নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...
আমার ছেলেবেলায় আমি বাংলাদেশের নানাস্থানে ভ্রমন করেছিলাম। এর পেছনে কারণ ছিলো আমার কিছু পরমাত্মীয়ের সরকারী কর্মকর্তা হবার সুবাদে আমাদের ছেলেবেলার গরমের ছুটি, শীতের ছুটি ছাড়াও নানাবিধ আচার অনুষ্ঠান পালনের উদ্দেশ্যে সে সব স্থানে গমন।
আমার মাঝে মাঝেই মনে পড়ে সে সব ছেলেবেলার স্মৃতি। মানুষ অনেক কিছুই ভুলে যায় ভুলে যেতে চায় বলে। কিন্তু আমি সব কিছুই মনে রেখে দিতে চাই। আমার খুব মনে পড়ে উত্তরবঙ্গের চিনিকল, ডিসিকলোনী, আর্মী ক্যান্টনমেন্টগুলোতে কাটানো সময়গুলোর কথা। এবছরের রোজার ঈদের পরেরদিনই চলে গিয়েছিলাম আমার ছেলেবেলায় উত্তরবঙ্গের নানা স্থানে কাটানো সেই সব স্মৃতিগুলির কাছে ।গিয়েছিলাম জয়পুরহাট। জয়পুরহাটে চিনিকল আর ডিসিকলোনী ছাড়া তার বিশেষ কোনো জৌলুশ নেই হয়ত। কিন্তু আমার সেই আত্মীয়ের অবস্থান ডিসি কলোনী হলেও চিনিকল, সেখানের অতিথী ভবন, কলোনীর সাথেও আমাদের ছিলো এক গভীর যোগসূত্র। চিনিকল কলোনীর সেই মধুর ফেলে আসা দিনগুলির স্মৃতি, এই স্থানটিকে আমার হৃদয়ে আজও বিশেষভাবে জৌলুসমন্ডিত করে রেখেছে।
১
ঈদের পরদিন সারাদিন নাটোরের এক সুবিখ্যাত গ্রাম, যেখানে ১০০% মানুষ সাক্ষরতার দাবীদার সেখানে গিয়েছিলাম আমরা একটা জরুরী মিটিং এর কাজে। সেখানে সারাদিন কাটিয়ে সন্ধ্যা নামার একটু আগ দিয়ে রওয়ানা দিলাম বগুড়া আরডিএর উদ্দেশ্যে। সেখানেই রাত্রী যাপনের পরিকল্পনা ছিলো। আমাদের সাথে ছিলো শামীম। সে হলো আমাদের সকল কাজের কাজী। তবে ড্রাইভিংটা তার বিশেষ পছন্দ হওয়ায় সেই আমাদের গাড়িগুলি চালিয়ে থাকে। কিন্তু রাতের আঁধারে আমার মিঃ সঙ্গী তার হাতে গাড়ী দিয়ে জীবন বাজী রাখতে রাজী হলেন না তাই সে নিজেই গাড়ি নিয়ে রওয়ানা হলেন তার মায়ের মাথার শত দিব্যি " তুই গাড়ি চালাবি না রাতে"এই অনুরোধ উপেক্ষা করেও।
অনেকদিন পর এই রাতের সড়কপথে ভ্রমন আমাকে নিয়ে যাচ্ছিলো আমার ছেলেবেলাকার দিনগুলোতে। ঘুর্ঘুট্টি অন্ধকারে জনমনিষ্যিহীন ধুধু প্রান্তর ঘেষে চলছিলো শুধুই একটা মাত্র গাড়ি। সে আমাদেরটাই। আসলে ঈদের পরদিন হওয়াতে দোকানপাট সবই বন্ধ ছিলো, সন্ধ্যার পর পথঘাটে লোকজনের আনাগোনাও ছিলোই না বলতে গেলে। আমার তখন ছেলেবেলার রবিঠাকুরের সেই কবিতার লাইনটাই মনে পড়ছিলো " আমরা কোথায় যাচ্ছি কে তা জানে,অন্ধকারে দেখা যায় না ভালো। তুমি যেন বললে আমায় ডেকে, ‘দিঘির ধারে ঐ যে কিসের আলো!’
এমন সময় 'হাঁরে রে রে রে রে’ ঐ যে কারা আসতেছে ডাক ছেড়ে " শামীম ডাকাতের ভয়ও পাচ্ছিলো। আসলে এই চলনবিলের ডাকাতদের ইতিহাস অতি পুরোনো। তাদের ডাকাতির সেই ভয়বহতার ইতিহাসও চলনবিলবাসীদের কাছে ভালোই সুপরিচিত। তবে আমার এতটুকুও ভয় লাগছিলো না। কারণ আমার জীবনে এমন অনেক রাতেই আমরা ছুটে গেছি এমন নির্জন পথে বহু বহুবার!!!
পথে যেতে যেতে হঠাৎ গ্রামের পথে টং চায়ের দোকানগুলোর সামনে একখানে দেখি লোকজন সব বাঁশ হাতে দাঁড়িয়ে। হা হা হা কারো চোখ এই কথা শুনে গুলুগুলু হবার দরকারই নেই। তারা মোটেও ডাকাত ছিলো না। ঈদের ছুটি পেয়ে লোকজনের কম আনাগোনায় পথের ধারের জঙ্গল থেকে উঠে এসেছিলো এক বিশাল গোখরা সাপ। তিনি রাস্তা পার হচ্ছিলের হেলেদুলে। এমন সময় বেরসিক লোকজন হই হই রই রই করে তাকে পিটিয়ে মারলো। সেই অপূর্ব সুন্দর গোখরা সাপের কারুকার্য্যময় লেজটা ঐ আলো আঁধারীতেও একটু একটু নড়ছিলো আর তার অপূর্ব সৌন্দর্য্যে ঝিলিক মারছিলো শেষবারের মতই। এই সৌন্দর্য্য নিয়ে বেঁচে থাকা হলো না তার আর। তার জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিলো একদল ভীতু মানুষ যারা জানে সাপ মানেই শত্রু। বাঁচবার কোনো অধিকার নেই তার।
২
অবশেষে পৌছালাম বগুড়া আরডিএ তে। আগে থেকে খানাপিনার অর্ডার না দেওয়ায় তারা রাতের খাবার দিতে পারলো না। তাই আমরা চকলেট বিস্কিট আর স্প্রাইট খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লাম। কিন্তু সকালে উঠে প্রান জুড়ালো মন ভরালো। জানালা দিয়ে অপরুপ সুনিয়ন্ত্রিত বনভূমি। আমরা ডাইনিং এ গিয়ে দেখলাম তখনও নাস্তা রেডী হতে কিছু বাকী তাই গাড়ি করে ঘুরে আসলাম তাদের গরুর খামার, মৎস্যচাষ আর নানা রকমের ফসল ও শষ্য উৎপাদনের কৃষিক্ষেত্রে। কি ভীষন ভালো লাগার একটা জায়গা ছিলো সেটা।
সবকিছু ছাপিয়ে চোখ আটকে গেলো তাদের খেতগুলির বেড়ায় বেড়ায় টাঙ্গানো খনার বচনে- যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্য রাজার পূন্য দেশ, আরও শত শত খনার বচনে। তারপর বহুদিন পর খেলাম সরকারী রেস্ট হাউজ, গেস্ট হাউজের অমন ঘিয়ে ভাজা খাস্তা পরোটা, বুটের ডাল, ডিমভাজা সহযোগে সকালের নাস্তা।
আরডিএর বাগানে ছোটবাচ্চাদের জন্য ছিলো স্লিপার দোলনা ঢেকি এসব।
১২ বছরের উপরে দোলনায় বসা নিষেধ।
কিন্তু আমি কি ১২ বছরের চাইতে আসলেও বড়? তাই বসে রইলাম সেখানে। দোলও খেলাম মনের আনন্দে।
এরপরের গন্তব্য ছিলো জয়পুরহাট। পথে গাড়ির জানালা দিয়ে চেয়ে দেখছিলাম, সজীব শ্যামল ধানের খেত, সেই শৈশব কৈশোরে দেখা দিনগুলোর মাটির বাড়ি, টিনের চালা, খড়ের গাঁদা যেন এক ছবি আঁকার খাতায় আঁকা প্রাকৃতিক দৃশ্যের পটভূমি। জয়পুরহাট পৌছে অবাক হলাম কত কিছুই বদলেছে এই পৃ্থিবীতে কিন্তু জয়পুরহাট আজ প্রায় ২ যুগ পরেও যেন একই রকম আছে।
৩
ডিসি কলোনীতে থাকার ব্যবস্থা থাকা সত্বেও আমরা গেলাম চিনিকলের অতিথিভবনে। সেখানে পরিচিত একজন যে আমাদের থাকবার ব্যবস্থা করেছিলো তাকে ফোন দিলাম। সে সারাটাদিন আমাদেরকে সঙ্গ দিলো।
আমি গেলাম তৎকালীন জিএম বাংলো, এখন সেটা এমডি বাংলো বলে পরিচিত সেই বাড়িটিতে। বাড়িটি তার হলুদ রং ও ঢং এ অবিকল দাঁড়ি্যে আছে ঠিক আগের মতই। তবে মনে হলো ভালোবাসা আর যত্নের অভাবে আজ সে মলিন। কোথাও কোথাও রং চটে গেছে, ঝুল জমে আছে কোনায় কোনায়। এসব এখনকার মানুষগুলোর চোখে পড়ে কিনা জানিনা তবে একটা সময়ে সবকিছু ছিলো ঝাঁ চকচকে, পরিপাটি। সারা বাগান জুড়ে ছিলো ফুলের মেলা। বারান্দায় টবস্ট্যান্ডগুলোতে ভরা ছিলো ফুলের থোকা। বারান্দার ছিলো আরাম কেদারা। এক পাশে চালায় ঝুলতো আঙ্গুরের থোকা। সেসব কিছুই আজ অবশিষ্ঠ নেই। ফুলশূন্য বারান্দা জীর্ন শীর্ন কলেবরে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখে যেন হেসে উঠলো তারা। নির্বাক বিস্ময়্ব জিগাসা করলো, অবশেষে এলে?
এককালের ঝকঝকে তকতকে সেই রুপোলী রং পাজেরো গাড়িটা দাঁড়িয়ে ছিলো গ্যারেজে মলিন কলেবরে নতুন রঙ সাদায়। তার পাশেই জায়গা হয়েছে নতুন চকচকে বিশাল আরেক গাড়ির। গ্যরেজটা সেই আগের মতই আছে। পুকুরপাড়ে মাছ ধরছিলো পাশের বাসার ছেলে মেয়েরা।
দুপুরে আমরা সবাই এক সাথে খেলাম তারপর ঘুরতে গেলাম জয়পুরহাট মিল কলোনীর বিশাল পুকুরের মাঝে দ্বীপাঞ্চলে ঝুলন্ত ব্রীজ ধরে।
রাতে ডিসিকলোনীতে গেলাম একজন পরিচিত মানুষের বাসায়। সেখানে রাতের খাবার খেয়ে ফিরে চললাম মিলকলোনীর অতিথিভবনে।
অজানা এক আনন্দে মন ভরে ছিলো সারাদিন। আমার জীবনে সুন্দর দিনগুলোর মাঝে কয়েকটা দিন মনে করতে বললেও হয়ত মনে পড়ে যাবে সেই দিনটির কথা........
