![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেই কোন বৃত্তান্ত, একই বৃত্তে ঘুরতে ঘুরতে হচ্ছি শ্রান্ত
“মন খারাপ করার কিছু নেই, এস।এস।সি-এর রেজাল্ট খারাপ হলেও ভবিষ্যতের বাকী পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো হবে”।
এস.এস.সি তে খারাপ করার পর কোন পরিচিতকে সান্ত্বনা দেবার ক্ষেত্রে আমরা উপরের বাক্য বা তার সমপোযোগি ভাষাই ব্যাবহার করে থাকি।কিন্তু আমরা কয়জন-ই বা অনুভব করি যাকে সান্ত্বনা দিচ্ছি,তার জীবনে অভিশাপ-এর থ্রিডি শুটিং গেইম রেজাল্ট-এর পরপর-ই শুরু হয়ে গিয়েছে??
নিজের এস.এস.সি পরবর্তী অভিজ্ঞতা দিয়েই ব্যাখা করছি।২০০৬ সালে এস.এস.সি-তে জিপি-এ ৫ পাবার পর আনন্দের সীমা ছিলো না,কারন নিজের যোগ্যতার বিচারে আমার কাছে ভালো রেজাল্ট ছিলো ৪.৫ এর উপরে।সেদিক থেকে রেজাল্ট ছিল অপ্রত্যাশিত,তাই খুশির প্লাবন-ও ছিলো দুকূল উপচানো।পরিবারের চাপে বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে হয়েছিলো।আমি জানতাম,অঙ্কের মুখস্থের পালে হাওয়া লাগিয়ে বিজ্ঞান সমুদ্রে বেশিদূর পাড়ি দেয়া আমার তরীর পক্ষে সম্ভব নয়।তাই ঘরের পাশে নটরডেম কলেজে বানিজ্য বিভাগে ভর্তি হতেই আগ্রহী ছিলাম, কলেজ ভর্তি পরীক্ষাতে উতরাতে পারলেই হলো।আমার সাহায্যে এগিয়ে এলো ততকালীন সরকার।নিয়ম করা হলো,কলেজে ভর্তি হবে এস.এস.সি এর রেজাল্ট-এর ভিত্তিতে।যদি ভর্তি আসনের জন্য একই জিপিএ প্রাপ্ত অধিক শিক্ষার্থী থাকে তাহলে যে শিক্ষার্থীর বয়স বেশি তাকে বিবেচনা করা হবে(এই সিস্টেম এখনো চালু আছে)।অভীশাপ-এর থ্রিডি গেইম শুরু হলো তখন থেকেই। নটরডেম কলেজের বানিজ্য বিভাগে চান্স পেলাম না, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বানিজ্য বিভাগের নির্ধারিত আসনসমূহে যারা সুযোগ পেয়েছিলো তাদের চতুর্থ বিষয় ছাড়া জিপিএ ছিলো ৪.৭৫ বা তার অধিক।চতুর্থ বিষয় ছাড়া আমার জিপিএ ছিলো ৪.৬৩।কি আর করা, অন্য কোন কলেজে পড়বো না এমন নাছড়বান্দা হওয়ায় মা-আর বড় বোনের পরামর্শে ভর্তি হলাম নটরডেমের মানবিক বিভাগে।আমার যখন ক্লাশ শুরু হলো আমার থেকেও ভালো রেজাল্ট করা বন্ধুরা বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির জন্য তখনো হারিকেন দিয়ে কলেজ খুজে যাছিল।নিজেকে কিছুটা এগিতে রেখেছি ভেবে কলেজে যাওয়া শুরু করি। অভিশাপ-এর থ্রিডি শুটিং গেইম-এর শুটিং শুরু হলো তখনই।আত্নীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব সবার একই পিস্তলে শুটিং, “জিপিএ ৫ পাইয়াও আর্টস?আর্টস তো মাইয়াগো সাব্জেক্টন!পড়ার মতো আর কিছু পাইলা না?”, তাদের শুটিং-এ আমি রীতিমত ঝাঝড়া।একসময় ভাবলাম, বিজ্ঞানে ফিরে যাই।তখনো অনেক কলেজে ভর্তি চলছিলো,তাই খোজ নিলাম এবং খোজ নিয়ে জানলাম আরো ভয়ঙ্কর সব তথ্য।সোনার ডিম (গোল্ডেন ৫) পাড়া সত্তেও নটরডেমে বিজ্ঞান বিভাগে অনেক ভর্তি হতে পারে নাই।ঢাকা কলেজ,রেসিডেন্সিয়াল মডেল আর রাইফেলস পাব্লিকেও পড়ার সু্যোগ পেয়েছে চতুর্থ বিষয় ছাড়া কমপক্ষে ৪.৭৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা।আর সীটি কলেজে একটি নির্দিষ্ট দিনে একেক জিপিএ-প্রাপ্তদের একেক সময়ে ডাকা হয়েছিলো।আগে গেলে বাঘে খায় প্রবাদটি ভুল প্রমান করে যারা আগে গিয়েছিলো তারাই ভর্তি হতে পেরেছিলো।শেষমেষ মানবিকেই থেকে যাবার সিদ্ধান্ত নেই এবং কলেজ জীবনটি ছিলো জীবনের সেরা সময়।
এই ছিলো তখনকার পরিস্থিতি।বর্তমানে নাকি সে পরিস্থিতি বুড়িগঙ্গার পানি থেকেও ঘোলাটে হয়েছে।জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা আরো বেড়েছে,বেড়েছে কলেজে ভর্তির চাপও।আর ঢাকার ছেলেদের জন্য সেই চাপ খাসীর চাপকে ছাড়িয়ে প্রায় হাতির চাপ।কারন ঢাকার ছেলেদের ভালো কলেজের সংখ্যা মেয়েদের তুলনায় কম। মেয়েদের ভিকারুন্নিসা,হলিক্রস,আইডিয়াল এমনকি সিদ্ধেশরী বা মতিধিল মডেল-প্রত্যেকটি কলেজের স্কুল রয়েছে।তাই যারা এইসব কলেজের স্কুল থেকে পাশ করছে, তাদের কলজে ভর্তি হবার চিন্তা নেই।অন্যদিকে ছেলেদের কলেজের নাম বললে আসে তীব্র প্রতিযোগিতাতাপুর্ণ ঢাকা কলেজ,নটরডেম,রেসিডেন্সিয়াল মডেল বা সেইন্টজোসেফ।এর মধ্যে রেসিডেন্সিয়াল মডেল বা সেইন্টজোসেফ-এরই শুধু স্কুল রয়েছে,কিন্তু কলেজে এদের আসন সংখ্যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।