নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র --নানা ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবা রাত্র 'মুর্খরা সব শোন, মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন'
সারা পৃথিবীতে ফ্রেশওয়াটার সোয়াম্প ফরেস্ট বা স্বাদুপানির জলাবন আছে মাত্র ২২টি। ভারতীয় উপমহাদেশ আছে এর দুইটি…… একটা শ্রীলংকায় আর আরেকটা আমাদের সিলেটের গোয়াইনঘাটে। এই বনের আয়তন ৩,৩২৫.৬১ একর, আর এর মধ্যে ৫০৪ একর বনকে ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। অনেক এই বনকে বাংলার আমাজানও বলে থাকেন।
নানা বৈশিষ্ট্যমন্ডিত এই মিঠাপানির জলাবনটিতে উদ্ভিদের দু'টো স্তর পরিলক্ষিত হয়। উপরের স্তরটি মূলত বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদ নিয়ে গঠিত যেখানে নিচের স্তরটিতে ঘন পাটিপাতার (মুর্তা) আধিক্য বিদ্যমান । বনের উদ্ভিদের চাঁদোয়া সর্বোচ্চ ১৫ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত । এছাড়াও অরণ্যের ৮০ শতাংশ এলাকাই উদ্ভিদের আচ্ছাদনে আবৃত । এখন পর্যন্ত এখানে সর্বমোট ৭৩ প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেছে ।
এই বন মূলত প্রাকৃতিক বন হলেও পরবর্তিতে বাংলাদেশ বন বিভাগ, বেত, কদম, হিজল, মুর্তাসহ নানা জাতের জলসহিষ্ণু গাছ লাগিয়েছে। এছাড়া জলমগ্ন এই বনে রয়েছে হিজল, করচ আর বরুন গাছ আছে পিঠালি, অর্জুন, ছাতিয়ান, গুটিজাম, বটগাছও। আছে বট গাছ।
জলমগ্ন বলে এই বনে সাঁপের আবাস বেশি, আছে জোঁকও; শুকনো মৌসুমে বেজিও দেখা যায়। এছাড়া রয়েছে বানর, গুইসাপ; পাখির মধ্যে আছে সাদা বক, কানা বক, মাছরাঙ্গা, টিয়া, বুলবুলি, পানকৌড়ি, ঢুপি, ঘুঘু, চিল এবং বাজপাখি। শীতকালে রাতারগুলে আসে বালিহাঁসসহ প্রচুর পরিযায়ী পাখি, আসে বিশালাকায় শকুনও। মাছের মধ্যে আছে টেংরা, খলিশা, রিঠা, পাবদা, মায়া, আইড়, কালবাউশ, রুইসহ বিভিন্ন জাত।
আসুন, আমার ক্যামেরায় দেখি রাতারগুল বন কে........
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া
(২) সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সিএনজি নিয়ে মটরঘাটে পৌছতে অল্প কিছু মেটো পথে হাটতে হবে, বৃষ্টির কারণে রাস্তা খানাখন্দকে পরিপূর্ণ, তাই এটুকু হাটা ছাড়া উপায় নাই।
(৩) অবশ্য এই পথে গরু ও মানুষের হাটার সমান অধিকার রয়েছে
(৪) পাশের জলাভুমিতে হয়তো দেখতে পাবেন এমন ক্ষুদে মাঝিদেরও।
(৫) এক সময় আপনি পৌছে যাবেন নৌকা ঘাটে, পুরো বন ঘুরিয়ে আনতে একটা ডিঙি নাও আপনার কাছ থেকে ভাড়া নিবে ৩৫০/৪০০ টাকা।
(৬) ডিঙি নাও চেঙ্গীর খাল পার হয়ে এক সময় আপনাকে নিয়ে পৌছে যাবে মুল বনের দিকে।
(৭) প্রথম দিকের জলাভুমিতে বেশীর ভাগ এমন মুর্তার বন।
(৮/৯) এক সময় পৌছে গেলাম মূল বনে, সতয়িই চোখ ধাঁধাঁনো সৌন্দর্য্য।
(১০) তবে এমন চমৎকার গাছগুলোর ফাকে ফাকে কিন্তু আপনার জনয় বিপদ ও লুকিয়ে থাকতে পারে, তাই গাছ কিংবা পানিতে হাত না দেওয়াই ভালো।
(১১) গাছের কোটরে লুকিয়ে থাকতে পারে এমন বিপদ জনক সুন্দর সাপ।
(১২) কিংবা এমন বিছে, আর জলেও নাকি জোঁকের আধপত্য আছে, যদিও আমরা ওদের দেখতে পাইনি। বলতে পারেন তাহলে তো বিপদ। হ্যাঁ যত ভয় তত এ্যডভেঞ্চার, সুতরাং............