৪
খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গে উঠলাম পরদিন। অতিথি ভবনের দরজা খুলে বের হতেই মনে পড়ে গেলো আজ থেকে বহু বছর আগে তখন আমার ক্লাস ফোর, এই অতিথি ভবনের দরজা দিয়ে খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গে উঠে বের হয়েছিলাম আমি। সেটা ছিলো ভয়ানক শীতের সকাল আর এখন ভয়ানক গরমের দিন। মনে পড়ে গেলো এই বারান্দায় পেছন দিক দিয়ে হঠাৎ ডেজী আপা বলে ডাক দিয়ে উঠছিলো একটা ছেলে। আমারই মত পুচকে ছিলো সেও। আমি চমকে পিছন ফিরে তাকাতেই সে বলেছিলো ওহ আমি ভেবেছিলাম তুমি আমাদের ডেজী আপা। আমি কোন কথা বলিনি তবে তখনই বুঝে গিয়েছিলাম এখানে রয়েছে কোনো এক ডেজী, সে পিছন থেকে দেখতে আমারই মতন।
এরপর এই ডেজীর সাথে আমার দারুন সখ্যতা হয়েছিলো। তার কাছেই আমি জীবনের প্রথম হ্যান্স ক্রিস্চিয়ান এন্ডারসনের লেখা দ্য লিটল মারমেইড বইটা পড়ি। সেই বইটা পড়ে আমি এতই কেঁদেছিলাম যে আমার চোখের জল ধরে রাখলে ছোটখাটো এক সাগর হয়ে যেত। কারণ দুঃখী বোবা এই মাছরাজার কন্যা মর্ত্যের এক রাজকুমারের প্রেমে পড়ে তার মাছের লেজ বদলে জড়িবুটি বুড়ির কাছ থেকে মানুষের মত পা বানিয়ে জল ছেড়ে স্থলে উঠে এলো, তবুও রাজকুমার তার ভালোবাসার মূল্য দেওয়া তো দূরের কথা তার ভাষাই বুঝতে পারলো না! যাইহোক বেশ কয়েক বছর পরে জানতে পেরে ছিলাম ডেজী আপার বিয়ে হয়ে গেছে স্কুল শেষ না হতেই। তারপরপরই এটাও জানতে পেয়েছিলাম কোনো এক দূরারোগ্য ব্যাধিতে ডেজীআপা শয্যাশায়ী। অনেক বছর সেভাবেই ছিলো। আমি বেশ বড়বেলায় একবার দেখতে গিয়েছিলাম তাকে। ফুলের মতন কোমল টলটলে মুখ নিয়ে বিছানায় শুয়ে ছিলো ডেজী আপা। সারা শরীর শুঁকিয়ে কাঁঠ হয়ে গেছে। বিছানার সাথে মিশে ছিলো তার ছোট্ট শরীর, শুধু মুখখানি তার তেমনি ছিলো, সুন্দর ঢলঢলে।
অতিথি ভবনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে সব কিছুই যেন সেলুলয়েডের ফিতায় চোখের সামনে ভেসে আসছিলো। আমি রাস্তায় নামলাম। অত সকালে কেউ তখনও তেমন জেগে ওঠেনি। চারিদিক নিস্ত্ব্ধ ছিলো। পাখির কূজন ছাড়া খুব একটা শব্দ ছিলো না কোথাও। নাম না জানা এক বিশাল বৃক্ষের তলায় হাঁটবার সময় টুপটাপ শব্দ শুনে অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম। এই টুপটাপ শব্দ ঐ ছোট্ট ছোট্ট ফুলগুলো ঝরে পড়ার শব্দ এমন আশ্চর্য্য সুন্দর কিছু আমি বহু বছর শুনিনি আমার কোলাহল মুখরিত শহরে বহুদিন! আমি কলোনীর দুইপাশ ঘেষে সবুজ ঢাকা পথ দিয়ে হাঁটছিলাম। মনে পড়ে যাচ্ছিলো আমার জীবনের প্রথম দেখা দোলনচাঁপা ফুল যা আমি ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনীয়ারের বাস ভবনের জানালা ঘেষে আমার জীবনে প্রথম দেখেছিলাম। সেই কথা মনে পড়তেই যেন ঘ্রান ভেসে এলো দোলন চাঁপার। বুকের মধ্যে কি এক মায়ার ঢেউ। শৈশবের ভালোবাসা, ভালো লাগার মায়া!
পথে হেঁটে যেতে যেতে মনে পড়ছিলো এই কলোনীর বড় বড় গাছগুলো বা ইউক্যালিপটাসের গাছগুলোর নীচ দিয়ে পড়ে থাকা লজ্জাবতী গাছগুলোর কথা। যা দেখে আমি এত অবাক হয়েছিলাম আমার ছেলেবেলায়। যাওয়া আসার পথে পা দিয়ে ছুঁয়ে দিতে কখনও ভুল করতাম না আমি। মা বলেছিলো তাদেরকে ছুঁয়ে দিলে তারা লজ্জা পায় তাই বন্ধ হয়ে যায়। এই বিস্ময় আমাকে মুগ্ধ করে রাখতো। গাছের প্রাণ আছে সে তো সবাই জানি তবুও তারা গাছ আর এই লজ্জাবতী তার মনুষ্যসুলভ লজ্জায় নিজেকে গুঁটিয়ে নেওয়া স্বভাব দেখিয়ে শুধু গাছ নয় যেন মানুষেরই মত কোনো প্রাণীতে পরিনত হয়েছিলো আমার কাছে।
কলোনীর পাশ ঘেষেই পাঁচিলের ওপারে জয়পুরহাট চিনিকল। আখ মাড়াই মৌসুমে এই চিনিকলের ঘটঘট শব্দে কানে তালা লেগে যায়। যখন চিনি হয় তখন মিলের পাশ দিয়ে গেলে এক আশ্চর্য্য ঘ্রান নেমে আসে। মোলাসেস এটাও আমার দেখা এক অবাক বিস্ময়। মোলাসেসের গন্ধ বা তার সেই অন্যরকম কাঁদামাটির চেহারা সবই ছিলো বিস্ময়কর আবিষ্কার আমার ছেলেবেলার। চিনিকল চলার সময়ের শব্দ, সেই দৃশ্য সব চোখে ভাসে আমার..... চোখে ভাসে হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো। সেই চিনিকল সেই গেট, সেই পথ সবই আছে আগের মত শুধু আমার জীবনের সময়গুলো হয়ে গেছে গান- এ পথে আমি যে গেছি বার বার, ভুলিনিতো একদিনও, আজ কি ঘুচিলো চিহ্ন তার, উঠিলো পথের তৃন!!! সেই পদচিহ্ন ঘুচে গেছে আজ বহুদিন হলো। নতুন করে পদচিহ্ন এঁকে দিলাম তাই নতুন করে পুরনো পথের বাঁকে বাঁকে।
আমি বললাম এতদিন পরে এসেছি যখন আমার আরেক ছেলেবেলাও একটু দেখে আসি না? কিন্তু আমার মিঃ সঙ্গী নানা কথা বলে আমাকে বিরত রাখার চেষ্টা করছিলো। তার কাছে এই সব ছাইপাশ দেখার কোনো মূল্য ছিলো না শুধু আমার ইচ্ছের মূল্য দিতেই সে আমার সফর সঙ্গী হয়েছিলো। শেষ মেষ আমার অনুরোধ আমার ক্রোধে পরিনত হলো মানে ভাবছিলাম এতদূর যখন এসেছিই আর একটু কষ্ট করে আরেক ছেলেবেলার স্থান দেখে গেলে ক্ষতি কি? তখন আর কি করা তাই তখন তাকে রাজী হতেই হলো।
আমাদের সাথে আমাদেরকে গাইড করে নিয়ে গিয়েছিলো ওখাানের একজন স্থানীয় বাসিন্দা। সেদিন তার ঢাকায় ফিরে আসার কথা। তার অফিস খুলে যাচ্ছিলো। তবুও সে সকালেই চলে এলো আমাদের সাথে ব্রেকফাস্ট করতে। পরোটা, ডাল, মুরগীর ঝোল, মিষ্টি ,ভাজী আরও কি কি সব দিয়ে রাজকীয় খানাপিনার ব্যবস্থা হলো। তারপর বিদায়ের পালা। সকলের কাছে বিদায় নিয়ে ফিরে চললাম জয়পুরহাট ছেড়ে। শেষবারের মত হয়ত চোখ মেলে দেখে নিলাম আমার ছেলেবেলার সেই সুপরিচিত মিল কলোনীটিকে।
জয়পুরহাট থেকে বের হবার পর শামীমকে গাড়ি চালাতে দেওয়া হলো। বেচারা আগে কখনও লং রুটে গাড়ি চালায়নি। সে কিছুদূর গিয়ে বলে এইখান থেকে রংপুর ১৬ কিমি। আমি তো চিন্তায় পড়লাম। রংপুর তো এখান থেকে এটলিস্ট ১০০ মাইল হবার কথা। সে মহা পন্ডিতি স্টাইলে বলে আরে না বাইপাস হইসে এখন রংপুর ১৬ কিমিই। আমাদের কথা শুনে আমার মিঃ সঙ্গী হাসছিলো। সে বললো তুমি শামীমকে আজও চিনোনি সে ৯৬ কিমিকে বলছে ১৬ কিমি। এতক্ষনে সব রহস্যের সমাধান হইলো। শামীম এরপর দূরে তাকিয়ে বলে সামনে ব্রীজ। আমি চারিদিকে তাকিয়েও কোথাও ব্রীজ দেখলাম না। তারপর দেখি দূরের বালির ঢিবিকে বলে সে ব্রীজ। তার এই সব উল্টা পাল্টা কর্মকান্ড ও আক্কেল জ্ঞানের অপরাধে তাকে ড্রাইভিং সিট থেকে নামিয়ে চালকের আসনের পাশে সিটে বসতে বাধ্য করা হলো।
৫
অবশেষে পৌছালাম গোপালপুর তথা নর্থ বেঙ্গল স্যুগারমিলে। এই চিনিকল বা স্যুগারমিল বা কলোনীটি জয়পুরহাটের মত অত বড় নয়। তবুও এ বছরে নাকি এই মিলটি চিনি উৎপাদনে খুব ভালো করেছে। গেইটে ঢুকতেই এক রাশ স্মৃতি হুড়মুড় করে নামলো চোখের পাতায় মানে যখন এসেছিলাম আমি আমার ছেলেবেলায় এই কলোনিটিতে। এই কলোনিটি শুধুই একটা মাত্র রোডের উপরে দাঁড়িয়ে। খুব স্বল্প লোকজন বাড়িঘর নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই মিলপাড়া। আমরা গিয়ে সোজা উঠলাম অতিথি ভবনে। সেখানে সেদিন পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান চলছিলো। কাজেই হুলুস্থুল পরিবেশে আমি আর থাকতে চাইলাম না। সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা ঈশ্বরদী চলে যাবো। সেখানে রয়েছে স্বপ্নদ্বীপ। সেই হোটেলেই উঠবো বলে মনস্থ করলাম। তার আগে আমি দেখতে চাই আমার শৈশবে দেখা এই চিনিকলের সেই রাজপ্রাসাদসম ম্যানেজিং ডাইরেক্টরের বাংলোটি।
বাড়িটি অবিকল তেমনই দাঁড়িয়ে আছে। শুধু হলদে সেই রাজপ্রাসাদের হলুদ রঙের উপর চড়েছে খুবই বিদিক্চ্ছিরি এক ছাই ছাই রঙ। তার উপরে খুবই খেত্তু মার্কা স্টাইলে নকশা করা হয়েছে। আমার ছেলেবেলার সেই রাজপ্রাসাদসম বাড়িটার এই করুন পরিনতি চেহারা দেখে একটু মনটা দমে গেলো। তবে ঠিক সেই আগের মতনই আজও এতগুলো বছর মাস কালের পরেও আমার সেই রাজপ্রাসাদের পাশ ঘেষে দাঁড়িয়ে ছিলো নাগকেশর ফুলের গাছটা।
আমার ঠিক মনে নেই কোন সময়ে গাছটা ফুল দিত তবে বোধ হয় আমার আগমনেই ফুলে ফুলে ছেয়েছিলো গাছটা সেদিন।
গাছের তলায় পড়ে থাকা অজস্র সুন্দর নাগ কেশরের ফুল দেখে আনন্দে মন ভরে গেলো আমার। সোহাগ চাঁদ বদনী ধ্বনী নাচোতো দেখি বালা গানটাতে মনে হয় এই ফুলটার কথাই বলা আছে। গাছের গুড়িটাকে ছুঁয়ে মনে মনে প্রশ্ন করলাম। ভালো আছো তো??
