নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্কুল বয়সে যারা চালাতার আচার পেয়েছেন, খেতে পেরেছেন সেই প্রজন্মকে নষ্টালজিক করবে এই আচার। ছোট বেলার কথা মনে করিয়ে দিবে। স্কুল গেইট থেকে এই আচার কিনে খেয়েছি যতটা না, তার চাইতে বেশী খেয়েছি দুপুরে যখন মাথাই করে নিয়ে আসতো চালতা ওয়ালা। এসে ঘরের সাথে লাগোয়া রাস্তায় ডাক শুনতে পেতাম আচার ডাকটা। দৌঁড়ে বের হয়ে যেতাম, টাকার ৪পিস, তেতুল, বড়ই এর আচারও থাকতো। আমার প্রিয় ছিল চালতা এবং তেতুল।
বাজার করতে গিয়ে চোখে পড়ল চালতা। দামও কম ছিল মাত্র দশ রিয়াল কেজি। এক কেজিতে মাঝারি সাইজ তিনটা ধরল। কিনে নিলাম। এবার আচার বানানোর পালা।
চালতা ছিলে কাটা যায় আবার ভাল করে ধুয়ে না ছিলেও করা যায়। স্বাদের তেমন পার্থক্য হয়না। এটা ছিলাটা আমার জন্য কষ্ট সাপেক্ষ ছিল তায় আমি না ছিলেই ধুয়ে কেটে নিলাম। মাঝারি সাইজ পিস কেনে হালকা লবণ এবং হলুম মিক্স করে সিদ্ধ হলে দিলাম ২৫ মিনিট। তারপর নামিয়ে পানি ঝরিয়ে সবগুলো পিস একটু থেতলে নিলাম।
এবার মশলা তৈরির পালা
মিষ্টি জিরা বা মৌরি : ১ টেবিল চামচ
জিরা : ১ টেবিল চামচ
তেজপাতা : ৩টা মাঝারি সাইজ
লাল মরিচের গুড়ো : ১ টেবিল চামচ
হলদ : ১ চা চামচ (হলুদ দিয়ে যেহেতু সিদ্ধ করা হয়েছে তার এটার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে)
চিলি ফ্লেক্স : ২ টেবিল চামচ ( এটা ঐচ্ছিক, আমি ঝাল একটু বেশী দিয়েছি, যারা কম খায় কমিয়ে দিতে হবে)
আচার গোস মশলা এক টেবিল চামচ ( আমি এটা পাঁচ ফোড়ন এর বদলে দিয়েছি, এটার পরিবর্তে পাঁচফোড়ন এক টেবিল চামচ দিতে হবে)
বিট লবণ : দুই চা চামচ ( ঐচ্ছিক, না থাকলে লগণ দিয়ে দিবেন পরিমাণ বুঝে
লবণ : আধা চা চামচ
টেষ্টিং সল্ট : দুই চা চামচ
যইতন তেল / অলিভ অয়েল : আধা কাপ (সবাই ষরিষার তেল দিয়ে করে, আমি জানি বাজারে যেটা আছে সেটা ভেজাল, তায় আমি এই তেলটাই ভাল মনে করলাম।)
চিনি : ৪০০ গ্রাম
ফুড কালার : হালকা পরিমান ( এটা ঐচ্ছিক, আপনি যদি কাশ্মিরি মরিচের গুড়ো ব্যাবহার করেন তাহলে ফুড কালার লাগবেনা, সেটাতে ভাল কালার আসে, আপিনি যখন আচার হয়ে আসার পর যদি মনে করেন কালার ঠিক আছে, তার মানে সেটা হলুদ কালার হবে, তাহলে ফুড কালার লাগবেনা, আর যদি মনে করেন, কালারটা একটু ভাল করি তাহলে ফুড কালার হালকা পরিমাণ দিতে পারেন। দেখতে সুন্দর হলে খেতেও ভাল লাগবে।
উপকরণ হয়ে গেল, এবার তেল গরম করে প্রথমে মশলাগুলো ঢেলে নেড়েচেড়ে চালতা দিয়ে দিন। ভাল করে নেড়ে ঢেকে রাখুন এবং কিছুক্ষণ পরপর নাড়াতে থাকুন।
চিনি দিয়ে দিন। ভাল করে নাড়াতে থাকুন। ঢেকে দিন। কিছুক্ষণ পর চিনির রসটা চেক করুন মিষ্টি ঠিক আছে কিনা। আচার নরম হয়ে আসলে ফুড কালার দিয়ে আবার নেড়েচেড়ে নিন। বিশীদিন রাখতে চাইলে ভিনেগার দিয়ে দিন।
ব্যাস হয়ে গেল।
এবার ছবিতে দেখুন মজাদার চালতা আচার।
আর ভিডিও দেখতে চাইলে আমার রান্নার ইউটিউব ব্লগ habib cuisine এখানে ক্লিক করুন :habib cuisine
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৩
বাকপ্রবাস বলেছেন: এবং স্বাদের জিনিস। অনেককেই খাইয়েছি, সবাই বলেছে খুব স্বাদ হয়েছিল।
আপনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাখলাম
২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩০
আরোগ্য বলেছেন: চিনি দিসেন কেন? গুড় দিলে স্বাদ বেশি
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৫
