নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয়? কি হবে আর এই পরিব্রাজকের পরিচয়ে?

তালুকদার নাজমুছ সাফিন

জীবন , সে তো এক অসংখ্য সাদাকালো কিংবা রঙিন পাতায় সাজানো গল্পের বই

তালুকদার নাজমুছ সাফিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘’আমার প্রথম সেইন্টমার্টিন ভ্রমণ’’

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৩:৪২

পর্বঃ ১

সেইন্টমার্টিন, নারিকেল জিঞ্জিরা, দারুচিনি দ্বীপ, দ্বীপদেশ... আরো কতো কি! সেইন্টমার্টিনকে আমরা কতো ভাবেই না জানি, চিনি বা ডাকি। আমার অবশ্য সোজা ‘সেইন্টমার্টিন’ ডাকতে-শুনতেই বেশি ভালো লাগে। আমি আবার একজন আগাগোঁড়া সাগর-নদী প্রিয় মানুষ। সাগরের নাম মনে হলে কোনো কিছুই তখন আর ভালো লাগে না, মনে হয় সব ছেড়েছুঁড়ে সাগরের কাছাকাছি চলে যাই।
দেশের প্রধান তিন সাগর-কোলের মাঝে কুয়াকাটা আর কক্সবাজার ঘুরে দেখার সৌভাগ্য হলেও ঠিক কোন এক দৈব কারণে যেন সেইন্টমার্টিন যাওয়া হচ্ছিলো না। বিগত প্রায় চার-পাঁচ বছর ধরে প্ল্যান করেছি, সব ঠিকঠাকও হচ্ছে, তারপরও কেনো জানি যাওয়া হয়ে উঠছিলো না।

যাই যাই করে অবশেষে একদম প্রায় হঠাৎ করেই সেইন্টমার্টিনের প্ল্যান হয়ে গেলো এবার। অবশ্য এবারো একশতো ভাগ নিশ্চিত ছিলাম না একদম বাসে ওঠার আগ পর্যন্ত, ভেবেছিলাম আগের আরো কয়েকবারের মতো শেষ মুহুর্তে কোনো এক কারণে আবার প্ল্যান ক্যান্সেল হয় কি না, কে জানে! তবে কপাল এ দফায় বেশ ভালো বলতে হবে, এ কারণেই এই গল্পটা লেখার সুযোগ পাচ্ছি।

আমার পরিচিত এক বড় ভাইয়ের ফেসবুক ভিত্তিক একটা ট্রাভেল অপারেটর গ্রুপ ছিলো, সেইন্টমার্টিন যাওয়ার ইচ্ছের কথা তাকে জানাতেই সাদরে আমন্ত্রণ জানায় আমাকে তাদের পরবর্তী গ্রুপের সাথে সেইন্টমার্টিন ভ্রমণে যেতে। আমি তখন কেবল সুন্দরবন ঘুরে এসে আমার বড় ভাইয়ের কুমিল্লার বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছি। বেশ আনন্দদায়ক, একই সাথে ক্লান্তিকর একটা ভ্রমণ ছিলো সুন্দরবন। তবে সেই ট্যুর অপারেটর বড় ভাইয়ের আমন্ত্রণ আর ফেলতে পারলাম না শেষ পর্যন্ত, এর বিশেষ কারণ সেই পুরোনো সাগর-প্রেম। যাই হোক, একদম শেষ মুহুর্তে আমি রেজিস্ট্রেশন করলাম, টিকেটও ম্যানেজ হলো, সমুদ্রে যাওয়ার দিন-তারিখও ঠিক হলো। অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ চলে এলো...

ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখ, আমাদের যাত্রার দিন। বাংলা পঞ্জিকা হিসেবে অবশ্য সেইন্টমার্টিনের আসল সৌন্দর্য, মানে পূর্ণিমায় ঝলমলে রাতের আকাশ দেখার সুযোগ কিছুটা মিস করে ফেলেছি। তবুও আফসোস ছিলো না, অবশেষে সেইন্টমার্টিন যাওয়ার সুযোগ তো হচ্ছে। আচ্ছা, এবার বাস জার্নিতে ফেরা যাক। আমাদের বাসটা ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে ছাড়ার কথা সন্ধ্যা ৭ টায়। টিকেট সংক্রান্ত সব কিছু আমাকে অবশ্য আগেই ফোনে জানিয়ে দেয়া হয়েছিলো গ্রুপের তরফ থেকে। ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে টেকনাফগামী ‘রিল্যাক্স’ পরিবহনের ছেড়ে আসা বাস আমাকে কুমিল্লা থেকে উঠিয়ে নেবে। আমিও সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। গ্রুপ থেকে আমাকে বাসের নম্বর, সুপারভাইজারের ফোন নম্বর দিয়ে দেয়া হলো যোগাযোগ করার জন্য। বাস ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই আমি সুপারভাইজারের ফোন নাম্বারে কল দিয়ে ডিটেইলস জেনে নিই এবং কোথা থেকে আমাকে উঠিয়ে নেবে, সেটাও জানিয়ে দেই তাকে। অবশ্য পরবর্তীতে সেই সুপারভাইজারই বেশ কয়েকবার ফোন দিয়ে তাদের লোকেশন শেয়ার করেছে আমার সাথে। এখানে অবশ্য আমাকে ভীষণ হেল্প করেছিলো আমার ভাইয়ার অফিসের নাজমুল ভাই। যাই হোক, অবশেষে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে অবশেষে আমি বাসে উঠলাম, খুব সম্ভবত রাত ১০ টার বেশ কিছুটা পর।

যেহেতু একদম শেষ মুহুর্তের প্ল্যানে ঠিক হওয়া ভ্রমণ এটা, তাই পরিচিত কারো সাক্ষাত পাবো গ্রুপের মাঝে, সেটা একদমই আশা করিনি। রাতের লাইট অফ করা অন্ধকার বাসে অবশ্য কে পরিচিত, আর কে অপরিচিত, সেটা ঠাহর করা বেশ কঠিন, অসম্ভবই বটে। আমি বাসে ওঠার বেশ কিছুটা সময় পর একটা হাইওয়ে হোটেলে মিনিট বিশেকের বিরতি দিলো। বাসে ওঠার পর আমি জানালা দিয়ে বাইরের আকাশ দেখায় ব্যস্ত ছিলাম, তাই খেয়াল করিনি ঠিক কোথায় এসে বিরতিটা দিলো! এবার বাস থেকে নামার পালা। বাসা থেকে হাল্কা কিছু খেয়েই বের হয়েছিলাম, আর আমার পুরোনো অভ্যাস, লম্বা জার্নিতে না খেয়ে থাকা। এই দুটো মিলে হোটেলের বিরতিতে শুধু ফ্রেশই হয়ে নিলাম, কিছু খেলাম আর না।