এই প্রাসাদসম বাড়িটাকে ঘিরে ছিলো অজস্র গাছ, নাম না জানা সব ফুল, আরও ছিলো ঝা চকচকে পাতাওয়ালা সব পাতাবাহার। সে সব দিনে এই পাতাবাহারগুলোর পাতা মুছে ঝকঝকে করে রাখতো মালীরা। গাড়ি বারান্দা ছিলো তিন পাশ ঘেষে। নীল রঙের কার ও আরও কয়েক রকমের গাড়ি ছিলো তখন। ছোট্ট একটা কার ছিলো যার নাম মিনিমক। সেই হলুদ আর কালোর মিশেলে গাড়িটা খুবই মজার ছিলো আমাদের ছেলেবেলায়।
এই বাড়িতে একবার এক অদ্ভুতুড়ে কান্ড ঘটেছিলো একদিন। তখন ছিলো খুব শীতের দিন। সন্ধ্যার পর থেকেই এই বাসার পাশের বাসার উঠানে, ছাদে বড় বড় ইটের টুকরা এসে পড়তে লাগলো। চারিদিকে শোরগোল উঠে গেলো। দারোয়ান ড্রাইভার লোকজন জড়ো হলো কই থেকে পড়ছে এই ইট। সে আবার যে সে ইটের টুকরা না। আস্ত বড় বড় থান ইট। যেই বাসায় ইট পড়ছিলো সেই বাসাটা ছিলো মন্টিদের। মন্টি আমাদের চাইতে একটু বড় ছিলো। অনেকেই বলছিলো এই মন্টিরই দুষ্টু কোনো প্রেমিক প্রবর হয়ত ইট ছুড়ছে বাসাটাতে। কিন্তু সারা রাতেও সেই ইট পড়া বন্ধ হলো না। এমনকি গভীর রাতে দারোয়ান সেই ভূতেদেরকে বলেছিল- ভূত বাবারা এই যে এত ইট ফেলছো এসব না ফেলে টাকার থলে ফেললেও তো পারো আমাদের উপকার হয়। এই কথা বলার পর পাশের বাড়ির ইট ফেলা ভূত রেগে গিয়ে এই বাসাতেও ইট ফেলতে শুরু করেছিলো।
দুপুর নাগাদ অনেক বড় বড় ওঝা ডেকে আনা হয়েছিলো। তারা এসে বললো, এই বাড়ির দেওয়ালে জন্ম নিয়েছিলো এক বট গাছ। সেই বট গাছ কেটে ফেলা হয়েছিলো পাঁচিল ভেঙ্গে যাবার ভয়ে। সেই গাছে বাস করতো কতগুলো অতি ভালো মুসুল্লী জ্বীন যারা হজ্জ্বে গিয়েছিলো সে সময়। তারা ফিরে এসে দেখেছিলো তাদের বাড়ি নেই তাই রাগ করে নাকি ইট ফেলছিলো। যাইহোক শেষ মেশ ভূতেদের পা ধরে মাফ টাফ চেয়ে রক্ষা পাওয়া গেছিলো। সেই সময়টা আসলেও খুব ভয় পেয়েছিলাম এসব ভূতেদের গল্প শুনে। কিন্তু আজ যখন লিখছি খুবই হাসি পাচ্ছে।
যাইহোক সেই বাড়িটার চারপাশ বাগান বারান্দা ঘুরে দেখাচ্ছিলেন এখনকার এমডি। তিনি আমাকে বুঝাচ্ছিলেন অনেক গাছ টাছ কেটে তিনি হাস মুরগীর খামার, মোষ খামার, মৎস্য খামার বানিয়েছেন। উনি খুবই গর্বিত সেই কারণে। কিন্তু আমার ভালো লাগছিলো না আমার ছেলেবেলার সেই বিশাল বড় রাজদ্যোনাের মত বাগান কেটে ছেটে এসব করায়। তবুও রক্ষা বাড়ির সামনের বাগানটা প্রায় তেমনই আছে।
বাগানটা দেখে চোখের সামনে ভেসে উঠলো আরও এক দৃশ্য। আমাদের খেলার সাথীরাই ছিলো গার্ডভাইয়ারা, মালী ভাইয়ারা, ড্রাইভারভাইয়ারা আর বাড়িতে যারা কাজ করতো রান্নার কিংবা ঘরবাড়ি ধোয়া মুছার তারাই। তো এক বিকালে আমরা খেলছিলাম রান্নাবাটি খেলা। গার্ড- মালী- ড্রাইভার ভাইয়ারা হলেন এক বাড়ির লোক আর অপরদিকে আমরা বোনেরা আর কাজের মেয়ে আয়েশা আর আরেকজন মনে হয় সুলতানা নাম ছিলো তার। আমরা চারজন ছিলাম আরেক বাড়ির লোকজন। তো আমরা ওদেরকে দাওয়াৎ দিলাম। কি সুন্দর করে রাঁধলাম পাতার পোলাও, ফুলের রোস্ট, ডালের কোরমা কালিয়া কোপতা কত্ত কিছু। সেসব তারা আমাদের বাড়ি বেড়াতে এসে হাপুস হুপুস খেয়ে গেলেন। তারপর আমাদেরকে দাওয়াৎ দেবার পালা। হাত মুছতে মুছতে তারা দাওয়াৎ দিলো। আফারা এইবার আমগো বাড়ি আপনেদের দাওয়াৎ। আমরা গেলাম গদ গদ হয়ে ওদের বাড়িতে দাওয়াৎ খেতে। গিয়ে দেখি ওরা আমাদের জন্য রেঁধেছে ফুলের গোটার আলু ভর্তা, মোচড়ানো পাতাবাহারের পাতার শুটকী, লাল পাতার মরিচ পোড়া, সবুজ পাতার শাক ভাজী এইসব। আমার এক ছোট বোন বলে- কি!!!!!!!!! শয়তানী না!!!!!!!!!! আমরা তোমাদেরর খাওয়ালাম পোলাও কোরমা আর তোমরা খাওয়ালে শুটকী মুটকী মরিচ পোড়া!!! তারা বলে আপা আমরা গরীব মানুষ আমরা কই থেইকা পোলাও কোরমা পাবো বলেন!!
আমি তার কথা শুনে হাসতে হাসতে শেষ কিন্তু সেই বোন তখন তাদেরকে মারতে শুরু করলো কিল ঘুসি ইট পাটকেল। ঐ কেনো এই সব খাওয়ালে হ্যা!!!!!!! তারা বলে মাইরেন না মাইরেন না এইটা অন্যায়। দাওয়াৎ খাওয়াইলাম আমরা আর আপনারা এসে খাওয়াইলেন মাইর!!! হা হা হা কত মজার শৈশব ছিলো আমাদের। আর আমাদেরকে ঘিরে থাকা মানুষগুলো ছিলো কত ভালোবাসার!
যাইহোক। এমডি সাহেব যখন আমাকে বাগান ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলেন এবং বাড়ির মধ্যে দেখাতে উদ্যত হলেন তখনই এক বজ্রকন্ঠ শোনা গেলো, এম ডি সাহেব আপনার বিশ্রামের সময় হয়েছে। আপনি বিশ্রাম নিতে যান। মানে মিসেস এম ডি এর পছন্দ হলো না এমডি সাহেবের আমাকে আহলাদী করে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখানো আমার শৈশব। তার চেহারায় ছিলো ভাবখানা এমন- যত সব আদিখ্যেতা। মনে পড়ে গেলো আমার কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা- রাজা করিতেছে রাজ্য-শাসন, রাজারে শাসিছে রাণী, রাণীর দরদে ধুইয়া গিয়াছে রাজ্যের যত গ্লানি। কিন্তু আমার গ্লানি না ধুয়েই এমডি সাহেব সুড়সুড় ভেতরে চলিয়া গেলেন। আমি তারপর কয়েক মুহুর্ত তাহাদের পারিষদের সাথে কথা টথা বলে হাঁটা দিলাম স্যুগারমিল ছেড়ে।
এই চিনিকলে আছে শহীদ সাগর। ১৯৭১ এ এই চিনিকলের তৎকালীন জি এম আজিম সাহেব ও আরও কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীগন মারা যান পাক বাহিনীর হাতে। তাদের লাশ ফেলে দেওয়া হয় এই চিনিকলেরই এক ছোট্ট পুকুরের মাঝে। সেই স্মৃতি রক্ষার্থে দাঁড়িয়ে আছে শহীদ মিনার এবং সেই পুকুরটির নাম শহীদ সাগর।
ফিরে আসার সময় চোখ পড়ে গেলো সেই রাজ প্রাসাদসম বাড়িটির পাঁচিলের পাশে ঘন ফল বাগানের উপরে। সেই রাজপ্রাসাদের আড়াইতলা ড্রইং রুমটার পাশের সিঁড়িতে বসে থাকতাম আমি দুপুরবেলাগুলোতে। কি যে ভালো লাগতো এই জায়গাটা। সেখান থেকে দেখা যেত এই ঘন বন আম জাম কাঁঠালের বাগানের ফাঁক দিয়ে কলোনীর রাস্তার কিছু অংশ। সেখানেও রয়ে গেছে আমার কিছু না বলা স্মৃতি। শৈশব কৈশোরে দেখা দিনগুলো স্মৃতিগুলো বুকের গভীরে গেঁথে যায় একেবারে।
এই বাড়িতেই ছিলো দুটি পায়রা। একটা ছাই আর ঘননীলে জড়ানো শরীর আর আরেকটা সাদা আর খয়েরীর মিশেলে। ছোট্ট বাচ্চা থেকে পালা হয়েছিলো তাদেরকে। হাতে ছাড়া কখনও মাটি থেকে বা কোনো পাত্র থেকে খেতো না তারা। শীতের পরে যখন গ্রীস্ম এলো। সাদা কবুতর ছানাটা ঘরের মধ্যে উড়ে এসে ফ্যানে বাড়ি খেয়েছিলো। এরপর আর উড়তেই পারলো না। ঘরের ভেতরেই খাঁটের তলাতে লুকিয়েছিলো বাকী কটা দিন। তার জোড়াটাও তার সাথেই থাকতো। আমি খাঁটের তলে উঁকি দিয়ে দেখেছিলাম রক্তে ভিজে গেছিলো তার বুকের সাদা ধপধপে পালক। আমি হাতে গমের দানা নিয়ে কত ডাকছিলাম আয় আয় কিন্তু তারা আর আমাদেরকে বিশ্বাস করছিলো না। কিছুতেই আর আসছিলো না। কিছুদিন পর মারা গেলো সাদা পায়রাটা। যতদিন বেঁচেছিলো জোড়াটা কি যেন এনে খাওয়াতো ওকে।
জোড়াটা মারা যাবার পর সে উড়ে গিয়ে বসলো সু উচ্চ সিড়িঘরের একদম উপরের জানালাতে। কিছুতেই আর আসতো না শত ডাকেও সে আর সাড়া দিত না। তারপর একদিন কোথায় যেন উড়ে গেলো। সেই পায়রাটাকে আমি আজও স্বপ্নে দেখি। কোথায় হারিয়ে গেছে সে জানিনা। অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম তাকে হারিয়ে কিন্তু আজ এই বয়সে এসে জেনে গেছি, বেঁচে থেকেও জীবন থেকে এমন অনেক কিছুই হারিয়ে যায়। পরম প্রিয়জন অনেক দূরের হয়ে যায়। আর কথা হয় না, জানা হয় না আর কখনও, কেমন আছে সে? বোবা সময় সকল কিছুর সাক্ষী হয়ে রয়ে যায় নিশ্চুপ .......
৬
নর্থ বেঙ্গল স্যুগারমিলে রাত কাটাবার কথা থাকলেও, ওদের অতিথি ভবনের অবস্থা বিশেষ পছন্দ না হওয়ায় আর ছোট্ট একরতি সেই কলোনীতে এক চক্কর দিতেই মনে হলো কেনো যেন এখানে থাকার আর কোনো দরকার নেই আমার। যদিও জানি রাতে থেকে গেলে সকালবেলাটাতেও আমার ছোটবেলার বহু স্মৃতির দুয়ার খুলে যেত। তবুও থাকার ব্যবস্থা পছন্দ না হওয়ায় আমরা ডিসিশন নিলাম আমরা ঈশ্বরদী চলে যাবো সেই বিকেলেই। কিন্তু যাবার পথে লালপুর হয়ে যেতে হবে কারণ সেখানে নাকি সৃষ্টি হয়েছে গ্রীন ভ্যালী নামে এক নয়নাভিরাম পার্ক। অবাক হলাম এটা ভেবে যে দেশে এত কিছু হয়ে গেছে কটার খবর রাখি আমরা? আর ভাবতেও ভালো লাগে ছোট্ট বেলার দেখা সেই অজপাড়াগা এখন অনেকটাই উন্নতির পথে। গোপালপুরের কাছেই লালপুর। খুব সম্ভবত ৫ কিলোমিটার দূরত্ব। সেই লালপুরেই গ্রীন ভ্যালী পার্ক। এত দূর এসেছি আর সেই পার্ক দেখবো না তাতো হয়না, তাই রওয়ানা দিলাম সেই গ্রীন ভ্যালী পার্কের উদ্দেশ্যে।
সেদিন ছিলো পহেলা বৈশাখ। আমি লাল শাড়ি চুড়ি নিয়ে গেলেও অসম্ভব গরমের কারণে জার্নীতে আর পরার সাহস পেলাম না। গ্রীন ভ্যালী পার্কের কাছাকাছি পৌছুতেই সেই অঢেল জনতার সারি দেখে বুঝলাম এই পার্ক মানুষের হৃদয়ে ভালোই স্থান পেয়েছে। মাটির রাস্তা যা ছিলো খুব সরু রাস্তা। সেখানেই জ্যাম লেগে গেছিলো। আর সেই পথে যেতে যেত আমি দেখলাম হাতে হাতে সোনার ময়ুর নিয়ে ঘুরছে হকারেরা। আমি বললাম শামীম আমি সোনার ময়ুর নেবো গাড়ি থামা। শামীম বলে রাখেন আপনার সোনার ময়ুর। আমি এইখানে গাড়ি সামলাতেই পঁচা কাঁদার ময়ুর হয়ে যাচ্ছি। আর আমার মিঃ সঙ্গী তো আমার কান্ডে রেগে মেগে শেষ। সে ভেবেই পাচ্ছিলো না আমি এই অজপাড়াগাঁয়ের হকারের হাতের সোনালী কাগজ বা টিনের সোনার ময়ুর দেখে এত বিস্মিত হচ্ছি কেনো! আমার বিস্ময় আমি কি করে বুঝাবো সবাইকে কি সেটা আসলেই বুঝানো সভব!!! যাইহোক শামীম আমাকে সান্তনা দিলো সে নাকি ঢাকা ফিরে নদ্দা বাজার থেকে আমার সেই সোনার ময়ুর এনে দেবে। আমি বললাম মিছা কথার জায়গা পাস না না!!!!!!!!! সে বলে কসম আমি জানি এই ময়ুর নদ্দা বাজারে পাওয়া যায়। এরপর এতগুলো দিন কেটে গেলো শামীম আমাকে আর সোনার রুপার কোনো ময়ুরই এনে দিলো না। যাইহোক গেটে পৌছে গেইট দেখে আমি মুগ্ধ! বুঝলাম আমাদের দেশেও এমন মানুষ জন্ম নিচ্ছে যারা তাদের দেশ বিদেশে দেখা জ্ঞানের প্রতিফলনে সৃষ্টিশীল অপূর্ব সুন্দর মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছে। পার্কে ঢুকেই তার সবুজ সজীব সৌন্দর্য্যে আমি মরি মরি। কি যে সুন্দর করে কেটে ছেটে গাছপালাগুলোকে মনোরম করে তুলেছে!