(১৩) কখনো মনে হবে বনটা অসম্ভব রকম শুনশান, আবার কখনো গাছের ফাঁকে ফাঁকে দেখবেন নিঃশব্দে ভেসে চলছে পর্যটকদের ডিঙি নাওগুলো।
(১৪) বনের মাঝখানে বিশাল একটা ফাঁকা জায়গা, সেদিক থেকে ভেসে আসছে সিলেটের আঞ্চলিক সুরে গাওয়া গান, পানিতে অর্ধ ডুবে থাকা গাছগুলোতে যেন সেই সুর লহরী নেচে বেড়াচ্ছে, স্বর্গীয় এক অনুভুতি।
(১৫) ডিঙি নিয়ে এগিয়ে গেলাম গানের সূর লক্ষ করে, মাচার উপর বসে দুজন লোক দেশীয় বাদ্য বাজনা বাজিয়ে গান গাচ্ছে। উদ্দেশ্য পর্যটকদের আনন্দ দেওয়া আর সংসারের রুটি রুজীর ব্যবস্থা।
(১৬) ডিঙি ভিড়িয়ে উঠে পড়লাম মাচাতে, গাইলাম ওদের সাথে কিছুক্ষণ গান, হোক না বেসুরো গলা, তাতে আনন্দের কোন কমতি হলো না মোটেই।
(১৭) এক সময় আমরা ফিরতি পথ ধরলাম, ফিরেও এলাম। কিন্তু এমন সৌন্দর্য্য দেখতে ফিরে আসবো বারে বার এই প্রতিজ্ঞাটা শুধু মনেই রেখে দিলাম।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এটাতো ভাই, প্রথম আলো পত্রিকার লিঙ্ক, কি আছে ওখানে ?
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
নীল বরফ বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে।সাবলীল ভাষায় লেখা আপনার লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো।++
ভাই, সাপের ছবিটা কি নিজে তুলেছেন??!!। সাপ্টা কি ওইখানে গাছের কোটরে লুকিয়ে ছিলো??বাপরে!! :-& :-&
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হ্যাঁ নীল ভাই, এখানে থাকা ছবিগুলো সবই আমার নিজের তোলা, ধন্যবাদ ।
৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪
bikalbela বলেছেন: ভাল লাগলো ।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ বিকেল বেলা
৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
খুব সুন্দর পোষ্টে +++++++++++++++
আপনার চোখ দিয়ে আমি বাংলাদেশ দেখছি!!
কিপ ইট আপ ব্রো
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনাকে +++++++
৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯
নতুন বলেছেন: গুগুল আথে` লোকেশান দিতে পারবেন..... ঘুইড়া আসতাম...
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: দুঃখিত ভাই, আমি তা পারছি না।
৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ছবি আর বর্ণনা দুটোই অসাধারণ !!
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই, উৎসাহিত হলাম।
৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার! সাপটা দেখে তো ভয় পাইছি!! আমার একমাত্র সাপে ভয়!
