![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন নতুন লেখক। বাংলাদেশ, দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে লেখার চেষ্টা করব।
ফেনীর আলোচিত উপজেলা চেয়ারম্যন একরাম হত্যার অভিযোগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মকবুল আহমদকে অভিযুক্ত করেছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আদালতে হাজির না করে গুম করার নির্দেশও দেয়া হয়।
আজ জেলা গণআদালতের বিচারক নিজাম উদ্দিন হাজারী এ নির্দেশ দেন।
গণআদালত ওরফে আওয়ামী আদালতের উভয়পক্ষের একমাত্র আইনজীবী জাহাঙ্গির আদেল সব্যসাচী ব্লগারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন!
জাহাঙ্গির আদেল জানান, রায় ঘোষণার সময় মাননীয় বিচারক বলেছেন, এখন জামায়াতের প্রধান শত্রু আওয়ামী লীগ। আর এসময়ে প্রকাশ্যে রাস্তায় আওয়ামী লীগ নেতা একরামকে হত্যা করা হয়েছে। সহজেই বুঝা যায় এ হত্যার দোশী কারা। তাছাড়া স্বয়ং জামায়াতের (তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত) আমীর এ জেলার বাসিন্দা তাই সহজেই বুঝা যায় এ ঘটনায় সে সরাসরি জড়িত। তাই তাকে দ্রুত গ্রেফতাররে নির্দেশ দেয়া হল।
পাঠক অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন, এত বছর পরে হঠাৎ এ রায় আসল কেন? তাছাড়া মূল অভিযুক্তরাই এ রায় দিচ্ছে কেন?
এমন রায় আসেনি ঠিক, তবে এটা ছিল আওয়ামী লীগের দূর্বলতা। তারা ভূলে গিয়েছিল যে মকবুল আহমদের বাড়ি ফেনী। নয়লে ঠিকই তারা এ অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করতো। তাছাড়া মকবুল আহমদের মত সহজ সরল লোক যে জামায়াতের আমির হয়ে যাবে তা তারা বুঝতে পারেনি। নয়লে কি আর এত বড় ভূল করে?
রিসেন্ট ঘটনায় দায়ী না করে তারা যে ভূল করেছে আজ ১৯৭১ সালের অভিযোগে অভিযুক্ত করে তারই দায় সারছে।
যাই হোক আপনারা ভাবতে পারেন লেখক হঠাৎ এসব নিয়ে ভাবনা শুরু করেছেন কেন? লেখক পাগল হয়ে গেল নাকি? না পাগল নায়। বুঝেই বলছি, অবশ্যই এর কারণ আছে। আপনারা হয়তো লক্ষ করেছেন গত কয়েকদিন আগে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যা করা হয়েছে। লিটন হত্যার পর থেকে তার পরিবার অভিযোগ করে আসছে এ হত্যাকাণ্ড দলীয় আন্তকোন্দালে। কিন্তু কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতা এ ঘটনার জন্য জামায়াতকে দায়ী করে বক্তব্য দেয়। তাদের বক্তব্য শুনে পুলিশও ঠিক করে নেয় এ হত্যাকাণ্ডে জামায়াত জড়িত এবং এ অভিযোগকে পুঁজি করে তারা জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও গুমের মিশনও শুরু করে দিয়েছে।
অথচ লিটনের পরিবার বার বার বলে আসছে, হত্যাকাণ্ডের মূল হত্যাকারীদের আড়াল করতে জামায়াতকে দোশী করা হচ্ছে। তারা এ চক্রান্ত বন্ধ করে মূল অপরাধীদের গ্রেফতার করার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধও জানাচ্ছে।
ঘটনার পর স্ত্রীসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা জামায়াতকে দায়ী করলেও লিটনের বোনগণমাধ্যমকে বলেন, শুধু জামায়াত জামায়াত করলে হবে না। মূল অপরাধীদের খুঁজে বের করুন।
এছাড়া ঘটনার প্রাথমিক তদন্তেও দেখা যাচ্ছে এ ঘটনায় লিটনের ঘনিষ্ঠজন দায়ী। স্থানীয়দের অনেকে দাবি করছেন ঘটনার সঙ্গে লিটনের স্ত্রীও তার কিছু ঘনিষ্ঠজন জড়িত। কিন্তু পুলিশ এত কর্নপাত না করে কোন তদন্ত ছাড়াই স্বপ্রনোদিত হয়ে জামায়াতের থানা আমীরকে গ্রেফতার করেছে।
আরো মজার বিষয় হল, এ ঘটনার ভূয়া অভিযোগ এনে গত ৪ জানুয়ারী রাতে ঢাকার বাড্ডা স্বাধীনতা স্মারণীর এক বাসা থেকে পুলিশ গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ জামায়াতের থানা আমিরের ছেলে, ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ ৩য় বর্ষের ছাত্র আশরাফুল ইসলাম ও ছাব্বির আহমেদ ও সাবেক জনপ্রতিনিধি জহিরুল ইসলামকে আটক করে। প্রশাসন এখনো তাদের আদালতে হাজির করেনি বা গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করেনি।
আমার প্রশ্ন হল ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাক তা তদন্তের পরই বের হবে অথচ তদন্তের আগেই কেন প্রকার অভিযোগ বা প্রমান ছাড়া কেন গ্রেফতার করা হবে। আর গ্রেফতার করা হলেও তাদের আদালতে হাজির না করে অস্বীকার করা হচ্ছে কেন?
পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে এ ঘটনার দিকে একটু দৃষ্টিপাত করলে সহজে বুঝা যায়, লিটন বেচারা মরে আর শান্তি পাচ্ছে না। পাচ্ছে না হত্যার বিচারও। ফাঁকে রাজনৈতিক চক্রান্তে পড়ে আবারো হেনস্থা হতে যাচ্ছে জামায়াত শিবিরের কিছু অবলা লোক।
কেননা এর আগে যে সকল হত্যাকাণ্ড আড়াল করার প্রেযোজন হয়েছে সেগুলো সবগুলোর সঙ্গে জামায়াতকে জড়ানো হয়েছে। এবং আজো আলোর মুখ দেখেনি সেই সব ঘটনার তদন্ত বা বিচার। শুধু বিনা দোশে জেলের ঘানি টেনে যাচ্ছে অবলা জামায়াত-শিবির।
©somewhere in net ltd.