![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের ব্যাংক গুলি বাংলাদেশ ব্যাংক দ্ধারা নিয়ন্ত্রীত হয়ে থাকে। কিন্তু সমভায় ব্যাংক/সমিতিগুলো সমভায় অধিদপ্তর দ্ধারা পরিচালিত হয়ে থাকে। সমভায় অধিদপ্তর দ্ধারা পরিচালিত ব্যাংকগুলোর নামের সাথে যে শ্বদগুলো থাকে যেমন- কো-অপারেটিভব্যাংক লিঃ, সোসাইটি লিঃ, কো-অপারেটিভ লিঃ, সমভায় সমিতি, সমভায় বাজার, সমভায় শক্তি, ইত্যাদি। কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে এ শব্দগুলো ব্যবহার হয়ে থাকলে বুঝে নিবেন এ প্রতিষ্ঠানগুলো সমভায় অধিদপ্তর দ্ধারা পরিচালিত হয়ে থাকে। সমভায় অধিদপ্তর হচ্ছে এ সকল প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক বিধানাবলি ও নিবন্ধন প্রধানকারী। সমভায়ের কাছ থেকে সংবিধান মোতাবেক নিবন্ধন নিয়ে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান খুলে থাকে অনেক লোভি উদ্দুক্তারা। এ সমস্ত প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকগুলো কোন দিন তালিকা ভুক্ত ব্যাংকের অনুমোদন পায় না এবং পাবেউ না। সমভায় প্রতিষ্ঠানের নামের পাশে ব্যাংক শব্ধটি ব্যবহারে বর্তমান সাংবিধানিক কোন দারায় অনুমোধন নেই। তবুও অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যক্তিগত প্রাতিষ্ঠানিক নামের পাশে ব্যাংক শব্দটি ব্যবহার করে থাকে, কারন এতে করে সাধারন মানুষেরা ব্যাংক লেখা শব্দটি দেখে তালিকাভুক্ত ব্যাংক মনে করে এবং তালিকাভুক্ত ব্যাংকের চেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়ার আশায় নিজেদের সম্পদ বা নগদ টাকা জমা রাখে এবং অন্যকেউ উৎসাহিত করে নিজের স্বার্থে। ব্যাংক শব্দটি থাকায় অনেকেই এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত ব্যাংকের চেযেও শক্তিশালী মনে করেন। কিনতু আসলে সেরকমটা হওয়া সম্ভব না, কারন তালিকাভুক্ত ব্যাংগুলো সবসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কমপখে 400 কোটি টাকা আলাদা ভাবে জমা রাখে যেন ব্যাংকের বিপদের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের যেকোন সহযোগীতা পেতে পারে। কিন্তু সমভায় প্রতিষ্ঠানগুলো কারো কাছে কোন টাকা জমা রাখে না তবে এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের 1/3 অংশ সমভায়কে প্রদান করে থাকে যা অফেরৎ যোগ্য।
এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সমূহ হলো : এরা মানুষের কাছ থেকে অধিক হারে টাকা সংগ্রহ করে, বিভিন্ন প্রলোভন ও অধিক মোনাফার লোভ দেখিযে। অনেক প্রতিষ্ঠানকে দেখা যায় তারা প্রতি লাখে 2 থেকে 4 হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ দিয়ে থাকে সেই সাথে বিভিন্ন ইনসেন্টিপ। এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের বেশি মোনাফা দেওয়ার লাভ একটাই তাদের কাছে মানুষ আরো বেশি টাকা রাখবে এবং তাতে প্রতিষ্ঠানের মূলধনের পরিমান বাড়বে। এক দিকে প্রতিষ্ঠানে টাকা ঢুকতেছে। এ ধারাটা অব্যাহত রাখার জন্যে মানুষের জমা রাখা আসল টাকা থেকেই মানুষকে মুনাফা দিয়ে থাকে যা এ বিষয়টি অনেকেই জানে না। এতে করে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় ব্যায় সহ নিয়মনীতির তুলনায় ব্যপক হারে খরচ বেড়ে যায় যা এক সময় প্রতিষ্ঠান বিলিপ্ত হওয়ার কারন হয়ে থাকে।