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০১
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সাপে ভয় পায়না এমন মানুষ কি আদৌ আছে ? ধন্যবাদ ভালোবাসা।
৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
বনসাই বলেছেন: এতো চমৎকার করে লিখেন কীভাবে? ছবি ও বর্ণনা অসাধারণ হয়েছে।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার মন্তব্য উৎসাহিত হওয়ার ব্যাপক রসদ বিদ্যমান।
৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৫
দি সুফি বলেছেন: আসলেই সুন্দর একটা যায়গা। যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। বর্ণনাগুলো অনেক চমৎকার হয়েছে। ++++++++++++
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মন্তবের জন্য ধন্যবাদ, শ্রদ্ধা জানবেন।
১০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৯
জশ বলেছেন: খুব সুন্দর হইছে লেখা ও ছবি। আপনার ক্যামেরা কোনটা। ছবিগুলা ভাল আসছে তো তাই জিজ্ঞেসকরলাম।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১১
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ, এই হলো আমার ক্যামেরা
১১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৯
মুদ্দাকির বলেছেন: খুব সুন্দর +++++
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনাকেও +++++
১২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২
এহসান সাবির বলেছেন: দারুন পোস্ট ভাই।
++++
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ সাবির ভাই, ভালো থাকুন, সব সময়।
১৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৮
এম ই জাভেদ বলেছেন: রাতার গুলের এই সৌন্দর্য আর বেশিদিন টিকবে না। বন বিভাগ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে এটাকে পর্যটন স্পট বানানোর জন্য।
অনেক পূর্ত কাজ হবে। অতএব ক্রিত্তিমতা বর্জিত রাতার গুল দেখতে হলে যেতে হবে শীঘ্রই।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন জাবেদ ভাই। তবে আমার মনে হয় পর্যটকদের জন্য নির্ধারিত এলাকা পরিদর্শনের সুযোগ রেখে বাকি এলাকাকে নিরেট বনভুমি রাখা সম্ভব, ধন্যবাদ।
১৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১১
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
ছবি ও বর্ণনা দারুণ লাগলো।
+++++
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ শোভন ভাই, শ্রদ্ধা জানবেন।
১৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৮
বোকামানুষ বলেছেন: ভাইয়া কবে গিয়েছিলেন? এখন পানি কমে গিয়েছে নাকি অনেক পানি ? এই মাসের ১৫ তারিখের দিকে যদি যাই তখনো কি পানি থাকবে?
আমাদের এইখানে যাওয়ার একটা প্ল্যান আছে এইজন্য বিস্তারিত জিজ্ঞেস করছি কিছু মনে করেন না ভাইয়া
আমার এই বনে যাওয়ার খুব ইচ্ছা কিন্তু আপনার সাপের ছবি দেখে ভাবতেছি আসলেই যেতে পারবো কিনা কারণ সাপ আমি অসম্ভব ভয় পাই এর নাম শুনলে, ছবি দেখলেই ভয় লাগে কখনো টিভিতে দেখলে সাথে সাথে চ্যানেল পরিবর্তন বাস্তবে সামনে দেখলে নির্ঘাত অজ্ঞান হয়ে যাবো
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি আগষ্টের ১৭ তারিখে গিয়েছিলাম, তখনি দেখছি পানি কমতির দিকে এই মাসের ১৫ তারিখে ও সম্ভবত যেতে পারবেন। সাপ দেখলে কার না ভয় লাগে ? তবে এটা জেনে রাখুন সাপ মানুষ অযথা কামরায় না, সে আত্ম রক্ষার জন্য মানুষকে আক্রমণ করে। সুতরাং নো চিন্তা বেড়িয়ে পড়ুন, দেখে আসু প্রকৃতিক অপার সৌন্দর্য্য, ধন্যবাদ।
১৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪১
একলাহুতুম বলেছেন: দৈনিক বর্তমানের ভ্রমণ পাতায় লিখতে চাইলে ছবিসহ মেইল করতে পারেন [email protected]
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভেবে দেখবো।
১৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: রাতারগুল জলা বন। দেখলাম বাংলার আমাজন। আগে জানা ছিলো না।
