![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখন পর্যন্ত পূর্ব planning করে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়েছে কিনা সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কেমন যেন হুটহাট করেই কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়, এই যেমন ঢাকা থেকে দিনাজপুর যাওয়ার ১০ মিনিট আগে decision , আগের দিন রাত ১০ টায় decision পরের দিন ভোর ৪ টায় চাঁদপুরে ঘুরতে যাব...............এই রকম আরকি ।
তো এইবারের গন্তব্য “নিঝুমদ্বীপ”। দিনটা শুক্রবার ১৯.১২.২০১৪ , সকালে
(৯টা কি ১০টা) ঘুম থেকে উঠে মনে হল মামাকে একটু বিরক্ত করে আসি এরআগেও অবশ্য করেছি। সাথে সাথে মামাকে ফোন দিলাম, মামা যথারীতি বলল চলে আয়, তবে Problem is পকেট আছে মাত্র ১০০ টাকা । মামাকে বললাম বাতাসের চেয়েও দ্রুত গতিতে আমার ফোন টাকা চলে আসল। সবকিছু গুছিয়ে ১১.৩০ এ রওনা দিলাম। আমার বন্ধুকফোন দিলাম , যাবে না। আসিফ কে সেও যাবে না, উপম সে কিছুটা confused । airport এ নেমে আবারও ফোন দিয়ে জানতে চাইলাম যাবে কিনা ? একবার হ্যাঁ বলে আর একবার না বলে, then একটা offer দিলাম রাজি হয়ে গেল :O
উপকূল এক্সপ্রেস , যাওয়ার সময়টা বেশ উপভোগ করেই গিয়েছি । যাইহোক রাত ১১ টায় ট্রেন থেকে নেমে রিকশায় যাচ্ছি...... দেখি মামা বাসার সামনে অপেক্ষা করছে।
পরেরদিন শুয়েবসেই কেটে গেল এরমাঝে অবশ্য নোয়াখালীর ঐতিহবাহী হোটেল এ সকালের নাস্তা খেয়ে এসেছি।
তারপরের দিন বিকালে “গান্ধীআশ্রম” এ ঘুরতে যাব। গেলাম, দেখলাম, ফিরে এলাম......... আহামরি কিছুই পেলাম না জা নিয়ে কিছু বলা যায় পুরাই হতাশ,
তারপরের দিন কোথায় যাব ঠিক করলাম, শেষমেশ ঠিক হল “নিঝুমদ্বীপ”। মামকেও রাজি করালাম যাওয়ার জন্য । প্রায় ৫/৬ বছর ধরে নোয়াখালী আছে but “নিঝুমদ্বীপ” যায়নি এই chance এ যদি না যেতে পারে আর কখনও যেতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে । কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাকরির সুবাধে আর যাওয়া হল না।
আনুমানিক ভোর ৫ টায় বাসা থেকে রউনা দিলাম। C.N.G তে প্রায় ২ থেকে ২.৫ ঘণ্টার দূরত্ব , আশেপাশে যত জায়গা পেলাম তার সবগুলোরই নাম “চর” দিয়ে শুরু অথবা শেষ । সকাল ৮ টায় sea Truck এ উঠতে হবে, সে এক মজার কাহিনী কখনও দেখি নাই এইভাবে মানুষ লঞ্ছে উঠে ? ও sea truck মানে ছোটখাটো একটা লঞ্চ শুধু নাম দিয়েছে sea truck এটা দিয়ে হাতিয়া যেতে হবে মেঘনা নদী cross করে । প্রায় ৪০ থেকে ৬০ মিনিট লাগলো। একটা সময় নাকি হাতিয়া মূল নোয়াখালীর সাথে যুক্ত ছিল ভাঙনের কারণে আলাদা হয়ে গিয়েছে, তাও আবার মাত্র ২/৩ দিনের ভাঙনে ।