বিরতি শেষে বাসে উঠতে যাবো, তখনই আমার চূড়ান্ত অবাক হবার পালা। একই বাসে আমাদের ভ্রমণসঙ্গী হয়ে সেইন্টমার্টিন যাচ্ছে আমারই বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধু। সঙ্গত কারণেই গল্পে তাদের আসল নাম ব্যবহার করছি না। ধরি, তাদের নাম পরিনীতি আর পার্থ। ওরাও সেইন্টমার্টিন যাচ্ছে একদম হঠাৎ করেই, এজন্য আমাকে জানানোরও সুযোগ পায়নি। ওরা দুজন আমাকে দেখে অবাক, একই সাথে ভীষণ খুশি, সাথে আমিও খুশি। আমিও ভাবছি, আমার সেইন্টমার্টিন ভ্রমণটা তাহলে খুব একটা মন্দ কাটবে না মনে হচ্ছে। এরই মধ্যে বাসের সুপারভাইজার বাসে ওঠার তাগাদা দিলো, আমিও ওদের সাথে হাল্কা গল্প করতে করতে বাসে উঠে বসলাম। মজার ব্যাপার হচ্ছে, কাকতালীয়ভাবে আমাদের সিটও ছিলো একদম বরাবর, একজনের সিটের পেছনের সিটটায়ই আরেকজন। আমরা তিনজন গল্প করতে থাকলাম, এদিকে বাসের ড্রাইভার সাহেবও সব পেছনে ফেলে বাস ছুটিয়ে নিয়ে চললো টেকনাফের দিকে। এর মাঝে হেডফোনে গান শুনতে শুনতে আমিও একটু ঘুমিয়ে নিলাম। চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি পৌঁছে দেখি বাস জ্যামে পড়েছে, এদিকে আমারো ঘুম ভেঙ্গে গেলো এর মধ্যে।
চট্টগ্রাম শহর পার হওয়া পর্যন্ত জেগেই ছিলাম। ঠিক কি কারণ জানি না, চট্টগ্রাম শহরটা আমার বেশ ভালো লাগে। কর্ণফুলী সেতু পার হওয়া মাত্রই আবার ঘুমালাম, ঘুম ভাঙলো একেবারে কক্সবাজারের কাছাকাছি, চকরিয়াতে গিয়ে। এখানে বাস দশ মিনিটের বিরতি দিয়েছে, ফ্রেশ হবার জন্য। আমরা যে যার মতো বাস থেকে নেমে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। বিরতি শেষে বাসে ওঠে আবার ঘুম, একেবারে ভোর রাতে ঘুম ভাঙ্গলো গিয়ে কক্সবাজারের ডলফিন পয়েন্টে, কিছু যাত্রী এখানে নেমে যাবে। ডলফিন পয়েন্টে এসে যেন আমি সাগরের ঘ্রাণ পেয়ে গেলাম, এই ভোর রাতেও আমি সাগরের মৃদু গর্জন শুনতে পাচ্ছিলাম মনে হলো। যাই হোক, কক্সবাজারের যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে বাস এবার ছুটে চললো টেকনাফের দিকে। আমিও আবার ঘুমের সাগরে হারিয়ে গেলাম।

ভোর ঠিক সাড়ে ছ’টা বা সাতটা, ঠিক খেয়াল নেই, বাস আমাদের টেকনাফ নামিয়ে দিলো। আমরাও আধো আধো ঘুম চোখে নিয়ে বাস থেকে নেমে পড়লাম নাস্তা করা আর ফ্রেশ হবার জন্য। আমাদের জন্য আগে থেকে একটা খাবারের হোটেলে নাস্তা বুকিং দেয়া ছিলো আমাদের ট্যুর গ্রুপের পক্ষ থেকে। আমরা সেই হোটেল খুঁজে নিয়ে যার যার ব্যাগপত্র রেখে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা সেরে নিলাম।
সাধারণত টেকনাফ থেকে সেইন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে লঞ্চ/জাহাজ ছেড়ে যায় সকাল ন’টা থেকে সাড়ে ন’টার মধ্যে। আমরা সকালের নাস্তা সেরে নিয়ে আমাদের জাহাজের কাউন্টার খোঁজায় ব্যস্ত হয়ে পড়লাম, এরই মধ্যে আমাদের ট্যুর গ্রুপ থেকে একজন ভাইয়া এসে আমাদের যার যার টিকেট দিয়ে গেলো। আমি এরই মধ্যে সবার টিকেট নিয়ে কাউন্টার থেকে জাহাজের পাস নিয়ে নিয়েছি, এরপর গ্রুপের সবাইকে খুঁজে নিয়ে পাসও বুঝিয়ে দিয়েছি। আমরা এবার জাহাজে উঠার জন্য একদম প্রস্তুত হয়ে গেলাম। আমাদের টিকেট করা ছিলো এমভি পারিজাত জাহাজে। টিকেট হাতে নিয়ে লাইন ধরে আমরা জাহাজে উঠে গেলাম। জাহাজে উঠার এই পর্বটা কিছুটা ঝক্কির হলেও আমাদের সমুদ্রে যাবার উত্তেজনার কাছে তা নস্যি একদম।


