নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাতিষ্মর

বেঁচে থাকার মহত্তম উদ্দেশ্যটা খুজে ফিরছি

সাইফুর রহমান.

বেঁচে থাকার মহত্তম উদ্দেশ্যটা খুজে ফিরছি

সাইফুর রহমান. › বিস্তারিত পোস্টঃ

একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায় - ৪

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫২

‘দালালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে’

শেখ মুজিবের প্রতিজ্ঞা



১০ জানুয়ারী পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ঢাকায় ফিরে আসন শেখ মুজিবুর রহমান। ওই দিন রমনা রেসকোর্স ময়দানে ক্রন্দনরত অবস্থায় শেখ মুজিব বলেন, ‘বিশ্বকে মানবেতিহাসের এই জঘন্যতম হত্যাকান্ডের তদন্ত অবশ্যই করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক দল এই বর্বরতার তদন্ত করুক এই আমার কামনা।’ (দৈনিক বাংলা, ১১/১/৭২)



এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন সভায়, সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা কালে কিংবা দেশী-বিদেশী অন্যান্য প্রচার মাধ্যমে সাক্ষাত্কারে গণহত্যার নিন্দা করে বাংলার মাটিতে দালালদের অবশ্যই বিচার করা হবে বলে বক্তব্য রাখেন।



১০ জানুয়ারীর জনসভাতেই তিনি বলেন, ‘যারা দালালী করেছে, আমার শত শত দেশবাসীকে হত্যা করেছে , মা বোনকে বেইজ্জতি করেছে, তাদের কি করে ক্ষমা করা যায়? তাদের কোন অবস্থাতেই ক্ষমা করা হবে না, বিচার করে তাদের অবশ্যই শাস্তি দেয়া হবে।’ এ জন্য দায়িত্ব সরকারের হাতে ছেড়ে দেয়ার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখিয়ে দিতে চাই শান্তিপ্রিয় বাঙালীরা স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিতে জানে, তেমনি শান্তি বজায় রাখতেও জানে।’ (প্রাগুক্ত)



১২ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করার পর শেখ মুজিব গণহত্যাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়া যাবে না বলে দৃঢ়মত প্রকাশ করে বলেন, ‘লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের কাহিনী আমারা শুনেছি, তবু বাংলার মানুষ এত নীচে নামবে না, বরং যা মানবিক তাই করবে, তবে অপরাধীদের আইনানুযায়ী অবশ্যই বিচার হবে।’ (দৈনিক বাংলা, ১৩/১/৭২)



১৪ জানুয়ারী আওয়ামী লীগ অফিসে তিনি আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রতিশোধ গ্রহণের পথ পরিহার করার জন্য বিশেষভাবে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘দালালদেরকে অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।’ (পূর্বদেশ, ১৫/১/৭২)



৬ ফেব্রুয়ারী কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে দশ লক্ষ লোকের বৃহত্তম জন সমাবেশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যারা গণহত্যা চালিয়েছে তারা সমগ্র মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, এদের ক্ষমা করলে ইতিহাস আমাকে ক্ষমা করবে না।’ (দৈনিক বাংলা, ৭/২/৭২)



ঢাকায় ২১ ফেব্রুয়ারী জনসভায় তিনি বলেন, ‘বাংলার মাটিতেই খুনীদের বিচার হবে।’(দৈনিক বাংলা ২৩/২/৭২)



৩০ মার্চ চট্টগ্রামের জনসভায় গণহত্যাকারীদের ‘নমরুদ’ বলে আখ্যায়িত করে তিনি প্রশ্ন করেন দালালদের ক্ষমা করা হবে কি না, সমবেত জনতা হাত তুলে বলে ‘না,’ ‘না।’ (পূর্বদেশ, ৩১/৩/৭২)



৩১ মার্চ খুলনার জনসভায় শেখ মুজিব বলেন, ‘বর্বর হানাদার বাহিনীর সাথে স্থানীয় সহযোগী রাজাকার, আলবদর, জামাত প্রভৃতি যোগ দেয়। তারা জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। যদি কেউ দালালদের জন্য সুপারিশ করতে আসে তবে তাকেই দালাল সাব্যস্ত করা হবে, দালালদের কখনোই ক্ষমা করে দেয়া হবে না।’ (পূর্বদেশ, ১/৪/৭২)