অন্য সুপরিচিত কলজ যেমন রাইফেলস পাব্লিক বা সিটি কলেজে ছেলেদের প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে মেয়েদের সাথে।ঢাকার কলেজসমূহে ছেলদের ভর্তির চাপ বেড়ে যাওয়ার একটি বড় কারন হলো ঢাকার বাইরে থেকে প্রচুর ছেলে পরিবার ছেড়ে চলে আসে ঢাকায় পড়ার জন্য।মেয়েদের ক্ষেত্রে এমনটি তুলনামূলকভাবে অনেক কম দেখা যায়,আমাদের দেশের সমাজব্যাস্থা এখনো তেমন পরিপুষ্ট হয়নি যেখানে একজন কলেজপড়ুয়া মেয়ে পরিবার ছেড়ে মেসে থেকে ঢাকায় পড়তে পারবে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়,সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারী মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষাসমুহে এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি পরীক্ষার জিপিএ যোগ করা হয়।কোন সন্দেহ নেই,তীব্র প্রতিযোগিতাপুর্ন এই সব পরীক্ষায় (যেখানে কিনা ১ নম্বরের ব্যাবধানে জন্য ১০০জনের মেধাক্রম হেরফের হয়) এস.এস.সিতে (এবং এইচ.এস.সি-তেও) কম জিপিএ প্রাপ্তরা বেশ পিছিয়ে পড়বে।অনেক সময় দেখা যায় ভর্তি পরীক্ষায় বেশি নম্বর পেয়েও এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি-এর স্কোর কম থাকায় একজন শিক্ষার্থী আরেকজনের থেকে মেধাস্থানে পিছিয়ে পড়েছে। বিজ্ঞান বিভাগে চতুর্থ বিষয় ব্যাতিত জিপিএ চার-এর কম পেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষাই দিতে দেয়া হয় না।আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি,সৃজনশিল পদ্ধতি আরোপিত হওয়া সত্তেও প্রাইভেট বানিজ্য এবং কোচিং সেন্টার-এর দ্বৌরথ আশানরূপ হারে কমেনি কারন এই তীব্র প্রতিযোগিতা।জিপিএ কম থাকার কারনে সন্তান পিছিয়ে পড়ুক এমনটি কোন অভিভাবকের কাছেই কাম্য নয়,তাই স্বভাবতই তিনি সন্তানের জন্য কোন অপশন হাতছাড়া করতে চাইবেন না।এর ফলে কোন কোন (এই সংখ্যা নেহাত কম নয়) অভিভাবকের কাছে জিপিএ ৫ একটি মুনাফার নাম যা সমাজে নিজের পরিবারের প্রেষ্ট্রিজ বাড়ায় এবং যা (তাদের মতে) অর্জিত হতে পারে প্রাইভেট কোচিং-এ বিনিয়গের মাধ্যমে।
কোন সন্দেহ নেই যারা জিপিএ ৫ পাচ্ছে তারা প্রত্যেকেই মেধাবী,কিন্তু তাদের মেধার মূল্যায়নে কালো দাগ লেগে যায় যখন তারা প্রত্যাশিত কলেজে কিংবা পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নানাবিধ শর্ত-এর মারপ্যাচে পড়ে নিজ পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়তে ব্যার্থ হয়।আমি যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভর্তির সমস্যার কথা বলেছিলাম,তার বিকল্প যুক্তি হতে পারে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ।এখন বেশ কিছু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাছে।তবে এ আগ্রহহের প্রয়াস শুধুমাত্র সামর্থ্যবানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।এক্ষেত্রেও, শিক্ষা যতটা না অধিকারের আকার তার থেকে বেশি বিনিয়োগের অশরীরি।
আমাদের শিক্ষাকে তুলনা করা যেতে পারে একটি দৌড় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে।শিক্ষার্থীরা যখন এস.এস.সি ট্র্যাক অতিক্রম করে এইচ.এস.সি ট্র্যাকে দৌড়তে শুরু করে তখন দৌড়াবার জন্য তাদের জিপিএ জানতে চাওয়া হয়, এইচ.এস.সি শেষ হবার পর ট্র্যাক বিভক্ত হয়ে সরকারী এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়।বেসরকারি ট্র্যাকের দৌড়বিদদের ফি দিতে দিতে তটস্থ থাকতে হয়।অন্যদিকে সরকারি ট্র্যাকের দৌড়বিদদের দৌড় বাধাগ্রস্ত হয় কখনো সেশন জ্যামের কারনে,কখনো বা ছাত্ররাজনীতি নামক বিষবৃক্ষের ছড়ানো বিষে ট্র্যাক বিষাক্ত হবার কারনে।কেউ দৌড়তে দৌড়তে আবিস্কার করে সে আকাশে উড়ছে,পরক্ষনেই আকাশ থেকে মাটিতে পড়ে তার স্বপন থেতলে যায়।অনেকে দৌড় শুরু করেছে পিছিয়ে থেকে (পড়ুন অর্থের অভাবে),তাদের ভেতর কেউ কেউ দৌড় শেষ করতে পেরে অদম্য মেধাবী হিসেবে স্বীকৃতি পায়,কেউ হয়তো আগেই হাল ছেড়ে দিয়ে ট্র্যাকে শুয়ে পড়েছে ক্লান্তিতে।দৌড় শেষকারীরাই বিজয়ী,যারা ক্লান্তিতে শুয়ে পড়েছে বা যারা আছড়ে পড়েছে স্বপ্নের শিখর থেকে তাদেরকে আবার তুলে দাড়াতে আমাদের শর্তের ভাড়ে ন্যুব্জ এবং বর্তমানে সৃজনশীলতার সাফাই গাওয়া শিক্ষাব্যাবস্থা হাত বাড়িয়ে দেয় কি???