জাহাজে উঠার বেশ কিছু সময় পর আমাদের জাহাজ রওনা করলো টেকনাফের উদ্দেশ্যে। জাহাজে উঠে আমরা আমাদের সিট খুঁজে বের করে ব্যাগপত্র রেখে করিডোরে ছুটে গেলাম নাফ নদীর সৌন্দর্য দেখতে। এরই মাঝে আশে পাশের অন্যান্য ঘাট থেকে আরো বেশ কিছু ছোট-বড় জাহাজ ছেড়ে দিলো, আমরা জাহাজের করিডোর থেকে সেসব দেখতে লাগলাম।
বাংলা মাঘ মাস চলছে তখন, শীতের তীব্রতা তেমন নেই, কিন্তু বাইরে ঝাঁঝালো রোদ। এদিকে নাফ নদীর বুক চিরে আমাদের জাহাজ ছুটে চলছে। আমি আর আমার বন্ধুরা করিডোর থেকে বাইরের পরিবেশ উপভোগ করছি। আমাদের জাহাজের সাথে সাথে অসংখ্য গাঙচিল ছুটে আসছে। এ এক বর্নণাতীত অনুভূতি সত্যিই! জাহাজের অনেকেই পাখিদের নানান রকমের খাবার ছুঁড়ে দিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করছিলো। যদিও এটা পরিবেশ সম্মত না, এমনকি বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকেও এসব করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বলে আমি জানতাম। যাই হোক, কে শোনে কার কথা! জাহাজের শ’খানেক মানুষকে তো আর একা নিবৃত করা সম্ভব না, তাই আমি চুপচাপই থাকলাম আর আমার বন্ধুদেরও বললাম এভাবে খাবার না খাওয়াতে। এতে কিছুটা কাজ হলো বটে!


জাহাজেই আমাদের ট্যুর অপারেটরের সাথে যাওয়া কয়েকজন ভাইয়া-আপুর সাথে পরিচিত হয়ে নিলাম, তাদের সাথে মাঝেমধ্যে টুকটাক গল্প চলছিল। আমি আবার মাঝেমধ্যে করিডোরে গিয়ে দেখার চেষ্টা করছিলাম বাইরের অবস্থা। একটার পর একটা জাহাজ নাফ নদী ছেড়ে সাগরে গিয়ে পড়লো যেন। দেখতে খুবই দারুণ লাগছিলো। ওই পাশে মায়ানমার, এই পাশে বাংলাদেশের টেকনাফ, মাঝ বরাবর নাফ নদী। দেখতে দেখতে আমাদের জাহাজকে পাশ কাটিয়ে কয়েকটা জাহাজ চলে গেলো সেইন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে। সেদিন সাগর বেশ শান্ত ছিল, রোলিং ছিলো না বললেই চলে। এজন্য বেশ আরামেই আমরা সেইন্টমার্টিনের কাছাকাছি চলে আসলাম। দূর থেকে আবছা দেখা যাচ্ছে একখণ্ড ভূমি, সবুজের অংশ। দুপুর প্রায় বারোটার কাছাকাছি, বুঝতে বাকি রইলো না যে এটাই আমাদের অতি আকাঙ্খিত সেইন্টমার্টিন। পকেট থেকে ফোনটা বের করে ছবি তুলতে লাগলাম, ভিডিও করতে লাগলাম।

