নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছিলাম বইয়ের পোকা, এখন ইন্টারনেটের ।

সাদা মনের মানুষ

বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র --নানা ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবা রাত্র 'মুর্খরা সব শোন, মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন'

সাদা মনের মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেকড় ব্রীজ

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬



ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে যাচ্ছিলাম এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম মৌলিনং দেখতে, শিলং থেকে যার দুরত্ব ৮০ কিলোমিটার। শিলং এর গড় উচ্চতা যতটুকু জানি ৫০০০ফিট। আর মৌলিনং এর উচ্চতা আনুমানিক ১০০০ফিটের বেশী নয়। তো শিলং থেকে ট্যেক্সি নিয়ে আঁকাবাঁকা ভয়ঙ্কর পাহাড়ি পথ ধরে একটানা নেমে আসতে আসতে যখন উচ্চতার তারতম্যের জন্য বাতাসের চাপে কান ব্যাথা শুরু হয়ে গেলো তখনি ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে দিলো রিওয়াই গ্রামে। বললো সামনে একটা ব্রীজ আছে একটু হেটে দেখে আসুন। ড্রাইভার বাংলা বলতে পারলেও ওর সব কথা ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। ভাবলাম কি আবার ব্রীজ দেখতে যাবো। শিলং এ ঠান্ডা থাকলেও এখলানে বাংলাদেশের মতো প্রচন্ড গরম। অনিচ্ছা সত্বেও প্রথমে সিড়ি ও পরে পাথুরে পাচিল বেয়ে নেমে গেলাম। আর ঐ শেকড় ব্রীজ দেখে ভাবলাম, না দেখলে বড় মিস হয়ে যেতো। আসুন দেখি আমার ক্যামেরায় ঐ শেকড় ব্রীজ।



(২) রিওয়াই গ্রামের কার পার্কিং, এখানেই ড্রাইভার আমাদের নামিয়ে দিয়েছিলো শেকড় ব্রীজ দেখার জন্য।





(৩/৪) ট্যাক্সি থেকে নেমেই এমন ফুটপাতের পসার দেখে আমরা চমৎকৃত হলাম।







(৫) ছোট ছোট কুটিরের সামনে দিয়ে আমরা পরিচ্ছন্ন লন ধরে সামনে এগিয়ে চললাম।





(৬) লোকেশন ধরে আমরা এগিয়ে চললাম।





(৭/৮) প্রথমে সিড়ি ও পরে পাথুরে পথ ধরে আমরা আরো এগিয়ে গেলাম।







(৯) এক সময় চলে এলাম আমাদের কাংখিত শেকড় ব্রীজে। শেকড় ব্রীজ দেখে আমরা সত্যিই চমৎকৃত। কয়েকটা অশথ্থ মিলে কিভাবে যেন তৈরী করে ফেলেছে চমৎকার একটা ব্রীজ। পরে চলাচলের সুবিধার জন্য মানুষ ব্রীজের উপর কিছু পাথর সেট করে নিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নীচ দিয়ে বয়ে চলে খড়স্রোতা জলধারা, এখনও অবশ্য এখানে ক্ষীণ জলধারা বহমান।





(১০) ব্রীজের উপর আমি ও আমার এক বন্ধু স্থানীয় এক লোকের সাথে ছবিটা তুলেছি।





(১১) অনেক লোকই আসে এখানে পিকনিক করতে।





(১২/১৩) নীচে নেমে ব্রীজের দুইপাশ থেকে তোলা দুইটি ছবি।







(১৪/১৫) এক সময় আবার পাথুরে পাচিল আর সিড়িগুলো বেয়ে উপরে উঠে আসতে গরমে আমাদের আমাদের অবস্থা শোচনীয়। তাই প্রথমেই হানা দিলাম এই পাণীয়ের দোকানে।