২৬ এপ্রিল তিনি দিল্লী স্টেটসম্যান পত্রিকার সাংবাদিক কুলদীপ নায়ারের সঙ্গে সাক্ষাত্কারে বলেন, ‘যারা গণহত্যা করেছে তাদের এর পরিণতি থেকে রেহাই দেয়া যায় না। এরা আমার ত্রিশ লাখ লোককে হত্যা করেছে। এদের ক্ষমা করলে ভবিষ্যত্ বংশধরগণ এবং বিশ্ব সমাজ আমাদের ক্ষমা করবেন না।’ (দৈনিক বাংলা, ৩০/৪/৭২)



৬ মে আমেরিকান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের (এবিসি) সাথে এক টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে শেখ মুজিব যুদ্ধাপরাধীদের প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি অবশ্যই তাদের বিচার করব, এ ব্যাপারে বিতর্কের কোন অবকাশ নেই। যেখানে তারা ত্রিশ লাখ লোককে হত্যা করেছে সেখানে কোন দেশ কি তাদের ছেড়ে দিতে পারে? এই সাক্ষত্কারেই দালালদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দালালদের কেসগুলো একটি তদন্ত কমিশন কর্তৃক বিবেচিত হবে। আমরা তদন্ত করছি এবং নির্দোষ লোকদের ছেড়ে দিচ্ছি, অবশ্য যারা অপরাধ সংগঠনের জন্য দায়ী নিশ্চিতভাবেই তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।’ (আজাদ, ১৫/৫/৭২)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০২

মো কবির বলেছেন:
কেন ভাই, তাদের বিচার করবেন নাকি ?
পারবেনতো নাকি আপনি নিজেই আবার লুঙ্গি রেখে দৌড় মারবেন।

নেন এইখানে একাত্তরের ঘাতক দালালরা, দেখি আপনি কি করেন
Click This Link

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১০

সাইফুর রহমান. বলেছেন: আপনি রাজাকারের ফাঁসি চান কিন্ত গো আজম নিযামির টা চান না !!! আপনার পরিচয় আমি পেয়ে গেছি ।

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২০

মো কবির বলেছেন: @সাইফুর রহমান, আপনার পরিচয়তো আমি আগেই পেয়েছি, আর আপনি আজিবন চেষ্টা করেও আমার পরিচয় পাইবনে না, কারন আমি আপনার মতো না।

কে আজম, কে কি আমি সেটা জানি না। কিংবা আমি সেটা খুজতে যাব না।

৭১'রে শুধু রাজাকার ছিল,ছিল আলবদর, আলশামস, ইত্যাদি কিন্তু জামায়াত বলে কিছু ছিল না।

সুতরাং আমি রাজাকার,আলবদর, আলশামস এদের বিচার চাই। কে এর মধ্যে আছে, কে নাই, সেটা আমার জানার বিষয় না।
যারা এর মধ্যে পরে সবার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার চাই।


আর সেটা কোন দিনও হাসিনা-খালেদার পক্ষে সম্ভব নয়।
যারা আবেগের বসে কাজ করে তারা কোন দিনও বুঝতে পারবে না।

স্বাধীনতার ৪২ বছর পেরিয়ে গেছে আজও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হয় নি, যে কোন সচেতন নাগরিকের নিকট একটা বড়ই লজ্জার বিষয়।
হাসিনা-খালেদা এই দুই সরকারের যোদ্ধা পরাধীদের বিচার করার কোন যোগ্যতা নেই। কেননা এই দুইদল আগেই জামায়াতের সাথে সংসার করে রেখেছে, যৌক্তিক ভাবেই এই দুই সরকারের যোগ্যতা নেই তাদের বিচার করার আর যদি তারা চেষ্টা করেও তবে সেটা হবে একটা সাজানো নাটক।আর বর্তমানে আওয়ামীলীগ মুলত চাইছে শুধু জামায়েতকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে, অথবা আওয়ামীলীগের সাথে হাত ৯৬’এর মতো আবার হাত মিলাতে