বঙ্গোপসাগর, দ্যা বে অফ বেঙ্গল! এ যেন এক বিশাল নীলাভ জলরাশি, এতো স্বচ্ছ পানি কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। সারাজীবন টিভিতে বা ইন্টারনেটের কল্যাণে যা দেখে এসেছি, এবার তা নিজ চোখে দেখছি। আমার ঠিক বিশ্বাসই হচ্ছিলো না প্রথমে, মনে হচ্ছিলো নিজের গায়ে একটু চিমটি কেঁটে দেখি! বেশ কিছু ছবি তুললাম। আমাদের জাহাজের বাম পাশেই তাকিয়ে দেখি আমাদের দেশের গর্ব ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনী’ এর একটি যুদ্ধ জাহাজ নোঙ্গর করে আছে, পাহারা দিচ্ছে দেশের এই সুবিশাল অবাধ জলরাশি।
দেখতে দেখতে আমাদের জাহাজ ঘাটে ভিড়িয়ে ফেলেছে। আমরাও সবাই আমাদের ব্যাগপত্র গুছিয়ে জাহাজ থেকে নেমে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম। প্রায় কাছাকাছি সময়ে অনেকগুলো জাহাজ জেটি ঘাটে ভেড়ায় বেশ ভীড় হয়েছে। আমরাও তাই আস্তেধীরে এগিয়ে যেতে থাকলাম জাহাজের গেট বরাবর, আমাদের নামার জন্য লম্বা এক কাঠের সিঁড়ি দিয়ে রেখেছে জাহাজের লোকজন। খুব সাবধানে পা ফেলে নেমে এলাম জেটি ঘাটে, সাথে বন্ধুদেরও নামিয়ে নিয়ে এলাম।


সেইন্টমার্টিনে পা দিয়েই কেমন যেন এক অনুভূতি জেঁকে বসলো মনে ভেতর। এই সেই সেইন্টমার্টিন! আমি দেশব্যাপী প্রায় ৫০-টির মতো জেলা ঘুরেছি, নানান জনপদে গিয়েছি, কিন্তু সেইন্টমার্টিনে প্রথম এসে যে অনুভূতি হলো, সেটা আসলে বলে বোঝানোর মতো না। কতো-শতো বার প্ল্যান করেছি এই দ্বীপে আসার, কিন্তু কখনোই পূর্ণতা পায়নি। একদম প্ল্যান-পরিকল্পনাহীন ভাবে চলে আসার পর এখন আসলেই আমি একরকম অনুভূতিশূন্য হয়ে আছি। যাই হোক, হাল্কা অনুভূতি ফেরত আসার পর ভ্যান ঠিক করতে লেগে গেলাম। আমাদের তিন বন্ধু আর আমাদের ব্যাগপত্র দিয়ে একটা ভ্যান পুরোটাই লাগবে। অনেক দরদামের পর আড়াইশ টাকায় একটা ভ্যান ঠিক করলাম একদম রিসোর্ট পর্যন্ত।



(চলবে)......





(ছবিঃ টেকনাফ জেটি ঘাট)

(ছবিঃ নাফ নদীতে জাহাজের ছুটে চলা)

(ছবিঃ ওই যে, সামনেই সেইন্টমার্টিন)

(ছবিঃ বিকেল বেলার সেইন্টমার্টিন)

(ছবিঃ বিকেল বেলার সেইন্টমার্টিন)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৪০

সাদীদ তনয় বলেছেন: আমার কখনো যাওয়া হয়নি। আপনি ৫০ টির মতো জেলা ঘুরেছেন। কত দিন সময় লেগেছে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৫

তালুকদার নাজমুছ সাফিন বলেছেন: ২০১৫ সাল থেকে শুরু করেছি ঘুরাঘুরি..

