নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গান শুনা হয়না অনেকদিন। আদতে আমি গান শুনিনা। ভাল গান শুনার যোগ্যতা আমার নাই, ভাল কবিতা বুঝারও যেমন যোগ্যতা আমার হয়ে উঠেনি। আমার কলিগ রোহিঙ্গা পাকিস্তানি। ওর বাবা বাংলাদেশে মাদ্রাশায় পড়েছে তারপর পাকিস্তান গিয়ে থিতু হল এবং সেখানে ওনার ব্যাগ লাগেজ বানাবার ফেক্টরী আছে করাচীতি। কলিগও পারে ওসব কাজ কিন্তু তার চাইতে মধ্যপ্রাচ্যে চাকরী করে মজা পাচ্ছে হয়তো। সে মাঝেমাঝে আমাকে শেয়ার অথবা গজল টাইপ গান শুনায়। সে শিল্পী নয় তবে কিছু গান গাইতে পারে। গানগুলো শুনে আমার মনে হয় শব্দগুলো বেশ ভারিক্কি টাইপ। প্রতিটা লাইনে কিছু শব্দ আছে যেগুলো গুহার মতো গভীরতা, আমার মনে হয় হিন্দ উর্দু ফার্সিতে গাণ যত আবেগ, সুর, বৈচিত্রতা আছে বাংলা ভাষাতে তেমনটা হওয়া একটু কঠিন। বাংলা সেই মাত্রায় গভীর গান লেখাও গাওয়া অপরাগ বলে মনে হয়।
হঠাৎ কী মনে হল অপিষে কাজের ফাঁকে গান শুনতে মন চাইল, Echoes of Reshma | Varsha Singh Dhanoa | Yousaf Salahuddin & Sonya Hussyn | Live Concert | Sufiscore এটা শুনতে লাগলাম। গানের মাঝে একটা শব্দ আলাদাভাবে উঠে আসল। "সাগুফতা"
"সাগুফতা" শব্দটি ফারসি ভাষা থেকে উদ্ভূত এবং এর অর্থ হলো "ফুলে ফোটে এমন," "ফুলের মতো সুন্দর," বা "খিলখিলিয়ে হাসে এমন।" এটি সাধারণত একটি মেয়েদের নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং সৌন্দর্য, সজীবতা বা প্রফুল্লতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
""সেগুফতা" আমার মা এর নাম। আমরা ভাই বোন সবাই এই নামটার ভক্ত। মা আজ নেই। আমার মাকে নিয়ে বড় ভাইয়ার প্রচুর কবিতা আছে, আমি লিখতে পারিনা। ভাইয়া মাকে নিয়ে লিখে অনেক দূর চলে যান। ভাইয়া আবিষ্কার করে চলেন আমার মা এর অন্য একটা জগৎ ছিল যেখানে একটা চরিত্র হয়ে উঠে বুড়ো খালা টাইপ ফকিরটা। মা যাকে ঘর বারান্দায় বসিয়ে পান্তাভাত খেতে দেন। আবার চালও দিতেন। তাদের মধ্যে কী আলাপ হতো কিংবা শব্দবিহীন তাদের কথোপকোথন ভাইয়ার কবিতা উঠে আসে। কীভাবে মা সামাল দিতেন দারিদ্রতার সংগ্রাম কোন শব্দ ছাড়া কিংবা সাদা শাড়ি পরে নামাজ পড়ার দৃশ্য এসব আমার মনে পড়ে।
"সেগুফতা" নামটা আমরা হাতছাড়া করতে চাইনি, আমার বড় মেয়ে উমামার নামটা "সেগুফতা" রাখতে গিয়েও রাখা হলনা, পরে আমার ছোট বোন, সবার চাইতে ছোট, সে তার মেয়ের নাম রেখেছে "সেগুফতা" । আমার ছোট বোনটা মাকে পায়নি আমাদের মতো করে। হাইস্কুলে থাকাকালীন মা গত হয়ে যায়। বর্তমানে ইউরোপ প্রবাসী হয়ে সিংগেল মাদার। সে আরেক গল্প।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৫
বাকপ্রবাস বলেছেন: বানান ভুল আমার বড় সমস্যা। আমি আসলে লেখক নই, তবে ওই টাইপের মন হওয়াতে লেখাতে সাহিত্য ভাব আসে। এমন মন্তব্য আমি প্রাইয় শুনি এবং লজ্জিত হই। আসলে অপিষে কাজের ফাঁকে ব্লগ করি, সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ডিউটি, ৫টায় যাত্রা শুরু ৭টায় বাসায় যাই, তারপর খাওদাওয়া তৈরী ঘুম নামাজ এসব করে আর অন্যকিছুতে সময় হয়না, লেখালেখিও কাজের ফাঁকে ভুলভাল
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০৩
শায়মা বলেছেন: সুন্দর একটা লেখা!!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৭
অধীতি বলেছেন: আপনার বলার ধরণ খুব সাবলীল এবং সুন্দর। লেখাটা একবার সম্পাদনা করে নিবেন। কিছু ভুল বানান লেখার সাবলীলতাকে নষ্ট করছে। সেগুফতা নামটা আসলেই সুন্দর। সাদা শাড়ি পরে নামাজ পড়ার দৃশ্যটা আমাকে আমার নানীর কথা মনে করিয়ে দেয়।