নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দীপ ছিলো, শিখা ছিলো, শুধু তুমি ছিলেনা বলে...

শায়মা

দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...

শায়মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প ও দেশীয় ঐতিহ্যে শাড়ি

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৯


বাংলার নারী ও শাড়ি যেন একে অন্যের সাথে জড়িয়ে রয়েছে হাজার বছর ধরে। একজন বঙ্গললনার ছবি সে এক অতি সাধারণ মানুষের ভাবনা থেকে শুরু করে বিখ্যাত কবি সাহিত্যিকের কল্পনাতে আসলেও সে শাড়ি পরেই আসে। এই শাড়ি কিংবা বারো/তেরো হাতের একটি বস্ত্রখন্ড ঘিরে রয়েছে একটি দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টি। বাংলাদেশের নানা অঞ্চলে অঞ্চলভিত্তিক নানা রকম শাড়ি তৈরী হয়। এই শাড়ি তৈরীর কারিগরেরা তাদের সবটুকু শ্রম, সাধ্য, শিল্পমনস্কতা ও ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তোলেন এক একটি শাড়ি। সেই শাড়ি এক একটি বাঙ্গালী রমনীর জীবনে নানা ক্ষনে নানা পালা পার্বণ ও উৎসবে জড়িয়ে থাকে এক একটি ভালোবাসা, ভালোলাগা, প্রেম উপহার অথবা অতি সাধারণ কোনো ইতিহাস হয়ে।

ঢাকাই মসলিন
আমাদের দেশের বস্ত্রশিল্পের ইতিহাস বড়ই সমৃদ্ধ। ঢাকাই মসলিন বা আমাদের হারিয়ে যাওয়া সেই সোনালী ইতিহাসের কথা সকলেরই জানা। এই মসলিন শাড়ি নাকি এতই সুক্ষ আর পেলব কোমল সুতোয় বোনা হত যে, তা ভাঁজ করলে বিশাল ১৩ হাত শাড়ীটাও ঠিকঠাক ভরে ফেলা যেত একটি ছোট্ট দিয়াশলাই বাক্সে। ভালো সুতোর মসলিন শাড়ী তো একটা ছোট আংটির মধ্যে দিয়েও ঢুকিয়ে নেওয়া যেত ঈসা খাঁ এর আমলে! এমনই নানা রকম কিংবদন্তী ছড়িয়ে আছে ঢাকাই মসলিন নিয়ে। মসলিন নিয়ে গল্প-গাঁথা আর কিংবদন্তীর কোনো শেষ নেই । এছাড়াও শোনা যায় মসলিন কারিগর যাতে তার শিক্ষা আর কাউকে না শিখিয়ে দিতে পারে তার জন্য নাকি তাদের আঙুল কেটে ফেলা হত। এসব কতটুকু সত্যি আর কতটুকু মিথ্যা তার কোনো হদিস প্রমান অবশ্য পাওয়া যায়না তবে যুগে যুগে এসব গল্পই প্রচলিত হয়ে আসছে মসলিন শাড়ি নিয়ে।

মসুল বা মসলিনের ইতিহাস
মসলিনের নামারকণের কারন নাকি মসুল নামক ইরাকের এক ব্যবসা কেন্দ্র। সেই আমলে ইরাকের প্রখ্যাত ব্যবসা কেন্দ্র মসূলে তৈরি হত সূক্ষ্ম সব কাপড় আর তাই ইংরেজরাই আমাদের এই সূক্ষ্ম কাপড়ের নাম দিয়েছিলেন মসলিন। মুঘল আমলে সতেরো শতকে মসলিন শিল্প বিকাশ লাভ করেছিল ঢাকার সোনারগাঁ আর তার আশেপাশের অঞ্চলগুলোয়। বিস্ময়কর সৌন্দর্য্যের এই সুক্ষ কাপড় মসলিন রপ্তানি হতো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। মসলিন কাপড় বুনতে সাধারনত মেয়েরাই সুতা কাঁটা আর সূক্ষ্ম সুতা তোলার কাজগুলো করতো। সুতা তোলার সময় কম তাপ এবং আর্দ্রতার দরকার হতো। তাই একেবারে ভোর বেলা আর বিকালের পরে এ কাজ করা হতো। অবাক করা ব্যাপার শোনা যায় আর্দ্রতার খোঁজে নাকি অনেক সময় এমনকি নদীতে নৌকার ওপর বসে সুতা কাটার কাজ চলত। মসলিন তৈরি নিয়ে আরও একটি গল্প প্রচলিত আছে যে মেয়েদের বয়স ২০ পেরিয়ে গেলেই তাদেরকে দিয়ে নাকি মসলিন কাপড় বানানো হত না। মসলিন কাপড় বোনার জন্য চাই কোমল পেলব হাত। ২০ বছরের পরের বয়সী মেয়েদের হাতে নাকি সেই পেলবতা পাওয়া যায়না। আর তা ছাড়াও মসলিনে সূক্ষ্ম সুতা কাটার জন্য তরুণী মেয়েদের ব্যবহার করার আরেকটি কারণ তাদের তরুন দৃষ্টিশক্তি ও হাতের সাহায্যে যে সূক্ষ্মতা অনুভূত হয় তা মসলিন তৈরীর জন্য বিশেষ জরুরী। বয়স বাড়লে সেই অনুভূতিগুলো নাকি নষ্ট হয়ে যায় এমনি ধারনা ছিলো তখনকার মসলিন কারিগরদের। যাইহোক মসলিন তৈরির কাজটি ছিল ভীষন জটিল, কঠিন, সময়সাধ্য আর তারচাইতেও বড় কথা, সেটা তৈরির জন্য দরকার হতো অসামান্য নৈপুণ্য আর পরম ধৈর্য।

মসলিন তৈরি করার জন্য দরকার হতো বিশেষ ধরনের তুলা বা কার্পাস। এই কার্পাস জন্মাতো মেঘনা নদীর তীরে। আরও একটি মজার ইতিহাস কাপাসিয়া জায়গাটির নামটাও নাকি এসেছে এই কার্পাস তুলা হতেই। মুঘল আমলে ঢাকা যখন রাজধানী হয় তখন থেকেই এই মসলিনের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে নানাদিকে । সম্রাট নবাবদের কাছে এই মসলিন কাপড়ের কদর ছিলো অনেক বেশী। সে যুগে মসলিন তৈরির জন্য বিখ্যাত ছিল ঢাকা, ধামরাই, সোনারগাঁ, টিটবাদি, জঙ্গলবাড়ি আর বাজিতপুর। জঙ্গলবাড়ি থেকে কিছু দূরে বাজিতপুরে জন্মাতো উচুঁমানের কার্পাস আর তাই থেকে তৈরি হতো সেই জগৎ বিখ্যাত মসলিন। জানা যায় ঢাকাতে সাতশ' ঘরের বেশি ছিলো এই মসলিন কারিগর।মসলিন কাপড় ধোয়াটাও নাকি এক বিশেষ যত্নের ব্যাপার ছিলো। সম্রাট আকবর এর আমালে সোনারগাঁ'র কাছে এগোরো সিন্ধুর পানি কাপড় ধোয়ার জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। আসলে এটা যে শুধু পানির গুনে হতো তা নয়, এর সাথে ছিল ভাল ক্ষার বা সাবান আর ধোপার দক্ষতা।

মসলিন নিয়ে আরও কিছু বিস্ময়
১৮৫১ সালে লন্ডনে এক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে এই মসলিনের এক পাউন্ড সুতার দৈর্ঘ্য নাকি প্রায় আড়াইশো মাইল ছিল ! মসলিন সম্বন্ধে, "মর্নিং ক্রনিকল" পত্রিকায় লেখা হয়- হাবিবুল্লাহ তাঁতির বোনা দশ গজ লম্বা একখন্ড মসলিনের ওজন ছিলো মাত্র তিন আউন্স ! 'India of Ancient and Middle Age' বইটিতে পাওয়া যায়, ঘাসের ওপর বিছানো একটি সুদীর্ঘ মসলিন শাড়ি একটি গরু খেয়ে ফেলেছিল। এর কারণ ছিলো কাপড়টির স্বচ্ছতা ! অবশ্য মহামূল্যবান এই শাড়িটি খেয়ে ফেলবার জন্য গরুটির মালিককে দন্ডিত করা হয়।

মানে গুণে ও বিচারে মসলিন
মসলিনের মূল্যমান নির্ধারিত হত সুতার সূক্ষ্মতা, বুনন আর নকশা বিচারে। সূক্ষ্মতা, স্বচ্ছতা বা মানের ওপর ভিত্তি করে মসলিনের বিভিন্ন নামকরণ করা হতো। যেমন মলমল (সূক্ষ্মতম বস্ত্র), তানজেব (দেহের ভূষণ), আবই-রওয়ান (প্রবহমান পানির তুল্য বস্ত্র), খাস (মিহি বা জমকালো), শব-নম (ভোরের শিশির), আলাবালি (অতি মিহি), ডোরিয়া (ডোরাকাটা) ইত্যাদি। "মলবুস/মলমল খাস" ছিল সবচেয়ে নামী, সেরা মসলিন। সম্রাটের জন্য তৈরি হত এই মসলিন।
দশ গজ লম্বা আর এক গজ চওড়া মলমল খাসের ওজন হত মাত্র ছয় তোলার মতো, যা অনায়াসে ছোট্ট একটা আংটির ভিতর দিয়ে গলে যেত! মলবুস খাসের সমগোত্রীয় আরেকটি মসলিন "সরকার-ই আলা"। দশগজ লম্বা আর একগজ চওড়া 'সরকার-ই আলা'-র ওজন হত দশ তোলার মতো। ঝুনা মসলিনে সুতার পরিমান থাকতো কম- দেখতে হত অনেকটা জালের মত। ঝুনা হিন্দী শব্দ যার অর্থ 'সূক্ষ্ম'। নকশা করা মসলিনকে বলা হতো জামদানি, কিন্তু আজকের জামদানির সাথে আদি জামদানির বলতে গেলে কোনো মিলই পাওয়া যাবেনা।

১৭৫৭ সালের পলাশী যুদ্ধের পর ইংরেজরা বছরে আট লাখ টাকার মসলিন রপ্তানী করতো। সেই সময়ে ফরাসিরা কিনেছিলো প্রায় তিন লাখ টাকার মসলিন। এরা ছাড়াও ইরানি, তুরানি, আর্মেনীয়দের পাশাপাশি দেশী ব্যবসায়ীরাও এ নিয়ে ব্যবসা করতেন।
পরবর্তীতে মসলিন রপ্তানীর ব্যবসা প্রায় পুরোটাই করায়ত্ত করে নেয় ইংরেজ কোম্পানি। তাদের রপ্তানী হত মূলত ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে। পলাশীর যুদ্ধের আগ পর্যন্ত দালালরা বিভিন্ন জায়গা থেকে দামি মসলিন সংগ্রহ করে কোম্পানিতে সরবরাহ করতো। ইংরেজরা নাকি মসলিন তাঁতীদের আঙুল কেটে ফেলতো। আবার এও শোনা যায় যে তাঁতীরা নিজেরাই নাকি নিজেদের আঙুল কেটে ফেলতো, যাতে করে এই অমানুষিক পরিশ্রম আর কম পারিশ্রমিকের কাজে তাদের বাধ্য না করা হয়।

হারিয়ে যাওয়া মসলিন ও হৃত গৌরব পুনুরুদ্ধারের প্রচেষ্টা
আজ কালের গর্ভে নিশ্চিহ্ন হয়েছে সেই অসামান্য যাদুকরী সৌন্দর্য্য! সেই জগৎ বিখ্যাত মসলিন আর নেই । মসলিনের এমন বিলুপ্তির কারন সম্পর্কে ১৮৪৪ সালে ঢাকার কমিশনার আই. ডানবারের মতামতগুলি ছিলো-
১) ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লবের ফলে সস্তায় সুতা আর কাপড় উৎপন্ন হতে থাকে। ফলে দামি মসলিনের চাহিদা কমে যায়।
২) বিলেতের সস্তা সুতা ঢাকায়, ভারতে আসতে থাকে, সে থেকে তৈরি হতে থাকে কাপড়, হারিয়ে যেতে থাকে মসলিন।
৩) বিলেতে ঢাকাই মসলিনের ওপরে উচ্চহারে কর আরোপ করা হয়, ফলে মসলিনের দাম ওখানে বেড়ে যায় অস্বাভাবিক হারে। স্বভাবতই বিক্রি কমে যায় মসলিনের।
মসলিনের পড়তির সময়টায় পতন ঘটতে থাকে আমাদের নবাব-সম্রাটদেরও। তাছাড়া মুঘল সম্রাট, নবাব, ব্যবসায়ী-কেউই এ শিল্প রক্ষা কিংবা প্রসারে কোন সময়ই তেমন কোন উদ্যোগ নেননি এভাবেই ধীরে ধীরে আমাদের আরও অনেক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের মত হারিয়ে গিয়েছিলো মসলিনের গৌরব মন্ডিত সেই সোনালী দিন বা গোল্ডেন এইজ!!!।

গত বছরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মসলিনের হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যেই পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প হাতে নেয়। তাঁত বোর্ড, তুলা উন্নয়ন বোর্ড ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক নিয়ে এ-সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আগে ২০১৩ সালের শেষদিকে মসলিন কাপড় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছিলো দৃক। মসলিনের বুনন কৌশলটি ঠিকঠাকভাবে লিপিবদ্ধ না থাকাটা সঠিকভাবে মসলিনের বুননকার্য্যটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। দৃকের প্রধান নির্বাহী ও মসলিন প্রকল্পের উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম তিন বছর ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন কাপড় নিয়ে গবেষণা ও অধ্যয়ন করেন। তিনি বুঝতে পারেন, জামদানি আসলে মসলিনেরই একটি ধরন। তৈরি হয় সর্বোচ্চ ১০০ কাউন্ট সুতা দিয়ে।