বাকপ্রবাস বলেছেন: আমি যেখানে থাকি সেটা ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এরিয়া, একটা মাত্র শপ, সবকিছু পাওয়া যায়না, তাই বাধ্য হয়ে চিনি দিয়ে করলাম
৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: চালতার আচার খেতে ভালোই লাগে। আমাদের বাসায় তো মাঝে মাঝে ডালের মধ্যে চালতা দিয়ে দেয়।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৮
বাকপ্রবাস বলেছেন: ডালের মধ্যে চালতা দিলে কেমন হয় সেটা অবশ্য জানা নেই
৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১১
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আচার/টক এগুলো আমি একদম খেতে পারি না।
কয়েক মাস প্রবাসে ছিলাম। ২০/২৫ দিন ভাত ছাড়া আর কিছু রান্না করি নি। আর আপনি আচার বানিয়ে ফেললেন।
৪ বছর পর তো প্রবাস জীবনের দুই দশক হয়ে যাবে আপনার।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৪
বাকপ্রবাস বলেছেন: প্রবাস জীবন হয়তো ছাড়তে পারবনা, দেশে ইনকাম এর একটা পথ বের করতে না পারলে ছাড়া যাবেনা।
রান্নাটা আমি উপভোগ করি, সারাক্ষাণ মাথায় দুইটা কাজ করে, এক রান্না, দুই ছড়া, একটা করে মজা পাই, অন্যটা লিখে মজা পাই
৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫
ডার্ক ম্যান বলেছেন: প্রবাস জীবন হয়তো ছাড়তে পারবনা, দেশে ইনকাম এর একটা পথ বের করতে না পারলে ছাড়া যাবেনা।
অনেক প্রবাসী এই সমস্যাই ভুগেন। আপনি এখন থেকেই চেষ্টা করুন যাতে ৪/৫ বছরের মধ্যে কিছু দাড় করাতে পারেন।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৬
বাকপ্রবাস বলেছেন: দোয়া করবেন, নিজের ঘরবাড়ি আছে, কিছু ভাড়া থেকে আসবে, বাকীটা একটা রেষ্ট্রুরেন্ট করতে পারলে মন্দ হয়না, আমার এলাকাটা পর্যটক এবং গার্মেন্টস এরিয়া, বুুদ্ধি খাটাতে পারলে অল্প পুঁজিতেই কিছু একটা করা যাবে
৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬
প্রামানিক বলেছেন: জিহ্বায় পানি চলে এলো। আমি এবার জলপাইয়ের আচার করেছিলাম খুবি টেস্টি হয়েছিল।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪
বাকপ্রবাস বলেছেন: ধন্যবাদ বড়ভাই, আমি একবার জলপাই আচার বানিয়ে দেশে নিয়ে গিয়েছিলাম, সবাই আনে আমি উল্টো নিয়ে যাচ্ছ হা হা
৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ভালো পরিকল্পনা। তবে ভবিষ্যতে গার্মেন্টসের লোকজন নাও থাকতে পারে।
বাচ্চাদের জন্য বাবুল্যান্ড টাইপের কিছু করতে পারেন। এটার ফিউচার আছে।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১১
বাকপ্রবাস বলেছেন: আদতে আমি কাজের লো্ক নই, মহা পরিকল্পনা সব মনেমনে করে আদতে কিছুই হবেনা আমাকে দিয়ে সেটা নিশ্চিত। ডাল ভাতের ব্যাবস্থা হলে ব্লগ করেই দিন পার করা যাবে হা হা হা
৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আচারের ফ্যাক্টরিও দিতে পারেন
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৮
বাকপ্রবাস বলেছেন: মন্দ হয়না, স্কুলের সামনে চলবে ভাল, অনলাইনেও সেইল করা যাবে। কাঁচা মালের উৎস ঠিক করে নেমে পড়া যায়।
৯| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
নীলসাধু বলেছেন: বাহ বেশ। আমি আচারপ্রিয় মানুষ।
আমি ভিডিও দেখে এলাম।
চমৎকার।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
বাকপ্রবাস বলেছেন: আহা দেশ থাকলে পার্সেল করে দেয়া যেত, আপনারা হলেন ব্লগের মালি, আপনারা আছেন বলেই ব্লগে ফুল ফোটে, পাখি গায়