২| ১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১১:৩৯
ওয়াসিক মু্ঃ ইশতিয়াক ইজাজ বলেছেন: লেখা ভাল হইছে
১৭ ই মে, ২০১১ রাত ৩:০৮
সাদরিল বলেছেন: কমেন্ট দুইবার পড়ছে
৩| ১৭ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:২৬
ওয়েসিস বলেছেন: লিখে যাও অবিরাম যদিও বা জান যায়
বিপ্লব বাঁধা আছে কলমের পাঞ্জায় ।।
১৭ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:২৮
সাদরিল বলেছেন: বিপ্লব বাঁধা আছে কলমের পাঞ্জায়।বাক্যটি চরম লাগিল
৪| ১৭ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৫৪
ইনকগনিটো বলেছেন: লেখক বলেছেন-
-কোন সন্দেহ নেই যারা জিপিএ ৫ পাচ্ছে তারা প্রত্যেকেই মেধাবী,কিন্তু তাদের মেধার মূল্যায়নে কালো দাগ লেগে যায় যখন তারা প্রত্যাশিত কলেজে কিংবা পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নানাবিধ শর্ত-এর মারপ্যাচে পড়ে নিজ পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়তে ব্যার্থ হয়
এটার নামই প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে অন্য সবার উপরে যাও , অথবা নিজে বিদায় নাও। এটাই তো? যাকে মেধাবী বলছেন , সে যদি কোন কারনে ব্যর্থ হয় , তবে তার অন্তর্নিহিত বার্তা কি? বার্তা হল- তার চেয়েও অধিক মেধাবী কেউ একজন তাকে তার অবস্থান থেকে বিচ্যুত করেছে।এটা একটা দৌড় প্রতিযোগিতা। যোগ্যরাই তো এগিয়ে থাকবে।
তবে প্রত্যাশিত কলেজে না পড়তে পারলে ভবিষ্যতেও তারা নিজেদের পছন্দের বিষয় পাবেনা, এটা পুরোপুরি একটা হাস্যকর যুক্তি। যে মেধাবী , যে জানে, সে যে কোন ভাবেই অন্য সবাইকে পিছে ফেলে এগিয়ে যাবে। আর সে ভালো কলেজে ভর্তির সুযোগ সে পাবে না কেন ? নিজেকে সে যোগ্য প্রমান করুক !! কলেজের দুয়ার অধিকতর যোগ্যদের জন্যে বন্ধ নাকি?
বাংলাদেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে কি সবই ঢাকার সেরা সেরা কলেজের ছাত্ররা ভর্তির সুযোগ পায় এইচ এস সি এর পর? মনে হয় না। খোজ নিয়ে দেখেন , বুয়েট কিনবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতজন শিক্ষার্থী ঢাকার নামীদামী কলেজে পড়া আর কতজন বাইরের।
আসল কথা হল জিপিএ একটি ভুল পদ্ধতি। এখানে একজন ভালো একটা জিপিএ অর্জন করে সুন্দর ভবিষ্যৎ এর স্বপ্ন দেখে যেটা আসলে মরীচিকা। যাদের মেধাবী বলে মনে করা হয় জিপিএ দেখেই , তারা হয়তো প্রকৃত মেধাবী নয়। প্রকৃত মেধাবী তারাই , যারা এই কঠিন প্রতিযোগিতা জয় করার ক্ষমতা রাখে এবং জয় করে ।
১৭ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:৫৫
সাদরিল বলেছেন: বিস্তারিত কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ,ইনকগনিটো।
আপনি বলেছেন "যাকে মেধাবী বলছেন , সে যদি কোন কারনে ব্যর্থ হয় , তবে তার অন্তর্নিহিত বার্তা কি? বার্তা হল- তার চেয়েও অধিক মেধাবী কেউ একজন তাকে তার অবস্থান থেকে বিচ্যুত করেছে।এটা একটা দৌড় প্রতিযোগিতা। যোগ্যরাই তো এগিয়ে থাকবে।"
যোগ্যতা একেক জায়গায় একেকভাবে বিবেচিত হচ্ছে।কলেজে ভর্তির জন্য জিপিএ বা বয়স,বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জিপিএ,ভর্তি প্রীক্ষার নম্বর এবং শর্ত(সেই শর্ত আবার একেক প্রতিষ্ঠানে একেক রকম)।আমার প্রশ্ন হলো কোনটি যোগ্যতার সঠিক পরিমাপক???
"তবে প্রত্যাশিত কলেজে না পড়তে পারলে ভবিষ্যতেও তারা নিজেদের পছন্দের বিষয় পাবেনা, এটা পুরোপুরি একটা হাস্যকর যুক্তি।" আমি কি কোথাও এই কথা বলেছি?আমি বলেছি স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার কথা।সেই ভাঙ্গার প্রক্রিয়া অতি নির্মম কারন অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী নিজেকে যোগ্য হিসেবে দাবী করার শেষ সুযোগটিও পায় না।
"বাংলাদেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে কি সবই ঢাকার সেরা সেরা কলেজের ছাত্ররা ভর্তির সুযোগ পায় এইচ এস সি এর পর? " আমিও এই প্রশ্ন করছি না।তবে ঢাকার কলেজে ভর্তির মাত্রাতিরিক্ত চাহিদা থাকে অধিক সুবিধার আশায়।সেই চাহিদা মেটাতে হয় একটি বৈষম্যপুর্ন প্রক্রিয়ায়।কেন?
