নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কন্যা আমার উমায়রা
আসলো সেদিন সবে
শুনে চোখ ছানাবড়া
ভ্যাট দিতে হবে!!
অনেক বুঝালাম তাকে
সেতো! অনেক দেরী
তুমি যখন কলেজ যাবে
থাকবেনা ভ্যাটের ঝারি।
কান্না দিল জুড়ে
এটা কেমন কথা
এখন যারা দেবে
নেইকো মাথা ব্যথা!
ভাবলাম ঠিক তাইতো
বুঝল অবুঝ...
সুকুমার হলে আমি লিখে দিতাম ছড়াটা
বইটার পাতা ছিড়ে খেয়ে নিতাম পড়াটা।
জাকির স্যার যখন ধরে কান মলতো
পড়া কেন শেখনি দেখি সোনা বলতো?
বলতাম খেতে মজা রোজ কান মলাটা
তাইতো...
ছিল তার অঢেল টাকা তবুও সুখ ছিলনা
চাইছিলো আরো আরো যদিও কম ছিলনা।
দাদনে ঢালছিল সে আসলে ঝোঁক ছিলনা
হাঁপানির ভাবটা ছাড়া তেমন আর রোগ ছিলনা।
খরচের হিসেব কষে বিয়েটা করছিলনা
না...
ভালো যদি নাই বাসবে হাসলে কেন তবে?
আমিতো হায় ভেবেছিলাম শুরু হল সবে।
ভেবে দেখ
দেখে শেখ
বসন্তটা চলে গেলে তখন কীযে হবে!!
এমন করেই হয়েছিল সুমন নাহার প্রেম
মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে...
আমি যদি হাত নাড়াই তোমারও দেখি নড়ে
যেটাই করি সেটাই কর উঠছো নড়েচড়ে।
চোখ টিপিলাম মুখ ভেঙ্গালাম তুমিও করলে তায়
বল দেখি তোমার জ্বালায় আমি কোথা যায়।
খাচ্ছি আমি তুমিও খাচ্ছ যাচ্ছি চলে...
সুরজ্ঞিতের লেজতো নেই বিড়াল কেন বলে
তারতো আছে দুইটা পা মানব মতোই চলে।
তার মুখটা চলতে দেখি কথার ফোটে খই
তবু কেন আমরা তাকে কালো বিড়াল কই?
আযম যখন বস্তা খোলে...
ছুটির দিনে বৃষ্টি আসে কেন?
তাদের কোন ছুটি নাই যেন
টুম্পার মনে প্রশ্ন কিলবিল
শুনে সবাই হাসে খিলখিল।
ছুটির দিনে আহারের নেই ছুটি
সকাল বেলার কলা পাউরুটি
তাদেরওতা ছুটি থাকা চাই
বলল হেসে টুম্পার দুলাভাই।
টুম্পা ভাবলো তাইতো...
গ্রামের ছেলে আমি পেটের দায়ে রিকশায়
লিখাপড়া করিনাই করতে এখন মন চায়।
মন চায় গ্রামে যাই কাটি সাঁতার নদিতে
যাবার কি উপায় আছে আটকে আছি যদিতে।
বৃষ্টিতে রাজধানী জমে পানি পথঘাট ডুবাইল
ঢাকা শহর...
বৃষ্টির জলে থমকে আছে ঢাকা
চলছেনা কার বাস কিংবা তিন চাকা
সুমাইয়ার কোমরে আফসানার বুকে
ডুবে আছে পানিতে বিষাদ চোখেমুখে।
কাকাবাবু ভেবেছিলেন হেটেই যাবেন ঘরে
জুতো জোড়া হাতে নিয়ে ছাতাটা ধরে
পানিতে সমতল যায়কি...
কিছু কবিতা আর কিছু চিঠি
একটা চিরকুট সম্পর্কের ইতি।
তারপর জানিনা আর কে কোথায়
আর আমি ঘুরপাক খাই মাঝরাস্তায়।।
কিছু গান আর কিছু স্মৃতি
কিছু অনুভূতি আর কিছু বিস্মৃতি।
তারপর সবকিছু তালগোল খায়
আর আমি ঘুরপাক...
দিয়েছিলাম গলায় দড়ি
ঝুলতে গিয়ে ফেনে
উেল্টো দেখি ঝুলছে ফেন
দড়িখানা টেনে।
বাজার থেকে কিনেছিলাম
এক শিষি বিষ
মরনতো আর দেয়না ধরা
ভেজাল অহর্ণিশ।
ভাবলাম এবার ডুবেই মরি
দিতে গিয়ে ঝাপ
সাঁতারটাতো হয়নি শেখা
ওরে বাপরে বাপ!
ছাড়বনা গরুটা রেখেছিতো ধরে
দেখি এবার কোরবানটা কর কি করে!
ছেড়ে দাও দাদাভাই বল কি চাও
মুক্ত বাজার, ট্রানজিট মন ভরেনি তাও?
সে-তো অনেক আগের খাওয়া নতুন কি আছে
ক্ষিধেয় মাথা ভন ভন...
লাল পিপড়া কামড়ে দেয়
কালো পিপড়া ভালো
আদর করে টুম্পা মনি
হাতে তুলে নিলো।
কোনটা আদর কোনটা বাঁদর
পিপড়া কি আর বোঝে
আচ্ছা করে কামড়ে দিয়ে
যাবার পথ খোঁজে।
হাত পা ছুড়ে টুম্পা
ও মাগো মা!
কালো...
ঘুমের ঘোরে ভাবল টুম্পা
আরো একটু ঘুমায়
সকাল ভেবে খেলার বিকেল
যাচ্ছে চলে কোমায়।
উঠোন জুড়ে খেলার সাথী
করছিল হৈ চৈ
টুম্পা ভাবে আম-সিফারার
হুজুর গেল কৈ।
মা বলল উঠরে টুম্পা
বিকেল যায় যায়
সকাল ভেবে বিকেল গেল
এখন কোথা...
ঝাঁজটাতো আগেই ছিল
দাম বেড়েছে আরো
কর্তার হাতে বাজার থলে
গিন্নী বলেন ছাড়ো।
ডালায় ঢেলে মাছ সবজি
এদিক সেদিক হাতায়
ক\'বার করে বলেছিলাম
ঢুকাওনি আর মাথায়।
পেঁয়াজ ছাড়া রান্না কি হয়
ধ্যুর মোর জ্বালা
করবনা আজ রান্না বান্না
ছুড়ে মারে...
©somewhere in net ltd.