বিপদজনক সুন্দর সাপটি দেখে একটু ভয়ই পেলাম।
ভাগ্যিস কুমীর বা হিংস্র প্রাণী নেই, তাহলে ডিঙি করে বেড়ানো, বেসুরো গান আর গরুছাগলের সাথে সম-অধিকারে হাঁটা.... খবর হয়ে যেতো।
সাদা মনের ভাইকে অনেক শুভেচ্ছা
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ মইনুল ভাই, আপনি খুব মজার লোক।
১৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২০
খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার ভ্রমণ পোস্ট গুলো অন্যরকমের সুন্দর হয়। যত দেখি তত মুগ্ধ হই।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আর আমিও আপনাদের সুন্দর মন্যব্যে আরো অনুপ্রাণিত হই, ধন্যবাদ খেয়াঘাট।
১৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০০
প্রাচীন মানব বলেছেন: আপনার বর্ণনা পড়ে মুগ্ধ হলাম। পোস্টে +++++ তবে আমার কিছু বলার আছে, উপরে এক ভাইজান প্রথম আলোর একটা লিঙ্ক দিয়েছেন, তার উদ্দেশ্য কি আমি জানি না তবে প্রথম আলোতে সেদিন রাতারগুল নিয়ে একটা সংবেদনশিল রিপোর্ট ছিল। আমরা যেমন লাউয়াছড়া বনকে পিকনিক স্পট বানিয়ে ফেলে তার সব বন্য প্রানিকে সেখান থেকে তারিয়ে দিয়েছি, ঠিক তেমন টা যেন রাতারগুলের ক্ষেত্রে না হয়। আমার মোটামুটি সব ঘুরা হয়ে গেছে এবং আমি এটা এখন বুযতে পারছি যে আমার বা আমাদের সচেতনতার অভাব রয়েছে।
যদিও বলাটা শোভনীয় নয় তারপরও বলছি মানুষের পদচিহ্ন এইসব জায়গায় যত কম পড়বে ততই টিকে থাকবে এইসব বনাঞ্চলের প্রাণীকুল। আমরা যারা ভ্রমন করে বেড়াই তারা যদি বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে আমাদের ভ্রমনের বর্ণনার সাথে সাধারন জনগনের উদ্দেশ্যে কিছু সচেতনতামূলক ব্যপার তুলে ধরি তাহলে হয়ত কিছুটা ভাল হবে বৈকি (যদিও আমি এখনো দেই নাই [:@] ।
চমৎকার ছবি এবং চমৎকার বর্ণনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
_________________________
I added cool smileys to this message... if you don't see them go to: http://s.exps.me
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: প্রথম আলোর রিপোর্ট টি আমি পড়েছি, সবার জ্ঞাতার্থে এখানে দিলাম।
মাত্র কয়েক মাস আগে প্রথম আলোয় মৌলভীবাজার জেলার জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক স্থান নিয়ে লিখেছিলাম। একটি লাউয়াছড়া, অন্যটি বাইক্কা বিল। বন বিভাগ ইতিমধ্যেই লাউয়াছড়া বনের চূড়ান্ত সর্বনাশ করে ফেলেছে। জীববৈচিত্র্যে ভরা লাউয়াছড়ার প্রাকৃতিক বনটি ইতিমধ্যেই একটি হতশ্রী পার্কে পরিণত হয়েছে। পিকনিক পার্টি, সংগীতের আসর থেকে শুরু করে খেলাধুলা পর্যন্ত হেন কাজ নেই, যা সেখানে হয় না। সেই সুযোগে সেখানে তৎপর রয়েছে কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানও।
পর্যটকদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে বন্য প্রাণীরাও সব পালিয়েছে। হনুমানের দেখা পাওয়াও রীতিমতো সৌভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে! সেখানে বেড়াতে যাওয়া মানুষের সর্বশেষ আক্রমণ এখন ক্ষুদ্র লতা-গুল্মের ওপর। এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৃক্ষায়ণের নামে বিদেশি বৃক্ষের চাষ। কাজটি কফিনে শেষ পেরেক ঠোকার মতোই। যদি লাউয়াছড়ায় অতিদ্রুত পর্যটক নিষিদ্ধ করা না হয়, তাহলে আর কখনোই পুরোনো চেহারায় এটিকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। কিন্তু বন বিভাগের এমন কোনো ইচ্ছা আছে বলে মনে হয় না; এসব নিয়ে ভাবনাচিন্তা আছে বলেও মনে হয় না। স্থানীয় প্রশাসন এখন বাইক্কা বিলকেও পর্যটনকেন্দ্র বানানোর যাবতীয় আয়োজন প্রায় সুসম্পন্ন করেছে। শীত মৌসুমে মানুষের পদচারণে বিরক্ত হয় অতিথি পাখিরাও। এ বছর সেখানে আরও একটি আত্মঘাতী ঘটনা ঘটেছে। শুকনো মৌসুমে স্থানীয় মানুষ এই গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননের আখড়াটি লুটপাট করে নষ্ট করেছে। কর্তৃপক্ষ এসব নিয়ে কিছু ভাবছে কি?