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমি সমুদ্রই তো দেখিনি। :(

আরও ছবি দিতেন। ভালো লাগলো ভ্রমণ পোস্ট

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৮

তালুকদার নাজমুছ সাফিন বলেছেন: সমুদ্র ঘুরে আসার নিমন্ত্রণ রইলো, সময়-সুযোগ থাকলে ঘুরে আসবেন। সমুদ্রের বিশালতায় হারানোর সুযোগ মিস করতে নেই।
আর অনেক ধন্যবাদ ভালো লাগলো জেনে। আরো কিছু ছবি আসবে পরের পর্বে।

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সেন্টমার্টিন যাওয়ার সময় জাহাজের সিট নিতে হয় ওপেন ডেকে, ২০০ টাকা বেশী খরচ হলেও। ভ্রমণের বা বলাচলে যাত্রাপথের ১৬ আনা তৃপ্তি ঐখানেই আছে। এটা আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধি।
আমিও প্রায় অর্ধশত জেলায় পা দিয়েছি।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩২

তালুকদার নাজমুছ সাফিন বলেছেন: পারিজাতে ওপেন ডেক একদম ওপেন, এই রোদে ওখানে বসে থাকা রীতিমতো অসম্ভব। আমাদের গ্রুপের কয়েকজনের সিট ওপেন ডেকে ছিল, তাদের অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল রোদে। আপনি অবশ্য ঠিক, ওপেন ডেকই আসলে সেইণ্টমার্টিন যাত্রাপথের সবটুকু তৃপ্তি দেয়। এরপরের বার গেলে অবশ্যু অন্য জাহাজে টিকেট করতে হবে।

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৬

অপু তানভীর বলেছেন: বর্তমানে ফেসবুক ভিক্তিক ট্যুর গ্রুপ গুলো বেশ জনপ্রিয় ! আমিও এখন এদের সাথেই ঘোরাঘুরি করি ।

সেন্টমার্টিন গিয়েছিলাম সেই অনার্স ফাইনাল দিয়ে । অনেক দিন আগে । এরপর ঘোরাঘুরি করলেও ঐদিকে আর যাওয়া হয় নি । কক্সবাজার পর্যন্ত গিয়েছি কিন্তু সিট্রাকে আর ওঠা হয় নি । আপনার লেখা পড়ে মনে হল আরেকবার যাওয়াই যায় !

আরও কয়েকটা ছবি যোগ করতেন ! পরের পোস্টে আশা করি অনেক গুলো ছবি যোগ করবেন !

দেশের ভেতরে আমারও ঘোরাঘুরি হয়েছে বেশ । ৩০/৩৫ জেলা হবে সম্ভবত ! মরার আগে আশা আছে যে দেশের সব ঘুরে ফেলবো ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪৯

তালুকদার নাজমুছ সাফিন বলেছেন: হ্যা, এটা ঠিক। বর্তমানে ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপগুলো বেশ ভালো করছে এই সেক্টরে। আমার অবশ্য এই প্রথম কোনো ফেসবুক ভিত্তিক কোনো গ্রুপের সাথে যাওয়া। এর আগে বরাবরই নিজে একা অথবা বন্ধুবান্ধব নিয়ে গিয়েছি।

সেইন্টমার্টিন আসলে একবার/দুইবার গিয়ে মন ভরে না, ভরার কথা না। আমি ফেব্রুয়ারিতে গিয়েছিলাম, দুই দিনেও মনে হয় তেমন কিছুই দেখে উঠতে পারিনি। ইচ্ছা আছে এবার সিজন শুরু হলে একবার যাওয়ার। আবার কোনোদিন সাহস করে উঠতে পারলে অফ সিজনে ট্রলারে করে সেইন্টমার্টিন যাবো। প্রচুর সাহসের দরকার আসলে অফ সিজনে ট্রলারে ওঠার জন্য! :D

আমারো ইচ্ছা আছে আগামী এক/দুই বছরের ভেতর সবগুলো জেলা কভার করে নেয়ার। করোনার জন্য এক বছর নষ্ট না হলে হয়তো আরো কিছুটা এগিয়ে যাওয়া যেতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.