(১৬) তবে সব চেয়ে মজা পেয়েছিলাম এই টক মিষ্টি স্বাদের তুত ফল খেয়ে। পাতায় মোড়ানো এই ফলগুলো হাতে নিয়ে খেতে খেতে চলে এসেছিলাম আমাদের ট্যাক্সিতে। আর রওয়ানা হয়ে গিয়েছিলাম আমাদের পরবর্তি গন্তব্য এশিয়ার ক্লিন ভিলেজ খ্যাত মৌলিনং এর পথে।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: কামাল ভাই সেইরকম হইছে ছবিগুলা।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ কামরুল ভাই, শ্রদ্ধা জানবেন।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৩

দাদা- বলেছেন: কোথায় সেই এশিয়ার ক্লিন ভিলেজ খ্যাত মৌলিনং - তার ছবি কই ?

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ওটা অন্যদিন দিবো, ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৩

লুৎফুল ইসলাম বলেছেন: দারুন।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন, সব সময়।

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ছবি দেখেই শান্তি

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হুমম :-B

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০

মামুন রশিদ বলেছেন: অসাধারণ শেকড় ব্রীজ!

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই, কেমন আছেন ?

৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫

এনামুল রেজা বলেছেন: "কয়েকটা অশথ্থ মিলে কিভাবে যেন তৈরী করে ফেলেছে চমৎকার একটা ব্রীজ। পরে চলাচলের সুবিধার জন্য মানুষ ব্রীজের উপর কিছু পাথর সেট করে নিয়েছে।"

চমতকৃত হবার জন্য এরচেয়ে বেশি কি চাই! বিচিত্র জগত!

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হুমম রেজা ভাই, আমিও তাই বলি, ধন্যবাদ।

৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১১

হেডস্যার বলেছেন:
:) শেকড় ব্রীজ !! অসাধারন.....

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:৫৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ হেডস্যার, কেমন আছেন আপনি ?

৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫২

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:



বেশ দারুণ একটা ব্রিজ ।
আপনার চোখেই দেখে নিচ্ছি সব। শিলং যাওয়ার ইচ্ছে আছে।

০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:৪২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমারো ইচ্ছে আছে আগামী জুনে আবার যাওয়ার।

৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

শুভেচ্ছা রেখে গেলাম সাদামন ভাই... :)

০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:৪৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা

১০| ০২ রা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

ভিটামিন সি বলেছেন: প্রকৃতিই বড় ইঞ্জিনিয়ার। আমরা মানুষ শুধু তাকে কেটে-খুঁড়ে নস্ট করি।

০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:৫৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হুমম

১১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৮

খোলা মনের কথা বলেছেন: আপনার পোষ্ট দেখে ছোট বেলা দুটি কথা মনে পড়ে গেল।
১. তুত ফল: ভুলেই গেছিলাম তুত ফলের কথা। ছোট বেলায় দেখেছি, খেয়েছি। ফলটি ছোট থাকতে সাদা তারপর হালকা গোলাপি বা লালচে হয় আর বেশি পেকে গেলে জামের মত কালো হয়ে যায়। হালকা মিষ্টি স্বাদে খেতে ভালই লাগে।

২. আপনার শিকড়ের ব্রীজ দেখে সিন্দাবাদের কথা মনে পড়ে গেল। একটি এপিসোডে দেখেছিলাম সিন্দাবাদ এমন একটা ব্রীজ পার হচ্ছে আর অন্য দিকে ভিলেন ব্রীজটি ছুরি দিয়ে কেটেঁ দিচ্ছে। পরে পার পেয়ে যায় সিন্দাবাদ। ভয় পাইছিলাম সেদিন :)

ধন্যবাদ কামাল ভাই

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:৪৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তুত ফল খেয়েছে এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম, আপনি সেই কম লোকদের একজন.....আমার সব পোষ্টে উপস্থিত হয়ে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

১২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

রমিত বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা!!!

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন ভাই

১৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩০

মাদিহা মৌ বলেছেন: পুরোটাই প্রাকৃতিক? এতটা নিখুঁত কী করে হয়!

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি তো জানিনা, কিছুটা মানুষের কারিশমা থাকতেও পারে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.