বন বিভাগের এবারের লোলুপ দৃষ্টি দেশের একমাত্র জলার বন রাতারগুলের দিকে। গত ২৩ আগস্ট প্রথম আলোয় ‘বদলে যেতে পারে বনের প্রকৃতি’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে অন্তত তা-ই মনে হয়। সংবাদে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে রাতারগুলে পর্যটকদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় বন ও পর্যটকদের সুবিধার্থে বন বিভাগ সেখানে পাঁচ কোটি ৬১ লাখ টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থ, প্রায় সোয়া চার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে পূর্ত খাতে; বাকি টাকা বনায়ন ও অন্যান্য কাজে ব্যয় করা হবে।
আসলে প্রথমেই ভেবে দেখতে হবে, রাতারগুলকে আমরা নিরেট বন, না পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে দেখতে চাই। কারণ, বন ও পর্যটন এক অর্থে সাংঘর্ষিক। বনকে পর্যটনকেন্দ্র বানাতে গেলে বনের প্রকৃত সত্তা নষ্ট হতে বাধ্য। বন বিভাগ এই একই ভুল করেছে লাউয়াছড়াসহ আরও অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত নান্দনিক স্থানে। বনকে বনের মতো থাকতে দিতে হলে একে কোনো অবস্থায়ই বিরক্ত করা চলবে না। তৈরি করা যাবে না কোনো স্থাপনা, অবকাঠামো বা রাস্তাঘাট। এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা যতই বৃদ্ধি পাবে, ততই বাড়বে পর্যটকের সংখ্যা। বনের ভেতর স্থাপনা যত বাড়বে, বনভূমি ততই তার সৌন্দর্য হারাতে থাকবে; সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে দূষণ ও বিনষ্টের পরিমাণ। বনের নিবিড়তা বজায় রাখতে হলে অতিরিক্ত পর্যটক মোটেও কাম্য নয়। তবে বনে পর্যটকেরা বেড়াতে যাবেন না, এমনও নয়। কিন্তু এখনো অনেক পর্যটকই বনের নির্জনতা উপভোগ করতে জানেন না; অধিকন্তু, বনের জন্য হুমকি হয়ে ওঠেন। তবে বন বিভাগ চাইলে নির্ধারিত দর্শনীর বিনিময়ে শুধু পানিপ্রবাহের সময় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বনের কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় পর্যটকদের বেড়ানোর ব্যবস্থা করতে পারে। নৌকা বা বাহনগুলোয় অবশ্যই ইঞ্জিন থাকবে না। কারণ, ইঞ্জিনের পোড়া তেল ও বিকট শব্দ বনের জন্য মোটেও সুখকর নয়।
দেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব ও আয়তনের বিপরীতে পর্যাপ্ত বনভূমি নেই। তাই যেকোনো মূল্যে এসব বনভূমি টিকিয়ে রাখা প্রয়োজন। এমনিতেই শুকনো মৌসুমে রাতারগুল বনের প্রচুর গাছ কেটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা; এখন যদি থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা তৈরি হয়, তাহলে বন আর বন থাকবে না, হয়ে উঠবে বাজার। বর্ষায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিক্ষেপ করা বর্জ্য শুকনো মৌসুমে সরানোর জন্য বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করতে হবে বন বিভাগকে। যদি তা না করা হয়, তাহলে একসময় রাতারগুল আর বন থাকবে না, পরিণত হবে ঘুণে ধরা বৃক্ষের ধ্বংসস্তূপে।