প্রতিষ্ঠানের আয়ের ধরন সমূহ : এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় আয় হচ্ছে মানুষের মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া। সেই জমা নেওয়া টাকা থেকে আবার অন্য কোন ব্যক্তিকে খুদ্র ঝণ প্রদান করে থাকে। তাহার কাছ থেকে আবার সমভায়ের নিয়মনীতি মেনে বা না মেনে চরা সুদে (চক্রাবৃদ্দি হারে) লভ্যাংশ নিয়ে থাকে। কিন্তু তবুও প্রতিষ্ঠানের ব্যয় বেশি থাকে কারন প্রতিষ্ঠানে যে পরিমানে টাকা মানুষ জমা রাখে সেই পরিমানে ঝিণ বিতরন করতে পারে না। যদিও ঝিণ বিতরন করে সেই ঝিনের সুদের লভ্যাংশই হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের একমাত্র মূল আয়। তার মধ্যে আবার ঋন দিয়ে অনেক সময় বিভিন্ন ভাবে লোকসান খেতে হয়। ( এখানে বিস্তারিত আলোচনা আছে যা সময়ের সল্পতার জন্যে সম্ভব হলো না) মানুষকে অধিক পরিমানে লভ্যাংশ প্রদান ও অফিসের অধিক খরচ সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানের ব্যপক লোকসান। এক পর্যায়ে মানুষের মূল টাকা ফেরত দিতে ব্যার্থতার পরিপ্রেখিতে প্রতিষ্ঠান উদাও। তাই কেউ এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখবেন না। কারন টাকার রাখার পর এর লোকসানের দায় সমভায় নিবে না এর দায় আপনারই।
সমভায় সম্পর্কে কিছু বলবো : যখন কোন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় এবং সাধারন মানুষেরা সব হারিয়ে পথে বসে যায় তখন সমভায়ের কাছে গেলে তাহারা কোন দায় দায়িত্ব নিতে চায় না। প্রতিষ্ঠানটি যদি সমভায়ের নিয়মনীতি মেনে চলার পরও যদি খতিগ্রস্থ হয় তার পরও সমভায়ের এ বিষয়ে কোন মাথাব্যথা নেই। এমন কি সমভায়ের কাছ থেকে কোন পরামর্শ নিতে গেলে আরো নানান রকম হয়রানির শিকার হতে হয় যে কোন গ্রাহককে। যদি এমন হয় কোন ধল বা কোন ব্যক্তি তার বিশেষ কোন খমতার মাধ্যমে সমভায় কে আলোচনায় বসতে প্রস্তাব দেয় তখন গ্রাহকদের মূল্যায়ন করে অন্যথায় নয়। অর্থ আত্বস্বাধ কারী পরিচালকদের অনিয়মিত ভাবে প্রতিষ্ঠান চালানো, টাকা আত্বস্বাধ করা, প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে পালিয়ে যাওয়া সবই ধ্রুত গতীতে সম্ভব হলেও সমভায়ের কাছে অপরাধিদের আমল নামা হাতে নিতে বা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে, মানুষকে সান্তনার বাণী শুনাতে, আসল অপরাধীদের (পালাতক অবস্থা থেকে) ধরতে এত গতীশীল নয় । সরকারী কাজ প্রসের্সিং হতে হতে তত দিনে অপরাধীরা দেশের বাহিরে স্থায়ি ভাবে বাড়ি গাড়ী করার কাজ কমপ্লেট । আসলে অপরাধীরা যখন সমভায়ের নাগালের বাহিরে চলে যায় তখন আর সমভায়ের কিছু করার থাকে না। সমভায়ের ভাস্য ও ভাব মূর্তি অনুযায়ী তেমনটাই মনে হয়। কারন সমভায় সবসময় বলে থাকে যে কোন ব্যক্তির লোকসান এর দায় সমভায় বহন করবে না সমভায় শুধু যখন কোন মানুষ ঔ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের নামে কোন অভিযোগ নিয়ে যায় ( বিশেষ খমতার বলে) তখন সমভায় দেখে ঔ প্রতিষ্ঠানের সর্বশেষ কি রেখে গেছে তাহাই সকলের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দিয়ে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে , যদিও এতে কোন গ্রাহক তাহার সব কিছু হারানোর তুলনায় এ সমাধান কিছুই না।
দুদক : আমি আইন জানিনা, তবে শুনেছি দুদক হচ্ছে শুধু মাত্র ( সরকারী সম্পদ ও অর্থ) দুর্ণীতি হওয়ার বিষয়াদি প্রতিরোধ করে থাকে। বেসরকারী খাতে কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান অর্থ বা সম্পদ দুর্ণীতি করে থাকলে সে বিষয়টি দুদকের আওতায় নয় ( বড় ধরনের কোন দুর্ণীতি ব্যতিত) তাই দুদক এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ সাধারনত নিতে চায় না বিশেষ কোন কারন ছারা। এরই মধ্যে দুদক সরকারী উচ্চ পর্যায়ে আবেদন করেছে যে সারা দেশের দুর্ণীতি ঠেকাতে বা দুর্ণীতি বিষয়াদি নিয়ে দুদকে মামলার পরিমান ব্যপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের বর্তসান মামলা পরিচালনা করতে ব্যর্থ বা সমস্যা হচ্ছে। সারা দেশে দুর্ণীতি ঠেকানো তাদের একার পখে সম্ভব না বিদায় তারা আবেদন করেছে। আবেদনে আরো বলা হয়েছে যে, দুদক শুধু মাত্র সরকারী কর্মকর্তাদের দুর্ণীতির বিষয়টি দেখবে, সরকারী মামলাগুলো তারা আমলে নিবে, বেসরকারী দুর্ণীতির মামলাগুলো দুদক আমলে নিবে না।
©somewhere in net ltd.