নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাতিষ্মর

বেঁচে থাকার মহত্তম উদ্দেশ্যটা খুজে ফিরছি

সাইফুর রহমান.

বেঁচে থাকার মহত্তম উদ্দেশ্যটা খুজে ফিরছি

সাইফুর রহমান. › বিস্তারিত পোস্টঃ

একাত্তরের ঘাতক ও দাললরা কে কোথায় ০২

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

ভূমিকা



গণহত্যাযজ্ঞের শিকার যে কোন জনগোষ্ঠীই তাদের ক্ষয়ক্ষতি ইতিহাসবদ্ধ করতি গিয়ে অতিরঞ্জন করে থাকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের নয় মাসে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দালালদের দ্বারা সংগঠিতনরমেধযজ্ঞকেও ‘মানবেতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ,’ সাম্প্রতিক কালের নিষ্ঠুরতম হত্যালীলা ইত্যাদী শব্দমালায় বর্ণনা করা হয়। বলা হয়ে থাকে, রক্তই যদি স্বাধীনতার মূল্য হয় তবে বাঙ্গালী জাতি সর্বোচ্চ মূল্য দিয়েছে।

বস্তুত এই বর্ণনায় স্বাভাবিক অতিরঞ্জন অনুপস্থিত। ১৯৭১ সালেরডিসেম্বর মাসে সর্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণার তেত্রিশতম বার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘ একটি রিপোর্ট বের করে। ওই রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্বে ইতিহাসে যে সমস্ত গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে; তার মধ্যে স্বল্পতম সময়ে সর্বাধিক সংখ্যক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের গণহত্যায়। রিপোর্টে নিহতের সংখ্যা সর্বনিম্ন গণনায় অন্তত ১৫ লক্ষ বলে উল্লেখ করে বলা হয় যে, ১৯৭১ সালের মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত দৈনিক গড়ে ৬ থেকে ১২ হাজার লোক নিহত হয়েছেন।মানব জাতির ইতিহাসে গণহত্যাযজ্ঞের ঘটনাসমূহে দৈনিক গড় নিহতের সংখ্যায় এটি সর্বোচ্চ। এদিক থেকে আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়কার হত্যাকান্ড নিঃসন্দেহে মানবেতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ।





নিষ্ঠুরতার দিক দিয়েও এই হত্যাযজ্ঞের কোন তুলনা নেই। অন্য কোন সূত্র না ঘেঁটে শুধুমাত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস প্রকল্প প্রণীত খন্ডমালার অষ্টমখন্ডে গ্রন্থিত প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের জবানবন্দীর কয়েকটি পাঠ করলেই যে কেউ বুঝতে পারবেন, কেবলমাত্র ধর্ষকামী বিকৃত মস্তিষ্ক খুনীরা ছাড়া আর কেউ ঐ ধরনের হত্যাকান্ড সংগঠিত করতে পারবে না। বাংলাদেশের নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে এই উন্মাদরা যে কসাইখানার পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট মনে করত, তার একটি দৃষ্টান্ত এ প্রসঙ্গে দেয়া যেতে পারে। ভৈরবের কাছে নদীতীরের একটি শ্মশানে নিরপরাধ বাঙ্গালীদের হত্যা করা হত। গূলীর শব্দে চমকিত হয়ে যাতে গ্রামের লোকজন পালিয়ে না যায়, সে জন্য এসব হতভাগ্যদের জবাই করাহত। স্থানীয় একজন বৃদ্ধ কসাইকে প্রতিটি জবইয়ের জন্য শান্তি কমিটির তরফ থেকে পাঁচ টাকা করে দেয়া হত। বধ্যভূমি থেকে কোন ক্রমে পালিয়ে আসা এক ব্যক্তির সংবাদপত্রে প্রকাশিত জবানবন্দী থেকে জানা যায়, পেছনে হাত বাঁধা মৃত্যু পথযাত্রীরা যখন জবাইয়ের জন্য শূতে না চেয়ে ধস্তাধস্তি করত, তখন বৃদ্ধ কসাই তাদের অনুরোধ করত শূয়ে পড়তে, যতে তারও কষ্ট না হয় আর তাদেরও যন্ত্রণা দ্রুত চিরতরে শেষ হয়ে যায়।

হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা পড়লে আরও একটি বিষয়ে নিঃসন্দেহ হওয়া যাবে যে, এই বর্বরতায় ঘাতক পাকবাহিনীর সমান নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করেছিল তাদের এদেশীয় দালাল শান্তি কমিটি, জামাতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, আল বদর, আল শামস, মুজাহিদ, রাজাকার, ইপকাফ (ইস্ট পাকিস্তান সিভিল আর্মড ফোর্সেস) প্রভৃতি বাহিনীর সদস্যরা



সেই খুনী দালালেরা আজ আমাদের দেশের সর্বস্তরে পুনর্বাসত হয়েছে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা আজ সবচেয়ে সুসংগঠিত ও প্রভাবশালী। এদের এক বিরাট অংশ আজও এদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত।



পৃথিবীর দেশে দেশে স্বাধীনতাযুদ্ধের পর অজ্ঞাতনামা শহীদদের উদ্দেশ্যে স্মৃতি সৌধ স্থাপন করা হয়েছে, আর তালিকা তৈরী করে সুচিন্হিত করা হয়েছে স্বাধীনতা বিরোধীদের। আমাদের দেশে হয়েছে ঠিক তার উল্টো। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় করা এবং দালালদের সুপরিকল্পিত ভাবে পুনর্বাসিত করার প্রক্রিয়া অনুযায়ী আজও তথাকথিত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে; অন্যদিকে স্বাধীনতাবিরোধী, প্রমানিত খুনীদের মন্ত্রীসভায় সদস্যপদ দেয়া হচ্ছে। যদি শহীদদের তালিকা তৈরী করতে হয় তবে অন্ততঃতিরিশ লক্ষ নাম তাতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ভয়াল দিনগুলোতে স্বাধীনতাকামী সবাই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, সুতরাং চিহ্নিত করতে হলে মুষ্টিমেয় দালালদেরই চিহ্নিত করা প্রয়োজন।





স্বাধীনতার অব্যবহিত পর বাংলাদেশ সফরে এসে ভারতের খ্যতনামা সাহিত্যিক মুলুকরাজ আনন্দ ১৬ জানুয়ারী ১৯৭২ সালে ঢাকায় বুদ্ধিজীবিদের এক সভায় বলেছিলেন, ‘আপনারা মসী ছেড়ে অসি ধরেছিলেন, এবার অসি ছেড়ে কলম ধরবেন, আপনাদের লেখায় যেন বাংলাদেশের বিপর্যয়ের ছবি আঁকা থাকে। লেখকরা সমাজের প্রতিনিধি।সমাজের হৃদস্পন্দন যেন আপনাদের লেখায় প্রকাশিত হয়। আপনাদের দেশে যে মর্মঘাতী কাহিনী অভিনীত হয়ে গেছে তা যদি প্রকাশ করতে না পারেন; জানবেন—এই দুঃখ প্রকাশ করার ভাষা আমার নেই...এ’ও একটি কবিতা হবে।’



মানবেতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞের প্রত্যক্ষদর্শী হয়েও আমাদের সাহিত্যিক ও গবেষকরা এই হত্যাকন্ডের সামগ্রিক রূপরেখা বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আজও দেশবাসী সঠিক ভাবে জানেন না কারা কিভাবে গঠন করেছিল শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল বদর। কোন আন্তর্জাতিক চক্রান্তের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন আমাদের বুদ্ধিজীবিরা। স্বাধীনতাবিরোধী খুনী দালালদের পুনর্বাসনে স্বার্থান্ধ রাজনৈতিক নেতৃত্বের অবিমৃষ্যকারীতার পাশাপাশি সমাজের প্রতি বুদ্ধিজীবি শ্রেনীর দ্বায়িত্বহীনতাও কম দায়ী নয়।

আমাদের লেখক ও গবেষকদের সেই দ্বায়িত্ববোধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা হিসাবে আমাদের এই প্রয়াস। এতে তথ্যের স্বল্পতা আছে, কারণ তথ্যের সূত্র হিসেবে গবেষণাজাত কোন গ্রন্থ খুঁজে পাওয়া যায় নি। আমরা আশা করব যোগ্য গবেষকরা এগিয়ে আসবেন,আমাদের অসম্পূর্ণতা দূর করে ভবিষ্যত্ প্রজন্মের জন্য ইতিহাসের এই কালো অধ্যায়টি যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করবেন।