"আসল কথা হল জিপিএ একটি ভুল পদ্ধতি। এখানে একজন ভালো একটা জিপিএ অর্জন করে সুন্দর ভবিষ্যৎ এর স্বপ্ন দেখে যেটা আসলে মরীচিকা। যাদের মেধাবী বলে মনে করা হয় জিপিএ দেখেই , তারা হয়তো প্রকৃত মেধাবী নয়। প্রকৃত মেধাবী তারাই , যারা এই কঠিন প্রতিযোগিতা জয় করার ক্ষমতা রাখে এবং জয় করে । " আমিও একমত।তবে যে ভর্তি প্রুক্রিয়া শর্তভারে জর্জরিত সেখানে প্রকৃত মেধাবী উঠে আসা বাধাগ্রস্ত হয়,নয় কি?আপনি কি বলতে চাইছেন প্রকৃত মেধাবীরা জন্মগতভাবেই মেধাবী??শিক্ষাব্যবস্থার কোন দায়িত্ব নেই তাদের মেধার পরিচর্যা করার?
৫| ১৭ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫৯
ইনকগনিটো বলেছেন: আপনার জবাবের জন্যেও ধন্যবাদ। আমার মনে হয় জিনিসগুলি আরেকটু পরিষ্কার করা দরকার।
আপনি আমার মন্তব্যের জবাবে বলেছেন -
যোগ্যতা একেক জায়গায় একেকভাবে বিবেচিত হচ্ছে।কলেজে ভর্তির জন্য জিপিএ বা বয়স,বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জিপিএ,ভর্তি প্রীক্ষার নম্বর এবং শর্ত(সেই শর্ত আবার একেক প্রতিষ্ঠানে একেক রকম)।আমার প্রশ্ন হলো কোনটি যোগ্যতার সঠিক পরিমাপক???
দেখুন , প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই তার নিজস্ব কিছু ধরন বা বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে শিক্ষার্থী বাছাই করতে চায়। যে ব্যক্তি বুয়েটে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক , তার কাছে গনিত কিনবা পদার্থ এর প্রাপ্ত মার্কই জানতে চাওয়া হবে , বায়োলজিতে কত পেল ,তা জানতে চাওয়া হয় না। প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এটি ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্র্য। এখন যোগ্যতার সঠিক পরিমাপক প্রতিটা শিক্ষা প্রতিস্থানে বিভিন্ন , এক নয়। যোগ্যতার পরিমাপক যদি একটাই হতো , তাহলে তো সাইন্স ,আর্টস , কমার্স এর সব ছাত্রকেই একই ছাতার নিচে বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন করতে হবে।
আমার মনে হয়না সব কলেজে ভর্তির জন্যেই বয়স দেখা হয় । জিপিএ দেখার সাথে সাথে অনেক কলেজেই ছোটখাটো পরীক্ষাও হয়। আবার অনেক কলেজে পরীক্ষা নেওয়া হয় না। বাছাই পদ্ধতি কোন দেশেই এক না।
আমার বক্তব্য ছিল -
"তবে প্রত্যাশিত কলেজে না পড়তে পারলে ভবিষ্যতেও তারা নিজেদের পছন্দের বিষয় পাবেনা, এটা পুরোপুরি একটা হাস্যকর যুক্তি।"
উত্তরে আপনি বলেছেন -
আমি কি কোথাও এই কথা বলেছি?আমি বলেছি স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার কথা।সেই ভাঙ্গার প্রক্রিয়া অতি নির্মম কারন অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী নিজেকে যোগ্য হিসেবে দাবী করার শেষ সুযোগটিও পায় না।
একজন মেধাবী ছাত্র , যার প্রকৃত অর্থেই মেধা আছে , তার স্বপ্ন কিভাবে ভাঙে আমাকে একটু বলেন বিস্তারিতভাবে। নিজের যোগ্যতা প্রমানের সুযোগের অভাব হয়না ,যদি সত্যিকার ভাবেই যোগ্যতা থাকে। এমন তো না যে দেশে বিশ্ববিদ্যালয় একটাই। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে , অনেক সিট রয়েছে। কোন বিষয়ের প্রতি আগ্রহশীল কোন মেধাবী ছাত্র সেই বিষয় নিতে কেন পারবেনা? হ্যাঁ , সে নিতে ব্যর্থ হবে যদি সে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ না পায়। যদি সেটাই হয় , তাহলে কি তাকে যোগ্য বলা যায়? মনে হয় না।
আপনি বলেছেন -
তবে ঢাকার কলেজে ভর্তির মাত্রাতিরিক্ত চাহিদা থাকে অধিক সুবিধার আশায়।সেই চাহিদা মেটাতে হয় একটি বৈষম্যপুর্ন প্রক্রিয়ায়।কেন?
আপনার কাছে কোন প্রক্রিয়াটি বৈষম্যপূর্ণ মনে হচ্ছে বিস্তারিত বলুন। আমার তো মনে হয়না এখানে ঢাকার ভিতর আর ঢাকার বাইরের ছেলেদের আলাদা দৃষ্টিতে দেখা হয় বাছাই এর সময়। আপনার কেন এমনটা মনে হচ্ছে? আর আপনার কাছে কোনটাকে যুক্তিসঙ্গত মনে হয়? বাইরের ছেলেরা ঢাকায় পড়তে পারবেনা এটা চাইছেন ? "ঢাকার কলেজের অধিক ! সুবিধা" বলতেও কি বুঝাতে চাইছেন বিষয়টা স্পষ্ট না।
আপনি বলেছেন -
তবে যে ভর্তি প্রুক্রিয়া শর্তভারে জর্জরিত সেখানে প্রকৃত মেধাবী উঠে আসা বাধাগ্রস্ত হয়,নয় কি?আপনি কি বলতে চাইছেন প্রকৃত মেধাবীরা জন্মগতভাবেই মেধাবী??শিক্ষাব্যবস্থার কোন দায়িত্ব নেই তাদের মেধার পরিচর্যা করার?
আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে ,শর্ত লাগানো হয় মেধাবীদের বাদ দেওয়ার জন্যে , আর মেধাহীনদের বাছাই করার জন্যে। এটি ভুল ধারনা। এতো শর্তের পরেও কিন্তু প্রকৃত মেধাবীরাই বের হয়ে আসছে। আর শিক্ষকের কাজ শিক্ষাদান, ছাত্র এর কাজ শিক্ষালাভ। একজন ছাত্র যদি মেধা না দেখাতে পারে ,সেখানে শিক্ষকের দোষ কি? আরেকজন তো ঠিকই দেখাচ্ছে। যে দেখাতে পারছে মেধা, সে এগিয়ে থাকবে, এতাই কি স্বাভাবিক না?
১৭ ই মে, ২০১১ রাত ১১:০৩
সাদরিল বলেছেন: বুয়েটের যে উদাহরন দিলেন সেটার সাথে সহমত।স্বাভাবিকভাবেই ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা ভর্তি পরীক্ষা হবে।তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম এক নয়।যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা,আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সব বিষয়গুলোর একযোগে ভর্তি পরীক্ষা হয় অব্জেক্টিভ প্রশ্নের মাধ্যমে।কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই একই বিষয়গুলোর প্রত্যেকটির আলাদাভাবে পরীক্ষা হয় তাও আবার কোন কোন ক্ষেত্রে লিখিত।এক্ষেত্রে কেউ রাজশাহীতে সুযগ পাচ্ছে আবার ঢাকাতে পাচ্ছে না,উল্টোটাও ঘটছে।কে মেধাবী? শিক্ষাবিদেরা সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে একই নিয়মে পরীক্ষা নেবার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কিন্তু সকল বিশ্ববিদ্যালইয় একমত না হওয়ায় বিষটি এগোতে পারে নাই (প্রথম আলোতে মুঃ জাফর ইকবালের কলামে বিষয়টি লিখা হয়েছিলো)
আমাদের সময় থেকেই কলেজে বাছাই পরীক্ষা তুলে দেয়া হয়।আমাদের পরের বছর থেকে শুধুমাত্র নটরডেম কলেজে বাছাই পরীক্ষা ফিরিয়ে আনা হয়,তবে সেক্ষেত্রে বিজ্ঞানে শুধুমাত্র গল্ডেন জিপিএ প্রাপ্তদের পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়।তার মানে বিজ্ঞানের কোন ছাত্র বাংলায় জিপি-এ ৫ না পেলে সে আর পরীক্ষা দিতে পারছে না। এটা কি বৈষম্য নয়?যারা বাংলা বাদে বাকি সব বিষয়ে পাচ্ছে তাদের কি স্বপ্ন ভেঙ্গে যাচ্ছে না।এই সমস্যা হত না যদি না সরকারের কোন পরিকল্পিত নির্দেশনা থাকতো।কলেজ-ও এক্ষেত্রে অসহায় কারন তাদের কাছে প্রচুর ভর্তির আবেদন জমা পড়ে।তারা যদি ভর্তি পরীক্ষা না নেয় সেইখানে চলে আসে বয়সের বিষয়টি।তবে নটরডেম ছাড়া অন্যান্য কলেজগুলো এই ফ্যাকড়ায় যাচ্ছে না।কোন কলেজ কেমনভাবে ভর্তি নিচ্ছে তা আমি আমার লেখায় দ্বীতিয় প্যাড়ায় উল্লেখ করেছি।
আপনি বলেছেন দেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে।আমিও একমত।তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আসন সীমিত একথা সকল পত্র-পত্রিকাতেই লেখা হচ্ছে।প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সবার নাগালের মধ্যে নয় আমি সেকথা লিখেছি।মনে করুন একজন গরীব ছাত্র বিবিএ পড়তে চায়।সে ব্যার্থ হলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাতে।স্বাভাবিকভাবে সে একবছর ড্রপ দেবে আবার ভর্তি পরীক্ষা দেবার জন্য বা হাল ছেড়ে দিয়ে ভর্তি হবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কোন কলেজে।কিন্তু একজন সামর্থ্যবান শিক্ষার্থির হয়তো সেই গরীব ছাত্রটির মতো একই জিপিএ,সেও পাবলিকে ভর্তি পরীক্ষায় ব্যার্থ তখন সে ভর্তি হতে পারবে দেশের শীর্ষ কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে।দেশের শীর্ষ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভর্তি পরীক্ষাতেও যথেষ্ঠ মেধা থাকা চাই কিন্তু সেই গরীব ছাত্রটি ফর্ম কেনার-ই সাহস পাবে না।বৈষম্য এই জায়গাগুলোতেই।
