![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সঙ্গীত গবেষক ও রাষ্ট্রচিন্তক
অসহায়ত্বও মাঝেমাঝে বিদ্রোহী করে তুলে সস্তা আবেগের বাজারে। বিদ্রোহ যে কেউ করতে পারে যে কোন সময় কিন্তু বিপ্লব করতে পারে না। যখন মানুষের অন্তর্ধবনি ধ্বনিত থেকে প্রতিধ্বনিত হয়ে অদৃশ্য আত্নিক বন্ধন সৃষ্টি করে তখন যদি কেউ সঠিক সময়ে সঠিক কৌশলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয় তখনই বিপ্লব সম্ভব।অন্যথায় তোতা পাখির মত মুখস্থ বুলির শব্দে শব্দদুষণে ক্ষতিগ্রস্থ হবে সাধারণ মানুষ।
অনেক আবেগী মানুষজন ছারপোকা,মশা মারলেও রক্ত দেখে ভয় সঙ্গত কারণেই। এমন আবেগী মানুষজনদের যখন একই দিনে একাধিক বার সুচ ফুটিয়ে রক্ত বের করা হয় পরীক্ষা করার জন্য তখন সত্যি তারা নিঃস্ব, অসহায় হয়ে যায় এই ষোল কোটি মানুষের দেশে।
দুর্দিন তাই জীবনে প্রয়োজন, মানুষ চিনতে। বোধোদয় হতে। বারবার বোধোধয় হয়েও যেসব আবেগপ্রবণরা শুদ্রে নিতে পারে না তারা কি সফল হতে পারবে স্বপ্নের মত?
আত্নীয়-বন্ধু-বান্ধব অনেকে আনন্দঘন আড্ডায় থাকলেও দেখা মিলে না দুর্দিনে প্রকৃত বন্ধুহীন মানুষদের তাই অনেকে হাসপাতাল ক্যান্টিনে নিচের ঠোঁট কামড়েও কান্না আটকাতে পারে না । অসুস্থতা মনকে কোমল ও মলিন করে দেয় তাই রোগীরা তখন কাছে যাকে পায় তাকেই আপন করে নেয় বন্যার্ত এলাকায় পিপীলিকার দলের মত। যেকোন অসহায়াত্বের সময় করুণা কাম্য নয়। সহানুভূতি ঔষধের মত কাজ করে অসুস্থ শরীর ও দুর্বল মনে। এই সহায়াত্বের সময় যারা করুণার বুলির মালা সাজায় মহানুভবের আকরে তারা কি সত্যি সুস্থ মনুষ্যাকৃতির মানুষ?
আর যারা এই দুঃসময়ে কুকুরের মত ঘেউ ঘেউ ও বেজির মত খামচা দিয়ে শক্তি দেখানোর মধ্যে কোন আনন্দ পায় তাদের প্রকৃত সুখ কখনোই মিলবে না বিবেকের জন্য। মানুষের মধ্যে বিবেক না বিবেকের মধ্যে মানুষ বাস করে জানা নেই তবে হয়তো একদিন বিবেক জাগ্রত হবে ততদিনে শ্মশান পুড়ে হবে কবর । কবরে মানুষ যাবে না, যাবে পরিত্যক্ত লাশ। শিক্ষা,বিবেক,বুদ্ধি,মনুষত্ব্যবোধ থেকে যায় কর্মে। অতীত মানেই তো জীবন! তাই নয় কি ? সুতরাং যার অতীত ভাল সে ভাল মানুষ আর যার ভাল নয় সে তার মত। মানুষই বিচার করে বলবে সে কেমন ছিল।
সুতরাং কাজ করিবার আগেই ভাবা দরকার। চরিত্র পাঁচশ থেকে কোটি টাকাইয় কেনা না গেলেও বিক্রি হওয়া যায় মুহুর্তে।
কেউ কিনে কথায়, কেউ কিনে যাতায়।
যাতার পুড়ানিয় বোকা
ক্ষত
সারাজীবন হাতায়।
২১/০৪/২০১৬
সকাল ৯.০৭ মিনিট।
©somewhere in net ltd.