যাইহোক হাতিয়ায় এসেই আরেক নতুন অভিজ্ঞতা । বেশকিছু তরুণ যুবক দাড়িয়ে আছে যাত্রীদের “কোলে” করে পাড়ে পৌঁছে দেয়ার জন্য :O , জনপ্রতি ৫০-১০০ টাকা। ভটভটিতে করে হাতিয়া বাজার নামলাম সেখানে মামার ঠিক করা একজন আগেথেকেই wait করছিল, উনার নাম “আমানত” , তাকে নিয়ে উপম এর খুবই হাস্যকর মজাদার উক্তি আছে। হোটেল মোহনায় ২ bed এর রুম নিলাম, ফ্রেশ হয়ে মোটরসাইকেল ভাড়া করে বেরিয়ে পড়লাম ১১.৩০ এ। প্রায় ২ ঘণ্টা পর পৌঁছলাম জাহাজমারা ঘাটে । এইখান থেকেই “নিঝুমদ্বীপ” দেখা যায়। ট্রলারে channel পাড়ি দিয়ে বাইক নিয়ে একটানে নামা বাজার। অসময়ে যাওয়ার জন্য ইলিশ মাছ খুঁজে পেলাম মাত্র ১ টা হোটেল এ। দুপুরে খাওয়া সেরে সাগরপাড়ে, অনেকটা ইনানি বিচ এর মত শুধু একপাশে পাহাড় নেই ।
এবার আসল কাজে নেমে পড়লাম “হরিণ” দেখা । এরইমাঝে এক পিচ্ছি কে পেয়ে গেলাম যে কিনা গাইড এর কাজ করবে মানে কোথায় হরিণ আছে আর সারা জঙ্গল ঘুরে দেখাবে। হঠাত করেই ২০১০ সালে বিশ্বমিডিয়া তে তুলপার করা “Hero” সাথে দেখা যে কিনা হরিণের শাবক বাঁচিয়ে হিরো বনে গিয়েছিল। আফসোস তার মুখ থেকে সেই কাহিনী শুনতে পারলাম না কারন সে বোবা । স্থানীয় টঙ থেকে মধু নিল উপম, শুটকি বাবসায়ির মোবাইল নাম্বার টাও নিয়ে নিল .
খুবই গোপনীয় ভাবে হরিণের মাংস খেলাম, details বলা যাবে না Secret ।
এবার ফেরার পালা জোয়ার নেই পানি অনেকদূর নেমে গিয়েছে so ট্রলার এ উঠতে হলে বেশকিছু দূর হাঁটতে হবে হাঁটু সমান কাদা পাড়ি দিয়ে, খুবই ভয়ানক অভিজ্ঞতা যদি পইড়া যাই সব শেষ। ওপারে ফিরে আসলাম । শীতের রাত প্রায় ৮ টার মত বাজে সুনসান নীরবতা এরই মাঝে বাইক চলছে প্রায় ৭০-৮০ স্পীড এ দাত মুখ সব মনে হল মমি হয়ে যাচ্ছে , অবশেষে ফিরে এলাম হোটেল এ।
সকাল ৭ টায় ঘুম থেকে উঠে ঘাটে পৌঁছলাম ৯ টায় । রুম থেকে বের হওয়ার সময় উপম এর কাহিনী দেখে শুরুতে কেমন যেন খারাপ লাগলেও টাকার কথা মনে হয়ে আমিও তার সাথে যোগ দিলাম। sea truck ঘাটে ভিড়ার আগে চরে আটকে গেল এখন ক্যামনে কি ? জোয়ার এর জন্য অপেক্ষা । অনেক জক্কি জামেলা শেষে আবারও বাসায় পৌঁছলাম ১২ তার দিকে।
পরের দিন রাতের বাসে ঢাকায় ফিরলাম ভোর ৪ টায় ।
N.B.
১. আর্থিক সহতায় @ মামা,
২. মেয়ে মানুষকে নিয়ে ভুল করেও কেও “নিঝুমদ্বীপ” এ ভুলে নিয়ে যাবেন না , সুখের সংসারে ২/৩ দিনের জন্য আগুন লেগে যাবে
৩. যেই টাকায় “নিঝুমদ্বীপ” ঘুরে আসতে পারবেন সেই একই টাকায় কক্সবাজার, বান্দরবন অনায়াসেই আরামদায়ক ভাবে ঘুরেতে পারবেন।
৪. উপম এর মত যারা রুপ সতেচন i mean ত্বক সতেচন তাদের জন্য এই ভ্রমন perfect না।
৫. সড়ক পথে ২ জনের জন্য প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা লাগবে, তাইলে কি দরকার ?
৬. এইখানকার ভাত ! না দেখলে বিশ্বাস করবেন না কতততত মোটা :O
৭. নোয়াখালীর মানুষগুলো খুবই আন্তরিক তবে ! দিন শেষে বাঁশ দেয়ার প্রবণতা রয়েছে । So B Carefull…………………….
©somewhere in net ltd.