নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুমান্ত আগ্নেয়গিরি

ঘুমান্ত আগ্নেয়গিরি

সাদমান রহমান নীল

যার কিছু থাকে সে পারে বলতে,সে হিসাবে আমার কিছুই নাই তাই বলতে পারলাম না.দুঃখিত

সাদমান রহমান নীল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামলে রাখুন স্মার্টফোন

২৭ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

যুগটা এখন তথ্য-প্রযুক্তির। সবার হাতেই এখন স্মার্টফোন শোভা পাচ্ছে। স্মার্টফোন এখন শুধুমাত্র স্টাটাস বজায় রাখা কিংবা স্টাইল করার জন্য নয়। যন্ত্রটি এখন বহুবিধ কাজের কাজি। মোবাইল ব্যাঙ্কিং, অনলাইন কেনাকাটা, ই-মেল, বিল মেটানো-র মতো হাজারও কাজ হাতেই হয়ে যাচ্ছে এই যন্ত্র দিয়েই। রাখছেন ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ডের নম্বর, পাসওয়ার্ড, মেলের পাসওয়ার্ডের মতো নানান তথ্যও। যাতে দরকার পরলে মাথা বা খাতা হাতড়াতে না হয়।





কিন্তু ভেবেছেন কি যদি আপনার সবেধন নীল‌মণিটি বেহাত হয়? আপনার তথ্য ভাণ্ডারে যদি ঢুকে পড়ে অন্য কেউ? স্মার্টফোনের নূন্যতম সুরক্ষা সম্বন্ধে কি আপনি সচেতন? বিশেষ কিছু নয়। কঠিন কিছু নয়। নিচের বিষয়গুলি নিয়ে সচেতন হলে নূন্যতম সুরক্ষার ব্যবস্থা করা সম্ভব।





প্রবেশ রুদ্ধ : আপনার স্মার্টফোনে যে কেউ যেন সহজে ঢুকতে না পারেন। কী ভাবে তা করবেন?



আপনার কাছে আইফোন থাকলে তার সেটিং-এ যান। সেখানে চার অক্ষরের পাসওয়ার্ড দেওয়ার অপশন রয়েছে। এটা সেট করলে আপনার প্রতি বার আইফোন-এর হোমস্ক্রিনে যেতে গেলে এই পাসওয়ার্ড চাইবে। অ্যানড্রয়েড ফোনে পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন যে কোনও একটি সেট করা যায়। পাসওয়ার্ড আইফোন-এর মতো কাজ করবে। ধরুন আপনার স্মার্টফোনটি বেহাত হল। যে পেল যে নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ডটি না দিলে ফোন খুলবে না। বেশ কয়েক বার পাসওয়ার্ড ভুল দিলে ফোনের সব তথ্য মুছে যাবে। তবে আগে সেটিং-এ অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। অন্য দিকে, প্যাটার্ন-এ ন’টি বিন্দুর মধ্যে আঙুল ছুঁইয়ে একটি নির্দিষ্ট পথে টেনে সেট করে রাখা হয়। এর পরে সেই পথে আঙুল না-টানলে হোমস্ক্রিন খুলবে না।

তবে বার বার পাসওয়ার্ড দিয়ে বা প্যাটার্ন খুলে হোমস্ক্রিনে যাওয়া কষ্টকর। তাই কতক্ষণে হোমস্ক্রিন লক হবে তা সেটিং থেকে ঠিক করে নেওয়া সম্ভব। ধরুন আপনি সেটিং-এ ১৫ মিনিট সময় দিলেন। এর মানে ১৫ মিনিট আগে পর্যন্ত কোনও কাজ না করে ফোন ফেলে রাখলেও হোমস্ক্রিন লক হয়ে যাবে না।





ফোন খুঁজে পাওয়া : ফোন আপনার বেহাত হল। কি করবেন তখন? না, মাথায় হাত দেওয়ার দরকার নেই। আপনার স্মার্টফোনই আপনাকে খুঁজতে সাহায্য করবে। কী ভাবে?



স্মার্টফোনের কয়েকটি অ্যাপস রয়েছে যারা দূর থেকে আপনি পিং করলে আপনাকে ঠিকানা জানিয়ে দেবে। যেমন, আইফোনে পাবেন My iPhone অ্যাপসটি। iCloud থেকে এই অ্যাপসটি অ্যাকটিভেট করা যায়। আইফোন হারালে যে কোনও ব্রাউজার থেকে iCloud-এ লগইন করুন। ম্যাপে আপনার ফোনটি কোথায় আছে জানতে পারবেন। তা ছাড়া প্রয়োজনে My iPhone থেকেই বটনের এক ক্লিকে আপনার ফোনের সমস্ত তথ্য মুছে দেওয়া যায়। ফলে ফোন বেহাত হলেও ক্ষতির আশঙ্কা কম।

