নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিতালী

ড্রাগন ফ্লাই

ড্রাগন ফ্লাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহানন্দার ওপর ভারতের বিশাল বাঁধ অসংখ্য ছোট নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন : উত্তরের কৃষি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ ব্যাপক ক্ষতির মুখে

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৬



ফটো:

বাংলাবান্ধার অদূরে মহানন্দা নদীর ওপর ভারতের ফুলবাড়ি ব্যারেজের একাংশ





বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া সীমান্তের বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টের পশ্চিম-উত্তর কোণে মহানন্দা নদীর ওপর বিশাল এক বাঁধ নির্মাণ করেছে ভারত। ১৯৭৯-৮০ সালে ‘তিস্তা-মহানন্দা প্রকল্প'র আওতায় ‘ফুলবাড়ি ব্যারেজ' নামে খ্যাত এই বাঁধটি তৈরি করে তারা। এই ব্যারেজের মাধ্যমে ভারত একদিকে তিনটি ইউনিটে সাড়ে ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, অন্যদিকে ৬৭৫ বর্গকিলোমিটার এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ করছে। এই সঙ্গে প্রতিবছর শুষ্ক মওসুমে ফিডার ক্যানেলের সাহায্যে পানি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার রাজ্যের বিভিন্ন স্থানের সেচ কাজ করছে। বিপরীতে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকার ভূগর্ভস্থ পানি নিচে নেমে যাওয়ার কারণে সেচ কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। বাঁধের মাধ্যমে পানি আটকে রাখায় শুষ্ক মওসুমে জেলার নদ-নদীগুলোকে মরা নদীতে পরিণত করছে।



উইকিপিডিয়ার ভাষ্যমতে, মহানন্দা ভারত ও বাংলাদেশের একটি নদী। এর উৎপত্তিস্থল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিং জেলার অংশে হিমালয় পর্বতে। এখান থেকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এর পর আবার পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় প্রবেশ করে, পরে আবার বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের কাছে প্রবেশ করে তা রাজশাহীর গোদাগাড়িতে পদ্মা নদীর সাথে মিলিত হয়। বৃষ্টির পানি এই নদীর প্রবাহের প্রধান উৎস। বাংলাদেশের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত মহানন্দা নদীর অংশটির দৈর্ঘ্য ৩৬ কি.মি.। মহানন্দার ধারায় সিক্ত হয়ে উত্তরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে সবুজ-শ্যামল ও ঊর্বর রাখতে ছোটবড় ২৭টি নদী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতো। মহানন্দার স্বাভাবিক স্রোতধারা ও প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করার ফলে সেগুলো এখন মৃতপ্রায় পরিণতির শিকার। এসব নদীর মধ্যে আছে, চাওয়াই, তালমা, পাঙ্গা, কুড়ুম পাম্প, ভেরসা, ডাহুক, তীরনই, রণচন্ডি, বেরং, জোড়াপানি, ঘোরামাড়া, নাগর, সিঙ্গিয়া, ঘাগরা, বুড়িতিস্তা প্রভৃতি।



সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত উজান থেকে নেমে আসা বেশ কয়েকটি নদীর উৎসমুখ হচ্ছে ভারত। কিন্তু ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নদী শাসন আইন অমান্য করে নদীগুলোর উৎস এবং প্রবেশমুখে বাঁধ, স্লুইসগেট, জলাধার, ফিডার ক্যানেল ও রেগুলেটর নির্মাণ করে পানির স্বাভাবিক গতিপথ পরিবর্তন এবং ২২১ কিলোমিটার সীমান্তব্যাপী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছে। এর পরিণতিতে ভরা বর্ষা মওসুমেও এসব নদীতে পানি নেই। মাঝেমধ্যে বৃষ্টিপাত হলেও উৎসমুখ থেকে পানির প্রবাহ না থাকায় নদীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। নদীগুলোর পানির প্রবাহ স্বাভাবিক না হলে আগামী শুকনো মওসুমে পানির স্তর আরও নিচে নেমে যাবে। এতে সেচ ব্যবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এতে জীববৈচিত্র্যের ওপরেও বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব নদীর পানি শুকিয়ে চর জেগে ওঠেছে। একই কারণে সেচ সংকট দেখা দেয়ায় কৃষির উৎপাদন ব্যয়ও বেড়েছে কয়েকগুণ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪১

অহন_৮০ বলেছেন: আর কত ভাবে ভারত আমাদের কে মারতে চায়....??????? X( X( X( X( X( X(

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

ড্রাগন ফ্লাই বলেছেন: ভারত মারেব কেন, ভারত তো আমাদের বন্ধু....!!!!!!!!!!!???????

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩০

অহন_৮০ বলেছেন: ড্রাগন ফ্লাই বলেছেন: ভারত মারব কেন, ভারত তো আমাদের বন্ধু....!!!!!!!!!!!???????

ঠিকই বলেছেন তবে এখানে বন্ধুত্বের মানে পরিবর্তন করতে হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.