আপনি বলেছেন "আমার তো মনে হয়না এখানে ঢাকার ভিতর আর ঢাকার বাইরের ছেলেদের আলাদা দৃষ্টিতে দেখা হয় বাছাই এর সময়। " আলাদাভাবে দেখা হয়।আমাদের সময়ে ২০% কোটা ছিলো ঢাকার বাইরের ছাত্রদের জন্য,পরবর্তীতে ১০% করা হয়।আমি বলছি না ঢাকার বাইরের ছেলেরা ঢাকায় পড়বে না।আমি শুধু এটা বলছি সীমিত সঙ্খ্যক আসন এবং ঢাকার ছাত্রদের পাশাপাশি ঢাকার বাইরের ছাত্রদের জন্য ভর্তির চাপ বেড়ে যায়।ফলে ত্রুটিপুর্ণ ভর্তি প্রক্রিয়ায় যতটা না মেধা তার থেকে ভাগ্য অধিক ব্যাবধান গড়ে দেয়।
আপনি বলছেন, "একজন ছাত্র যদি মেধা না দেখাতে পারে ,সেখানে শিক্ষকের দোষ কি? আরেকজন তো ঠিকই দেখাচ্ছে। যে দেখাতে পারছে মেধা, সে এগিয়ে থাকবে, এতাই কি স্বাভাবিক না? অবশ্যি স্বাভাবিক।তবে আমি শিক্ষকদের নিয়ে কিছুই বলিনি,বলেছি শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ে যেখানে পিছিয়ে পড়ারা সুযোগের অভাবে আরো বেশি পিছিয়ে পড়ে।শিক্ষাব্যবস্থা তখনি প্রশংসার যোগ্য যখন তা পিছিয়ে পড়াদেরও তুলে আনতে পারে।যারা এগিয়ে যাচ্ছে আমরা কেবল তাদের কথাই জানছি।পিছিয়ে পড়াদের কথা জানছি না।এটা আপনার ব্যাপার,আপনি পিছিয়ে পড়া ছাত্রটিকে দোষ দিবেন নাকি সেই শিক্ষাব্যাবস্থাকে দোষ দেবেন যেখানে সে আরএকটু সুজোগ পেলে নিজেকে তুলে ধরতে পারতো।
৬| ১৮ ই মে, ২০১১ রাত ১:০৪
ইনকগনিটো বলেছেন: লেখক বলেছেন -
তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম এক নয়।যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা,আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সব বিষয়গুলোর একযোগে ভর্তি পরীক্ষা হয় অব্জেক্টিভ প্রশ্নের মাধ্যমে।কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই একই বিষয়গুলোর প্রত্যেকটির আলাদাভাবে পরীক্ষা হয় তাও আবার কোন কোন ক্ষেত্রে লিখিত।এক্ষেত্রে কেউ রাজশাহীতে সুযগ পাচ্ছে আবার ঢাকাতে পাচ্ছে না,উল্টোটাও ঘটছে।কে মেধাবী?
দেখুন ,আমার তো এখানে বিচার করার দরকার নেই ,কে বেশি মেধাবি? আমার দরকার সিট গুলো যোগ্য প্রার্থীকে দিয়ে পুরন করা। সেটাই তো হচ্ছে ,তাইনা? আর প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয় একই নিয়মের অন্তর্ভুক্ত কখনই হবেনা ,কেন হবে না আমি একবার বলেছি।
আমাদের সময় থেকেই কলেজে বাছাই পরীক্ষা তুলে দেয়া হয়।আমাদের পরের বছর থেকে শুধুমাত্র নটরডেম কলেজে বাছাই পরীক্ষা ফিরিয়ে আনা হয়,তবে সেক্ষেত্রে বিজ্ঞানে শুধুমাত্র গল্ডেন জিপিএ প্রাপ্তদের পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়।তার মানে বিজ্ঞানের কোন ছাত্র বাংলায় জিপি-এ ৫ না পেলে সে আর পরীক্ষা দিতে পারছে না। এটা কি বৈষম্য নয়?যারা বাংলা বাদে বাকি সব বিষয়ে পাচ্ছে তাদের কি স্বপ্ন ভেঙ্গে যাচ্ছে না।এই সমস্যা হত না যদি না সরকারের কোন পরিকল্পিত নির্দেশনা থাকতো।কলেজ-ও এক্ষেত্রে অসহায় কারন তাদের কাছে প্রচুর ভর্তির আবেদন জমা পড়ে।তারা যদি ভর্তি পরীক্ষা না নেয় সেইখানে চলে আসে বয়সের বিষয়টি।তবে নটরডেম ছাড়া অন্যান্য কলেজগুলো এই ফ্যাকড়ায় যাচ্ছে না।কোন কলেজ কেমনভাবে ভর্তি নিচ্ছে তা আমি আমার লেখায় দ্বীতিয় প্যাড়ায় উল্লেখ করেছি
ভাই ,আমার মনে হয় ,আপনি একটু ভুল করছেন এখানে। নটর ডেম কখনোই শুধুমাত্র গোল্ডেন ৫ দের পরীক্ষার জন্য ডাকেনি। খোজ নিলেই জানবেন নটর ডেম এ অনেক ছাত্রই আছে যারা গোল্ডেন ৫ না পেয়েও ওখানে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এখনো ,ইভেন ,এখনো শুধুমাত্র গোল্ডেন ৫ দের ডাকা হয়না। আমি জেনেই বলছি।
২০% কোটা কে কমিয়ে ১০ % করা হয়েছে ঢাকার বাইরের ছাত্রদের জন্যে । আর ৯০% কোটা রয়েছে ঢাকার ছাত্রদের জন্যে। তাতেও কি হয়না? বৈষম্যর শিকার হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে কারা একটু বলুন তো?