জানা যায় ভারতে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার মসলিনের ব্যবসা হয়। এগুলোকে বলা হয় বেঙ্গল মসলিন। মসলিন তৈরির উপকরণ ফুটি কার্পাসের আবাদও আছে ভারতে। আমাদের কারিগরদের যে দক্ষতা রয়েছে, তা দিয়ে ঐতিহ্যবাহী মসলিন কাপড় ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করা হয়। বাংলাদেশের তাঁতিরা সাধারণত ৩০ কাউন্ট সুতার কাপড় তৈরি করে। অথচ মসলিনের জন্য দরকার ৩০০ কাউন্ট সুতা। বহুবার প্রচেষ্টার পর তাতীরা সফল হয়েছেন। সাইফূল ইসলাম ভারত থেকে ফুটি কার্পাসের বীজ এনে তুলা গবেষণাকেন্দ্রে চাষ করেছেন। সাম্প্রতিককালে ২৫০ কাউন্ট সুতার তৈরি কাপড়কেও মসলিন বলা হচ্ছে। দৃক সাত মাস সময় নিয়ে ৩০০ কাউন্ট সুতার মসলিন কাপড় তৈরি করেছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও ডেমরার তাঁতিরা এ কাজে যোগ দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটি এসব কাপড়ের নাম দিয়েছে ‘নতুন যুগের মসলিন’। একটি মসলিন শাড়ি তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে কয়েক লাখ টাকা। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. ফরিদ উদ্দিন বলেন, দৃকের এ উদ্যোগে বাংলাদেশে মসলিনের ফিরে আসার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

জামদানি
প্রায় হারিয়ে গেছে মসলিন কিন্তু বেঁচে আছে আজও বাংলার নানা ঐতিহ্যবাহী শাড়ি জামদানি, টাঙ্গাইল, রাজশাহী সিল্ক, মিরপুরী কাতান, খাদি ও আরও নানা রকম বর্ণ ও বৈচিত্রের শাড়ি। এর মাঝে সবার প্রথমেই আসে জামদানি শাড়ির নাম। ঢাকাই মসলিনের মত জামদানিও কার্পাস তুলা দিয়ে প্রস্তুত একধরনের সূক্ষ্ম বস্ত্র। সম্পূর্ণ হাতে তৈরি রেশম এবং তুলার সুতার সংমিশ্রনে প্রস্তুত এই শাড়ী যা মোঘল আমল থেকে এখনও সর্বজন সমাদৃত । জামদানি শাড়ীর ডিজাইন গুলো জ্যামিতিক, ওজনে হালকা এবং ব্যবহারে অনেক আরামদায়ক হয়। তাই অভিজাত মহিলাদের কাছে এই শাড়ীর কদর অনেক।
জামদানি শাড়ী ২ প্রকারঃ
১) হাফ সিল্ক জামদানি – যার আড়াআড়ি সুতাগুলো হয় রেশমের আর লম্বালম্বি সুতাগুলো তুলার হয়।
২) ফুল কটন জামদানি- যা সম্পূর্ণ তুলার সুতার তৈরি।
প্রাচীনকানের সেই মিহি মসলিন কাপড়ের উত্তরাধিকারীই এই জামদানি শাড়ি।

জামদানির নামাকরণ
জামদানির নামকরণ নিয়ে রয়েছে নানা ধরনের মত। ফার্সি শব্দে জামা অর্থ কাপড়, দানা অর্থ বুটিদার সেই বিচারে জামদানিকে বুটিদার কাপড় বলা যেতে পারে। আরেকটি মতে, ফার্সিতে জাম অর্থ এক ধরনের উৎকৃষ্ট মদ এবং দানি অর্থ পেয়ালা। জাম পরিবেশনকারী ইরানী সাকীর পরনে থাকতো মসলিন সেই হিসাবে জামদানী নামের উৎপত্তি ঘটেছে বলেও মনে করা হয়।

জামদানি নকশা
জামদানি বিখ্যাত ছিল তার বিচিত্র নকশার কারণে। প্রতিটি নকশার ছিল ভিন্ন নাম, পান্নাহাজার, বুটিদার, দুবলিজাল, তেরসা, ঝালর, ময়ূরপাখা, কলমিলতা, পুইলতা, কল্কাপাড়, কচুপাতা, আঙুরলতা, প্রজাপতি, শাপলাফুল, জুঁইবুটি, চন্দ্রপাড়, হংসবলাকা, শবনম, ঝুমকা, জবাফুল ইত্যাদি।ভিন্ন জ্যামিতিক বৈশিষ্ট্যের বয়নশিল্প হিসেবে প্রাচ্যের বয়নশিল্পের ধারাবাহিকতা রক্ষায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল জামদানী মোটিভ। এই মোটিভে খুব সহজেই কাপড়ের ভেতর ছায়ার মাঝে তৈরি করা যায় নকশার প্রতিবিম্ব। মোটিভগুলো জ্যামিতিক আইন অনুসরণ করলেও তা শুধুমাত্র রেখা, চারকোনা কিংবা ত্রিভুজ নয় বরং তা দিয়ে ফুল, লতা-পাতা থেকে শুরু করে ফুটে উঠে নানা রকম ডিজাইন বিন্যাস।
মোটিফ গুলো বির্মূত দেখালেও এগুলো সরাসরি প্রকৃতির সাথে সম্পৃক্ত এবং ফুল, লতাপাতা, প্রাণীকূলেরই সুন্দর বিন্যাস। একটি বিশেষ ফুলের মোটিফ যদি বিচ্ছিন্ন ভাবে জমিনে বিছানো থাকে তাকে বলা হয় বুটিদার। ফুলের কোনাকোনি বিন্যাসকে বলা হয় তেসরি এবং মোটিফের সংযুক্তিকে বলা হয় জাল। মোটিফ গুলো তাঁতীর পারিপার্শ্বিক পরিবেশের প্রভাবে প্রভাবিত বিধায় মোটিফ গুলোর নাম তাঁতীভেদে পরিবর্তিত হয়। প্রচলিত বুটি বা বুটাগুলোর নাম- বাঘনলী, হাঁস, ডালিম, ডুরিং, কাঁকড়া, সন্দেশ, প্রজাপতি, সাবুদানা, ছোটবুটি, পাতাবাহার, এরোপ্লেন, শাপলা, পানবুটা, বাঘের পাড়া, চিতা ফুল, ডুমুর ফুল, তারফুল, আমের কড়া, কানবালা ইত্যাদি। তেসরি কোনাকোনিভাবে অলংকরনের নাম- করাত, আদার ফনা, করলা, নিমপাতা, হাঁটুভাঙ্গা, পুঁই লতা, জুঁই, পুনা, চেলা ইত্যাদি গুলো বেশী প্রচলিত। ঐতিহ্যবাহী জাল গুলো হলো- চন্দ্রহার জাল, বুন্দির জাল, শাঁখা জাল, বেলপাতা জাল, মটর জাল, মুরুলি জাল, পান জাল, গনড়া জাল ইত্যাদি।অনেক গুলো মোটিফের সমন্বয়ে পাড়ের ডিজাইন করা হয়। অধিক ব্যবহৃত পাড় গুলো হলো- আঙুর লতা, গোলাপ ঝাড়, কিরিলতা, ময়ূর প্যাঁচ, কঁচুপাতা, খাঁড়া, সাল, টিন পাতা, ইঞ্চি, সুপারি ট্যাঙ্কি, কান্তি, বড় আম, কলসি, গাছ, চাদর কচিপাতা, ঘুরান পাড়, জাতি-পিঠা, পুঁইডগা ইত্যাদি। জামদানির পাড় ও জমিনে অপেক্ষাকৃত মোটা সুতায় বুননের মাধ্যমে ডিজাইন ফুটিয়ে তোলা হয়।
প্রাচীনকাল থেকেই মসলিন বা জামদানী কাপড় তৈরির জন্য শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় বরাবর পুরাতন সোনারগাঁ অঞ্চলটিই ছিল মূল কেন্দ্র। বর্তমানে রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ এবং সিদ্ধিরগঞ্জে প্রায় ১৫৫টি গ্রামে এই শিল্পের বর্তমান নিবাস।

বিকাশ
ঢাকাই মসলিনের স্বর্ণযুগ বলা হয় মুঘল আমলকে। এ সময় দেশে-বিদেশে মসলিন, জামদানির চাহিদা বাড়তে থাকে এবং শিল্পেরও ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়। তৎকালীন সময়ে ঢাকা থেকে প্রায় একলক্ষ টাকা মূল্যমানের মলমল-খাস মোঘল দরবারে রপ্তানি করা হত।
১৭৪৭ সালের হিসাব অনুযায়ী দিল্লীর বাদশাহ, বাংলার নবাব ও জগৎ শেঠের জন্য প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার জামদানি কেনা হয়। এছাড়া ইউরোপীয় ব্যবসায়ীগণ প্রায় নয় লাখ টাকার মসলিন কেনে। তবে আঠারো শতাব্দীর শেষের দিকে মসলিন রপ্তানি অনেকাংশে হ্রাস পায়। ১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার শাসনভার গ্রহণ করে। এদের নিযুক্ত গোমস্তারা নিজেদের স্বার্থে তাঁতিদের উপর নির্যাতন শুরু করে। তাঁতীরা কম মূল্যে কাপড় বিক্রি করতে রাজী না হলে তাদের মারধোর করা হতো।

জামদানি তৈরীর কৌশল ও প্রক্রিয়া
জামদানির জন্য প্রথমে চরকায় সুতা মোড়ানো হয়। সুতা বের করে তা রঙ করা হয়। তারপর সুতাকে বিমে মুড়িয়ে নেওয়া হয়। একটি বিমে মোড়া সুতা দিয়ে ৪টি কাপড় বোনা যায়। মোটিফ তৈরী, পাড়, আঁচলে রঙ ভেদে বিভিন্ন মাকু ব্যবহৃত হয়। তেঁতুল গাছের কাঠ বা বাঁশ থেকে উন্নতমানের মাকু তৈরী করা হয়। বুটির একটি সূতা চালানোর পর পড়েনের একটি সূতা চালিয়ে সানা দিয়ে খাপানো হয়। তারপর আর একটি বুটির সূতা, এভাবে পর্যায়ক্রমে সূতা চালিয়ে বুটি শেষ করা হয়।
১: রেশমি গুটি থেকে প্রস্তুত সুতা মূল শাড়ি প্রস্তুতের জন্য তাতে সাজানো হয়।
২: গুটি থেকে প্রস্তুত সুতা রঙ করা হয়।
৩: রঙ করা সুতা বোনার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
৪: সুতাকে শক্ত করার জন্য কয়েক ধাপে ভাতের মাড় দিয়ে শুকানো হয়।
৫: রোদে শুকানো সুতা তাতে নেয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
৬: সাধারণ হাত-তাঁতে মূল শাড়ি রেখে তাতে রঙিন সুতা দিয়ে নকশা করা হয়।
৭: নকশা করার সময় আরো একবার ভাতের মাড় দেয়া হয়।
৮: তারপর শাড়িতে নকশা তোলা শুরু হয়।
৯: রকমারি রঙের সুতা আর নকশায় শাড়ি সাজানো হয়।
জামদানি শাড়ীর বুনন শেষ হলে চলে ধৌতকরন ও মাড় দেয়ার প্রক্রিয়া। অতঃপর এটি স্থানীয় হাট অথবা অন্যান্য বাণিজ্য প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। একটি জামদানী শাড়ি বোনা শেষ করতে ৭ দিন থেকে ৬ মাস সময় লাগে। জরি ও লাচ্ছি জরির শাড়ির জন্য সময় লাগে বেশি। বাজারে একটি জামদানী শাড়ির দাম ৩ হাজার থেকে শুরু করে ৩০-৪০ হাজার এমনকি লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু একটি শাড়িতে মাত্র ৪শ-৫শ টাকার সুতা লাগে। আসলে টাকার চেয়ে শ্রম ও সময় বেশি লাগে বলেই জামদানীর এত দাম।
যুগ যুগ ধরে জামদানী তাঁতীরা কাগজের প্যার্টানকে তাদের মুখস্ত মৌখিক কৌশলে রূপান্তর করেছে, যাকে বলা হয় বুলি। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় জামদানী তাঁতীরা বেশিরভাগই অশিক্ষিত বা স্বল্প শিক্ষায় শিক্ষিত। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষার অভাবে সত্ত্বেও তাদের মস্তিস্ক একজন গণিতবিদের মতোই ধারালো। যত জটিল প্যার্টানই হোক না কেন তা ওস্তাদের মনে গাঁথা থাকে এবং বংশানুক্রমিক ভাবে তা অনুসরণ করা হয়। তাঁতীরা কেবল জানে একটি মোটিফ তৈরীতে কিছু গাণিতিক সংখ্যা- কোন লিখিত বা অলংকিত দলিল নয়।