প্রায় ১২৩ বিঘা জায়গার উপর নির্মিত গ্রীন ভ্যালী পার্কটিতে রয়েছে বিভিন্ন আকর্ষণীয় রাইড। যেমন মিনি ট্রেন, বুলেট ট্রেন, নাগরদোলা, ম্যারিগো রাউন্ড, পাইরেট শীপ, হানি সুইং, স্পীডবোট, প্যাডেল বোট ইত্যাদি ইত্যাদি। আর এই পার্কের সুসজ্জিত নানা রকম বৃক্ষের সারি মন ভুলায় চোখ জুড়ায়। এখানে রয়েছে শ্যুটিং স্পট, পিকনিক স্পট, এ্যাডভেঞ্চার রাইডস, কনসার্ট এন্ড প্লে গ্রাউন্ড, সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, নামাজের স্থান, ডেকোরেটর, কার পার্কিং, ক্যাফেটেরিয়া, শপ, সভা-সেমিনারের স্থান এবং আবাসিক স্থান ইত্যাদি। গ্রীন ভ্যালী পার্কে প্রবেশের জন্য টিকেট নেওয়া হয়।
তবে আমি সবচেয়ে মুগ্ধ হলাম যিনি এই পার্কের মালিক তার দেশের মানুষের বিনোদনের জন্য কিছু করার মনোভাব দেখে। শুনলাম তিনি নাকি একজন প্রাক্তন এসপি। তার জন্য রইলো শ্রদ্ধা! তবে একটা জিনিস না বললেই নয় এত সুন্দর ঝকঝকে তকতকে পার্কে মানুষজন চিপস এর প্যাকেট, চকলেট রেপার এসব ফেলে পরিবেশ দুষন করছে। আশে পাশে তাকিয়ে আমি দৃষ্টির নাগালে কোনো ডাস্টবিনের দেখা পেলাম না। তাই ওদের কর্তৃপক্ষকে বিনা পয়সায় সাজেশন দিয়ে আসলাম। বড় বড় ডাসটবিন বানিয়ে এই অপুর্ব সুন্দর বাগানটিকে রক্ষা করেন। যা আছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আর তাতেও কাজ না হলে লাগবে শাসন মানে কড়া শাসন!!! ময়লা ফেলিলেই ৫০০ টাকা জরিমানা। হাতে না উঠলে তো পাতে উঠাতেই হবে।
এই পার্কে নানা রকম রাইড আর স্টাচুর মাঝে স্পাইডারম্যান স্টাচুটা বড় সুন্দর!!! যেন সত্যিকারের এক স্পাইডারম্যান ঝুলে পড়ছে রশি ধরে। বিকাল থেকে তখন সন্ধ্যা গড়াচ্ছে তবুও গরমে প্রান আইঢাই করছিলো। তাই বেশিক্ষন সময় কাটানো গেলো না ইচ্ছা থাকা সত্বেও। আমরা বসে বসে আইসক্রিম খেলাম। তারপর রওয়ানা দিলাম ঈশ্বরদীর উদ্দেশ্যে। ছেড়ে যাচ্ছিলাম লালপুর। মনে পড়ছিলো কত শত কথা, কত শত স্মৃতিময় দিনগুলো।
একেকস্থান যেনো একেক নতুন গল্পের বই এর পাতা। তাতে লেখা হয়ে গেছে নানা রকম ছোট বড় গল্প। মনে পড়েছিলো এক কিশোর প্রেমীর কথা। ফুলের নামে নাম ছিলো যার। বেচারা অনেক বকা ঝকা মাইর ধোর খেয়েছিলো আমার বাবা মা আর তার নিজের বাবা মা থেকে। আমি ছিলাম পুরাই নির্দোষ মানে তার প্রেম বুঝা তো দূরের কথা আমি জানতামও না প্রেম পিয়াসী সেই কিশোর বালক কি কি সৃষ্টি ছাড়া অনাসৃষ্টি করেছিলো সেই পুচকে বয়সে এবং অবশেষে ধরা পড়েছিলো আমাদের বাবা মায়েদের হাতে। পরে জেনেছিলাম মায়ের মুখেই। হা হা এতগুলো দিন পরেও মনে পড়ে গেলো সেই গল্পগুলো। বেচারী বালক!!! আমার কিশোরী হৃদয়ে সেদিন সেই স্থান পাক না পাক তার সেই সব অনাসৃষ্টিমুলক কর্মকান্ডের জন্য এই বুড়াকালের স্মৃতিতে অন্তত রয়ে গেলো আজও নীরবে । সেও ও তো হৃদয়েই থাকা তাই না .......
৭
ঈশ্বরদী এলাম স্বপ্নদ্বীপের কথা শুনে। স্বনামধন্য একজন ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম সৃষ্টি করেছেন এই স্বপ্নদ্বীপ রিসোর্টটি। এই রিসোর্টের গেটে ঢুকে মনে হল যেন এক টুকরো রুপকথার রাজ্য গড়ে তুলেছে কেউ সেখানে।
কি নেই দেশী বিদেশী রুপকথার সকল ক্যারেকটার যেন হাজির হয়েছে সকলে মিলে সেই এক টুকরো উদ্যানে।
বিশাল ড্রাগন হাতী ডলফিন থেকে শুরু করে বাংলা ঠাকুরমার ঝুলির রুপকথার রাজকুমার রাজকন্যারা।
সবচেয়ে যেটা এখানে আমার ভালো লেগেছিলো সেটা শেয়ালের কাঁঠাল খাওয়া গল্পের দৃশ্যটি।
এখানে রয়েছে পাঠাগার।
রয়েছে চটপটি ফুচকা থেকে শুরু করে চাইনিজ থাই খাবারের ব্যবস্থাও। আমরা সেখানে জায়গা পেলাম না। তবে অদূরেই তাদের আরেকটি হোটেল সেখানে উঠলাম । তখন বিকাল। সন্ধ্যার একটু পরে আমরা গেলাম স্বপ্নদ্বীপ রিসোর্টে রাতের খাবার খেতে। সেখানে তখন যেন ঈদের আনন্দ চলছে। এমনিতেই ঈদের পর পর ছিলো সেই ভ্রমন সাথে আবারসেদিন ছিলো পহেলা বৈশাখের উৎসব।
ঈশ্বরদী ভ্রমন এই প্রথম না। ছোটবেলায় অনেকবার এসেছি এই ঈশ্বরদীতে। তখন এ জায়গার চেহারা মোটেও এমন শহুরে ছিলো না। রাস্তাঘাটও ছিলো বেশ ভাঙ্গাচুরা অনুন্নত। কিন্তু এবারের ভ্রমন আমাকে অবাক করে দিলো। এ যেন এক নতুন রুপের নতুন বাংলাদেশ। খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গে গেলো আমার। আমার একটা স্বভাব আছে। যে কোনো স্থানে ভ্রমনে গেলেই পরদিন খুব ভোরে উঠে আশে পাশে হেঁটে আসতে আমার বড় ভালো লাগে। সেখানকার পরিবেশ, ফুল লতা পাতা মানুষ ঠিক ঐ ভোরের বেলা যেন অন্যরকমভাবে ধরা দেয় আমার মনে।
ঈশ্বরদীর সেই খুব ভোরে তখন বাইরে বের হতে আমার ভয় ভয় লাগছিলো তাই কিছুক্ষন জানালা দিয়ে চেয়ে রইলাম পাশের ধান চাল বা এমন কিছু হবে সেই শান বাঁধানো চাতালের দিকে। দূরে সারি সারি ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিলো বস্তা বাঁধা ত্রিপলে ঢাকনা নিয়ে।
আমার মনে হলো এই ভোর আর কখনও আমার দেখা হবে না। কি সুন্দর এক ভোরবেলা যা আমার শহরে অন্যরুপে ধরা দেয়। পাশে একটা তেজপাতা গাছে একটা হলুদ বরণ পাখি ঐ সাতসকালে বসে বসে ডাকছিলো।
একটু আলো ফুটতে আমি বেরিয়ে এলাম বারান্দায়। চেয়ারে বসে দেখলাম ঠিক সামনেই এক টং এর দোকানে পেতে রাখা বেঞ্চে বসে আছে কয়েকজন খেঁটে খাওয়া মানুষ। সাদা ধুতি, চেক লুঙ্গি পা তুলে বসে তারা চা খাচ্ছিলো লম্বা কোনো টোস্ট বিস্কিট দিয়ে মনে হয়। বিস্কিটগুলো কমদামী কাঁচের জারে রাখা ছিলো। আর বহু বহু দিনপর সেই টং দোকান থেকে ভেসে আসা খড়ি মাটির চুলার ধোঁয়ার ঘ্রান ভেসে এসে লাগলো নাকে। হঠাৎ মনে পড়ে গেলো আমার দাদীবাড়ির দাদীর হাতের নিকানো চুলায় খড়ি ঠেলে দেওয়া ঘ্রান ওঠা ধোঁয়ার দৃশ্যগুলো। ফেলে আসা হারানো দিনের কত স্মৃতিময় ক্ষন ভুলে থাকি আমরা আজকের এই কর্মব্যস্ত জীবনে। নগর সভ্যতায় অভ্যস্থ হয়ে ভেসে চলি নতুন দিনের গানে গানে। তবুও মায়া তবুও বুকের মাঝে গভীর কোনো ভালোবাসা ভালোলাগা উঁকি দিয়ে যায় খানিক অবসরে।
সকালের নাস্তায় খানাপিনার সমাহার দেখে আমি তো পুরাই আক্কেল গুড়ুম হয়ে গেলাম। তারা রুটি চাপাতি, ভাজি, মাংস ছাড়াও খিচুড়ি ডিম, চা, জ্যুস কিছুই বাকি রাখেনি দিতে। আমরা কি এতসব খেতে পারি? অর্ধেক খানা পড়ে থাকলো প্লেটেই। আমরা রওয়ানা হলাম ঈশ্বরদী রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটি বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র , এবং দুটি ইউনিটের মধ্যে প্রথমটি 2024 সালে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে । রাশিয়ান রোসাটম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি কর্পোরেশন । মূল নির্মাণ সময়ের মধ্যে, রাশিয়ার 2,500 বিশেষজ্ঞ সহ মোট কর্মচারীর সংখ্যা 12,500 জনে পৌঁছাবে । এটি সম্পন্ন হলে দেশের প্রায় 15% বিদ্যুত উৎপন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। (উইকি থেকে)
কিছুদিন আগে পড়েছিলাম বাংলাদেশের মধ্যে এক রাশিয়ান শহর রূপপুর। এইখানে হাজার হাজার রাশিয়ান নারী পুরুষদের জন্য গড়ে উঠেছে বাজার ঘাট দোকান পাট। সেসবের উপরে সবই রাশান ভাষায় লেখা থাকে দোকানের নাম ধাম সবকিছুই। সেই কারণে আমরা গাড়ি নিয়ে ঘুরেও বেড়ালাম বাজারের মধ্য দিয়ে। সারি সারি অত্যাধুনিক বিল্ডিংগুলো দাঁড়িয়ে ছিলো পাশ ঘেষে। দোকানপাটেও সাদা সাদা লোকের আনাগোনা। বাহ বাহ সত্যিই তো দেশের মধ্যে বিদেশ বানিয়ে ফেলেছে ওরা। কিন্তু এই লেখাটা লেখার সময় উইকি থেকে এই রূপপুর নিয়ে পড়তে গিয়ে আরও একটা মজার তথ্য পেলাম। হা হা সেটা শেয়ার করছি.....