শিক্ষাব্যবস্থা তখনি প্রশংসার যোগ্য যখন তা পিছিয়ে পড়াদেরও তুলে আনতে পারে।যারা এগিয়ে যাচ্ছে আমরা কেবল তাদের কথাই জানছি।পিছিয়ে পড়াদের কথা জানছি না।এটা আপনার ব্যাপার,আপনি পিছিয়ে পড়া ছাত্রটিকে দোষ দিবেন নাকি সেই শিক্ষাব্যাবস্থাকে দোষ দেবেন যেখানে সে আরএকটু সুজোগ পেলে নিজেকে তুলে ধরতে পারতো।
আচ্ছা ভাই ,শিক্ষাব্যবস্থা পিছিয়ে পড়াদের তুলে নিয়ে আসলো। তাহলে কি সামনে যারা আছে তারা পিছিয়ে যাবে না ? কাউকে না কাউকে তো পিছিয়ে পড়তে হবেই। ১ম তো একজনই হবে ,সবাই তো হবেনা।
ধরেন আপনি সবাইকে একই কাতারে আনলেন। ১০ জনকে প্রথম বানালেন, পরবর্তীতে চাকরীর ক্ষেত্রে দেখে গেলো একটি মাত্র ফাকা আসন। আপনি কাকে নিবেন ? যে অধিকতর যোগ্য ,তাকেই তো। নাক?
আপনি বলেছেন-তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আসন সীমিত একথা সকল পত্র-পত্রিকাতেই লেখা হচ্ছে।প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সবার নাগালের মধ্যে নয় আমি সেকথা লিখেছি।মনে করুন একজন গরীব ছাত্র বিবিএ পড়তে চায়।সে ব্যার্থ হলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাতে।
সে যদি ব্যর্থই হয়,তবে তার মানেটা কি দাড়ায়?সে মেধাবী? সুযোগ পাচ্ছেনা? নাকি মেধা কম, সুযোগ অপচয় করেছে? কোনটা?
১৮ ই মে, ২০১১ রাত ৩:১২
সাদরিল বলেছেন: আপ্নার সাথে আলোচনাটি উপভোগ করছি।
আপনি বলেছেন "আমার তো এখানে বিচার করার দরকার নেই ,কে বেশি মেধাবি? আমার দরকার সিট গুলো যোগ্য প্রার্থীকে দিয়ে পুরন করা।" যে মেধাবী সেই তো সিটগুলো পূরন করার যগ্যতা রাখে।এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বলছে তুমি কলা অনুষদের সব বিষয় একসাথে পরীক্ষা দাও,তোমাকে যোগ্য বলা হবে।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বলছে আলাদা আলাদাভাবে পরীক্ষা দাও,তোমাকে যোগ্য বলা হবে।দুই ধরনের ভর্তি প্রক্রিয়ার কন্ট্রাডিকশনে পড়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরাই,নয় কি?যখন একঈ জিনিষের (ধরুন-কলা অনুষদের বিষয়ের আসন) জন্য একেক জায়গায় (বিশ্ববিদ্যালয়) একেক রকম পদ্ধতি থাকে তখন সেটিকেই বলা হয় বৈষম্য।
আপনি বলেছেন "আপনি সবাইকে একই কাতারে আনলেন। ১০ জনকে প্রথম বানালেন, পরবর্তীতে চাকরীর ক্ষেত্রে দেখে গেলো একটি মাত্র ফাকা আসন। আপনি কাকে নিবেন ? যে অধিকতর যোগ্য ,তাকেই তো। " জ্বি,যোগ্যকেই নেয়া হবে।সবাইকে যদি সমভাবে সুজোগ দেয়া হয়,এবং তারপর যে সবচেয়ে ভালো করবে সেই যোগ্য।সমস্যা হলো সুযগটা একেকজনের জন্য একেকরকম (কারও জন্য অর্থ হলো সুযোগ,কারো জন্য জিপিএ সুযোগ) এবং যখন যোগ্যতাও একেক জায়গায় একেকভাবে বিচার করা হয় তারঈ নাম বৈষম্য
আপনি বলেছেন " নটর ডেম কখনোই শুধুমাত্র গোল্ডেন ৫ দের পরীক্ষার জন্য ডাকেনি। খোজ নিলেই জানবেন নটর ডেম এ অনেক ছাত্রই আছে যারা গোল্ডেন ৫ না পেয়েও ওখানে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।" জ্বি আছে।আমি নিজেই নটরডেম ইংলিশ ক্লাবের হয়ে ফর্ম বাছাইয়ের কাজ করেছি।তখন দেখেছি সবাই গোল্ডেন নয়।তবে এমন সংখ্যা প্রতি ৫০ জনে ২-৩ জন।আমাদের সময় যেহেতু কোন ভর্তি পরীক্ষাই হয় নাই,সেহেতু অনেকেঈ সুপাড়িশের সুযগ পেয়েছিলো।সরকারী কলেজে সেই সুপারীশ-এর মাত্রা আরো বেশি।এখানেও বৈষোম্য।যে সুপাড়িশ করলো সেই ভর্তি হতে পারলো।তাছাড়া অনেক সময় দরিদ্র কোন ছাত্রকেও বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়।দেখা গেল সেই ছাত্রটি ভালো করলো।একেই বলে সুজোগ।তবে সবাইকে এটি দেয়া সম্ভব হয় না।একে বলে বৈষোম্য
আপনি শেষ পর্যন্ত গরীব ছাত্রটির মেধার অভাবকেই দেখলেন।সে যে অর্থের অভাবেও পিছিয়ে পড়ছে সেটা দেখুন।শিক্ষা যদি শুধু সামর্থ্যবান'দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে দেশের অর্থনীতির সর্বোত্র উন্নয়ন হবে না,চাকুরীর সঙ্খ্যাও বাড়বে না।
৭| ১৮ ই মে, ২০১১ রাত ৩:২৬
সাদরিল বলেছেন: আরেকটি কথা,ঢাকার বাইরের ছাত্রদের জন্য ১০%-এর মানে এই নয় যে ঢাক্র জন্য ৯০%।এই ১০%-এ অনেক ব্যবধান গড়ে ।যেমন,আমাদের সময়ে মানবিকে যারা ঢাকা বোর্ড থেকে জিপিএ ৪ এর কম পেয়েছে তারা আমাদের কলেজে ভর্তি হতে পারে নাই,কিন্তু যারা ঢকার বাইরে থেকে জিপিএ ৪ এর কম পেয়েছে তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভর্তি হতে পেরেছে সেই ১০% আসনের জোরে।এক্ষেত্রে ভাগ্যই কিন্তু মুল বিষয় হয়ে দাড়ালো
আবার উল্টোটাও হয়।যেমন,কোন এক বছর বরীশাল বর্ডের ইংরেজী প্রশ্ন কঠিন হলো ।কোন মেধাবী ছাত্র(বিজ্ঞান বিভাগের) সব বিষয়ে জিপিএ ৫ পেয়েও ইংরেজীতে পেলো না।ঢাকায় যদি সে কলেজে ভর্তির জন্য আসে তাহলে সে পিছিয়ে পরছে ঢাকার গোল্ডেন জিপি-এ দের থেকে।অথচ হতে পারে ঐ বছর ঢাকার ইংরেজী প্রশ্ন সহজ হয়েছিলো।সুতরাং ঢাকা বা ঢাকার বাইরের যে কেঊ-ই ভুক্তভগী হতে পারে
৮| ১৮ ই মে, ২০১১ রাত ৩:৩১
ইনকগনিটো বলেছেন: ভর্তি পরীক্ষা আপনাদের সময় হয়নি, তাই সুপারিশ হয়েছে বলে দাবি করলেন। এখনকার ভর্তি তো পরীক্ষার মাধ্যমেই নেওয়া হয়।
ওভার অল ২০০০ ছাত্রকে আর তো সুপারিশে নেওয়া হয় না। নেওয়া হয় ২-৩ জনকে । এই ২-৩ জনের জন্যে পুরো পদ্ধতিটাকে বৈষম্য পূর্ণ বলা যায় কি?