একটা সত্যি কথা যে, যার বুকে সৎ সাহস নেই সে কোন দিনও সৎ বিচার করতে পারেনা, যুদ্ধাপরাধীদের বর্তমান বিচারকার্য দেখে এটা স্পষ্ট বর্তমান আওয়ামীলীগের সৎ সাহস নেই, কারন আগে তারা জামায়েতের সাথে সংসার করে অসৎ হয়ে গেছে। যদি তাই না হয় তবে কেন ওদের গত ৪/২/১৩ তারিখে শাহবাগ মোড়ে, মতিঝিল মোড়ে এবং সাড়া দেশে সমাবেশ করতে দেওয়া হল ????

আরেকটি দিক হচ্ছে হঠাৎ করে পুলিশ ওদের সম্মান দেখাতে শুরু করেছে আগে যেখানে জামায়াতের মিছিলে বাঁধা দিত, সেখানে এখন পুলিশই নেই।:|
এটা স্পষ্ট হয়তো আওয়ামীলীগ ওদের সাথে হাতাত করে ফেলেছে ৯৬’এর মতো।
আমরা একজন অচেতন মানুষ কিন্তু সচেতন না যদি সচেতন হতাম তবে একজন মুক্তি যোদ্ধা যিনি ছিলেন তিনি এই কাদের মোল্লার মামলার অন্নতম সাক্ষী। তার কথা শুনে লজ্জায় আপনার মাথা হেট হয়ে যাওয়ার কথা,আজ তিনি ATN NEWS কে, হতাশ হয়ে LIVE অনুষ্ঠানে কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন " আমি দেশের সবাইকে বলছি আমি যদি মারা যাই এই দেশে আমায় মাটি দিওনা,আমাকে Sweden এ নিয়ে যেও.. এত কষ্ট করে এত দূর থেকে এসে যার বিপক্ষে সাক্ষী দিলাম তার রায় আজ যাবজ্জীবন ! আমি জানি জামায়াতের অন্যতম টার্গেট আমি, হয়তো দেখবেন আমার লাশ এই বাংলার কোথাও পরে আছে সেদিন আমাকে তোমরা এই বাংলায় মাটি দিওনা " একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা কতটা কষ্ট পেলে এই কথা বলতে পারেন। একবার চিমটি কেটে দেখুন তো এই কথা শুনার পর আপনার অনুভুতি শক্তি ঠিক আছে কি না।/:)

‘আমি ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। এই রায় আমি চাইনি।’
গত মঙ্গলবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-২-এ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত আবদুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় শুনে টেলিফোনে এমন মন্তব্যই করেন শহীদ কবি মেহেরুননিসার বন্ধু ও কবি কাজী রোজী। কথা বলতে গিয়ে কান্নায় তাঁর গলা ভেঙে আসছিল। :((


এই নোংরা রাজনীতিবিদদের কাছে আর কিছু আশা করা মানে দেশটাকে ধ্বংস করার জন্য শিয়ালের কাছে মুরগি লালন পালন করার মতো কাজ দেয়া।
এত বড় বড় ঘটনা রেল, পদ্মা, বিশ্বজিৎ, শেয়ার মার্কেট ইত্ত্যাদি সবকিছু ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে তবু তাদেরকেই আবার শাস্তির বদলে দেয়া হচ্ছে দেশপ্রেমিকের মর্যাদা।X((

দেশের মানসম্মানের চেয়ে ব্যক্তি আবুল-হাসিনা,খালেদা এদের মানসম্মান ই বেশি,দেশের স্বার্থের কাছে এদের স্বার্থটাই সবচেয়ে বড়।
ওদের লোভের কাছে সব কিছু তুচ্ছ।X((

তাই আসুন একজন অচেতন নেতা না হয়ে বরং একজন সচেতন নাগরিক হই।

সবার সার্বিক সহযোগিতায়, সবার জন্য তথা আগামী প্রজম্নের জন্য গড়ি রাজাকার এবং দুর্নীতি মুক্ত একটি সুন্দর শ্যামল সবুজ বাংলাদেশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.