রূপপুর প্লান্টের সেই কর্মচারী কর্মকর্তাদের বাড়িঘরের জন্য বালিশ কিনতেও নাকি সাংঘাতিক দূনীতি হয়েছে। সেখানে প্রতিটি বালিশ কিনতে খরচ দেখানো হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা। আর প্রতিটি বালিশ আবাসিক ভবনের খাটে তোলার মজুরি দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা। কভারসহ কমফোর্টারের (লেপ বা কম্বলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত) দাম ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৮০০ টাকা। যদিও এর বাজারমূল্য সাড়ে ৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ১৩ হাজার টাকা। একইভাবে বিদেশি বিছানার চাদর কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৯৩৬ টাকায়। এর বাজারমূল্য অবশ্য ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা।
পাঁচটি ২০ তলা ভবনের জন্য এসব কেনাকাটা হয়েছে। প্রতিটি তলায় রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট। প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য কমফোর্টার শুধু বেশি দামে কেনাই হয়নি, কেনার পর দোকান থেকে প্রকল্প এলাকায় পৌঁছাতে আলাদা ট্রাক ব্যবহার করা হয়েছে। মাত্র ৩০টি কমফোর্টারের জন্য ৩০ হাজার টাকা ট্রাকভাড়া দেখানো হয়েছে। আর একেকটি কমফোর্টার খাট পর্যন্ত তুলতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ২ হাজার ১৪৭ টাকা। কমফোর্টার ঠিকঠাকমতো খাট পর্যন্ত তোলা হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য তত্ত্বাবধানকারীর পারিশ্রমিক দেখানো হয়েছে প্রতিটির ক্ষেত্রে ১৪৩ টাকা। ঠিকাদারকে ১০ শতাংশ লাভ ধরে সম্পূরক শুল্কসহ সব মিলিয়ে প্রতিটি কমফোর্টারের জন্য খরচ দেখানো হয়েছে ২২ হাজার ৫৮৭ টাকা। শুধু কমফোর্টার নয়, চাদরের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটেছে। ৩০টি চাদর আনতে ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি ট্রাক ভাড়া করা হয়েছে। আর ভবনের নিচ থেকে খাট পর্যন্ত তুলতে প্রতিটি চাদরের জন্য মজুরি দেখানো হয়েছে ৯৩১ টাকা।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে আসবাব কেনার ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়ম খতিয়ে দেখার জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্তে প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৩৪ জন কর্মকর্তার দুর্নীতি ও অনিয়মের সম্পৃক্ততা পেয়েছে। গত ২৭ জুলাই এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। ঘটনা তদন্তে দুটি উচ্চপর্যায়ের কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে গণপূর্তমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দুটি কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয়েছে যে ৩৪ জন কর্মকর্তা বা ব্যক্তি এ ঘটনায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এর মধ্যে ৩০ জন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের। চারজন বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিভাগের।
হা হা এই অতি জঘন্য মানুষের দূনীতি পড়েও হাসি পেলো আমার। বালিশকেও ছাড়েনি দূর্নীতি থেকে। যাইহোক ছেলেবেলার হার্ডিঞ্জ ব্রীজকে আবার দেখা হলো এই বুড়িবেলায় এসে। নীরব নিথর ব্রীজের নীচে পদ্মার তীর ঘেষে গড়ে উঠেছে মানুষের মেলা, উৎসব। সেটা ছিলো পহেলা বৈশাখের পরের দিন।
গত কয়েকবছর আমার ভ্রমনে ভ্রমনে কেটেছে। একটু ছুটি পেলেই ছুটে গেছি দেশে ও বিদেশে। অস্ট্রেলিয়া ভ্রমনের ইতিবৃত্ত আগের বছরেও শেষ করতে পারিনি। এ বছরেও না। তবে এই কার্ফিউ এর মন খারাপ করা অকর্মন্য দিনগুলোতে ছবি আঁকা অংবং নানা কাজের ফাকে ফাকে লিখে রাখলাম যতটুকু মনে পড়ে গেলো সেসব দৃশ্যগুলো। লিখে রাখলাম, একে রাখলাম মনের ক্যানভাসের সাথে সাথে সামু ক্যানভাসের পাতায়। জানিনা কতদিন লিখতে পারবো এখানে আমরা। তবুও এই ব্লগটি এক চির সমুজ্জ্বল ক্যানভাস হয়েই গাঁথা থাকবে মনের মুকুরে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৮
শায়মা বলেছেন: হা হা হা ফাকিবাজি পাঠক ধরে ফেলি কিন্তু আমি!!!!!!!
যাইহোক আমি এই পোস্ট দিয়ে ভাবছিলাম লেখার কলেবর দেখে কে কে না জানি অক্কা পায়!!!!!!!!
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪
সোনাগাজী বলেছেন:
"কিন্তু রাতের আঁধারে আমার মি: সংগী ..."; বাক্যটার অর্থ কি দাঁড়ায়?
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪১
শায়মা বলেছেন: মিঃ মানে মিস্টার সিস্টার মানে সিস্টার
মানে একজন মেল পারসন
আর সঙ্গী মানে জানোনা ভাইয়ু??
যাইহোক এত বড় রচনাটা কি পড়েছো ভাইয়ু?? তোমার না চোখের প্রবলেম?
৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর সব ছবি আর ঝরঝরে ভ্রমন বিত্তান্ত পড়ে ভালো লাগল।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৮
শায়মা বলেছেন: এত বড় লেখা কেউ পড়ে না আজকাল।
অনেক অনেক থ্যাংকস তোমাকে ভাইয়া।
৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০০
নীল-দর্পণ বলেছেন: ভ্রমন এবং স্মৃতিচারণ দুটোই আমার খুব পছন্দের। দুটো বিষয় এক পোস্টে পড়তে দারুন লেগেছে।
আমি নিজেও শৈশবের কিছু সময়কে খুব মিস করি ইদানিং । লেখা শুরু করেছি কিছু স্মৃতি নিয়ে, জানি না শেষ করতে পারবো কিনা সময়ের অভাবের পাশাপাশি হাতের কার্পাল টানেল সিন্ড্রোম খুব বেড়েছে যা ভালই ভোগাচ্ছে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৪
শায়মা বলেছেন: হুম কার্পাল টানেল সিন্ড্রোম। সবার আগে থেরাপী দরকার। আমার মনে হয় এই ফিজিও থেরাপী এটা একদম নির্মূল করে দেয়।
তুমি তাড়াতাড়ি লিখে ফেলো আর আমাদেরকে পড়াও!
৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্টে ++। পুরোটা এখনো পড়িনি। জয়পুরহাট ও নাটোর পর্যন্ত পড়লাম। কয়েকটা পর্বে দিলে মনে হয় ভাল হত।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৫
শায়মা বলেছেন: পুরোটা পড়ো কষ্ট করে। এত ফাকিনাজ হলে চলবে???
কয়েকটা পর্ব দেবার সময় নেই। একসাথে লিখেছি এত কষ্ট করে। আর এক সাথে পড়তে তো কয়েক মিনিটই লাগবে ভাইয়ু!!!
৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এত বড় লেখা কেউ পড়ে না আজকাল।
ব্লগে আমি আসিই পড়ার জন্য। আমি কাজের ফাকে-ফাকে ব্লগে আসি। যদিও এখন তেমন কাজ নেই বসে বসে অনলাইনেই পড়ি বেশি।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৬
শায়মা বলেছেন: কাজ নেই কেনো?
তুমি কোন দেশে থাকো ভাইয়া?
৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কাজ নেই কেনো? সৌদি আরবে ওইকেন্ড দুইদিন আমার তেমন কাজ থাকে না তার সাথে দুইদিন ন্যাশনাল ডে এর ছোট্টি যোগ হয়েছে তাই।
তুমি কোন দেশে থাকো ভাইয়া?----- আমি সৌদি আরবে থাকি।
আপুনি কেমন আছো তুমি ? ভুলে গেছে আমাকে! আমি একসময় তুমার ব্লগের নিয়মিত পাঠক ছিলাম। আর ক্যাচালের সময়তো সবসময় থাকতাম।
একসময় অনেকে বলতো আমরা একটা গ্রোপ ব্লগটাকে চ্যাট রোম বানিয়ে ফেলছি। এখন অনেককে হারিয়ে ফেলছি। আর আগের মতো ব্লগে ততো পড়ে থাকা হয়না। কিন্তু ব্লগ ভুলতে পারিনা বলে প্রায় প্রতিদিন একবার হলেও এসে দেখে যাই।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২২
শায়মা বলেছেন: হা হা তোমাকে ভুলে গেছি কেমনে বললে!!! তোমাকে দেখলেই আমি জানি তুমি আমার লেখা পড়বে। বিশেষ করে সিরিজ গল্পগুলো!!! তুমি সৌদি থাকো এটাই জানতাম তবুও মনে হলো ভুল হলো কিনা তাই জিগাসা করলাম ভাইয়ু!!
ক্যাচাল প্যাচাল তো এই ব্লগের আত্মীয় স্বজন। আজকাল তো কিছুই নেই আসলে। আর এই নতুন স্বাধীনতার পর ব্লগ তো মহা সিরিয়াস। এখন সবাই সিরিয়াস টাইপ ব্লগ লেখার চেষ্টা করে বা নানা সমস্যা নিয়েই লেখে। ব্লগের সেই আনন্দ আর কখনও ফিরবে কিনা জানিনা তবে যতদিন ব্লগ থাকবে ততদিন এই ব্লগ ডায়েরী লেখা চলবে আমার। মাঝে মাঝে একটু গল্প কবিতা !
অনেক ভালো থেকো ভাইয়া। কখনই ভুলোনা ব্লগটাকে।
কত মানুষ হারিয়ে গেলো। কত হাসি কত গান আর কত বেদনা অভিমান!!
৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১২
রানার ব্লগ বলেছেন: সুন্দর অভিজ্ঞতা৷
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২০
শায়মা বলেছেন: আরও ভ্রমন কাহিনী আছে। আরও অভিজ্ঞতা আছে কিন্তু এই বিশালাকৃতি লেখা দেখে অনেকেই ভীমরী খেতে পারে। তাই পাবলিশ করি না।
৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার এই পোস্টটা আমি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছি। ছবিগুলিও দেখেছি।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০৭
শায়মা বলেছেন: ভেরি গুড!!!
ধৈর্য্যের প্রশংসা করতেই হয়!!
ইদানিংকালে মানুষজন যা ফাকিবাজ হয়েছে!!!! কিচ্ছু পড়তেই চায়না।
শুধু অনলাইনে টিকটক দেখে। ম্যুভি দেখে......
১০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে ১০০% পড়ি নাই। ৯৫% পড়েছি। কিছু অপ্রয়োজনীয় বাক্য বাদ দিয়েছি। সেই বাক্যগুলি পড়া শুরু করতে গিয়েই বুঝেছি যে এই বাক্য পুরোটা পড়ার কোন দরকার নাই। আমি ৩ টা সুগার মিলে বেশ কিছু সময় ছিলাম কাজের প্রয়োজনে ( রাজশাহী, মোবারকগঞ্জ আর কালিয়া চাপড়া সুগার মিল)। তবে আপনার সাথে কমন পড়েনি। তবে সব মিলের সামাজিক এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে মিল আছে। মিলের মানুষগুলির মধ্যে একটা শক্ত বন্ধন আছে।
তরুণ বয়সে জয়পুরহাট সুগার মিলে আমার এক বন্ধু প্রায় ২/৩ মাস ছিল। সেখানে থেকে শহরে এক মাড়ওয়ারি পরিবারের মেয়ের সাথে তার প্রেম হয়। সেই কাহিনী শুনতে শুনতে আমাদের কান ঝালাপালা হয়ে গিয়েছিল পরবর্তী ২/৩ বছর।
আমি মন্তব্য বেশী বড় করলাম না। আমি লক্ষ্য করেছি বিস্তারিত মন্তব্য করলে আপনি কিছু অর্থহীন, ছন্দহীন ছড়া জাতীয় জিনিস দিয়ে থাকেন। তাই এখানেই শেষ করছি।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪
শায়মা বলেছেন: ফাকিবাজরা এমনই বলে। মানে আমি পণ্ডিত আধা পড়েই বুঝে যাই!!! ওলে ওলে ওলে!!!! লে লে !!!!!! কাঁচকলা বুঝেছো! ফাকিবাজি ছাড়ো!!!
যাইহোক রাজশাহী আর মোবারকগঞ্জ পুরান নাম মনে হয় কালীগঞ্জ ছিলো মিল ছিলো। কালিয়া চাপড়া যাইনি আমি। তুমি মনে হয় অডিট করতে গেছিলে তাইনা টাকলু ভাইয়ু অডিটর হয়ে?
আমার ছড়া থেকে কত ছড়াকার বড়াকার হয়ে গেলো ! তুমি আসছো আমাকে ছন্দহীন বলতে!!!!!!!!!!
১১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ২০২১ সালে গিয়েছিলাম জয়পুরহাট। দুই রাত ছিলাম। সুন্দর সময় কেটেছিল।
আপনার লেখাটা বড়। তবে সুখপাঠ্য। ছবিগুলোও সুন্দর।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৩
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাই্য়ু!!!!!
১২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিন্তু আমি কি ১২ বছরের চাইতে আসলেও বড়? তাই বসে রইলাম সেখানে। আমিও তাই জানি। কিন্তু ভাবছি, এতো ছোট একটা বাচ্চা একা একা দোলনায় সোজা হয়ে বসলো কিভাবে?