জামদানির সমাদরের কারণ
জামদানি বিখ্যাত ছিল তার বিচিত্র নকশার কারণে। প্রতিটি নকশার ছিল ভিন্ন ভিন্ন নাম, পান্নাহাজার, বুটিদার, দুবলিজাল, তেরসা, ঝালর, ময়ূরপাখা, কলমিলতা, পুইলতা, কল্কাপাড়, কচুপাতা, আঙুরলতা, প্রজাপতি, শাপলাফুল, জুঁইবুটি, চন্দ্রপাড়, হংসবলাকা, শবনম, ঝুমকা, জবাফুল ইত্যাদি। ভিন্ন জ্যামিতিক বৈশিষ্ট্যের বয়নশিল্প হিসেবে প্রাচ্যের বয়নশিল্পের ধারাবাহিকতা রক্ষায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল জামদানি মোটিভ।
বর্তমান সময়ে লুপ্তপ্রায় গৌরবের আলোকশিখাকে দীপ্যমান করবার প্রচেষ্টায় ঐক্যবদ্ধতা প্রয়োজন। সকল প্রতিকূলতাকে দূরে ঠেলে উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে জামদানি শিল্পের সেই স্বর্ণযুগের পুনঃস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণের দায়িত্ব আমাদের সবার।

রাজশাহী সিল্ক
গুটিপোকা থেকে বানানো রেশম সুতা আর তাই নিয়ে বানানো সিল্ক কাপড়ও কম আশ্চর্য্যময় নয়। আর তাই বাংলাদেশে রাজশাহীর রেশমপোকার সিল্ক শাড়িগুলিও দেশে বিদেশে সুনাম কুড়িয়েছে।

শাড়ির মডেল সোহানী আপু

পৃথিবীতে রেশম এলো যেভাবে
চীনের প্রাচীন গ্রন্থে নানা প্রকার উপাখ্যানের উল্লেখ আছে, এমনি একটি উপাখ্যানে ‘হুয়াংতি’ নামে এক অত্যন্ত প্রভাবশালী সম্রাটের কথা জানা যায়। নানা উপজাতিদের নিজের অধীনস্থ করেছিলেন তিনি। কথিত আছে, তার স্ত্রী ‘সম্রাজ্ঞী লেইজু’ সর্বপ্রথম রেশমগুটি থেকে সুতা তৈরি ও রেশম গুটিপোকার চাষ প্রবর্তন করেন।
ইতিহাসে ‘চৌ ডাইনেস্টি’ (১১২২ থেকে ২৫৫) খ্রিস্টপূর্ব চীনাদের স্বর্ণযুগ বলা যায়। চৌ ডাইনেস্টির আমলে পৃথিবী বিখ্যাত দার্শনিক কনফুসিয়াস, লাওতেজ ও সুন্দর সিল্কের জন্ম ঘটে।

বাংলার রেশম ও রেশম কারিগর নিয়ে এ প্রসঙ্গে একটি কাহিনী আছে
সাল ১৯১১। নভেম্বর মাসে লর্ড কারমাইকেল বিলেত থেকে মাদ্রাজে গভর্নর হয়ে এসেছেন। কারমাইকেল বাংলাদেশের শিক্ষিত মানুষের কাছে অপরিচিত নন, ১৯১২ সালে বাংলার গভর্নর ছিলেন। রংপুরের কারমাইকেল কলেজ তাঁর নামেই প্রতিষ্ঠিত। বিলেতে থাকার সময় এডিনবরা শহরের দোকান থেকে কেনা এক বিশেষ ধরনের রেশমী রুমাল ব্যবহার করতেন কারমাইকেল। লম্বা ও চওড়ায় ২০ ইঞ্চি, ঘন নীল রেশমি কাপরের ওপর লাল-হলুদে নানা রং মিলিয়ে ছোট ছোট মোরগের ছবি ছাপা এই রুমাল ছিল তাঁর ভীষণ পছন্দের। শুধু তাঁরই নয়, সমসময়ের বিলেতের অভিজাত মহলেও বেশ চল ছিল এই ছাপা রেশমী রুমালের। তার সেই অতি প্রিয় বিলেতের এডিনবারগে পাওয়া রেশমী রুমাল ও সেই রুমাল কারিগরের সন্ধান পান তিনি এই বাংলাতে এসে।
লর্ড কারমাইকেল জানতেন এই রুমাল কারিগর বাংলার মানুষ আর তারই খোঁজে তিনি ছুটেছেন অনেক খানেই। শেষে বহরমপুর শহরে এসেই পেলেন তার উত্তর!

টাঙ্গাইল শাড়ি
‘নদী, চর, খাল, বিল, গজারির বন,
টাঙ্গাইল শাড়ি তার গর্বের ধন।’
টাঙ্গাইলে নদী, চর, খাল, বিল বা চমচম যা কিছুই বিখ্যাত হোক না কেনো টাঙ্গাইলের নাম প্রসিদ্ধ বুঝি তার প্রসিদ্ধতর শাড়ীর কারণেই। টাঙ্গাইল শাড়ির সুনাম আজ দেশ পেরিয়ে বিশ্বের দরবারে সুপরিচিত। ঈদ কিংবা পুজা পার্বণে অথবা বাঙ্গালী রমণীর বিয়ের স্যূটকেসে কাতান, বেনারসীর পাশাপাশি পছন্দের শাড়ির তালিকায় তাই প্রায়শই দেখা যায় টাঙ্গাইল শাড়ি। আমাদের দেশের শাড়ির সুখ্যাতির ইতিহাস বহু প্রাচীন। ঢাকাই মসলিন, জামদানীর মত টাঙ্গাইল শাড়িও আমাদের বাংলার ঐতিহ্য। এছাড়াও রাজশাহীর সিল্ক, নরসিংদীর তাঁত বা পাবনাই তাঁতের শাড়ির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস তো সবারই জানা। দেশের বৃহত্তম তাঁত শিল্পেরই অঞ্চল এই টাঙ্গাইল। টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির মান যেমনই ভালো, তেমনি তা দেশের সবস্থানেই সহজলভ্য কাজেই এ শাড়ির কদর অম্লান।

খাদি বা খদ্দর
স্বদেশী আন্দোলনে এই খাদি বা খদ্দররের প্রচলন শুরু হয়।জাতীয় কংগ্রেস নেতা মহাত্মা গান্ধীর কারণে খদ্দর শব্দটি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় খদ্দর বোনা এবং পরিধানে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তিনি। এটি ছিল সেই অহিংস আন্দোলনের অন্যতম কার্যকর রাজনৈতিক হাতিয়ার। তখন ইংরেজ শাসনামল। পুরো উপমহাদেশ জুড়ে ইংরেজদের পণ্য। এমন সময়ে শুরু হলো স্বদেশী আন্দোলন। বিদেশী পণ্যকে 'না' বলে নিজেদের পণ্য ব্যবহারে ঐক্যবদ্ধ হলো এই উপমহাদেশের মানুষ। নিজেদের পোশাকের চাহিদা মেটানোর জন্য চরকায় খাদি কাপড় বোনা ও তার ব্যবহার জোরেসোরে শুরু হলো! কার্পাস তুলা থেকে তৈরি হতো সুতা এবং সেই সুতা ব্যবহার করে চরকায় তৈরি হতো খাদি কাপড়। কাজেই শতবর্ষের ঐতিহ্যের এই খাদি সবচাইতে বেশি আলোচনায় এসেছিলো ১৯২১ সালে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময়। মহাত্মা গান্ধীর আহবানে বিদেশী পণ্য বর্জন করার জন্য যখন সর্বত্র আওয়াজ উঠেছিলো ‘মোটা কাপড়-মোটা ভাত’।আর তখন সমগ্র ভারতবর্ষে অসহযোগ আন্দোলনের সময় বাংলাদেশের কুমিল্লায় খদ্দর বা খাদি শিল্প প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তাই খাদি শুধু কাপড়েরই নাম নয়, নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেতনতার ইতিহাসের এক অণন্য নামও এই খাদি!

নামের পেছনের ইতিহাস
খাদি কাপড়ের নামাকরণের মজাটাও বেশ মজার। এ কাপড় খাদে বা গর্তে বসে তৈরি করা হয় বলেই নাকি এর নাম দেয়া হয়েছে খাদি। খাদি কাপড় দ্রুত বুননের জন্য বা দ্রুত তাঁত চালানোর জন্য পায়ে চালিত প্যাডেলের নীচে মাটিতে গর্ত করা হতো। এই গর্ত বা খাদ থেকে কাপড় উৎপন্ন হতো বলেই এই কাপড়ের নাম খাদি। আবার কেউ কেউ মনে করেন খদ্দর নামটি মহাত্মা গান্ধীর দেওয়া। কারণ খদ্দর শব্দটি গুজরাটি শব্দ। মহাত্মা গান্ধীর বাড়ি ভারতের গুজরাটে। এর আভিধানিক অর্থ কার্পাস তুলা থেকে হাতে কাটা সুতা দিয়ে হাতে বোনা কাপড়। স্বদেশি আন্দোলনের জনক মহাত্মা গান্ধী এই বিশেষ বয়ন পদ্ধতিতে তৈরি সুতি কাপড়কে 'খদ্দর' নামকরণ করেন।
এক সময়ের সংগ্রামী মানুষ আর গরীবের পোষাক বলে পরিচিত খাদিই আজ ফ্যাশনের এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিয়েছে। সেই মোটা কাপড়ে আজ লেগেছে নান্দনিকতার ছোঁয়া। কুমিল্লার খাদি এখন শৈল্পিকতার ছোঁয়ায় দেশ-বিদেশে সমাদৃত হচ্ছে। খাদি কাপড় আজ রপ্তানী হচ্ছে বিশ্ববাজারে।

খাদি কাপড়ের তাঁতী বা শিল্পীরা
জেলায় মোট কতজন পেশাজীবী তাঁতী এ শিল্পের সাথে জড়িত, এর কোন সঠিক পরিসংখ্যান সরকারের খাতায় নেই। জানা যায়, ১৯৮২-৮৩ সালে ন্যায্য মূল্যে সুতা সরবরাহ করার লক্ষ্যে তাঁতীদের একটি সংখ্যা নিরূপনের জন্য জরিপ চালানো হলেও প্রকৃত তাঁতীর সংখ্যা কত সেটা বের করা সম্ভব হয়নি।

স্বদেশী পণ্যের ব্যবহারে খাদি শিল্প থাকুক চিরঅম্লান
একটা সময় ছিল যখন খাদি মানেই ছিল সাদা বা মেটে রঙের কোরা কাপড়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বৈচিত্র্য এসেছে রঙে এবং সেইসাথে পোশাকের ডিজাইনেও! এক সময় ফ্যাশন জগতে খাদি দিয়ে শুধু পাঞ্জাবি তৈরি করা হতো। কিন্তু বর্তমানে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়াসহ আরো নানা পোশাক তৈরি হয়। শুধু পোশাক নয়, খাদি কাপড় দিয়ে তৈরি বিছানার চাদর, বালিশের কভার, সোফা ও কুশনের কভার, পর্দা, শীতের শালও জনপ্রিয় এখন!
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জিনিসগুলোর মধ্যে খাদি একটি অনন্য নাম। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হলে স্বদেশী পণ্য ব্যবহারে এগিয়ে আসতে হবে আমাদের সকলকেই।
মণিপুরি শাড়ি
মণিপুরি নারীদের হাতে তৈরী তাঁত কাপড়ের জন্য রয়েছে পৃথিবীব্যাপী সুখ্যাতি। শ্রীমঙ্গল ও বিশেষ করে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের প্রায় ৬০টি গ্রাম বিখ্যাত মণিপুরি তাঁতশিল্পের জন্য প্রসিদ্ধ । এটি বাংলাদেশের প্রাচীন হস্তশিল্পগুলোর মধ্যে একটি । আসলে নিজেদের তৈরি পোশাকের চাহিদা মেটাতেই মণিপুরি সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁত শিল্প গড়ে উঠেছিল। পরবর্তীতে তাদের তৈরী মনহরণকারী বস্ত্রশিল্প বাঙালি সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে নকশা করা ১২ হাত মণিপুরি শাড়ি, নকশি ওড়না, মনোহারী ডিজাইনের শীতের চাদর এসবের জনপ্রিয়তা বাংলাদেশসহ প্রবাসীদের মাঝেও দেখা যায়।

এই শাড়ির মডেল নীল দর্পণ আপু
মণিপুরি তাঁত ও তাঁতে বুনন পদ্ধতি
মণিপুরিদের বস্ত্র তৈরির তাঁতকল বা মেশিন প্রধানত তিন প্রকার যেমন, কোমরে বাঁধা তাঁত, হ্যান্ডলুম তাঁত ও থোয়াং। এই তাঁতগুলো দিয়ে সাধারণত টেবিল ক্লথ, স্কার্ফ, লেডিস চাদর, শাড়ি, তোয়ালে, মাফলার, গামছা, মশারী, ইত্যাদি ছোট কাপড় তৈরি হয়।
চাকমা তাতিদের মতো মণিপুরি তাঁতিদেরও তাঁতে কাপড় বুননের জন্য নিজস্ব তাঁত আছে। তাঁতে বুনন পদ্ধতিটা মোটামুটি চাকমাদের বুনন পদ্ধতির মতই । তাঁতে ব্যবহৃত উপাদান গুলোর নাম ও কাপড়ে তোলা নক্সার ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় ।

