবি কতৃপক্ষ মূলত নকল প্রতিরোধে নয় বরং ইসলামের এ ফরজ বিধানের প্রতি নিজেদের উদাসীনতার বহিপ্রকাশের জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরীক্ষায় হিজাব নিষিদ্ধের ‍মাধ্যমে তারা পরীক্ষামূলকভাবে তাদের হিজাব বিরোধী মতাদর্শ বাস্তবায়ন শুরু করতে চাচ্ছে।

বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন বিশ্বিবিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রতি দৃষ্টি দিলে দেখা যায়, এখন আর নকল প্রথা তেমন চালু নেই। এখন সবাই পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্ন কালেকশান করেই ভর্তি হয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। আবার অনেকে পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও চুক্তির মাধ্যমে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাছাড়া নকল বা প্রশ্ন ‍জালিয়তির যে সকল ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে তার সঙ্গে মেয়েদের সংশ্লিষ্টতা তেমন দেখা যায়নি। আর হিজাবী মেয়ের সংশ্লিষ্টতাতো একটিও না। বরং এসব জালিয়তির জন্য যারা ধরা পড়েছে বা আলোচনায় এসেছে তাদের অধিকাংশকেই দেখা গেছে ক্ষমতাসীন দলের কোন না কোন পর্যায়ের নেতা।



এই অনুভূতি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলব, এ ধরণের আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসুন। মনে রাখবেন ধর্ম কখনো চুরির শিক্ষা দেয় না বরং নৈতিকতার শিক্ষা দেয়। তাই নকল বন্ধ করতে হলে এসব ভূল সিদ্ধান্ত বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার শিক্ষা দেয়ার ব্যাবস্থা করুন। বিশেষ করে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের এ শিক্ষা দিন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.