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি মন্তব্য বেশী বড় করলাম না। আমি লক্ষ্য করেছি বিস্তারিত মন্তব্য করলে আপনি কিছু অর্থহীন, ছন্দহীন ছড়া জাতীয় জিনিস দিয়ে থাকেন। তাই এখানেই শেষ করছি। মোটিভেটেড বাই সাচু, তাই মন্তব্য বেশী বড় করলাম না!!!
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৯
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়ু!!! বারো বছরের মেয়ে কি সোজা হয়ে বসতে পারে না??? কি বলো ভাইয়ু!!!!!!!
সাচু ভাইয়া কচু বুঝে
তুমিও বুঝলে তাই!!!
আমি বুঝলাম তোমরা দু'জন
ফাকিবাজের ভাই.......।
১৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:১০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বাংলাদেশের নানাস্থানে ভ্রমনের স্মৃতিমাখা পোষ্ট এর লেখা পাঠে ও ছবি দেখে খুব ভাল লাগল।ঠিকই বলা হয়েছে
মানুষ অনেক কিছুই ভুলে যেতে চায়। কিন্তু আমিও তোমার মত কিছু স্মৃতি মনে রেখে দিতে চাই। উত্তরবঙ্গের
একটি চিনিকল তথা রংপুরের বদরগঞ্জের কাছে শ্যামপুর চিনিকল দেখতে গিয়ে রাত প্রায় ৯ টার দিকে ঘুটঘুটে
অন্ধকারে ভুতের সাথে ভীতিকর, তবে মিষ্টি মধূর স্মৃতির কথা এখনো ভুলতে পারিনি , সে কাহিনী বলতে লেগে
গেলে তোমার এই বেশ বড় কলেবরের পোষ্টের চেয়েও অনেক বড় হয়ে যেতে পারে ।
নাটোরের ১০০% সাক্ষরতার দাবীদার একটি গ্রামে বেড়ানোর কথায় জানা গেল দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষার
হার বিস্তারের আশা জাগানিয়া বিষয়াবলী , সময় কালটা জানা গেলে আরো ভাল লাগত । বগুড়া আরডিএর কথা
মালাতেও আমার কিছু স্মৃতি মনে পড়ে যায় । সময়টা ছিল আশির দশকের কথা । সেখানে বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়ীত
একটি গবেষনা প্রকল্পে কাজের সময় একটি সেমিনারে আমার একটি লেখা উপস্থাপনের পর সেখানে, সে সময়ে
উপস্থিত প্রফেসর রেহমান সোবহান ও বিআইডিএস এর ততকালীন চেয়ারম্যান ড. মনোয়ার হোসেনের প্রশ্নবানে
জর্জরিত হওয়ার কথাই বা ভুলি কেমনে ।
ঘুর্ঘুট্টি অন্ধকারে জনমনিষ্যিহীন চলনবিলের মাঝ দিয়ে গাড়ি করে চলা ভীতিকর ব্যপার হয়তবা আনেকের কাছেই।
তবে আনেক রাতেই এমন নির্জন পথে বহু বহুবার ছুটে যাওয়াদের কাছে ভয়তো না লাগারই কথা । বুঝা গেল তুমি
বেশ সাহসী মেয়ে বটে !!!
তবে এই চলন বিলের পথে ( অবশ্য রাতে নয় , দিনের বেলায় ) যাওয়ার সময়, একবার পথের পাশে গাড়ী থামিয়ে
এক শিকারী যুবকের কাছ হতে ১৫০ টাকা দিয়ে পা ও পাখা বাঁধা একটি বেশ বড় সাইজের বক কিনে ঢাকায়
ফিরে সেটাকে মেঝেতে রেখে যেইনা সেটার পা ও পাখার বাধন খুলে দিলাম তখুনি সেটি মাটিতে একপায়ে দাঁড়িয়ে
আমার বা চোখের পাশে একখান ঠুকর দিয়েছিল লাগিয়ে , ভাগ্যিস একটুর জন্য চোখ রক্ষা, সেই দিন হাড়ে হাড়ে টের
পেয়েছিলাম, কেন লোকে বলে বন্যরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে । জন্মের শিক্ষা হয়েছিল, এর পর থেকে
জীবনেও আর কোন দিন শিকাড়ী/ ফেরিওয়ালাদের কাছ হতে আর কোন পাখ পাখালী কিনি নাই , সে সময়
শিকারী পাখী ক্রয় বিক্রয়ে কোন আইন ছিলনা , এখনতো আর এই গুলি ক্রয় বিক্রয়ের নিয়ম নাই, এ বিষয়ে
দেশে আইনের কড়া কড়ি থাকা প্রয়োজন ।
গ্রামের পথে টং চায়ের দোকানগুলোর সামনে লোকজনের বাঁশ হাতে বিশাল গোখরা সাপ মারার ঘটনাটি সত্যিই
দু:খ জনক , কেন যে লোকজন আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা পদ্ম গুখরা সাপ গল্পটি
মনযোগ দিয়ে পাঠ করেনা , মানুষের সেই পদ্ম-গুখরো সাপের গল্পটি পাঠ করা খুবই প্রয়োজন । ভীতু মানুষ যারা
জানে, সাপ মানেই শত্রু, তাদের কাছে সাপের বাঁচবার কোনো অধিকার নেই, এই ধারনাটি পালাটানো খুবই দরকার।
নজরুলের পদ্ম-গোখরো’ গল্পে সমাজের একটি অন্ধকার দিকের যে করুন গাথা পাওয়া গিয়েছিল এখানে বাঁশের
লাঠি দিয়ে একটি সাপকে মারার করুন দৃশ্যপটো তেমনি সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে বলে মনে হল ।
আরডিএর বাগানে ১২ বছরের উপরে দোলনায় বসা নিষেধ, তার পরেও দোল খাওয়া হল মনের আনন্দে।
ভাগ্যিস ধরা পড়নি , দোল খাওয়াটি যে নিরানন্দে ভরে যাইনি তাতেই রক্ষা ।
চিনি কলের তৎকালীন জিএম বাংলো,যার সারা বাগান জুড়ে এককালে ভরা ছিল ফুল ফলে তা আজ কেন
বিষ্ময় জাগানিয়া ফলশুন্য, বল কে দিবে জবাব তার !!!!! তবে পুকুরপাড়ে মাছ ধরছিলো পাশের বাসার ছেলে
মেয়েরা সেটাই বা কম আনন্দ কিসের । দ্বীপের মাঝে ঝুলন সেতুতে এক পা তুলে দোল খাওয়ার আনন্দই বা
কম কিসের !!
ডেজী আপার সাথে তেজী আপার সখ্যতো হওয়ারই কথা, তা না হলে দেখতে এক রকম হওয়ার মঝাটাইতো
পাওয়া যেতোনা ।
পোষ্টে থাকা দোলন চাঁপার বুকের মধ্যে মায়ার ঢেউ। শৈশবের ভালোবাসা, ভালো লাগার মায়া! এতটুকু পাঠের পর
মনে বেজে উঠে সেই কবে কার শুনা দোলন চাপা গানটি লিখে কবি নজরুল 'দোলানচাঁপা রাগের প্রকৃতি বর্ণনা
করেছেন এই ভাবে-
ফিরে আসিল না আর বনের কিশোর
ঘরে ফিরিল না আর বনের কিশোরী
মাধুরী চাঁদের বুকে কৃষ্ণ লেখা হয়ে
দেখা দেয় আজো সেই কিশোরের ছায়া।
কাঁদে চাঁদ সেই বিরহীরে বুকে ধরি
আনন্দে কলঙ্কী নাম করিল বরণ।
বনের কিশোরী চন্দ্রা সেই চাঁদ পানে
চাহিয়া বনের বুকে বিসরিয়া তনু
ধরিল দোলনচম্পা রূপ এ ধরায়।
বেশ কিছু উল্টা পাল্টা কর্মকান্ড ও আক্কেল জ্ঞানের অপরাধে শামীমকে ড্রাইভিং সিট থেকে নামিয়ে চালকের
আসনের পাশে সিটে বসতে বাধ্য করা না হলে কি যে হতো বিধাতাই জানেন , এ ভ্রমনকাহিনী কোন দিকে মোর
নিত তা কেই বা জানে ।
ফুলে ফুলে ভরা বিরল নাগকেশর গাছের ছবিটা খুবই মনোগ্রাহী হয়েছে , দোয়া করি গাছটি যেন টিকে থাকে গাছ
খেকোদের কবল হতে, শত বছর ধরে ।
সেই বাড়িতে অদ্ভুতুড়ে ভুতের কান্ডই বটে । তবে ভুতগুলাতো দেখা গেল বড্ড বেরসিক ও নির্দয় ছিল ।
দারোয়ান সেই ভূতেদেরকে কতই মিনতি করেই বলেছিল- ভূত বাবারা এই যে এত ইট ফেলছো এসব না
ফেলে টাকার থলে ফেললেও তো পারো আমাদের উপকার হয়। এই কথা বলার পর পাশের বাড়ির ইট ফেলা
ভূত রেগে গিয়ে ঐ বাসাতেও ইট ফেলতে শুরু করেছিলো।ইচ্ছে করতেসে সেই ভুতগুলাকে ইচ্ছামত কিছু
ধোলাই দিয়ে আসি , মনে পড়ে জীবনে অনেকবার ভুতদেরকে ভালই ধোলাই দিয়েছি ইয়া আলী মুসকিল
কুশা বলে ।
মিসেস এম ডি এর তরে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা-ধরে রাজা করিতেছে রাজ্য-শাসন, রাজারে শাসিছে
রাণী, রাণীর দরদে ধুইয়া গিয়াছে রাজ্যের যত গ্লানি। কিন্তু তোমার মত আহ্লাদির গ্লানি না ধুয়েই এমডি সাহেব
সুড়সুড় করে ভেতরে চলিয়া গেলেন। তাকেও নজরুলের মত দিলেনা কেন ক টি কথা শুনিয়ে , তুমিতো এ বিষয়ে
কম পারদর্শী নও ।
লালপুরের গ্রীন ভ্যালী পার্ক ভালই লেগেছে। তার পর নদ্দা বাজার থেকে সোনার ময়ুর কি মিলেছিল নাকি সবই ফাকি।
তবে পার্কের সবুজ সজীব সৌন্দর্য্যে মরি মরি উপলব্দি টুকুই না হয় থেকে যাক হয়ে খাটি ।
ঈশ্বরদীর স্বপ্নদ্বীপ রিসোর্টটি সত্যিই সুন্দর । ইশ্বরদিতেও রয়েছে আমার অংশগ্রহনে একটি শিক্ষা ও প্রশিক্ষন
অবকাঠামো গড়ার কির্তী । যাহোক, স্বপ্নদ্বীপকে নিয়ে থাকা তোমার হাতের তোলা ছবিগুলি সবই হয়েছে সুন্দর ।
বিশাল ড্রাগন হাতী ডলফিন থেকে শুরু করে বাংলা ঠাকুরমার ঝুলির রুপকথার রাজকুমার রাজকন্যারা কত কিচ্ছা
কাহিনীর কথাই না মনে করিয়ে দেয় । শেয়ালের কাঁঠাল খাওয়া গল্পের দৃশ্যটি ও সুন্দর ।শিয়ালের সাথে নয়,
তবে বানরের সাথে গাছে বসে পাকা কাঠাল খাওয়ার মধুর কিছু বাল্যকালের স্মৃতি রয়েছে আমার স্মৃতির ভান্ডারে ,
এ পোষ্টের কাহিনী পাঠে সেটাও কিছুটা জেগে উঠেছে স্মৃতির মানষ পটে ।
তেজপাতা গাছে বসে সাতসকালে একটা হলুদ বরণ পাখির ডাকটি ভুলে যাওনি দেখে আমারো মনে পড়ে আমার
দেশের বাড়ীতে থাকা বড় তেজপাতা গাছের মগডালে থাকা হলুদ বরন কুটুম পাখির ডাকা ডাকির কথা , সে সব
সত্যিই মধুর স্মৃতি ।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সকল নির্মানকাজ শেষ করে সময়মত চালু হওয়া প্রয়োজন, আদানি কোন খেলা
খেলে তা হয়তবা দেখা যাবে সময়ে।তাই, সময় থাকতে নীজেদের কেন্দ্র হতে বিদ্যুত উতপাদন শুরু করা অতি জরুরী।
খুবই আসুস্থতার কারণে অনেকদিন ধরে লেখালেখি একদম বন্ধ ছিল । আজ এই লেখাটি পাঠে নিঝের অনেক স্মৃতিই
মানষপটে জেগে উঠায় ধিরে ধিরে একটি মন্তব্য লিখতে লেগে গেলাম । ব্যথায় জর্জরিত হাত নিয়ে যেমন করেই
হোক এই পোষ্টের উপরে মন্তব্যটি লিখতে পারায় বেশ ভাল লাগছে ।
পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম । সময় নিয়ে সামুতে থাকা সকল লেখকের মুল্যবান লেখাগুলি অল্প অল্প করে পাঠ
করে যাওয়ার ইচ্ছা রাখি ।
সকলের প্রতি শুভেচ্ছা রইল ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪
শায়মা বলেছেন: একেই বলে মনোযোগী পাঠক!