ডিজাইন
জনপ্রিয় মণিপুরি ডিজাইনগুলো ঝাউ গাছ, শেফালি ফুল, এবং মন্দির বা মইরাং ফি । রাজকুমারি মইরাং থইবি নাম অনুসারে এই নামকরণ হয়েছে ।তাঁতে কাপড়ে নকসা তোলার জন্য তাঁতি এক ধরণের সুচালো যন্ত্র ব্যবহার করে মণিপুরি জামদানীর ক্ষেত্রে ।
কি ধরণের কাপড় বুনা হবে তা অনেক সময় স্থানীয় আবহাওয়ার উপরও নির্ভর করে । যেমন তাঁতিরা শীতকালে কাপড় বুনার জন্য উল ও পলিয়েস্টারের সূতা ব্যবহার করে অন্যদিকে গ্রীষ্মকালে তুলার সূতা ব্যবহার করে গামছা ও ফিদু তৈরির জন্য । সাধারণত তারা তুলা ত্রিপুরা সম্প্রদায় থেকে সংগ্রহ করতো । তবে বর্তমানে বাজার থেকে সুতি সূতা ক্রয় করে । মণিপুরিদের তৈরি ফানেক খুব আকর্ষণীয় উজ্জলও বিপরীতমুখী রং ব্যবহার করা হয় শরীরের অংশে আর বর্ডারের । প্রতিদিন পড়ার কাপড়ে তারা সমতল পাড়ের কাপড় তৈরি করে । কিন্তু বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি কাপড়ে “টেম্পল মোটিফ” ডিজাইন থাকে ।

মণিপুরি মেয়েরা বাড়িতে বসেই নিজের হাতে তাঁতে বুনে থাকে অসাধারণ সব শাড়ি, বিছানার চাদর, সালোয়ার কামিজ, শাল, ওড়না, ব্লাউজ পিস ইত্যাদি। মণিপুরি দের বুননে রং আর নকশার রয়েছে এক অপূর্ব সমন্বয়। বৈচিত্র্য থাকার কারণে এক নজরেই সবাই পছন্দ করে মণিপুরি তাঁতের পণ্যসামগ্রী। মণিপুরি সালোয়ার কামিজ, শাড়ি ইত্যাদি যেমন দেখতে সুন্দর তেমনি ব্যবহারেও আরামদায়ক।
মণিপুরি শাড়ির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গাঢ় বা হাল্কা যে রংয়েরই শাড়ি হোক না কেন পাড়ের রং হবে গাঢ়। সাধারণত শাড়ির পাড়ের নকশাটি হয়ে থাকে ত্রিভুজাকৃতির আর শাড়ির ভেতরে থাকে হালকা সুতায় বোনা লতা পাতা । এই নকশাটি মণিপুরিদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য । সুতি সুতা দিয়ে বোনা হয় মণিপুরি শাড়ি, ব্লাউজ পিস, সালোয়ার কামিজ, ওড়না, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি ইত্যাদি। চাদর বা শাল বোনা হয়ে থাকে অপেক্ষাকৃত মোটা সুতা দিয়ে।

বাংলার বেনারসী বা মিরপুর কাতান
বাঙ্গালী রমনীদের হৃদয়ে তাদের বিয়ের দিনটি এবং এ দিনে বউসাজের চিরায়ত স্বপ্নটি ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে প্রায় একই থাকে। প্রতিটি বঙ্গললনার হৃদয়ের মনিকুঠুরীতে তাদের এই বিশেষ দিনটির বিশেষ সাজসজ্জাটি ঘিরে লুকিয়ে থাকে একটি বিশেষ স্বপ্ন আর বিয়ের দিনের সেই বিশেষ সাজটিতে অপরিহার্য্যভাবেই যেন এসে যায় একটি শাড়ির নাম "বেনারসী শাড়ি"। একজন বিয়ের কণের স্বর্ণকমল অঙ্গ ঘিরে চিরায়ত লালটুকটুকে বেনারসী শাড়ির সৌন্দর্য্যের সাথে বুঝি আর কোনো শাড়ীরই তুলনা হয়না। একটি নারীর বেনারসী শাড়ির মাঝে যুগ যুগ বেঁচে থাকে একটি পরিবারের বংশ পরম্পরার ইতিহাস। একটি বেনারসী বহন করে একটি নারীর জীবনের বিশেষ সুখময় স্মৃতির লুকানো গল্পগাঁথা।আলমারীর তাকে তুলে রাখা তার বিশেষ দিনের বিশেষ লগ্নের বেনারসীটি ছুঁয়ে বুঝি সে ভুলে যেতে পারে তার সারাজীবনের যত দুঃখ বেদনা ,চাওয়া এবং না পাওয়ার ব্যাথা। বেনারসী কোনো হেলাফেলার শাড়ী নয়। এই শাড়ি খুব যতনে তুলে রাখার মত মূল্যবান এক সম্পদ, এ যেন মোহনীয় ভালোলাগা ও স্বর্গীয় ভালোবাসায় রচিত এক অনবদ্য সঙ্গীত।

কোথা থেকে এলো এই বেনারসী, কোথায়ই বা তার জন্ম?
যদিও মিরপুর কাতান বা মিরপুর বেনারসী নাম এই শাড়ির কিন্তু বেনারসী শাড়ির জন্ম বাংলাদেশে নয়। ভারতের একটি বহুল পরিচিত শহর "বেনারস"। মুঘল আমল থেকে এই বেনারস প্রসিদ্ধ ছিলো সেখানকার তাঁত শিল্পের জন্য। সোনালি, রুপালি জরির মনোমুগ্ধকর কারুকার্য্যময় সৌন্দর্য্যের জন্য সকলের অতি পছন্দের ছিলো এই বেনারসের শাড়ি। কাজেই বেনারসী শাড়ি নামাকরণের ইতিহাসটি সুস্পষ্ট। বেনারসী শাড়ি এসেছে ভারতের বেনারস থেকে আর তাই এ শাড়ির নাম বেনারসী।

সূচনার ইতিহাস
১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় বেনারস থেকে কিছু মুসলিম পরিবার আসে বাংলাদেশে। তারা আশ্রয় নেয় পুরান ঢাকা আর মিরপুরে। জীবিকার তাগিদে তারা বুনতে শুরু করে শাড়ি। বেনারস থেকে আসা তাঁতিদের তৈরি শাড়িগুলি আমাদের দেশে পরিচিত হয় বেনারসি শাড়ি নামে। ছোট ছোট তাঁত কল থেকে হাতে তৈরি সেই সব শাড়ি মন হরণ করে নেয় বাঙ্গালী রমণীদের। ঢাকা ছাড়িয়ে এর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে আর দেশ থেকে দেশান্তরে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর মিরপুরের রিফিউজি ক্যাম্প গঠন করে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। রিফিউজি ক্যাম্পের বসবাসকারীরাও ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়ে নানারকম জরি পুঁতি, জারদৌসির কাজ করা পোষাক ও বেনারসি শাড়ি তৈরির কাজে। বর্তমানে এক লাখের বেশি মানুষ বেনারসি শাড়ি তৈরির সঙ্গে জড়িত। মিরপুরের এ বেনারসী শাড়ির প্রাপ্তিস্থলটি আজ “মিরপুর বেনারসী পল্লী” নামে পরিচিত। প্রায় অর্ধশত বছর পূর্বে জামাই ও শ্বশুরের মাত্র ২টি দোকান নিয়ে বেনারসি পল্লীর যাত্রা শুরু হয়েছিলো। বর্তমানে এখানে ১৩০ টি দোকান আছে। দিনদিন বাড়ছে এখানকার ব্যবসায়ের পরিধি।

কিভাবে বানানো হয় এই অপরূপা বেনারসী?
বেনারসি শাড়ি তৈরির মূল উপাদান কাঁচা রেশম সুতা।এর সাথে ব্যাবহৃত হয় জরির সুতা।এগুলো আমদানি হয় মূলত চীন থেকে কারণ দেশীয় কাঁচা রেশম সুতার দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁতিরা বেনারসি তৈরিতে এখন চায়না সিল্ক সুতা ব্যবহার করে থাকেন।এছাড়া জাপান, কোরিয়া, ভিয়েতনাম থেকেও এসব সুতা আমদানি করা হয়। এরপর তৈরি হয় শাড়ির নকশা। সাদা কাগজে প্রথমে শাড়ির গ্রাফ বা ডিজাইন আঁকা হয়। কাগজে তৈরি ওই গ্রাফ শক্ত কাগজের বোর্ডে পাঞ্চিং করা হয়। গ্রাফে বর্ণিত রং অনুসারে সুতার রং করা হয়। রঙিন সুতা এবং পাঞ্চিং করা বোর্ড তাঁতে তোলা হয়। তাঁতিরা এটিকে বলে ‘জাকট করা'। জাকট শেষে ধীরে ধীরে শুরু হয় বুননের কাজ। একটি শাড়ি বুনতে সময় লাগে ৫ থেকে ৭ দিন। মিল ফিনিশিং শেষে সেগুলোতে জরি, চুমকি বসানোসহ নানান ধরনের হাতের কাজ করা হয়। সব মিলিয়ে একটি শাড়ির কাজ করতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় প্রয়োজন হয়।

বেনারসী ও কাতান
বেনারসিরই আরেকটি ধরণ কাতান শাড়ি। বেনারসী ও কাতান এই দুই নামে পার্থক্য হওয়াতে দুধরনের শাড়ি মনে হলেও মুলত বেনারসীরই আরেক নাম কাতান।বেনারসি শাড়ির ধরন বা নকশার ওপর ভিত্তি করে রাখা হয় নানান নাম। যেমন ব্রোকেট কাতান, পিরামিড কাতান, মিরপুরী রেশমি কাতান, বেনারসি কসমস, চুনরি কাতান, প্রিন্স কাতান ইত্যাদি। শুরুর দিকে বেনারসির মোটিফগুলো পার্সিয়ান ধরনের, এরপর আসে মুঘল মোটিফ।
আমাদের দেশীয় নানা সামাজিক, পারিবারিক ও ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠানগুলিতে, যেমন ঈদ, পূজো, পহেলা বৈশাখ, বিয়ে, বৌভাত, গায়ে হলুদ ইত্যাদিতে ব্যাবহার করা হয় বেনারসী শাড়ি। অঙ্গে বেনারসী ও সাজে বাঙ্গালীয়ানার এই সৌন্দর্য অনুধ্যান নারীকে করে তোলে মোহনীয়। কবি বা প্রেমিকেরা তার মানস প্রতিমাকে খুঁজে পায় সে সৌন্দর্য্যের মাঝে হাজারও দুঃখ, বেদনাকীর্ণ এই মর্ত্যের পৃথিবীতেই। নারী হয়ে ওঠেন তিলোত্তমা। এই সৌন্দর্য অনুধ্যানের সমন্বয়ের দায়িত্বটি পালন করে বেনারসী শাড়ি। এটি একজন নারীকে দেয় পূর্ণতা, কোমনীয়তা, মোহনীয়তা ও স্বকীয়তা আর তাই ঐতিহ্যে, আভিজাত্যে আর বাঙালিয়ানায় বিয়ে, বৌভাত বা যে কোনো উৎসবে বেনারসী শাড়ি হতে পারে বাঙ্গালী রমণীর অনন্যতার প্রতীক ।

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শাড়িগুলির সমাদর রয়েছে সারা পৃথিবী জুড়ে আর আমাদের বাংলাদেশী নরীদের কাছে তো এর কদর সর্বকালে এবং সর্বযুগেই বিরাজমান। বেঁচে থাকুক বাংলাদেশের শাড়ী যুগ যুগ ধরে সাজুক বাঙ্গালী রমনীরা বাংলার সকল পালা পার্বন আর উৎসবে শাড়িতে, চুড়িতে আর বেলফুলের মালায়।


বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র
বই- ঢাকাই মসলিন- ডঃ আবদুল করিম
Dhakai Jamdani: A Concise History Including 101 Design Motifs
ছবি-সব শাড়ির মডেল আমরা ব্লগার আপুরা......


এই লেখাটি ১৪ তম বাংলা ব্লগ দিবস উপলক্ষে ‘ফিচার’ লেখা প্রতিযোগিতার শিল্প ও সাহিত্য বিভাগের জন্য লিখেছি। ফিচার পড়া এবং লিখতে চেষ্টা করা আমার অনেক প্রিয়। তবে ফিচার প্রতিযোগিতায় বিষয়গুলির মাঝে "শিক্ষা " বিষয়টির অভাব বোধ করছি। শিশুশিক্ষা নিয়ে মজার আইডিয়া নিয়ে বা শিশুদের মনস্তত্ব নিয়ে কিছু লিখতে পারলে আমার ভালো লাগতো।

বাংলা ব্লগ দিবস শুভ হোক। ১৪ তম বাংলা ব্লগ দিবসের জন্য শুভকামনা রইলো।

মন্তব্য ১২২ টি রেটিং +২৭/-০

মন্তব্য (১২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৯

মিরোরডডল বলেছেন:




শায়মাপু অনেকদিন পর পোষ্ট দিলে এই নিকে।
কাল আসবো পড়তে, আজ যাই ।
গুডনাইট আপু ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১১

শায়মা বলেছেন: ব্লগ দিবস উপলক্ষ্যে ফিচার লিখতে এই নিকে আসলাম আপুনি!