সরকারী পৃষ্ঠপোষকাতায় পনের খন্ডে সমাপ্ত স্বাধীনতাযুদ্ধের যে ইতিহাস রচনা কারা হয়েছে, পড়লে পরিষ্কার বোঝা যায় মূলতঃ দালালদের ভূমিকাকে অত্যন্ত সুকৌশলে চেপে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই তা প্রনিত হয়েছে। দালালদের ভূমিকা প্রকাশের জন্য সব চেয়ে উপযোগী দলিলগুলিই এতে মুদ্রিত হয় নি; তদুপরি যে সমস্ত দলিল মুখরক্ষার জন্য ছাপা হয়েছে তাতেও বিকৃতি ঘটনো হয়েছে দালালদের পরিচয় গোপন রাখার মাধ্যমে। আমরা, কেউই আমাদের গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধীতাকারী, গণহত্যার নায়ক, দালালদের সবাইকে চিনি না বা তাদের তত্কালীন ঘৃণ্য কার্যকলাপ সম্পর্কে অবহিত নই। স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসগ্রন্থে কিভাবে দালালদের রক্ষার জন্য বিকৃতি ঘটানো হয়েছে তার একটি দৃষ্টান্ত এই গ্রন্থেই দেয়া হয়েছে।



বাঙ্গালী জাতির জন্য এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, স্বাধীন বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যতগুলি সরকার গঠিত হয়েছে, প্রত্যেকে একাত্তরের ঘাতকদের পুনর্বাসনের জন্য কম বেশি দায়ী। শেখ মুজিবুর রহমান ঘাতক ও দালালদের বিচার না করে ক্ষমা করেছিলেন, জিয়াউর রহমান তাদের রাজনীতি করার অধিকার দিয়ে নিজের মন্ত্রীসভায়ও ঠাই দিয়েছেন এবং বর্তমানে হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ একই নীতি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছেন। জিয়াউর রহমান এবং হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা খারিজ করেছেন এই ঘাতকদের সন্তুষ্ট করার জন্য। জিয়াউর রহমান নিজে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং ক্ষমতায় থাকাকালীন বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার কথা বলেছেন। অথচ তিনিই শাহ আজিজুর রহমান, মাওলানা আবদুল মান্নান ও আবদুল আলীমের মতো দালাল ও ঘাতকদের মন্ত্রীসভায় স্থান দিয়েছেন। একই ভাবে বর্তমান রাষ্ট্রপতিও নিজে মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবী করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার কথা বলেন অথচ তিনিও দালাল ও ঘাতকদের মন্ত্রীসভায় স্থান দিয়েছেন; বরং দালালদের পৃষ্ঠপোষকতার ক্ষেত্রে তিনি তাঁর

পূর্বর্সরীকেও অতিক্রম করেছেন। ফলে এটা খুবই স্বাভাবিক যে এই সব সরকারের আমলে মুক্তিযুদ্ধের যে ইতিহাস রচিত হবে সেখানে সত্য গোপন করা হবে, ঘতকদের আড়াল করা হবে।



’৭১- এ গণহত্যাযজ্ঞের সময় দালালরা মুক্তিযোদ্ধাদের ‘অনুপ্রবেশকারী’, ‘দুষ্কৃতকারী’, ‘ভারতের চর’, ‘ব্রাহ্মণ্যবাদের দালাল’, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ ইত্যাতি আখ্যায় অভিহিত করলেও এগুলো দ্বারা মূলতঃ সাধারণ নিরপরাধ স্বাধীনতামনা বাঙ্গালীদেরকেই বোঝাত। সশস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল বড় জোর সোয়া লক্ষ, শহীদ হয়েছেন এর ক্ষুদ্র একটি অংশমাত্র। অথচ মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস ধরে বিভিন্ন বক্তৃতা বিবৃতিতে দালালরা দেশের সর্বত্র ‘দুষ্কৃতকারী’ ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’দের সমূলে উত্খাত করার কথা ঘোষণা করে বেড়িয়েছে। যুদ্ধের প্রথম দিকে যখন হানাদার বাহিনীর আকস্মিক আঘাতে বিপর্যস্ত প্রাণ ভয়ে ভীত নিরীহ জনসাধারণ পালিয়ে যাচ্ছিলেন, যখন মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিতভাবে অবরুদ্ধ বাংলাদেশে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করেন নি, তখনও এই ঘাতকের দল সর্বত্র ‘দুষ্কৃতকারী’ নির্মূল করে বেড়িয়েছে। সুতরাং দালারদের ‘দুষ্কৃতকারী নির্মূল’, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী উত্খাত’ ইত্যাদি কথার একটি মাত্র অর্থ হচ্ছে নিরপরাধ নিরস্ত্র অসহায় মানুয়ের নির্বিচার হত্যা।



