নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামী আন্দোলন করলেই যদি রাজাকার হতে হ তাহলে আমি রাজাকারই হতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থই যদি হয় আওয়ামী লীগের গোলামী করা তাহলে লাথি মারি সে চেতনাকে। সংবিধানের আইন যদি হ কুরআন বিরোধী তাহলে চুলায় যাক সে সংবিধান।

সাইফুল্লাহ আবিদ

proud to be a Muslim.

সাইফুল্লাহ আবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এরা কি সত্যিই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী??

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

অপরাধ এবং অপরাধ দমন যেকোন সমাজ এবং রাষ্ট্রব্যবস্থারই অবিচ্ছেদ্দ একটা অংশ। আর এ অপরাধ দমনের প্রয়োজনেই গঠিত হয়ে থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মূলত, সমাজে যাতে অপরাধ না হতে পারে এবং অপরাধীকে যাতে উপযুক্ত বিচারের আওতায় আনা যায় সেজন্যই বিচার বিভাগকে সহযোগিতা করা এ বাহিনীটির সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।
কিন্তু, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তো আর ভিনগ্রহ থেকে ধরে আনা হয় না। তারাও আর দশজন মানুষের মত সমাজেরই বাসিন্দা। তাই একজন মানুষ হিসাবে তাদের মধ্যেও অনেক সময়ই জেগে ওঠে অপরাধ করার প্রবনতা। এ অপরাধের প্রবনতাও নতুন নয়। কারন ‘রক্ষক হয়েও ভক্ষক’ কথাটি অনেক প্রাচীন একটি কথা। কিন্তু ভক্ষন করতে করতে তারা যখন সহনীয় সীমা অতিক্রম করে ফেলে তখনই ধীরে ধীরে সমাজ থেকে উঠে যেতে থাকে শান্তি শৃঙ্খলা। মানুষ বাধ্য হয় আইনকে হাতে তুলে নিতে।
বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও প্রত্যেকেই মানুষ। একজন ডাকাতের রক্তও লাল এবং একজন পুলিশের রক্তও লাল। একজন ধর্ষকের শারীরিক গঠনও যেমন একজন পুলিশেরও তেমনই। কিন্তু তাই বলে কি একজন পুলিশও ধর্ষকের মত আচারন করবে?? কিভাবে এত নিচু হতে পারে পুলিশের চরিত্র??
উত্তর আমার জানা নেই। শুধু জানি, এ নারী যদি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তাহলে সেই অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বও অন্য একজন পুলিশের উপরই পরবে। সেই পুলিশ যে তদন্তের নামে ঐ নারীর সাথে আবার ধর্ষকের মত আচারন করবে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে??
পুলিশের ‘লাঠিচার্জ’ ও ‘রিমান্ডে’ এর নামে কতটুকু নির্যাতনের অধিকার সত্যিকারার্থে দেয়া হয়?? এটা হয়ত কোথাও লেখা নেই। তবে যদিও আমি আইনের ছাত্র নই কিন্তু আমার জানামতে ‘অপরাধীর মানবাধিকার’ নামক একটি টার্ম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সংবিধানের পাতায়। কিন্তু যখন দেখা যায় একজন হাতকরা পরা আসামীকে সাপ মারার মত করে পেটাচ্ছে একদল পুলিশ তখন এ মানবাধিকার কোথায় থাকে?? কেন ঐ পুলিশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে না??
আমাদের দেশের কোন আইন-শৃঙ্কগলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন কোন অপরাধ করে তখন তার স্বাভাবিক একটি শাস্তি হল বদলি। কিন্তু বদলিই কি এ ধরনের অপরাধীর শাস্তি হিসাবে যথেষ্ট?? বাংলাদেশের অন্যতম একটি সীমাবদ্ধতা হল বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা। একটি চুরির মামলার রায় হতে যখন দশ বছর লেগে যায় তখন স্বাভাবিকভাবেই বাদি-বিবাদি উভয়েই হাপিয়ে ওঠে। তাই যেকোন অপরাধের বিচার পাওয়া বাংলাদেশে আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মত। কিন্তু একটি অপরাধ এবং অপরাধী যখন একদম স্পষ্ট তখন কি এ দীর্ঘসূত্রিতার বাধা কাটিয়ে বিচারটা তারাতারি শেষ করা যায় না???
বিগত প্রায় আট বছর ধরে ক্রমান্ময়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে অপরাধের প্রবনতা বেড়েই চলছে। তারা এখন ‘চোরের উপর বাটপারি’ করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না। বরং তাই নিজেরাই এখন হতে চাচ্ছে চোর, ডাকাত, চাদাবাজ, ধর্ষক, খুনি। আর অপরাধ করলেই কি। ভয় নেই। কারন তদন্তের দায়িত্ব যার উপর পরবে তার নির্দেশেই তো চাদা তুলত। আর এরপরেও যদি সমস্যা হয় তাহলে একটু বদলি করে দেয়া হবে এই আর কি।
হয়ত এভাবেই চলতে থাকবে। আর অদূর ভবিষ্যতেই ধর্ষনের বিচার চাইতে গিয়ে আবারও প্রত্যেক ভিকটিমকেই দ্বিতীয়বার ধর্ষিতা হতে হবে। এর ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে কেউ আর আইনের কাছে যাবে না। হয়ত নিজেরাই আইন হাতে তুলে নেবে। তারপর কি হবে তা আর বলছি না। তাহলে তো আমিও হয়ে যাব রাষ্ট্রদ্রোহী।
আর যারা খেক শেয়ালের মত চিৎকার করে বলতে চান, “গুটিকয়েক লোকের জন্য পুরো বাহিনীকে দোষারোপ করা যাবে না’ তাদের উদ্দেশ্যেও কিছু বলার আছে। দেখুন, এটা কোন সাধারন জনসমাজ নয়। অপরাধ দমন করাই এদের কাজ কাজ। কাজেই এখানে একজন অপরাধী যতক্ষন পর্যন্ত থাকবে ততক্ষন পর্যন্ত এর দায় গোটা বাহিনীরই। কারন, যখন অপরাধীর অপরাধ স্পষ্ট তখন সে কোন যুক্তিতে অপরাধ নিয়ন্ত্রন করার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকতে পারে??? যতক্ষন পর্যন্ত না অপরাধ করা মাত্রই পুলিশ সদস্যকে শাস্তির আওতায় আনা হবে ততক্ষন পর্যন্ত পুরো পুলিশ বাহিনীই কলঙ্কিত। কারন এক বালতি দুধ নষ্ট করার জন্য এক ফোটা বিষ্ঠাই যথেষ্ট।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


এরা মগের মুল্লুকের বাহিনী

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫০

শাহিন-৯৯ বলেছেন: পুলিশ বাহিনীর উপর বর্তমান সরকারের অনেক কিছু নির্ভর করছে অতএব বর্তমানে তাঁদের সাত খুন মাফ।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: পুলিশের উপর মানুষের আস্থা অনেক আগেই উঠি গেছে। এখন মানুষ তাদের ঘৃণা করে।

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: এদেশ যারা চালাচ্ছে তারা অদক্ষ, এদের হাতে মানুষের জীবনের কোন মুল্য নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.