![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকেকবি হবার সখ সেই ছোটবেলা থেকেই। তখন ভাবতাম আমার একটা ঝোলা থাকবে, তাতে এলোমেলো কিছু কাগজ আর হরেক রঙা কলম থাকবে, তা দিয়ে লিখবো রঙবেরঙের লেখা। ঘুরে বেড়াব মাঠ ঘাট পথে প্রান্তরে। আস্তে আস্তে বড় হবার সাথে সাথে দায়ীত্ববোধ আর সাংসারিক ঝামেলায় হারিয়ে ফেলেছি আমার জীবনের সবচেয় বড় স্বপ্নটি। ধুলো জমে জমে সেই কবে হারিয়ে গেছে আমার স্বপ্ন শহর বুঝতেই পারিনি। এখন আমার অনেক সময়, তাইতো খুন্তি কোদাল নিয়ে খুঁড়ে চলেছি আমার স্বপ্ন শহর টাকে, জানি খুঁড়তে খুঁড়তে ঠিক একদিন আমার স্বপ্ন শহর পেয়ে যাব আর মানুষ তখন জানবে আমার সভ্যতা, আমার সংস্কৃতি, জানি তখনি হয়ত তোমরা আমায় কবি বলে সম্বোধন করবে। দারিদ্রতার সাথে আমার বসবাস তাই ইচ্ছথাকা সত্ত্বেও সুখ পাইনি কখনো তাইতো লেখার ভেতর খুঁজে ফিরি সুখ নামক সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলোকে।
আষাঢ়ের এ প্রভাতে
কবি যখন এ কবিতা লিখছেন,
ছাতি-ছিদ্র ভেদ করে দুর্বল দানারূপে রমণীর
শরীর চুমে যাচ্ছে বৃষ্টিবিন্দু।
হোক কবিতায় কিংবা রমণীর উষ্ণতায়,
ঢলেপড়ার বদভ্যাসটা বৃষ্টির আর গেলোনা।
মেঘলা মহুয়ার সতেজতা রমণীর ভাললাগা হতে পারে,
তথাপী দুশ্চরিত্র বাতাস যখন আঁচল টানে আপন মনে-
রমণী ভেবে পায় না
ছাতা না আঁচল
বাতাস না বৃষ্টি।
আষাঢ়ের এ প্রভাতে
কবি যখন এ কবিতা লিখছেন
ঠিক তখনি
জানালার ভাঙা অংশ দিয়ে ধেয়ে আসা প্রবল ঠান্ডা বাতাসেও
ঘেমে জবজবে সাধাসিধে যুবক,
একহাতে বর্ষজুড়ে এঁকে চলা পোট্রেট
অন্যহাতে দিয়াশলাই।
ঈর্ষায় পরপর তিনবার গর্জে উঠে ব্যর্থতার গুঞ্জন বাতাসে ভাসায় বারুদের ঘ্রাণ
খিলখিল শব্দে হেসে ওঠে কপাটগুলো,
ঝুল বারান্দার টবে জলের বুদবুদের মিশে যাওয়া দেখে
যুবক ভেবে পায় না
অগ্নি না প্রেম
জল না মায়া
আষাঢ়ের এ প্রভাতে
কবি যখন এ কবিতা লিখছেন,
প্রাপ্তি কিংবা অপ্রাপ্তির কবিতায়
নিজ নিজ অবস্থানে
সাঁতার কাটতে ব্যস্ত
কিছু তরুণ তরুণী।
©somewhere in net ltd.