৫০৪ দশমিক ৫০ একর আয়তনের এই বন সঠিকভাবে সংরক্ষণের জন্য বন বিভাগ বরাদ্দকৃত অর্থের সিংহভাগই ব্যয় করতে পারে বনের নিরাপত্তায়। এখানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বনের পাহারা জোরদার করা। চারপাশে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ করে সমগ্র বন এলাকা নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। তা ছাড়া বনের ভেতর অযাচিত বনায়নও কাম্য নয়। আর বন বিভাগের বনায়ন মানেই তো ইউক্যালিপটাস, অ্যাকাশিয়া বা মেহগনির জঞ্জাল। এ বনের প্রধান দুটি বৃক্ষের মধ্যে হিজল ও করচ প্রাকৃতিকভাবেই বংশ বৃদ্ধি করতে পারে। তবে সে জন্য যথোপযুক্ত পরিবেশও প্রয়োজন। বন বিভাগ ১৯৭৩ সালেই রাতারগুলকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণা করেছে। মূলত এই ঘোষণার মধ্যেই তারা সীমাবদ্ধ থেকেছে এত দিন। এখন হঠাৎ করে সেখানে এত তোড়জোড় কেন, কেন এত হইচই? উদ্দেশ্যটা একটু খোলাসা হওয়া প্রয়োজন। আসলে বন বিভাগ কি সেখানে পর্যটকদের সেবা দিতে চায়, নাকি নিজেদের সেবা নিশ্চিত করতে চায়। প্রস্তাবিত এই প্রকল্পে সরবরাহ ও সেবা খাত, মেরামত, সংরক্ষণ ও পুনর্বাসন এবং সম্পদ সংগ্রহ ও ক্রয় বাবদ কতগুলো অপ্রয়োজনীয় খাত দেখানো হয়েছে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য যদি শুধু বন সংরক্ষণ হয়, তাহলে সেখানে বনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া আর কি কোনো জরুরি কাজ থাকতে পারে? কারণ, বনটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা না গেলে সেখানে আর থাকলই বা কী? এসব কারণেই বন বিভাগকে রাতারগুল নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে; সরে আসতে হবে উচ্চাভিলাষী ও অনাহূত কর্মকাণ্ড থেকে।
প্রসঙ্গত, সর্বস্তরের লেখক, সাহিত্যিক, কবি ও সাংবাদিকদের কাছে বিনীত অনুরোধ, রাতারগুল নিয়ে আর কোনো চটকদারি লেখা নয়। কারণ, রাতারগুলকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে জোর করে পর্যটনকেন্দ্র বানানো ঠিক হবে না। আমরা রাতারগুলকে বন হিসেবেই দেখতে চাই, পর্যটনকেন্দ্র নয়।
মোকারম হোসেন: প্রকৃতি ও পরিবেশবিষয়ক লেখক।
[email protected]
২০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বন আর পর্যটন কেন্দ্র আকাশ পাতাল তফাত।
আসলে আমাদের প্রাকৃতিক নিয়ন্ত্রণের সভ্যতা সামাজিকভাবে অথবা রাষ্ট্রীয়ভাবে গড়ে ওঠেনি।
আমরা সব সময়েই প্রথম সুযোগে সুন্দরকে গলা টিপে মারি।
রাতারগুল বন থাক। সেখানে যাবার সুযোগ থাক, সীমিত ও নিয়মতান্ত্রিক।
অনেক সুন্দর পোস্ট ভাই।
কৃতজ্ঞতা রইল।
২১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমরা সব সময়েই প্রথম সুযোগে সুন্দরকে গলা টিপে মারি।
রাতারগুল বন থাক। সেখানে যাবার সুযোগ থাক, সীমিত ও নিয়মতান্ত্রিক।
..........আপনার সাথে আমি সহমত পোষণ করছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১০
নীল সুমন বলেছেন: Click This Link