কিন্তু শিশুশিক্ষা নিয়ে একটু লিখতে চেয়েছিলাম। কোনো বিভাগই নেই শিক্ষা দীক্ষার উপরে।

যাই মডু ভাইয়াকে বলে আসি একটা শিক্ষা দীক্ষা যোগ করে দিতে।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২০

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: তথ্য নির্ভর পোষ্ট। এখান থেকে ওখান থেকে পড়ে দেখলাম। ভালোই লেগেছে।

একটা আপুর অনলাইনে জামদানীর ব্যবসা সংক্রান্ত কিছু কাজ করতে গিয়ে জামদানী সম্পর্কে কিছু ধারণা হয়েছিলো।

জামদানী যে মসলিনেরই একটা ধরন, সেটা আবার গবেষনা করে বের করতে হয়েছে জেনে একটু হাসি পেলো। কারণ জামদানী যারা তৈরী করে, তারা এগুলি সম্পর্কে একদম ক্লিয়ার।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩০

শায়মা বলেছেন: জামদানি সম্পর্কে কি কি ধারণা হয়েছিলো বললে আরও ভালো হত ভাইয়া।
মসলিনের তুলনা নেই কিন্তু মসলিন বড়ই নাজুক শাড়ি। একইভাবে জামদানিও। কমদামী মসলিনই আসলে জামদানি।

না গবেষনা করে ঠিক বের করা হয়নি কারিগর বা তাঁতশিল্পীরা তো জানেই।

তবে জামদানি শাড়ির মান বাড়ে তার নক্সার উপরে। যত কাজ বেশি ততই আসলে শাড়ির দাম।

আর সাথে তো আছে সুতি, হাফসিল্ক, ফুল সিল্কের রকম সকম।

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৬

আরইউ বলেছেন:




পোস্ট পড়ে শেষ করিনি এখনো।

শিক্ষা বিষয়ে পোস্ট “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি” ক্যাটাগরিতে যেতে পারে খুব সহজেই।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪১

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া পোস্ট পড়ো মন দিয়ে কারণ পুরোটা লেখার সময় আমি আমার মত করে আমার ভাষায় লেখার চেষ্টা করেছি তবুও ভয়ে ভয়ে ছিলাম কোথায় কখন কপি পেস্ট টাইপ হয়ে যায়। কিন্তু এই সব শাড়ি কাহিনী কোথায় কেমনে করে আসলো, তার ইতিহাস আমি তো পাল্টাতেই পাারবো না তাই ভয়ে ভয়ে লিখতে হলো।

নিজের যেহেতু সব রকম শাড়িই আছে ভেবেছিলাম নিজের শাড়িগুলির ছবি তুলে তুলে দিয়ে দেবো। তবুও শেষ পর্যন্ত মসলিন আর রাজশাহী সিল্ক, মনিপুরি শাড়ির ছবিগুলি নেট থেকেই দিতে হলো। সে সব আলমারী থেকে বের করে ছবি তোলার সুযোগ নেই এই ব্যস্ত জীবনে।


যাই হোক আমি কালকেই তাহলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আমার শিশুশিক্ষা বিষয়ক ফিচার ছেপে দেবো। :)

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৯

শাহ আজিজ বলেছেন: অসাধারন অসাধারন হয়েছে গবেষণা মুলক এই লেখাটি । আমি আবারো পড়ব জ্ঞান আহরনের জন্য ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫১

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া। এই সব শাড়ি নিয়ে তোমার জ্ঞানের অভাব আছে?

জীবনেও মানতে পারবো না।

তবে পড়ার জন্য থ্যাংকস আর সত্যি আমি শাড়ি ভালোবাসি এবং শুধুই দেশীয় শাড়ি আর তাই শাড়ি এবং তার ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে আমাকে জানতেই হবে।

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০১

শাহ আজিজ বলেছেন: আমি রাজশাহী , ঠাকুরগাও তে সিল্ক বোনার মেশিন আর ভুলতায় কটন মেশিন বসানোর দোভাষী হিসাবে কাজ করেছি চীনাদের সাথে । কাজেই এর খুঁটি নাটি আমি জানি । মসলিন আর জামদানি হাতে বোনা মেশিনে তৈরি হয় যা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাশে বসে দেখেছি । আমার এসব অভিজ্ঞতা বিশাল ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৯

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তার উপরে তুমি আর্টিস্ট। বস্ত্রশিল্পের সাথে যখন শিল্পী যোগ হয় তখন কি হয় সেটা তো ভাবাই যায় কিংবা যায় না।

আমি ইদানিং বিশ্বরং বিপ্লব সাহার ফ্যান। তার সব শাড়িই মনে হয় আমি কিনে ফেলেছি।

ভাইয়া আমি কিন্তু দেশী শাড়ী ছাড়া তেমন পরি না।

ছায়ানটে ক্লাস নাইন থেকেই দেশীয় শাড়ি পরতে পরতে এই অভ্যাস হয়েছে।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শাড়ি হচ্ছে আমার সবচাইতে প্রিয় পোশাক !!!!
আর শাড়ি নিয়ে তোমার লেখা মানে তো বিস্তারিত ভাবে সেই প্রিয় পোশাক কে জানা!!!
দুর্দান্ত এক কথায়।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১১

শায়মা বলেছেন: একটা সময় আমি এক এক শাড়ি নিয়ে লিখেছিলাম। সুদীর্ঘ ইতিহাস।

এই পোস্টে সব গুলি নিয়ে একটু লিখলাম আর কি।

আপু এই পোস্টে আপু ব্লগার আসা মানেই একটা করে শাড়ির ছবি দিয়ে যেতে হবে যা আমি আমার পোস্টে জুড়তে থাকবো হা হা

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তোমার পোষ্টে দেয়া জামদানী গুলি দেখে তো আমি কুপোকাত !!!
উফফ কত কালেকশন!!
সিল্ক কাতান বেনারসি খুব কম পরি আমি । জামদানি আর খাদি অল টাইম পছন্দের। মণিপুরি শাড়ি ও অনেক অনেক প্রিয়।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৫

শায়মা বলেছেন: আপুনি সব শাড়িই বেশি ভাগ উপহার। বেগুনী জামদানিটা লাস্ট ইয়ার আমার ক্লাসের মায়েরা মিলে আড়ং থেকে দিয়েছিলো।
আমি তো ভেবেছি ওক্কে।

পরে আড়ং এ গিয়ে দেখি এই শাড়ির দাম ৩৪ হাজার .....

আমার জন্য দোয়া করো আরও আরও এমন ভালো ভালো মায়েরা আসুক আমার ক্লাসে বাচ্চা নিয়ে। :)


দে লাভ মি আ লট!!!!!!!! :)

৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: নেহিনেহি এক পোষ্ট দুইনিয়ম চলবে না , তুমি ভাইয়াদের ও বলো আড়ং স্টটাইলে শাড়ি পরে ছবি দিতে :P

আর এই পোষ্টে এসে ভুল করে ফেলেছি আর আসবো না । আগে তো বল নাই ?

আগের মন্তব্যগুলি মুছে দিও প্লিজ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৩

শায়মা বলেছেন: হায় হায় ভুল কেনো??????????

কি বলেছো ভুল??? :|

৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: জামদানী শাড়ি তো হাজার কয়েক পকেটে না থাকলে মনে হয় আজকাল শুধু অনলাইনে দেখে সাধ মেটাতে হয়। অন্যে দোয়া তোমার জন্যে। আরও অনেক অনেক ভ্যালভ্যাল মায়েরা আসুক তোমার ক্লাসে বাচ্চাদের নিয়ে, তোমাকে গিফট করুক। সাথে আমাদের ও কেউকেউ গিফট করুক।

ঐ যে বলেছ এই পোষ্টে আসলে শাড়ি ছবি দিতে তাই ;) তাই বললাম এসে ভুল হইছে :P

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৩

শায়মা বলেছেন: ওহ হা হা হা থাক তোমার জন্য মাফ। অন্য আপুনিরা আসুক।

মিররমনি একটা দেবে
ছবি আপু একটা
সোহানী আপু একটা
রোকসানা আপু একটা

আর যে যে আসবে

আর ভাইয়ারা ভাবীদের শাড়ির ছবি দেবে।

আর দোয়ার জন্য অনেক অনেক থ্যাংকস! :)

এবার যেন রংধনু রং জামদানি দেয়। নইলে আর কোনো কালার বাকি নেই তো। :(

১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শাড়ি নিয়ে চমৎকার তথ্য বহুল পোস্ট। মসলিন শাড়ি আবারো তৈরি হতে পারে বিষয়টি জানতে পেরে ভালো লাগছে। ভালো লেগেছে বেনারসী শাড়ি ও মডেল জামদানি শাড়ি ও মডেল। এক কথায় অসাম। সুপ্রিয় শায়মা হকের জন্য একগুচ্ছ রজনী গন্ধার শুভেচ্ছা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৬

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ।

এখন তো একটা শাড়ির ছবি দিয়ে যেতে হবে।

মসলিন, জামদানি কিংবা মনিপুরি। :)


যাইহোক হ্যাঁ মসলিন আবারও তৈরী হচ্ছে কিন্তু সেই আমলের মসলিনের মতন মনে হয় আর হবে না। অত স্বচ্ছ অতো নিয়ম কানুন আদ্রতা মেনে আজকের দিনের কারিগরেরা কি আর বানাতে পারবে? :(

১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: স্যরি আপু।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৭

শায়মা বলেছেন: কেনো বেবি ভাইয়ু?

নো মন খারাপ! উই আর অল ভাইয়ু আপুনি!

:)

১২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এলোকাব্য, মিরর আর সাচু ভাই কে আমি খুব পছন্দ করি। আমি দুষ্টামি করেছিলাম। আপনি রাগ করেছিলেন। আমার দুষ্টামি করা উচিৎ হয়নি।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৬

শায়মা বলেছেন: এলোকাব্য না একলব্য।
কে ছিলো একলব্য


আমি জানি তুমি তাদেরকে পছন্দ করো। তুমি সবার সাথেই মিলে মিশে লিখতেও চাও। এই কারনেই আমি তোমাকে কিছু সাজেশন এডভাইস যাই বলো দিয়েওছিলাম। কিন্তু আমি হতাশ হয়েছিলাম কিছু আমার মতে করা তোমার ভুল দেখে। যাইহোক সেই কারণেই হয়ত সহজেই ভুল বুঝেছিলাম।

দেখো আমরা কেউ এইখানে কাউকেই চিনিনা। আমাদের মূল লক্ষ্য কিছু লেখা। যে যা পারে লিখবে। একে অন্যকে শিখিয়ে দেবে। ভুল করলে বলবে। ঠিক করলেও বাহ বা দেবে। যদি আমরা এক্সসেপ্টেবল না হই তাহলে কি করে শিখবো?

কিন্তু এরই মাঝে কেউ কেউ আছে ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যকে হেয় করে আনন্দ পায়। এই হেয় আর হাজারবার বলার পরেও নিজের ভুল সংশোধন না করে গো ধরে থাকা বোকা মানুষরাই কিন্তু বুদ্ধিমানদের ফাঁদে পড়ে। কারণ তারা বুদ্ধিমানদেরকে ফান করার সুযোগ করে দেয়।

এই ব্লগ বড়াই করার জায়গা না। আমরা কে কোথা থেকে এসেছি আমাদের জানারও দরকার নেই। আমরা একে অন্যকে চিনবো লেখা দিয়ে, ভাষার ব্যবহার দিয়ে। দিন শেষে রাতে যখন ঘুমাতে যাবো আমরা আনন্দ নিয়ে ঘুমাবো। যেটা আমি একলব্য মিররমনি সাচু ভাইয়া মনিরা আপু করে থাকি।
আমাদের উদ্দেশ্য আনন্দে থাকা, আনন্দে লেখা।

আমি চাই তুমিও এখন থেকে লেখাতেই মন দেবে। ব্লগিং অনেকদিন করে যাবার পরেও কিন্তু সুষ্ঠ ব্লগিং সবাই শিখতে পারে না।
আবার যারা পারে না তারাই অন্যদেরকে দোষও দেয়। কাজেই এই দোষাদুষি একে অন্যের উপর অযথা অকারণ বিদ্বেষ না করে যৌক্তিকতার মাঝে নিজের কাজে মন দিতে হবে।

আমরা সবাই আনন্দে হাসতে চাই। আনন্দে লিখতে চাই। তুমিও নিশ্চয়ই লিখবে।

১৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার ফীচার পোস্ট। + +
ঢাকাই মসলিন, জামদানি, রাজশাহী সিল্ক, মণিপুরী শাড়ি ইত্যাদি নিয়ে অনেক তথ্য জানা হলো। সেই সাথে কিছু মজার তথ্যও জানা হলো, যেমন মসলিনের 'স্বচ্ছতার কারণে' একটি গরু কর্তৃক ঘাসের উপর বিছানো একটি আস্ত শাড়ি খেয়ে ফেলা, এবং গরুর এ অপরাধের কারণে তার মালিককে দণ্ড দেয়ার কথা! :)

শাড়ি নারীকে শুধু মার্জিত সৌন্দর্যেই আবৃত করে না, তাকে মাধুর্যময় সুষমা ও লাবণ্যও দান করে। ব্লগ-ডে প্রতিযোগিতা উপলক্ষে লেখার জন্য একটি চমৎকার বিষয় নির্বাচন করেছেন। সাফল্যের শুভকামনা রইলো।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৭

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া থ্যাংকস আ লট! এই লেখা পড়ার জন্য।

ভাইয়া শুধু গরু খেয়ে ফেললো মসলিন সেটাই দেখলে? আমার কাছে সবচেয়ে মজা লেগেছিলো খাদি বা খদ্দরের নামাকরণের ইতিহাস। খাদে বা গর্তে বসে বোনা হত বলে ঐ কাপড়ের নাম নাকি খাদি! :|

১৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: শাড়ির মডেলটাকে চেনা চেনা লাগছে!!!
আমার বরাবরই মনে হয়েছে একটা আস্ত মসলিন শাড়ি হোক সে ৩০০ কাউন্টের বা তাঁর থেকেও সুক্ষ -এটাকে একটা ম্যাচের বাক্সের মধ্যে ভরে ফেলা অতিরঞ্জিত তবে আংটির মধ্য দিয়ে গলিয়ে নেয়া বিশ্বাসযোগ্য।
আমি শুনেছিলাম মসলিন শাড়ির সুতা শুকোতে শীতলক্ষ্যা নদীর বাতাস লাগে- আপনি বললেন মেঘনার কথা। এটা নতুন করে জানলাম।
তবে মানুষের শ্রমের এমন ভয়াবহ অপচয়ের বিরোধী আমি - হোক সে যতই শিল্পগুন সমৃদ্ধ! এটা আসলে আকাজের একটা জিনিস।

বাকি শাড়িগুলো নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই :)
প্রচুর খাটাখাটুনি করে বেশ সময় নিয়ে কানিকটা মসলিন শাড়ির কারিগরদের মত অতি নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন শাড়ির ইতিহাস।
চমৎকার এই লিখার জন্য নিশ্চিতভাবে প্লাস!