ভাইয়া অনেক অনেক ভালোবাসা !!! তুমি অনেক ভালো থাকো আর সুস্থ্য থাকো।
অনেক অনেকদিন থাকো আমাদের সাথে!
১৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:২৯
আলামিন১০৪ বলেছেন: আপুনি এত বড় বড় লিখার এনারজী কোথা থেকে পান? ভয়েস কমান্ডে লিখেন নাকি? আমি তো পড়ার এনারজীও পাই না, এনার্জী
বিস্কুট খেলে কি কোন উপকার পাব? পোস্টের অনেক ছবিতে চেষ্টা করেও খোমা দেখতে পারলাম না, তাই ক্রাশ খাওয়া থেকে বঞ্চিত হলাম
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৯
শায়মা বলেছেন: হা হা না আমি তো সারাদিন ভয়েস কমান্ডে থাকি মানে আমি টিচার।
তবে আমি অনেকটা সময় মন দিয়ে ছবি আঁকি বা লিখি তখন আমি কারো সাথেই কথা বলতে চাইনা তবে এই কথা সত্যি আমাকে দেখে অনেকেই বুঝতেই পারে না আমার এত ধৈর্য্য! হা হা
ক্রাশ খেয়ে লাভ কি? নো লাভ ভাইয়ু!! তাহা তোমার বড় ভাইয়ুদেরকে জিগাসা করলেই জানিবেক!
আমি চিজ ক্রেকার আর খাই শর্ট ব্রেড!!!!! এসব খেয়ে এনার্জী ভাই। এনার্জী প্লাস খেলে এনার্জী লস হবে...
১৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২১
রবিন_২০২০ বলেছেন: অতীত বর্তমান মিলেমিশে একাকার এই চমৎকার লেখায়। হাজী ভুতদের ইটের হামলা খুবই ইন্টারেষ্টিং। ইটের বদলে দুই চারটা খেজুরের পোটলা ছুড়ে মারলে আরো ইন্টারেষ্টিং হতো।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩০
শায়মা বলেছেন: হাহা ঠিক ঠিক!!! নিশ্চয় হাজী ভূতেরা হজ্ব থেকে খেজুর এনেছিলো!!!
১৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: অতীত এবং বর্তমান নিয়ে অনবদ্য লেখা!
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩০
শায়মা বলেছেন: সেটাই ভাইয়ু!!!
১৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বিকলাঙ্গ অন্ধ রাষ্ট্রের শুশ্রূষার জন্য
তারা দিয়েছেন একটি পা
বয়স তাদের কুড়ির কাছাকাছি
বিকলাঙ্গ তাদের বলো না।
তাদের পায়ের দানে
রাষ্ট্র আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে
চলছে ছোটে সমুখপানে
সাফল্যের সন্ধানে।
তারাই যে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান
আধার রাতের বাতি,
তাদের দেখানো পথেই
আজ পথ পেয়েছে জাতি।
এখনও কেমন ভাসছে দুচোখে
স্বৈরাচারের তপ্ত বুলেটে
চেতিয়ে দেয়া
তাদের বুকের ছাতি।
সুদীর্ঘ পোস্ট। এখানে ক্রয়কমিটির দূর্ণীতির বয়ান জায়গা পেয়েছে। ছোট বেলার বেড়ানোর জায়গায় বড়বেলায় পুনরায় পরিদর্শন বিষয়ে তোমার সুদীর্ঘ পোস্ট । আসলে ছোট বেলায় আর ফিরে যাওয়া যায় না । সমৃতি মন্থন করা যায় শুধু। এমনকি জায়গাগুলোও পরিবর্তনশীল সময়ের সাথে বদলে যায় ছোট বেলা স্মৃতি বিজড়িত স্থান মানুষ সব। থেকে যায় স্মৃতি। থেকে যায় কবিতা। কবিতার সমাহার ভালোবাসা প্রেম প্রীতি অটুট বন্ধন । জুল ভার্ন বলেছেন: অতীত এবং বর্তমান নিয়ে অনবদ্য লেখা!
দীর্ঘ কিন্তু সুন্দর।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩১
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়ু!!!
১৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: ~ রূপপুরে আমার বন্ধুর রিসোর্টের একাংশ।
~ করোনাকালীন দুরবস্থার জন্য পুরো প্রজেক্ট আর কমপ্লিট হয়নি।
(দুটো ছবিই আমার তোলা)
হার্ডিঞ্জ ব্রিজকে আমরা বলতাম 'পাকশী ব্রিজ'। আমার কৈশরের বড় একটা সময় কেটেছে পাকশীতে। প্রচুর স্মৃতি জড়িয়ে আছে ওখানকার।
বালিশ চুরি কাণ্ড নিয়ে বেশ তুলকালাম হলেও এর থেকে অনেক বড় চুরি হয়েছে অন্য খাতে। সাস্থ্যখাতে আকটা চুরি শুনেছিলাম। মেশিনের মুল্য ছিল ৪৬ হাজার টাকা রিপেয়ার চার্জ ধরা হয়েছিল ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা - পুরো টাকা তুলে নেয়া হলেও সেই মেশিন নাকি আর কাজ করেনি কখনো!!
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩৫
শায়মা বলেছেন: এই রিসোর্টের নাম কি??
শেষ হয়নি??
তুমি কি পাকশী পেপার মিলে থাকতে???
সেখানেও গেছিলাম আমি। পাকশী পেপার মিল কলোনীতে এত এত জামরুল ছিলো!!!
রুপপুর পাওয়ার প্লান্টের দূর্নীতি তো তাহলে মজার সব ভূতুড়ে ঘটনা দেখছি!!!
১৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনার বয়স বাড়ছে।
মানুষের যখন বয়স বাড়ে, তখন তার শুধু অতীতের কথা মনে পড়ে। ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে? আমাদের মুন্সিগঞ্জ বিক্রমপুর বেড়াতে আসবেন। দাওয়াত।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩৭
শায়মা বলেছেন: তো কি বয়স কমবের নাকি ভাইয়ু!!!!
যাইহোক আমার ছেলেবেলা আমার সব সময় মনে পড়ে...... মন্দ ভালোয় সে ছিলো মার রুপকথাময় জীবন!
বিক্রমপুরের মিষ্টি আর দই নিশ্চয়ই খুব মজার!!!
আচ্ছা কবে এই দাওয়াত??
২০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২০
নয়া পাঠক বলেছেন: আপনার নামে আমি মানহানির মামলা করব, আপনি আমার বাড়িতে গেলেন অথচ আমাকে না জানিয়ে, তাও আবার ব্লগে এইসব ছাইপাশ লিখে ফলাও করে ছবি শুদ্ধু ছাপিয়ে দিয়েছেন, কত্ত বড় সাহস আপনার, হুম?
খুব কষ্ট পাইলাম মনে আপনি চুপি চুপি না গিয়ে একটু জানিয়ে গেলে কি এমন ক্ষতি হত আপনার, হুম? আপনার সাথে আর কোন কথাই নেই?
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭
শায়মা বলেছেন: আরে আমি তো অনেক খানেই গেছিলাম!!! নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাট, গোপালপুর, লালপুর, ঈশ্বরদী, পাবনা রুপপুর!!!! কোনখানে তোমার বাড়ি!!!!!!!!!! সেটাই তো জানাওনি!!!!!!!!!
নিজের দোষ চোখে পড়ে না না!!!!!!!!!!!
২১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: নাহ্ বাবুপাড়া রেলওয়ে কলোনীতে।
'পাপারোমা' রিসোর্ট। কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে 'সাগর নিবাস' রিসোর্টে 'পাপারোমা' ক্যাফে আছে।
পাকশি পেপারমিলের কলোনীতে গিয়েছে।
সবচেয়ে প্রিয় জায়গা ছিল পাকশি অডেটেরিয়াম। ওখানকার কলিজার সিঙ্গারা আজো জিভে জল আনে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫০
শায়মা বলেছেন: কিন্তু পাকশীতে এত থাকা কেনো তোমার???
বাবার জবের কারণে নাকি আত্মীয়ের বাসা নাকি নানা দাদার বাসা ছিলো!!!
নাকি রেলওয়ে কলোনীতে তেই আবাস আছিলো তোমার ভাইয়ু!!!
২২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৫
সামিয়া বলেছেন: মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভ্রমণ আবশ্যক। ছবিগুলো খুব সুন্দর। দারুন একটা ভ্রমণ হয়েছে আপু,
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩০
শায়মা বলেছেন: এ বছরে উত্তরাঞ্চলের মতন দক্ষিন পূর্বাঞ্চলেও গেছিলাম। সে নিয়েো লিখবো খুব তাড়াতাড়ি!
২৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সোনা পাখি তোমায় ভাবি
যেন সারা দিন
তুমি ছাড়া দূরে থাকা
আমায় করে লীন।
তোমায় বুকে লয়ে
হাজার দুঃখ সয়ে
আনন্দে কাটে দিন ।
তুমি আমার প্রাণভোমরা
প্রাণের স্পন্দন
তুমি আছো দূরে
সেই বিয়োগ ব্যথা
সহিতে পারি না যে
হৃদয়ে রক্তক্ষরণ।
তুমি আসো উড়ে
আমাদের এই নীড়ে
তুমি হীনতার বিয়োগ ব্যাথার
করো হে প্রশমন।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৫
শায়মা বলেছেন: এটা কি সোনার ময়না পাখি গানের ছায়া অবলম্বনে রচিত ভাইয়ু??
২৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার ছোট বাবু কে নিয়ে লেখা ওরা আছে পাটগ্রামে
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৮
শায়মা বলেছেন: গুড!!!
তাইলে ভেরী নাইস!!!
২৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বিদ্যুৎ গেছে চলে
রাতের অন্ধকারে
বসে আছি ঘরে
ভ্যাপসা গরম
পাশে কেউ নেই
লেগেছে সর্দি
বসে বসে ভাবি
আসতো যদি . ত্বরা
এভাবে লাগে না ভালো
সময় যেন হতচ্ছাড়া।
গভীর অন্ধকারে
বসে আছি একা
হতো খুব ভালো
এমন নির্জনে
মোদের দুজনের
হতো যদি দেখা।
ভালোবাসি যে খুব
তোমার আমার অভিসারে
এমন নির্জনতা।
এক ঘন্টা কারেন্ট নেই আমার বাসায় সারা দেশে কি অবস্থা কে জানে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৯
শায়মা বলেছেন: কারেন্ট নেই কোনখানে?
আমাদের এখানে তো একবারও গেলো না!
২৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪০
ঢাবিয়ান বলেছেন: পুরাটা পড়লাম । সমাজবিজ্ঞান না কোন সাবজেক্টে চিলিকলের কথা পড়েছিলাম মনে নাই। আপনার পোস্ট পড়ে নস্টালজিক হলাম।
রুপপুরের পারমানবিক বিদ্যূৎ প্লান্ট দেখে কেঁপে উঠলাম । সিঙ্গাপুরের মত উন্নত টেকনোলজির দেশেও nuclear power plant এর অনুমতি দেয়া হয় নাই। আশা করি বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক এক্সপার্টদের সাথে আলোচনা করেই এই প্রকল্পের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৩
শায়মা বলেছেন: হায় হায় বাংলাদেশে যে এত চিনিকল আছে সেটা জানোই না ভাইয়া??? কত দিন হলো দেশ ছেড়েছো!!!
