নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন-মনন-চিন্তা থাকুক মুক্ত।জাগ্রত হোক মনুষ্যত্ব মানুষ হোক মানবিক।আমরাই গড়বো মানবিক বিশ্ব।

সাইফুল বিন হানিফ

সঙ্গীত গবেষক ও রাষ্ট্রচিন্তক

সাইফুল বিন হানিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেহ-মনের সমস্যা নিরাময় করে গান ও নাচ !!!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫


সুর ও সঙ্গীত যেদিন থেকে মানুষের সঙ্গ হয়েছে, তখন থেকেই তা আমাদের দেহ-মন-প্রাণের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস)-এর কার্ডিওথোরাসিস বিভাগের সাবেক প্রধন ড. শ্যামপাথ কুমার এ কথা বলেন। তাই মস্তিষ্ক, চেতনা ও শারীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়ায় সুর ও সঙ্গীত ইন্দ্রজালের মতো প্রভাব ছড়িয়ে দেয়। এর প্রভাব দ্বারা মানসিক, আত্মিক এমনকি দৈহিকভাবে নানা রোগের নিরাময় সম্ভব বলেও জানান তিনি।
এ কারণেই আমেরিকাসহ ইউরোপের বহু হাসপাতালে ভারতীয় রোগীদের ওয়ার্ড বা কেবিনে গান ও নাচের ভিডিও দেখা ও শোনার ব্যবস্থা রাখা হয়। এতে রোগীরা তার দেশের পরিবেশেই আছেন মনে করে অনেক আশ্বস্ত থাকেন।
একটা শিশু খেতে না চাইলে মা হয়তো কোনো গান ছেড়ে দেন। এ গানের শব্দ ও সুরে শিশুটা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যায়। দেখা যায়, সে নিজের অজান্তেই খাচ্ছে। এসব ঘটনা অহরহ দেখা যায়। এটা মানুষের মধ্যে সুর-সঙ্গীদের ব্যাপক প্রভাববিস্তারের স্পষ্ট উদাহরণ।
একই বিষয় নাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ‘ড্যান্স থেরাপি’ এক জনপ্রিয় পদ্ধতি যা আমেরিকান চিকিৎসাবিজ্ঞান গুরুত্বের সঙ্গে চর্চা করে আসছে। মানুষের বিক্ষিপ্ত আবেগ, মস্তিষ্কের কার্যপ্রণালী এবং দৈহিক অবস্থার মধ্যে সুষ্ঠু ভারসাম্য আনতে নাচের ছন্দে ও তালে দৈহিক নড়াচড়া অনেকটা মেডিটেশনের কাজ করে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, যে কেউ ড্যান্স থেরাপিকে ফিজিওথেরাপির বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। তবে সার্জারির রোগীদের ৮ সপ্তাহের আগে ড্যান্সথেরাপি না নেওয়াই ভালো।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ দিলশাদ প্যাটেল জানান, চিকিৎসাবিজ্ঞানের সঙ্গে নাচের সমন্বয়ের পর ড্যান্সথেরাপি দৈহিক ও মানসিক উন্নতিতে বৈজ্ঞানিকভাবে আরো কার্যকর হয়ে উঠেছে। অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গে এই থেরাপি রোগীর সেরে ওঠার প্রক্রিয়াকে গতিশীল করে। এতে মানসিকভাবেও দারুণ শক্তিশালী হয়ে ওঠেন রোগীরা।
বিশেষজ্ঞরা জানান, গান নিউরোলজি এবং নিউরোসার্জারির কাজে বেশ ফলপ্রসূ প্রমাণিত হয়েছে। প্যারালাইসিসের রোগীরা সুর, ছন্দ ও শব্দে প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে। বর্তমানে এমন বহু রোগীকে গতানুগতির চিকিৎসার পাশাপাশি সঙ্গীত ও সুরের চিকিৎসাও দেওয়া হচ্ছে।
তবে এ ক্ষেত্রে যে কাজগুলো করতে হবে এবং করা উচিত নয়, তা দেখে নিন।
১. উচ্চমাত্রার শব্দ ও দ্রুতগতির গানের পরিবর্তে হালকা ছন্দময় গান বেছে নিতে হবে।
২. গোটা প্রক্রিয়াটা শিখে নিয়ে কাজ শুরু করবেন। তার আগে নয়। হঠাৎ করেই এর প্রয়োগ ঘটানো যাবে না।
৩. ড্যান্সিংথেরাপির ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই বড় ধরনের ছন্দ বা তালে নাচতে যাবেন না। ধীরে ধীরে এতে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন।
৪. মিউজিকের সঙ্গে নাচ মেলাতে যাবেন না। দেহ এমনিতেই তালের সঙ্গে মানিয়ে নেবে।
৫. মনে রাখবেন, এটা রোগ সারাবে না। তবে রোগ নিরাময়ে আপনার দৈহিক ও মানসিক শক্তি জোগাবে।
৬. একা একা ভালো না লাগলে দলবদ্ধ হয়ে করতে পারেন।
৭. চিকিৎসকের পরামর্শমতে কোনো ড্যান্স থেরাপিস্টের সহায়তা নিন।
৮. আপনার পরিস্থিতি পুরোটা বুঝে থেরাপিস্ট যেন পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
৯. দুই ধরনের থেরাপি একযোগে গ্রহণ করবেন না

লেখক ঃ পিএইচডি গবেষক মিউজিক থেরাপি ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.