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৫

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আমি আসলে একটা সময় বাংলাদেশের প্রত্যেকটা শাড়ির ইতিহাস নিয়ে একটা একটা করে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জ্ঞান অর্জন করিয়াছিলাম। সেই জ্ঞান থেকেই একটু ঝালাই করলাম:)

আংটির মধ্যে দিয়ে গলিয়ে নেওয়া যায় এটা তেমন কঠিক কিছু না। ম্যাচবক্সে ভরতে একটু খবর হবে। বুঝাই যায়।

জামদানি মসলিন দুই ই শীতলক্ষ্যা তীরের শাড়ি। মেঘনার তীরে কার্পাস জন্মাতো তেমনই শীতলক্ষ্যার তীরেও। এমনই জেনেছি।

https://www.anandabazar.com/bangladesh/dhakai-muslin-has-been-introduced-again-in-new-look-dgtl-1.415744

ফুটি কার্পাস তুলা থেকে মসলিন হয়।

অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া কপিপেস্টের দায় এড়াতে খাটাখাটনি একটু বেশি হলো আর কি। নইলে তো আরইউ ভাইয়া লাঠি হাতে দাঁড়ায় আছে।

তবে ছবি নিয়ে মহা বিপদ। শেষে নিজের ক্যামেরার উপর ভরষা করতে হলো। :)

১৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১০

শেরজা তপন বলেছেন: *কিছু অনিচ্ছাকৃত টাইপোর জন্য দুঃখিত

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৬

শায়মা বলেছেন: আমিও অনিচ্ছাকৃত টাইপোর জন্য সদা ও সর্বদাই দুঃখিত থাকি ভাইয়া। :)

১৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: দেশী শাড়ি কেউ পড়ছেন না। ইন্ডিয়ান শাড়ি ও পাকিস্থানি ড্রেসের ভিড়ে দেশী শাড়ি হারাই যাচ্ছে। বাংলাদেশের ডিজাইনাররা কিছু শাড়ি ডিজাইন করছে। সেগুলো খুব কম মানুষে কিনছে। দেশী দশের দশটি শাড়ির ব্রান্ডের মধ্যে ১ সৃষ্টি, ১ সাদাকালো, বন্ধ হওয়ার ধারে প্রান্তে। নতুন প্রজন্মের ডিজাইনারা ইন্ডিয়া পাকিস্তানকে কপি পেস্ট করছেন।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৩

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ দেশি শাড়ি অনেকেই পরে না। ইন্ডিয়া পাকিস্তানের শাড়িই তাদের পছন্দ।

কিন্তু আমরা যারা ছায়ানটে যেতাম তারা শিখেছিলাম নো বৈদেশী শাড়ি। অনলি দেশী শাড়ি। তারপর থেকে অভ্যাস হয়ে গেছে। দেশী দশের শাড়িই আমার সবচেয়ে পছন্দের।

সাদাকালো কখনও ভালো লাগেনি। ওদের থিম ভালো লেগেছিলো।

১৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৩৫

সোহানী বলেছেন: পোস্টে ভালো লাগা তবে পোষ্টের মডেলদের প্রতি আরো ভালোলাগা।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০১

শায়মা বলেছেন: মডেল আরো আসছে। ব্লগার আপুদেরকে রিকোয়েস্ট করছি শাড়ির ছবি দাও দাও দাও। শুধু একজন দিয়েছে তবে তার নাম বলা বারণ। :)

খুঁজো দেখি কোন ছবিটা! :)

তুমিও একটা শাড়ি পরা ছবি দিয়ে যাও আপুনি। বাংলাদেশী শাড়ি! :)

১৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: দেশি সব শাড়ির উৎপত্তি, নামকরণের ইতিহাস আর বর্ণনা - চমৎকার হয়েছে।

ছবি আরো কয়েকটা বেশি দিলে বেশি ভালো হতো, যেমন শরতে কাশবনের মাঝে (আগে দেখা ছবি চলবে না), বসন্তে ফুলবনে ইত্যাদি... স্টকে নিশ্চয়ই ছবি আছে আরো...

আরেকটা কথা, মানে বলছিলাম বেনারসি শাড়ি তোমার একখানাই আছে? ;) দুখানা ছবি এক শাড়ি...

জামদানি শাড়িগুলো প্রতিটাই অপরূপ!! জামদানি পরে একটা ছবি দিতে...

সন্দেহ নেই, আমাদের দেশি শাড়ি সব খুব ভালো। তবু রমনীগণ দেশি শাড়ি ছেড়ে বিদেশি শাড়ির দিকে আকৃষ্ট হন কারণ শাড়ির দাম। বিদেশি শাড়ি তুলনামূলক স্বল্পমূল্যে মেলে। কটকি সিল্ক আমার খুব পছন্দ।

তথ্যবহুল রচনা, অনেক কিছু জানা হলো।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৪

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ আপুনি!!!!!!!!!!!!

কিন্তু কাঁশবনের ছবি বসন্তের ছবি!!!!!!!!! আপু তোমার কয়টা চোখ!!!!!!!!!! সব জানো কেমনে!!!!!!!!

বেনারসী শাড়ি পরা কোনটা দেই কোনটা দেই করে একই শাড়ি দুইটা দিলাম। আর হ্যাঁ নতুন এইটাই আছে। অন্যগুলা পুরানো! :(

আমি তো জামদানি পরা একটা চেয়ারে বসা পাশে কাপের মধ্যে গাছ লাগানো ছবিটা দিলাম। আচ্ছা আরও আনছি। :)

আমি দেশী শাড়ি ছাড়া কিনি না। তাই অঞ্জনস আড়ং রং বিশ্বরং কে ক্রাফ্টস আমাকে বেশি ভালোবাসে। :)

মাঝে মাঝে ওদের মডেল হয়ে যাই। ক্রেতা মডেল :)

১৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পোস্ট, শাড়ি এবং সর্বোপরি বেগুনী শাড়ি পরা মডেল তিনটাই সুন্দর লাগলো।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৬

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া অনেক সিরিয়াস হয়ে গেছো কিন্তু!

সিরিয়াস হবার কারণ একটু একটু বুঝতে পারছি! :)

২০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০৭

রানার ব্লগ বলেছেন: জামদানী সম্পর্কে খুব কম লেখা হয়েছে অন্যান্য শড়ির আদি অবস্থান বাংলাদেশের বাহিরে কিন্তু একমাত্র জামদানী একমাত্র শাড়ি যা সবসময়ের জন্য বাংলাদেশি। ইহা সব সময়ে সুতি শুতায় তৈরী হয়। এখন বাজারে যে হাল্ফসিল্ক জামদানী দেখি তা শুধুমাত্র বাজারের চাহিদার জন্য বানানো হয়। দামে সস্তা তাই। কিন্তু জামদানী কখনোই সিল্ক বা হাল্ফসিল্ক শাড়ি ছিলো না। এটা প্রচন্ডভাবে সুতি শাড়ি। একটা ভালো জামদানী বানাতে একজন তাতীর তিন থেকে চার সপ্তাহ লেগে যায়। সেই তুলনায় হাল্ফসিল্ক জামদানী বানাতে ৪ দিনেই হয়ে যায়। এজকাল বাজারে যেসব ডিজাইনের জামদানী দেখা যায় তার বেশিরভাগ নতুন ফিউশন টাইপ ডিজাইন কিন্তু জামদানীর আভিজাত্য ফুটে ওঠে তার আদি ডিজাইনের পটভূমি তে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৮

শায়মা বলেছেন: তোমার মন্তব্য পড়ে জামদানি সম্পর্কে আরও লেখা দিলাম। ঠিক বলেছো অনেক কম লিখেছিলাম। এখন লেখা এত বেশি হয়েছে যে পোস্ট এডিট করলে নড়ে চড়ে না। :(

ইহা সব সময়ে সুতি শুতায় তৈরী হয়। এখন বাজারে যে হাল্ফসিল্ক জামদানী দেখি তা শুধুমাত্র বাজারের চাহিদার জন্য বানানো হয়। দামে সস্তা তাই। কিন্তু জামদানী কখনোই সিল্ক বা হাল্ফসিল্ক শাড়ি ছিলো না। এটা প্রচন্ডভাবে সুতি শাড়ি। একটা ভালো জামদানী বানাতে একজন তাতীর তিন থেকে চার সপ্তাহ লেগে যায়। সেই তুলনায় হাল্ফসিল্ক জামদানী বানাতে ৪ দিনেই হয়ে যায়। এজকাল বাজারে যেসব ডিজাইনের জামদানী দেখা যায় তার বেশিরভাগ নতুন ফিউশন টাইপ ডিজাইন কিন্তু জামদানীর আভিজাত্য ফুটে ওঠে তার আদি ডিজাইনের পটভূমি তে।


যা যা বলেছো সবই সঠিক। আর আমি আদি ও অকৃত্রিমটাই পছন্দ করি।
মানে আদ্দিকালের বদ্দিবুড়িদের মতই আদি জামদানি। :)

২১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মসলিন শাড়ির মডেল তুমি হলে ভালো হতো। মসলিন শাড়ি তৈরি করে ফেললে তুমি নিশ্চয়ই বসে থাকবে না । কয়েক লাখ টাকা খরচ করে মসলিন পড়ে পোজ দিয়ে দিবে। আগের মতো কেন হবে না । হয়তো মসলিন নিয়ে অনেক গলপই অতিরঞ্জিত হয়ে থাকতে পারে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪

শায়মা বলেছেন: ওকে মসলিন শাড়ির ছবিও দিচ্ছি একটু পরে।
কয়েক লাখ টাকা খরচ করে শাড়ি কিনবো!! জীবনেও না।

এত পাগল হইনি তাই বলে। দেখলে না বেশি ভাগ শাড়ি গিফট পেয়েছি। :)

হ্যাঁ আগের মত হবার দরকারও নেই যে এতই স্বচ্ছ পরবো আর গরু এসে খেয়ে ফেলবে!!! বাপরে!!! :P

২২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: প্রথম ছবিতে নানান রঙ এর জামদানীতো নানান রঙ এর ফিরনির কথা মনে করিয়ে দিল :`>
বেগুনী রঙ এর শারী পড়া মডেল এর ছবিখানি অনেক আগের ছবি বলে মনে হচ্ছে। এ কি আমাদের কিশোরী শায়মা আপু?
লাল কাতান সারীতে আপুকে গল্লু গল্লু ডল লাগছে। :P

jokes apart পোস্টে পাঁচ তারা।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৬

শায়মা বলেছেন: হা হা হা ঠিক বলেছো বাচ্চাদের মতন আমার রঙ চঙ পছন্দ! :)


অনেক আগের ছবি ঠিক আছে তবে তিনি আমাদেরই একজন ব্লগার আপু! হা হা
না আমি না কিশোরী কালের ছবি দেই না বুড়িকালের দেই। :)

আমি গল্লু গল্লু মহা গল্লুই হয়েছি ভাইয়া!!


পোস্টে পাঁচ তারার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা

২৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: সবই তো বুঝলাম কিন্তু ছবিতে শাড়ি পরিহিতা মডেল দেখা যাচ্ছে তাকে তো চিনলাম না ! 8-|

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭

শায়মা বলেছেন: চিনলে না!!!

আমরা আমরাই মানে আমদের ব্লগেরই আপু মডেলদেরকে এনেছি। :)

আরও আনবো। :)

২৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
এই চান্সে শাড়ির মডেলকেও দেখে ফেললাম।
তথ্যবহুল ফিচার ভালো লেগেছে। খুঁটিয়ে পড়লাম।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।

আরও কিছু এড করেছি আজকে জামদানি অংশে।

সিল্কেও করবো ..... :)

২৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: শাড়ি গহনা থেকে মেয়েদের বের হয়ে আসা উচিৎ। শাড়ি গহনা মেয়েদের আত্মকেন্দ্রিক বানিয়ে দেয়।
অনেক রকম শাড়ির কথা বলেছেন, কিন্তু চুন্ডি শাড়ির কথা তো পেলাম না।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৪

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া শাড়ি গহনা থেকে বের হতে পারবো না। সুরভী ভাবীকে বের করো। আজ থেকে নো শাড়ি নো গহনা।:) সব টাকা বেঁচে যাক তোমার। :)

আমি ভাবছিলাম বাংলাদেশের গহনা শিল্প নিয়ে লিখবো! :)

চুন্দ্রি শাড়ি বাংলাদেশী না ইন্ডিয়ান তাই আমি পরি না। :(

২৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: বিশাল পোস্ট, দুই পর্বে দিলে ভালো হতো।
মসলিনের এত গূণাগূন অথচ প্রথম ছবি তো এটা পড়লেন না? B-)
দ্বিতীয় ছবিতে কে চিনলাম না। মনিরা আপু নাকি? তাই তো মনে হচ্ছে!
বেনারসি ও কাতান একই কাপড়। এইজন্য মিরপুরের এই কাপড়ের পল্লীকে বেনারসি পল্লী বলা হয়। আগে এই কাতান শাড়ি ছাড়া কোনো বিয়েই হতো না।
উপন্যাস লেখা কি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছেন?
শুধু এই পোস্ট পড়ার জন্য অনেকদিন পরে ব্লগে আসলাম।
শুভ কামনা আপ্নাকে।



১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭

শায়মা বলেছেন: আচ্ছা মসলিন শাড়ির ছবিও দেবো ওকে??? :)

হা হা দ্বিতীয় ছবিতে কে বলা বারণ আছে। :)

হ্যাঁ বেনারসী কাতান একই তো! :)
এই যে নতুন উপন্যাস চলছে

থ্যাংক ইউ!!!!!!! পোস্ট পড়ার জন্য! :)

২৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৩

বাংলার এয়ানা বলেছেন:


অসাধারন তথ্যবহুল লিখা ++

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৮

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া। :)

২৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মিরোরডডল বলেছেন:




শায়মাপু ছাড়া সেকেন্ড মডেলটা কে ।
সামু ব্লগার ?