১০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সত্যিই নস্টালজিক করে দিলেন। স্কুল জীবনে এ চালতা প্রচুর খেয়েছি। চিনি দেয়ার কারণে স্বাদে হতো মিষ্টি, সাথে ঝাল তো আছেই। মশলার কারণে ঘ্রাণটা একটু ভিন্ন হতো। যদ্দূর মনে পড়ে, বাসায়ও এটা বানানো হতো।
স্কুলে যাতায়াতের পথে চালতার গাছ দেখতাম, তলায় প্রচুর চালতা দেখতাম, যা পচে গেছে।
চালতা পাতার ঘুড়িও উড়িয়েছি আরো ছোটোবেলায়
সুন্দর পোস্ট।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৩
বাকপ্রবাস বলেছেন: আমি যদি মেয়ে হতাম প্রেমে পড়ে যেতাম চালতাওয়ালার
চালতা খেয়ে হেসে খেলে চলে যেত দিন পার
হা হা হা হা
১১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০০
ডার্ক ম্যান বলেছেন: @ সোনাবীজ ভাই। চালতা কি একাই খেতেন নাকি বান্ধবীদেরও কিনে দিতেন
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১০
বাকপ্রবাস বলেছেন: মুরুব্বির যদিও এমন কোন প্রেমের ঘটনা নাই, তবে এই বিষয়ে একটা গল্প বা গান লিখে ফেলবে বলে মনে হয়
১২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সৈকত ভাই@
কোনো বান্ধবীকে চালতার আচার কিনে খাওয়ানোর মতো ভাগ্য আমার ছাত্রজীবনে কভু জোটে নাই ক্লাসের শেওলাধরা দেয়ালে হেলান দিয়ে মলিন চোখে তাকিয়ে দেখতাম, আমার দুর্দান্ত বন্ধুরা দৌড়ে কে, কার আগে ছুটে গিয়ে বান্ধবীদের সিঙ্গাড়া কিনে খাওয়াতো। আমার দিকে ওরা ফিরেও তাকাইতো না প্রেমহীন পলাশ আর আমি একে অপরের কাঁধ ঝাঁকি দিয়ে বলতাম, দেখিস দোস্ত, একদিন আমরাও মেঘুলা বাজারে সিঙ্গাড়ার রেস্তরাঁ দিব, আর সিঙ্গাড়াখেকো ললনাবর্গকে দলে দলে দাওয়াত দিয়ে পেট পুরে ডালপুরি খাওয়াবো (কবিতা : খলিল গঙ্গোপাধ্যায়)
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৩
বাকপ্রবাস বলেছেন: হা হা হা খলিল গঙ্গোপাধ্যায় এর কবিতা ও ডালপুরি খেয়ে ললনাবর্গ ফিগা হয়ে গেছে
১৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৮
কামাল১৮ বলেছেন: স্কুলে আচাড় খাবার কথা মনে পড়ছে।সেই সাথে আছাড় খাবার কথাও মনে পড়ছে।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৯
বাকপ্রবাস বলেছেন: চালতা হাতে আছাড় খেয়ে দুইজন দুই দিক
চালতা গেছে দুইহাত দুরে আমি দিকবিদিক
১৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
চালতার আচার বেশ ভাললাগে। প্রতিবছর ঘরে বানানো হয়। আর ডালে চালতা দিয়ে টক ডাল খাওয়া হয় আমাদের এলাকায়।+++
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৭
বাকপ্রবাস বলেছেন: ডালে চালতা, কখনো খাওয়া হয়নি, বিষয়টা জানতামনা, একদিন রেসিপি দিয়ে দিয়েন ছবি সহ
১৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৮
নাইমুল ইসলাম বলেছেন: লোভনীয়। শাশুড়ির দেওয়া আধাকেজির মত চালতার আচার দুই দিনে শেষ করলাম কিছুদিন আগে। আপনার রেসিপি অনুযায়ী একদিন চেষ্টা করব। বানিয়ে এখানেই জানাবো।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৬
বাকপ্রবাস বলেছেন: অপেক্ষায় থাকলাম, চালতা দেখতে আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে রাখলাম
১৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ডালের মধ্যে চালতা দিলে কেমন হয় সেটা অবশ্য জানা নেই
ভালোই লাগে। খেয়ে দেখুন।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯
বাকপ্রবাস বলেছেন: রেসিপি লাগবে, টিউবে ঘেটে দেখি
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভালো জিনিস।