এই গ্রন্থে দালাল হিসেবে তাদেরই নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যারা ’৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর কার্য়কলাপকে সমর্থন করেছেন, হত্যাযজ্ঞে সহযোগিতা করেছেন, নিজেরা অংশ নিয়েছেন এবং যাদের স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার ’৭২ সালে দালালীর অভিয়োগে অভিযুক্ত করেছে। ’৭১ সালে অবরুদ্ধ ঢাকার জাতীয় দৈনিকসমূহে দালালদের কার্যকলাপ গুরুত্বের সঙ্গেই লিপিবদ্ধ হয়েছে। এটা ঠিক যে সংবাদপত্রে তাদের নামই স্থান পেয়েছে যাদের নাম সংবাদ হওয়ার মতো গুরুত্ব বহন করত। এমনও দেখা গেছে কারো কারো দালালীর তত্পরতা ’৭১-এর সংবাদপত্রে লিপিবদ্ধ হয় নি কিম্বা ’৭২ সালে সরকার বা কোন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও তাদের বিরুদ্ধে দালালীর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয় নি, অথচ পরবর্তীকালে এই সব পাতি দালালরা জাতীয় রাজনীতি মঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে তাদের নাম এই গ্রন্থে উল্লেখ করা সম্ভব হয় নি। যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের চরিত্র নির্ণয়ের জন্য সেটুকু যথেষ্ট বলে আমরা মনে করি।



গ্রন্থে স্বাধীনতাবিরোধী মূল সংগঠনগুলির উত্পত্তি ও কার্যকলাপের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করে নেতৃবৃন্দের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এরা সহ সংশ্লিষ্ট অন্যদের নামের তালিকা এবং বর্তমান অবস্থান যথা সম্ভব পরিশিষ্টে সংযোজিত হয়েছে। মূল আলোচনায় নাম নেই বলেই কোন দালালের স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকাকে লঘু করে দেখা ঠিক হবে না। পরিশিষ্টে নামের তালিকা দেয়া হয়েছে সংগঠন, দল বা গোষ্ঠী ভিত্তিতে। যারা এই সব সংগঠন বা গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত নন (যেমন শর্ষিণার পীর) এবং বর্তমানে যারা গুরুত্বপূর্ণ পদে বা দায়িত্বে নিয়োজিত তাদের কীর্তিকলাপ মূলগ্রন্থে রয়েছে। আমরা এ গ্রন্থ রচনায় ’৭১ এ ’৭২-এর সংবাদপত্র, সরকারী সার্কুলার ও গেজেটকে গুরুত্ব দিয়েছি, এবং এসব সূত্র থেকে প্রাপ্ত জাতীয় পর্যায়ে আলোচিত দালাল ও ঘতকদের নাম ও কার্যকলাপ যতদূর সম্ভব উল্লেখ করেছি। যে সব ক্ষেত্রে সূত্রের উল্লেখ করা হয় নি; সে সবও উপরোক্ত উত্স থেকে প্রাপ্ত। এরপরও যদি এমন কারো নাম বাদ পড়েছে বলে জানতে পারি, যাদের বিরুদ্ধে দালালীর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, অবশ্যই এই গ্রন্থের পরবর্তী সংস্করণে তাদের নাম উল্লেখ করা হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:
দয়া করে আগের পর্বগুলোকে পরের পর্বের সাথে যুক্ত (লিংক) করে দিয়েন। আর পর্বের ক্রমিক ঠিক রেখে কাজটি করবেন।

আপনাকে সাধুবাদ যে ব্লগে এমন একটি লেখার খুবই দরকার ছিল, এবং আপনি তা করার উদ্যোগ নিয়েছেন।

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬

সাইফুর রহমান. বলেছেন: ঠিক আছে ভাই আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো পুরো বইটা গুছিয়ে ব্লগ আকারে প্রকাশের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.