আপনি তাহলে গরীব ছাত্রটির জন্যে কি করতে বলেন? তার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ ছিল , সে হারিয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থের অভাবে সে পড়তে পারবেনা সেটাও সত্যি। এটার সমাধান আপনিই বলুন।
১৮ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:০৫
সাদরিল বলেছেন: নাহ,২০০০ ছাত্রকে সুপারিশের ভিত্তিতে নেয়া যায় না।আর সুপারিশের বিষয়টি ব্যাতিক্রম,সামগ্রিক চিত্র নয়।আপনি বলেছিলেন অনেকে গোল্ডেন না পেয়েও পড়ছে।আমি সেই প্রসঙ্গে আমার অভিজ্ঞতার কথা বলেছি।তবে সঙ্খ্যাটা অনেক নয়,কিছু।সামগ্রিকভাবে জিপিএ বিবেচনা করা হয়।জিপিএ তে বৈষম্যের উদাহরন দিচ্ছি।মনে করুন আমি আর আপনি একই বছর ঢাকা বোর্ডের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি দিয়েছি।আপনি সমাজে পেলেন ৭৯,গনিতে ৯০।দুটোর যগফল ১৬৯।দুটো মিলিয়ে আপনার গ্রেড ৯।অন্যদিকে আমি সমাজে পেয়েছি ৮০ গনিতেও ৮০ (যোগফল ১৬০) কিন্তু আমার গ্রেড ১০। আপনার থেকে ৯ নম্বর কম পেয়েও আমার গ্রেড বেশি। অন্যান্য বিষয়গুলোতেও হয়তো আমাদের সমান সমান গ্রেড আপনি হয়তো নম্বরের দিক থেকে আমার থেকে আরো এগিয়ে কিন্তু ঢাকার কলেজের ভর্তিতে আমি আপনার থেকে এগিয়ে গেলাম।এমনটি যদি এইচএসসিতেও হয়ে থাকে তাহলে যখন আমি আর আপ্নি পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিবো তখন এসএসসি আর এইচএসসি থেকে যে ১০০ যোগ হবে তাতে আমার হবে ১০০ আপনার ৯৬।ভর্তি পরীক্ষাতে আপনি আমার থেকে ৩ বেশি পেলেও সামগ্রিকদিক থেকে আমার থেকে ১ কম পেয়ে পেছনে পড়বেন।আপনি গনিতে ৯০ পেয়ে প্রমান করেছেন বিজ্ঞানে পড়বার জন্য আপনি আমার থেকে যোগ্য।কিন্তু সমাজে যে ১ কম পেলেন সেটাই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা বিবেচনা করলো,গনিতে যে ৯ বেশি পেলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে যে ৩ বেশি পেলেন সেটা দেখা হলো না
৯| ১৯ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৮
ইনকগনিটো বলেছেন: একারনেই একদম প্রথম মন্তব্যে আমি বলেছি-
আসল কথা হল জিপিএ একটি ভুল পদ্ধতি।
২০ শে মে, ২০১১ রাত ১:৩৬
সাদরিল বলেছেন: আপনার এই মন্তব্য-এর সাথে আমি আগেই একমত ছিলাম তাই এ নিয়ে কথা বাড়াইনি বরং ভুল জিপিএ পদ্ধতি পরবর্তীতে আরো কি সমস্যা তৈরি করছে আর আপনি অন্যান্য বিষয়ে যে দ্বিমত পোষন করেছেন সেসব ব্যাপারে লিখেছি।আমি আপনাকে কতটুকু বোঝাতে পেরেছি জানি না।ওয়াচ ব্লগার থেকে সাধারন ব্লগার হবার পর ব্লগে এটাই আমার প্রথম লেখা।ব্লগের আসল টেষ্ট এই প্রথম গভীরভাবে অনুভব করলাম।এই প্রথম আমার লেখায় এতগুলো কমেন্ট আসলো।আমার কথাগুলোকে গুরত্বের সাথে নিয়ে কমেন্ট করবার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১১:৩২
ওয়াসিক মু্ঃ ইশতিয়াক ইজাজ বলেছেন: লেখা ভাল হইছে