আপু শেষের লাল শাড়ি ছবিতে আমার এক ভাবীর মতো লাগছে তোমাকে ।


১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩০

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ সামু ব্লগার । :)

এইবার তোমার এক খানা শাড়ি পরা ছবি দিয়ে যাও দেখি কোন শাড়ি পরো তুমি!!!!!! :)

কে জানে আমি তোমার সেই ভাবীও হতে পারি......

সিনেমা হলে আপু কেনো ভাবী! :)

২৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫১

মিরোরডডল বলেছেন:




অনেকদিন পর করুণাধারা আপুকে দেখছি ।
আপু বলেছেন : আরেকটা কথা, মানে বলছিলাম বেনারসি শাড়ি তোমার একখানাই আছে? ;) দুখানা ছবি এক শাড়ি...

তাইতো…… :)





১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১

শায়মা বলেছেন: একখানা!!!!!!!!!!!!!!!

দাঁড়াও নীল, বেগুনী হলুদ কমলা সব নিয়ে আসছি!!!!!!!!!

৩০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মিরোরডডল বলেছেন:




নীল আকাশ বলেছেন: দ্বিতীয় ছবিতে কে চিনলাম না। মনিরা আপু নাকি? তাই তো মনে হচ্ছে!
তাই নাকি, এটা আমাদের মনিপু ?

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩২

শায়মা বলেছেন: হা হা নাম বলা বারণ!!!!!!!!
কারণে অকারন!!!!!!!!! হা হা হা

৩১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭

মিরোরডডল বলেছেন:




একটা বিষয় বোঝা গেলো, এবারের প্রতিযোগিতায় তুমি বিচারক প্যানেলে নেই ।
তুমিও একজন কন্টেস্টেন্ট । কার যেনো কপাল পুড়লো আপু :)

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৪

শায়মা বলেছেন: ওকে আমি নাই কিন্তু আমার জড়ুয়া বেহেনাদেরকে আনা হোক!!!!!!!! :) :P

৩২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৬

একলব্য২১ বলেছেন: বান্দা হাজির। আইয়া পড়ছি। মাগার এই বড় পোস্ট পড়ার টাইম নাই এখন। বাদ মে ইতমীনান সে (আরামসে) পড়ুম নে।

আমি ভি গোফরান ভাই রে বালা পাই। :D

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১

শায়মা বলেছেন: গোফরানভাইয়ু লাইকস ইউ আ লট! বাট গোফরান ভাইয়ু নিড টু লার্ন অলসো আ লট! :)

আর তুমি এমনই একজন যাকে কারো না ভালা পাওয়ার উপায় নেই। একদম আমার যোগ্য ভাই। :)

যাইহোক তোমার এই পোস্ট পড়ে কাজ নেই।

বউ এর জন্য শাড়ি কিনতে হবে না .....

প্রেমিকার জন্যও না ......

তবে আমাদের মত আপুদের জন্য কিনতে চাইলে পড়তে পারো। :)

৩৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মিরোরডডল বলেছেন:




এইবার তোমার এক খানা শাড়ি পরা ছবি দিয়ে যাও দেখি কোন শাড়ি পরো তুমি!!!!!! :)

শাড়িতে মেয়েদের খুব সুন্দর দেখায়, আমার ভালো লাগে তোমাদের এভাবে দেখতে কিন্তু আমি যে শাড়ি পরিনা আপু ।

দাঁড়াও নীল, বেগুনী হলুদ কমলা সব নিয়ে আসছি!!!!!!!!!

এনে ঢাবিকে দিও ।
ঢাবি তোমার কালারফুল ফিরনি মিস করে :)

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২

শায়মা বলেছেন: কেনোন পরো না মিররমনি!!!!!!!!!

শখ করেও পরো না!!!!!!!!!!!

যাইহোক পরলে শুধুই দেশী শাড়ি পরবে। নো বৈদেশী শাড়ি। :)

কালারফুল ফিরনীর কথা ঢাবিয়ানভাইয়া ভুলতেই পারে না!!!!!!!!! হা হা হা

৩৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:

শুভ নিশ্চয়ই কোন একটা মুভি বা নাটক দেখে এখন এখানে আসছে আর সেই ভাষায় কথা বলছে :)


১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ কোন নাটক আমি জানি
এটা

৩৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৩

মিরোরডডল বলেছেন:




আপু শুরুতেই তোমার জামদানি শাড়িগুলো দিয়েছো, সবগুলো সুন্দর ।
জামদানি শাড়ি ভালো লাগে, আমার আছে কিছু কিন্তু কখনও পরা হয়না ।

জীবনের প্রথম শাড়ি বাবা কিনে দিয়েছিলো, যদিও তখন ছোট শাড়ি পরার কথাই না ।
বাবা শখ করে একটা নীল শাড়ি দিয়েছিলো ।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১০

শায়মা বলেছেন: সেই শাড়িটা কই? আমার জীবনে প্রথম শাড়ি আমার নাচের জন্য। লাল টুকটুক রঙ্গের।

এক কাজ করো এইবার একটা জামদানি পরো। আজকেই আর ছবি তুলে দাও আমার পোস্টে।

৩৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৪

একলব্য২১ বলেছেন: না না। আসলে আজকে পুরাণ ঢাকার বংশালের একজনের কথা মনে পড়ছিল। আবুল ভাই। আমাকে অনেক স্নেহ করতেন। উর্দু বাংলা মিশিয়ে কথা বলতেন। আজ হঠাৎই তার কথা তার মুখটা মনে পড়ছিল। তাই তার মত কথা বললাম। :)

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১১

শায়মা বলেছেন: ওহ তাই বলো! :)

৩৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৮

মিরোরডডল বলেছেন:

আবুল ভাই কি মারা গেছে ?


১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৫

শায়মা বলেছেন: না মনে হয়! এমনিতেই মনে পড়েছে একলব্য ভাইয়ুর! :)

৩৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৩

মিরোরডডল বলেছেন:




আপু, বোনের গায়ে হলুদে শাড়ি পরেছিলাম ।
তখন স্কুলে পড়ি । ছেলে পক্ষের বাসায় গিয়েছি সবাই, সেখানে শাড়ির কুচি খুলে যায় ।
মনে আছে তখন ছেলের এক কাজিন আমাকে পাশের রুমে নিয়ে সুন্দর করে শাড়ি পরিয়ে দেয় ।
আমার কাছে এটা অনেক রিস্কি পোশাক মনে হয় । সুন্দর কিন্তু রিস্কি ।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৭

শায়মা বলেছেন: আরে না আমি তো শাড়ি পরে সেই ছোট্টবেলা থেকে বুড়িবেলা নাচি :)

জীবনেও খুলে যায়নি! কোনো সেফটিপিন না দিলেও। :)

৩৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৫

একলব্য২১ বলেছেন: না না। বহাল তবিয়তে আছে। অসম্ভব স্নেহ করতেন। হঠাৎই মনে পড়লো। দেখা হইলে আমারে জোর কইরা খানা খিলাইতো। অনেক সরল মনের মানুষ। মিস হিম।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৮

শায়মা বলেছেন: ফোন দাও তাকে। :)

৪০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২০

মিরোরডডল বলেছেন:




তাহলে শুভ পাস্ট ফর্মে বলছিলো কেনো #:-S
আমি ভাবলাম ভদ্রলোক গত হয়েছেন ।



১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২২

শায়মা বলেছেন: মনে হয় শুভভাইয়া আজ মনের ইচ্ছা পূরণ করে এসেছে। আর তাই উল্টাপাল্টা হয়ে যাচ্ছে একটু।

৪১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৭

রানার ব্লগ বলেছেন: জামদানী নিজেই অনেক ইতিহাস ধরে বসে আছে। বাংলার বয়ন শিল্পের অনেকখানি জায়গা জুড়ে এর বিচরন। হ্যা এটা সত্য যে মসলিনের ফিউসান ভার্সন হলো জামদানী। মসলিন শিল্পীদের আংগুল কেটে দিয়েছিলো বৃটিশরা। কারন মসলিন চাষের জন্য যে তুলা চাষিরা বপন করতে তার বদলে নীল চাষ করতে বাধ্য করা হয়েছিল যখন চাষিরা অস্বিকৃতি জানালে মসলিন শিল্পিদের বুড় আংগুল কেটে দেয়া হয় অনেকটা না থাকবে বাশ না বাজবে বাশুরি। এই শিল্পীদের বড় একটা অংশ জামদানী শাড়ি বোনা শুরু করে।

মজার ব্যাপার অনেকেই জামদানী বুনন শিখে তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে তাত বসিয়ে বোনার চেষ্টা করে কিন্তু তারা সফল হয় নাই এর একমাত্র কারন নদীর পানি। শীতালক্ষা নদীর পানির তাপমাত্রা ও উষ্ণতা জামদানী সুতার জন্য অনুকুল। অন্য নদির পানিতে এর শুতা ভেজালে শুতা কালো হয়ে যায় বা দ্রুত পচে যায়।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৭

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তুমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছিলে নাকি?

একদম ঠিক ঠিক ...... :)

৪২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৪

একলব্য২১ বলেছেন: এত সহজে আমি আমার ইচ্ছা পূরণ আমি করবো না শায়মা আপু। তার জন্য বড় ধরনের celebration দরকার. আর সেটা পূরণ করার জন্য অন্তরের অন্তরস্থ থেকে সাড়া পেতে হবে। পাইলাম আর মাইরা দিলাম তা তো হবে না। :`>

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৯

শায়মা বলেছেন: আহা বড় ধরনের সেলেব্রেশন আসুক তোমার জীবনে।
আমাদেরকে দাওয়াৎ দিতে ভুলো না।

বেনারসী শাড়ি আনবো!

৪৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৯

মিরোরডডল বলেছেন:




একসময় অফিসের পাশেই বাসা ছিলো ।
লাঞ্চ টাইমে বা আফটার অফিস কিছু কলিগ আর বস আমার বাসায় চলে আসতো । আড্ডার জন্য পারফেক্ট ছিলো ।
এক ছুটির দিনে তাদেরকে অফিসিয়ালি খেতে ইনভাইট করলাম ।
ওরাও আবদার করলো আমাকে ট্র্যাডিশনাল পোশাকে দেখবে ।

ভাবলাম কি করা যায় । শাড়ি আছে কিন্তু তার সাথে পরার আনুষঙ্গিক যা লাগে ওগুলো নেই ।
বুঝতে পেরেছো নিশ্চয়ই কিসের কথা বলছি ।
তারপর ব্ল্যাক প্যান্ট আর ব্ল্যাক T দিয়ে আমি একটা ব্ল্যাক শাড়ি পরেছি ।
ওরা দেখলো আমি শাড়ি পরেছি, এতেই খুশি আর অনেক প্রশংসাবাক্য বলে গেলো ।
আমার যা হাসি পাচ্ছিলো, আমিই না জানি কি করেছি :)

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫২

শায়মা বলেছেন: হা হা হা শাড়ি পরার ছবিটা আছে নাকি মিররমনি!!!!!!

ব্লাক প্যান্ট আর ব্লাক টি শার্ট! হা হা হা হা

৪৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৯

মিরোরডডল বলেছেন:




কিসের ইচ্ছা পূরণ ? কি সেলিব্রেশন ?
কিছুইতো বুঝলাম না।

ওকে আপু শুভ, থাকো তোমরা, ইচ্ছা পূরণ করো ।
আমি যাই । প্রতিদিন এতো রাত করে ঘুমাই ।
সকালে ওঠার সময় মনে হয়, ইসস আর পাঁচ মিনিট ঘুমাতে পারতাম :((
শুভরাত্রি !

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৩

শায়মা বলেছেন: আহারে যাও ঘুমাও।
ঠিক ঠাক ঘুম না হলে আমি সকালে বাচ্চাদের সাথে কথাই বলতে পারি না। :(

৪৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৮

একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,

জরুয়া বহিন কো বুলাও। অসমাপ্ত গল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ইন্তেজার তো কিয়ামত বন গাই। হানিমুনে গেলে কি এত দিন থাকতে হয়। X((

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৩

শায়মা বলেছেন: ওকে যাই ডেকে আনি।

হানিমুন থেকে ফিরে কি বলে দেখি।

ওকে??? :)

৪৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৯

একলব্য২১ বলেছেন: তোমার এই পোস্টের লেখা পড়ে পরে আসবো।

আনটিল দেন ভালো থাকো শায়মা আপু। :)

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৭

শায়মা বলেছেন: আমার বহেনা ১০ মিনিটের মধ্যে পোস্ট দেবে।

হানিমুন থেকে ফিরে বেশি কিছু লিখতে পারেনি।

পড়ো তারপর ঘুমাও। :)

৪৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৬

একলব্য২১ বলেছেন: পড়ো তারপর ঘুমাও।

তথাস্তু!