অ্যানড্রয়েডে রয়েছে Where’s My Droid অ্যাপসটি। এখানেও আপনি আগে থেকে ফোনের জন্য Attention Word, Attention GPS, Password for Android Apps সেট করে রাখতে পারেন। এতে ফোন হারালে ফোন কোথায় আছে জানার পাশাপাশি, অ্যাপসগুলিকেও লক করে দেওয়া যায়।





ম্যালওয়্যার : এ এমনই সফ্‌টওয়্যার যা আপনার অজান্তে আপনার ফোনে ঢুকে পড়ে। তার পরে নানান ভাবে আপনার ক্ষতি করে। আইফোনে এই বিপদের আশঙ্কা কম। কারণ, অ্যাপস তার App Store খুব ভাল ভাবে দেখাশোনা করে। কিন্তু অ্যানড্রয়েডে ম্যালওয়্যারের ভয় রয়েছে। toll fraud ম্যালওয়্যারটি বিষয়ে বিশেষ সতর্কতার দরকার। এই ম্যালওয়্যারটি আপনার অজান্তে সার্ভিস প্রোভাইডারকে কোনও সার্ভিস অ্যাকটিভ করার বার্তা পাঠিয়ে দেয়।





Lookout নামের মোবাইল সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থা সমীক্ষা করে দেখেছে ২০১২ থেকে ১৩ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ৮০ লক্ষ অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারী ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত হয়েছেন। Lookout অ্যাপসটি অ্যানড্রয়েড ফোন ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত কি না বুঝতে খুব সাহায্য করে।





লোকেশন সার্ভিস : আইফোন বা অ্যানড্রয়েডে এমন অনেক অ্যাপস আছে যা আপনি কোথায় আছেন তা জানতে চায়। কিন্তু সব অ্যাপসকে আপনার লোকেশন জানার অনুমতি দেবেন না। এমন সব অ্যাপসকেই দিন যারা আপনার অবস্থানের তথ্য ঠিক কাজে ব্যবহার করবে। যেমন ধরুন GPS সার্ভিস। এটি ঠিকঠাক কাজ করতে হলে আপনার লোকেশন জানার প্রয়োজন। কোনও অ্যাপস আপনার লোকেশন জানতে চাইলে তা কোন কাজে ব্যবহার করবে দেখে নিন। অনেক সময়ে ক্যামেরায় geotagging-এর ব্যবস্থা থাকে। এতে কোনও ছবি তুললে কোথায় ছবিটি তোলা হল তার তথ্য থেকে যায়। এতে অ্যালবাম তৈরিতে সুবিধা হয়। অনেকেই তা জানাতে পছন্দ করেন না। আপনি ক্যামেরার অপশনে গিয়ে এটি বন্ধ করতে পারেন।





তথ্য এনক্রিপ্ট করা: আপনার ফোনের হোমস্ক্রিন লক করা থাকলেও ফোনটিকে কোনও কম্পিউটারে জুড়ে আপনার তথ্য নিয়ে নিতে পারে। তাই তথ্যকে এনক্রিপ্ট করার দরকার। আইফোন থাকলে এটি খুব সুবিধার। আপনার হোমস্ক্রিন লক করা থাকলে আইফোন সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সব তথ্য এনক্রিপ্ট হয়ে যায়। ফল কারও পক্ষে আপনার তথ্য পড়া সম্ভব নয়। সব অ্যানড্রয়েড-এ এই সুবিধা নেই। Samsung Galaxy S III-তে এই সুবিধা পাবেন। এখানে পাসওয়ার্ড দিয়ে তথ্য এনক্রিপ্ট করা যায়। কিন্তু, পাসওয়ার্ডটি মনে রাখতে হবে। কারণ, এক বার তথ্য এনক্রিপ্ট হয়ে গেলে পাসওয়ার্ড না দিলে তা আর ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।



তবে আশার কথা কিছু থার্ড পার্টি অ্যাপসও একই কাজ করে। যেমন, অ্যানড্রয়েডে Secure Memo অ্যাপসটি ক্রেডিট কার্ডের নম্বর, পাসওয়ার্ড ইত্যাদি তথ্য এনক্রিপ্ট করে মেমোরি কার্ডে রেখে দেয়। Secure Safe অ্যাপসটি অনলাইনে safe deposit box-এ তৈরি করে পাসওয়ার্ড ও বিভিন্ন ধরনের তথ্য রেখে দেয়। আপনার সেট করা পাসওয়ার্ড না জানলে এই বক্স খোলা যাবে না। এটি অ্যানড্রয়েড ও আইফোন দু’সিস্টেমেই চলে



:-কালেক্টেড

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.