আপকা হুকম সর আঁখো পর। YOUR WISH IS MY COMMAND. :)

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৭

শায়মা বলেছেন: দিয়েছি!!! পড়ো ভাইয়ু!

৪৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,




শাড়ীর ভাজে ভাজে লুকিয়ে থাকা গল্পগুলো মসলিনের মতোই মসৃন করে বুনেছেন । আর কাতান বেনারসীর মতোই চটকদার কারুকাজে সাজিয়ে্ও রেখে গেছেন।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৭

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া জানোই শাড়ি মানেই নারী। কাজেই চটকদার তো হতেই হবে। নইলে মানুষ শাড়ি কিনবে কেনো?
আর শাড়িওয়ালারাও জানে কেমনে ভুলাই ভালায় শাড়ি কেনাতে হবে।

কয়েক বছর আগে এক মেলা ছিলো গুলশান ইয়ুথ ক্লাবে। তো একটা হাতে আঁকা শাড়ি দেখে আমার মাথা খারাপ হয়ে গেলো। তখন আমি জিগাসা করলাম এই শাড়ির দাম কত।

সে শাড়ি এঁকেছিলো আর্ট কলেজের পিচকা একটা ছেলে। তো সে কি বলে জানো? শাড়ির দাম না বলে বলে - আপা শাড়ির দামটা বড় কথা না। আমি শাঁড়িটা আঁকার সময় একদম আপনার মত একজন এই শাড়ি পরবে কল্পনা করেই শাড়িটা এঁকেছিলাম। কাজেই দাম যাই হোক শাড়িটা আপনার জন্যই কাজেই ......

আর আমিও আহা তাই তাই এত করে বলছিস যখন ছোটকা দামের দিকে তাকাই আর কি হবে? হাজার হোক আমার মত একজনই এই শাড়ি আঁকার সময় শিল্পীর মানসপটে ছিলো! আহা

হা হা এমন করেই ভুলিয়ে ভালিয়ে ঠকিয়ে নেয় শাড়িওয়ালারা।

৪৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আস্তে আস্তে পড়বো আর বউকে শাড়ি পরতে বলবো। খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১০

শায়মা বলেছেন: ভেরি গুড ভাইয়া।

দেশীয় শাড়ি কিনে হও ধন্য।

৫০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ এইসব ই কর আমাকে ফিচার লিখতে বসায়ে নিজেরা আড্ডা দাও X((

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৭

শায়মা বলেছেন: হা হা না না শুধু কি আড্ডা দেই???

ফিচারও লিখেছি আরেকটা। :)

৫১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:৪৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: খাইছে আমারে কত কিছু যে জানিনা জীবনে!
শাড়ি মাড়ি সম্পর্কে এত কিছু জানতাম না! পোস্টে অনেক কিছু বিস্তারিত ভাবে লিখেছেন।

তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট।

আমার টুপি খোলা স্যালুট নিন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৫

শায়মা বলেছেন: শাড়িকে শুধু শাড়ি ভাবলেই চলবে না ভাইয়া।

এই শাড়ির কত ইতিহাস, কত ভালোবাসা, কত কষ্ট কত বেদনা...... :)

অনেক অনেক ভালোবাসা ভাইয়া।

৫২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৩৮

সোহানী বলেছেন: ওক্কে দিলাম তুমারে ফটুক.... তয় রংঢং এর গুলা পাইতাছিনা। তো ফেবুই ভ্রসা ;) ........

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৭

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক ভালোবাসা আপুনি!!!!!!!!!! দাঁড়াও এই শাড়িটাও এড করে দিচ্ছি পোস্টে। কিন্তু এটাও তো মনে হচ্ছে রাজশাহী সিল্ক তাই না???

যাইহোক থ্যাংক ইউ সো মাচ!!!!!!

৫৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৩০

করুণাধারা বলেছেন: আমি জানি তোমার অসংখ্য শাড়ি, অসংখ্য বেনারসি আছে। তোমাকে রাগানোর জন্য বলেছিলাম একখানার কথা। আশাকরি মনে মাইন্ড করোনি।

তোমার জামদানি দেখে মনে পড়ল, আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন আমার এক খালা বললেন আমার জীবনের প্রথম শাড়ি উনি কিনে দিতে চান। আমি বললাম গাঢ় নীল জমিনে বিদ্যুৎ চমকের মতো আঁকাবাঁকা রূপালী জরির কাজওয়ালা জামদানি চাই। সেটা পাওয়া যায় নি।‌‌‌‌

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৮

শায়মা বলেছেন: হা হা মাইন্ড করতে পারি আমি তোমার উপরে!!!!!!!! আই লাভ ইউ সো মাচ!!!!!!!

কিন্তু একটা শাড়ি পরা ছবি দাও আমার পোস্টের মডেলিং এর জন্য। তাহলে জীবনে মরনে কখনই মাইন্ড কব্বো না!!!! :)

দাঁড়াও আমি একটু পর আমার গাঢ় নীল জমিনে রুপালী আঁকি বুকি জামদানী আনছি। কিন্তু সেটাও দিয়েছে আমার প্যারেন্টস মানে বাচ্চাদের মায়েরা! :)

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৩

শায়মা বলেছেন: আপু ভালো করে পোস্টখানা এই বার দেখো......

সব শাড়ির মডেল আমরা ব্লগারস আপুরাই হতে চাই তাই তোমার শাড়ি পরা ছবি চাই....

৫৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: " শাড়ীতে বংগ ললনা , দেখতে কি যে ভাল ;) লাগেনা
তাকে ঘরে রেখে ,অফিসে-বাইরে যেতে মন চায়না" - আহা :(( শাড়ী ও শাড়ী জড়ানো বংগ নারী - দুই ই এক কথায় অপূর্ব।

বনি, বাংগালী নারীদের সৌন্দর্যের প্রধান অনুষংগ, আমাদের দেশীয় বস্ত্র ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক শাড়ি। আর তার উৎপত্তি, নামকরণের ইতিহাস তথা শাড়ী নামা এক কথায় অপুর্ব । শাড়ীর ইতিহাস ও শাড়ী তৈরীর বর্ণনা তথা শাড়ী নিয়ে আপনার অসাধারন তথ্যবহুল লিখার জন্য শুধুই ভাললাগা আর তার সাথে সাথে +++++++

আর, লেখা প্রতিযোগীতার ফিচারে এখন পর্যন্ত মনে হয় সেরা লেখা এবং শেষ পর্যন্ত প্রথম দিকেই থাকবে তা নিশ্চিত । এমনকি হতে পারে সেরাও।

তবে আর একটা কথা না বললেই নয় , লেখা যেমন চমতকার হয়েছে, তার থেকে অনেক বেশী চমতকার শাড়ীর মডেল ( বিশেষ করে মডেল ছবি - ৬ এবং ৭। ১ এবং ৩ ও ভাল ) । আমাদের দেশের বিজ্ঞাপন নির্মাতারা ভাবতে পারে এই অসাধারন মডেলকে নিয়ে বিশেষ করে শাড়ীর জন্য ত একদম সঠিক ।

প্রতিযোগীতায় আপনার সাফল্য কামনা রইলো।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩০

শায়মা বলেছেন: হা হা হা থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া।
তবে এই পোস্টের মডেলরা আমাদের ব্লগের আপুরাই।

দাঁড়াও আরও আরও মডেল ছবি জুড়ে দিচ্ছি!

আমরা একাই একশো! :)

৫৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:




সোহানীপু, অনেক বেশি ক্লোজ শট হয়ে গেলো নাহ ?
আরও একটু দূরে যেতে, তাহলে ভালোভাবে দেখতে পেতাম :P

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩১

শায়মা বলেছেন: মিররমনি!! সব আপুদের শাড়ি ছবি মডেল জুড়ে দিচ্ছি আমার পোস্টে। :)

তোমার পিচ্চিকালের শাড়ি পরা ছবিটাই দাও :(

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩১

শায়মা বলেছেন: ইয়ে!!!!!!!!!!!!!!!

সব শাড়ির মডেল আমরা আমরাই হয়ে গেছি!!!!!!!!!!

শাড়ির ছবি দাও দাও দাও!!!!!!!! :)

৫৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: কতগুলো শাড়ীর ইতিহাস জানা হয়ে গেল একসাথে তোমার এই পোস্টের কল্যাণে। বিশ্ব রংয়ের ব্রান্ড এম্বাসেডর হতে আর বেশি দেরি নেই তোমার :P। চুপিচুপি একটা কথা বলি শোন, তোমার পরা শাড়ীগুলো নিলামে তুলবে তারপরের বিষয়টা পরেই বলবোনে। ;)

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৬

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ বাংলাদেশের সকল শাড়ির মডেল হতে চাই চাই চাই!!!!!!


ওকে তোমাকে এমনি এমনি দিয়ে দেবো। ঠিকানা দিয়ে দিও ..... কোনটা চাও বলো শুধু একবার নীলুমনি!!!!!!!!

:) :) :)

৫৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৪

সোহানী বলেছেন: মিরোর......... হাহাহা ঠিক আছে নেক্সট নদীর ওপার থেকে দিবো ওক্কে :P

শায়মা থ্যাংস, এটি পিউর সুতি। টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির থেকে কেনা। আমার ৯০ ভাগ শাড়িই সেখানের। জামদানী আমার সবচেযে প্রিয়। ডজন খানেক মনে হয় আছে্ কিন্তু এখানে পড়া হয় না। কানাডায় শাড়ি পড়া বেশ ঝামেলার। তারউপর আমি নিজে ড্রাইভ করি। এ শাড়ি পরে ড্রাইভ যে করে সে বুঝে কি জিনিস ওইটা.............হাহাহাহাহা

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৯

শায়মা বলেছেন:
আরে আপু শাড়ি পরেই তো কব্বা!!!!!!!!! আই লাইক টু ড্রাইভ উইথ শাড়ি!!!!!!!!!!:)

নিজেকে কবরী করবী লাগে আগের দিনের বাংলা সিনেমার নায়িকা!!!!!

এই দেখো!!!!!! :)

ভিডিও থেকে কেটে কেটে আনলাম ঝাপসা ঝুপসা। ভিডিওমান আসমার ভাই ওসমান :)
:) :) :)
আর তখন শাড়িটা টাঙ্গাইলের বলে দাও নি কেনো???
এত দূর থেকে তো আমি মসলিন জামদানি ভাবছিলাম। :(

এইবার নদীর ওপারেরটা দাও.... :)

৫৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১১

জোবাইর বলেছেন: রং-বেরঙের বাহারি শাড়ি পড়ে বাংলার রুপসী ললনাদের দেখেছি, কিন্তু শাড়ীর পেছনে এতো রকমফের ও ইতিহাস আছে তা জানতাম না। এরকম তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট একবার পড়লে তৃষ্ণা মিটে না, অনেকবার পড়তে হয়। তাই প্রিয়তে রাখলাম। এখন থেকে শাড়ী পড়া কোনো নারী দেখলে নারীর রুপের পাশাপাশি শাড়ীর নাম, জাত, বুনন পদ্ধতি, ইতিহাস ইত্যাদি নিয়েও ভাবতে হবে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৬

শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই ভাইয়া। আরও একটা ব্যপার বলি আমার পোস্টের সব মডেলরাই আমাদের ব্লগার আপুরা। :)

৫৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


বিগত কয়েকমাস যাবত গুরুতরভাবে অসুস্থ থাকার কারণে
সামুতে বিচরণ করতে না পারায় তোমার এই অতি মুল্যবান
তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্টি দেখা হয়ে উঠেনি । প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ।
অনেক উপকারী পোষ্ট , বস্ত্র শিল্পের সাথে সংস্লিষ্টরা সহ
সাধারণ শিক্ষার্থীগন এ পোষ্ট হতে অনেক কিছু জানতে
ও শিখতে পারবে ।
আরো একটু সুস্থ বোধ করলে পোষ্টটিতে ফিরে আসব ।
অনেক কথাই বলার আছে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০১

শায়মা বলেছেন: অনেক ভালোবাসা ভাইয়া।

তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়ে ওঠো।

তোমার মসলিন নিয়ে লেখাটাও অনেক অনেক ভালো লেগেছে আমার।

৬০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৪

মেহবুবা বলেছেন: শাড়ি কাহিনী!
সোহানীর সাথে একমত, জামদানী শাড়ি সত্যি অতুলনীয় ।
আমার একটা কাল যমিনে গাড় সবুজ জামদানী দরকার, পাই না।
শাড়ি পরে ড্রাইভ করবার সময় পায়ের কাছ যেন শাড়ি বেশী না জড়ায় খেয়াল রেখ। নিয়মবিহীন ঢাকার রাস্তায় কতবার যে হঠাৎ ব্রেক ধরতে হয়!

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৬

শায়মা বলেছেন: এমন একটা শাড়ি পাচ্ছো না কেনো!!!

সোনারগায়ের জামদানী পল্লীতে বা মিরপুর বেনারসী পল্লীতে অর্ডার দিলে কিন্তু বানিয়ে দেবে।


না না শাড়ি পরে ড্রাইভ করলে পা আটকায় না আপুনি। আমি তো শাড়ি পরে ইচ্ছা করে ড্রাইভিং এন্ড ভিডিওইং করি। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.