রুপপুর পাওয়ার প্লান্টের খবরও জানোনা ভাইয়ু!!! পুরাই বৈদেশী হয়ে গেছো!!! হা হা
২৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার ধারণা ঠিক আছে।
জয়পুরহাট সুগার মিলের এলাকা সম্ভবত অনেক বড়। মোবারকগঞ্জ সুগার মিল ঝিনাইদহের কালিগঞ্জে অবস্থিত। আগে হয়তো নাম ছিল কালিগঞ্জ সুগার মিল। আমি ১৯৯৪ সালে গিয়েছিলাম ১ মাসের জন্য। আকারে ছোট। রাজশাহী সুগার মিল বেশ বড়। আমি আর আমার এক বন্ধু গিয়েছিলাম দেড় মাসের জন্য। মজার কিছু স্মৃতি আছে। আমরা গেস্ট হাউজে থাকতাম। আমরা প্রতিদিন আবাসিক এলাকার সামনে দিয়ে অফিসে যেতাম হেটে। একদিন অফিসে গিয়ে দেখি আমাদের টেবিলে একটা ফুলদানিতে একগোছা ফুল রাখা। আমরা পিয়নকে জিজ্ঞেস করলাম যে এই ফুল কে দিয়েছে আর কেন দিয়েছে। সে বলল যে আবাসিক এলাকার একটা মেয়ে দিয়েছে। আমরা তো বিস্মিত হয়ে গেলাম। কোন মেয়ে আবার দিলো। আমরা তো ভদ্র ছেলে। কোন মেয়ের সাথে চোখাচোখিও হয় নাই। আমি আমার বন্ধুকে বলি এই ফুল তোকে দিয়েছে। সে বলে আমাকে দিয়েছে। কিছুক্ষণ মজা করলাম। আমার ধারণা আমার সেই বন্ধুকে দিয়েছিল। কারণ সে দেখতে রাজপুত্রের মত ছিল।
আমরা তখন অবিবাহিত। গেস্টহাউজের কেয়ার টেকারের ছিল দুইটা বউ। আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে আপনি দুইটা বউ কেমনে ম্যানেজ করেন। সে আমাদের বলল যে এটা কোন সমস্যাই না। আমরা বললাম যে ওনারা ঝগড়া করে না। সে বলে যে, না ঝগড়া করে না। সে যখন বাসায় যায় দুই বউ নাকি তার পা ধুয়ে দেয়, পা টিপে দেয়। কোন সমস্যা নাই। আরও কিছু টিপস দিয়েছিল। সেটা এখানে বলা যাবে না।
কালিয়াচাপরা সুগার মিল কিশোরগঞ্জে অবস্থিত। সেখানে আমি ২/৩ বার গিয়েছি। আমি উত্তর বঙ্গে বেশী যাই নাই। রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, বগুড়া আর রাজশাহীতে গিয়েছি। আমার ছেলে রংপুর থাকে এখন। এখন মাঝে মাঝে যাই। সিরাজগঞ্জের পরে পুরা রাস্তায় এতো গাড়ি কম আর রাস্তা এতো চওড়া যে আমার ধারণা ড্রাইভিং সিটে সব সময় ড্রাইভার না থাকলেও চলে। মিস্টার বিনের মত লাঠি দিয়ে পিছনের সিট থেকে দড়ির সাহায্যে গাড়ি চালানো সম্ভব। এতো ফাঁকা রাস্তা আমি জীবনেও দেখি নাই।
আপনার দেয়া ছবি দেখে মনে হচ্ছে জয়পুরহাট আর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল খুব সুন্দর। ভিতরে অনেক কিছু আছে। কিছু কিছু জিনিস মনে হয় পরে হয়েছে।
পাকশির হার্ডিঞ্জ ব্রিজের উপর দিয়ে ১৯৮৭, ১৯৮৮ এবং ১৯৮৯ সালে কয়েকবার গিয়েছি। যশোর থেকে ট্রেনে চড়ে সৈয়দপুর। আন্তঃ নগরের ট্রেনের এক মাথা থেকে আরেক মাথা হেটে বেড়াতাম। তখন বয়স কম ছিল তাই।
কিছুদিন আগে আমি ৪৩/৪৪ বছর পরে আমার শৈশবের দুইটা প্রাথমিক বিদ্যালয় দেখতে গিয়েছিলাম টাঙ্গাইলে। আমার আগ্রহ ছিল আর আমার বউয়ের আগ্রহ এবং উৎসাহ আরও বেশী ছিল। দুইটা স্কুল বিল্ডিংই পেলাম। তবে অনেক জীর্ণ হয়ে গেছে। পাশে নতুন ভবন হয়েছে। অনেক ভালো লেগেছিল। আমরা যে এলাকায় থাকতাম সেটা ছিল বিস্তীর্ণ প্রান্তরের মত। এখন বিল্ডিং আর মানুষে ঘিঞ্জি হয়ে গেছে। চিনতেই কষ্ট হয়েছে।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২
শায়মা বলেছেন: বুঝেছি তোমার এই ঘটনার জন্যই মনে হয় কুমার বিশ্বজিৎ গান গেয়েছে তুমি রোজ বিকেলে আমার বাগানে ফুল নিতে আসতে ..... আহা আহা ভাইয়ুজী!!!
যাইহোক জয়পুরহাট সবচাইতে বাংলাদেশের বড় চিনিকল ছিলো। রাজশাহী চিনিকলও বড় তবে মোবারকগঞ্জ, গোপালপুর এসব ছোট ছোট চিনিকল।
রংপুর স্যুগারমিলের নাম আসলে শ্যামপুর আহা কি সুন্দর নাম তাইনা?? ওহে শ্যাম তোমারে আমি নয়নে নয়নে রাখিবো, অন্য কাউরে নাহি চাইতে দেবো...
রংপুরে মেডিকেল কলেজ আছে, কারমাইকেল কলেজ আছে, তাজহাটা জমিদার বাড়ি আছে আরও আছে বেগম রোকেয়ার পায়রাবন্দ!!! কারমাইকেল কলেজের বিশালত্ব এক অবাক বিস্ময়!!!
সিরাজগঞ্জের রাস্তা মনে পড়ছে না তবে মোবারকগঞ্জের আগে যশোর রোডের রাস্তার গাছগুলো!! আহা মন ভুলানো চোখ জুড়ানো!!!
জয়পুরহাট স্যুগারমিল সুন্দর তবে গোপালপুরের এমডি বাংলো পুরাই রাজপ্রাসাাদ যেখানে ছেলেবেলায় আমার কাটাবার সুযোগ হয়েছিলো!
আহা পুরানো স্কুল পুরানো সময়.... এ আমার কাছে সব সময়ই এক অবাক বিস্ময়!!!!
মনে হয় টাইম মেশিনে করে যদি ফিরে যেতে পারতাম আবার সেই ছেলেবেলায়....... কিন্তু ফেরা হয় না, ফেরা যায় না!!!!!!
২৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০৬
আজব লিংকন বলেছেন:
শায়মা আপা দারুণ লিখেছেন। গতকাল মন্টির দুষ্ট প্রেমিক ওরফে হাজী জ্বীনদের কাহিনী পর্যন্ত পড়েছিলাম। গ্রামে জ্বীন-ভূত ধরার কহিনী আমি ২-৩ বার নিজ চক্ষে দেখেছি। অনেকে বিষয়টা ফানি ভাবলেও সত্যি কিন্তু জ্বীন আছে। যে নিজ চোখে দেখেছে সেই একমাত্র জানে।
গল্পের বাকিটা আজ পড়লাম। নাম না জানা কোন জানি ফুলের নামে নামআলা প্রেমিক বেচারার কেলানিতে আমার একটু হাসি আর একটু মায়া লাগলো। আহা রে বেচারা।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের দূর্ণীতি শুনে অবাক হয়ে গেলাম।
না পাওয়া চাওয়াগুলো স্মৃতি হয়ে সারা জীবনের জন্য পাওয়া হয়ে যায়। যেমন আপনার ভাললাগা সেই সোনালী ময়ূর। একবুক কষ্ট নিয়ে উড়ে চলে যাও সেই পায়রা।
বাকি ট্যুরের কাহিনীগুলোও শুনতে চাই।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৯
শায়মা বলেছেন: জ্বীন আছে না ছাই আছে!!!
আমার বাসার ঠিকানা দিয়ে দিচ্ছি পাঠায় দাও তো দেখি দু'একটাকে!
যাইহোক সেই কিশোর প্রেমীর নাম ছিলো পলাশ! হা হা তাকে নিয়ে লিখলে আরেক বাল্য ব্যার্থ প্রেমিকের গল্প হয়ে যাবে। বলা যাবেনা ভাইয়ু এমনিতেই সাড়ে ভাইয়া কুটনাবুড়া ভাবে দুনিয়ার লাখো লাখো প্রেমিক ছিলো আছে এবং থাকবে আমার। আসলে আমি যে ঠান্ডা মাথায় ডান্ডা অথবা আপনার মাঝে আপনি হারা আপন সৌরভে সারা তাহা যারা জানে তারাই জানে। সে কথা কি আর কুটনা ভাইয়া বুঝবে??
যাইহোক, রুপপুরের গল্প শুনে আমিও হাসতে হাসতে শেষ!!! আর সোনালী ময়ুর আর পায়রার মাঝে পায়রাটার জন্যই দুঃখ জেগে আছে আজও!!!
আচ্ছা আরও ট্যুরগুলির গল্পও লিখে ফেলবো খুব তাড়াতাড়ি!!!
২৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩
ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: এতগুলো মন্তব্যের মধ্যে কেউ তো বললো না শহীদ সাগর এর সাল ভুল আছে।
ঠিক করে এই মন্তব্য মুছে দিয়েন।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৫
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ!!!
তুমি দেখছি দারুন মনোযোগী পাঠক!!!!
নো প্রবলেম ভাইয়া। ভুল করে ১৯৭১ না লিখে ১০৭১ লিখে ফেলেছিলাম।
ঠিক করে দিলাম।
৩০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উপরে ব্লগার আজব লিংকন জীন সম্পর্কে সত্যি বলেছে। আসলে আমাদের আসে পাশেই জীন আছে। জীন নিয়ে অনেক সত্যি ঘটনা আছে। জীন অনেক সময় মানুষকে তুলে ওদের দেশে নিয়ে যায়। এরকম একজনকে আমি দেখেছি। অনেক ভণ্ড পীর জীনের সাহায্যে কেরামতি দেখায়। যেমন আটরশির পীর। আমার সাথে জীনের সরাসরি দেখা হয় নাই এখনও। সম্ভবত ওরা আমাকে ভয় পায় তাই কাছে আসে না।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৮
শায়মা বলেছেন: ভণ্ড পীর আটরশিকে আটশো রশি দিয়ে বেন্ধে চাবকানো দরকার।
আজ বুঝলাম ভণ্ড পীরদের জন্যই ভন্ড জ্বীনদেরও জন্ম!!!
৩১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি প্রতি মাসে একবার এইসব এলাকায় যাই। তোমার মত এতও ঘুরি নাই।
দারুণ !
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৯
শায়মা বলেছেন: আমি তো ঘুরাঘুরির জন্যই গেছিলাম!!!
৩২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৫
আজব লিংকন বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর ভাই আপনি সিংহ রাশি নাকি? শুনেছি সিংহ রাশি জাতকদের জ্বীনে ধরে না। আটরশী পীর প্রথম এই নাম শুনলাম। আসলে এদের ভেল্কিবাজি আমার হজম হয় না। এই কলি যুগে আসলের থেকে নকল বেশি।
একটা কাহিনী বলি, যার কোন ব্যাখ্যা আমি নিজে থেকে পাইনি।
আমি যখন ক্লাস এইটে পড়ি। পরীক্ষা শেষে নানু বাসায় ঘুরতে যাই। আমার নানু বাসা দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর গ্রামে। তখন যাকে বলা যায় ঘোরগ্রাম অথবা পিওর গ্রাম। গ্রামে সবার মাটির ঘর। গাছপালায় ভরা বিশাল আঙ্গিনা। ঘরের পিছনে একটা পুকুর। বাউন্ডারি বা ঘেরা বলতে তেমন কিছু নাই। এক বাড়ির উঠান পাড় হয়ে অন্য বাড়িতে অনায়াসে যাওয়া আসা করে সবাই।
মাঘের শীতের সকাল প্রায় ছয়টা। চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙ্গে। খাটের পাশে কাঠের জানালার ছিটকিনি খুলে দেখার চেষ্টা করলাম ঘটনা কি। দেখলাম আমাদের পাশের বাসার মামিকে পুকুরের মাঝখান থেকে তোলা হচ্ছে। দৌড় দিয়ে বাসার পিছনে গেলাম। গিয়ে দেখতে পেলাম উনি ছিলেন ছয় মাসের গর্ভবতী। উনাকে নাকি জ্বীনে তুলে নিয়ে গিয়ে পুকুরের মাঝখানে ফেলেছে। উদ্ধারের পরে তিনজন মিলে উনাকে কন্ট্রোল করতে পারছে না। ঠান্ডায় কাঁপছে আর মুখ দিয়ে বিভিন্ন রকমের আওয়াজ করছে।
নানিরা উনার শাড়ি কোনরকম বদলিয়ে উঠানের মাঝখানে নিয়ে কম্বল দিয়ে জড়িয়ে শীতল পার্টিতে বসিয়ে রাখল। ওঝা হুজুর ডাকা হলো। হুজুর বিভিন্ন রকম দোয়া-দরুদ পড়ে দেখলাম মামির ভিতরে থাকা জ্বীনে সাথে কথা বলছে। সত্যিই পুরো সিনেমার কাহিনী। মামির গলার স্বর কিছুটা অন্যরকম শোনাচ্ছে। হুজুরের প্রচুর ধমকা-ধমকির পর জ্বীন কথা বলতে রাজি হয়। হুজুর জ্বীনকে প্রশ্ন করে, বল কই থেকে আসছিস? কেন একে ধরেছিস?
জ্বীন বলে, কাল সন্ধ্যায় মামি বেলগাছে তলা দিয়ে বাসায় ফেরার সময় তাকে ডিঙিয়ে আসে। যে জন্য সে মামির পিছু নিয়ে বাসা পযর্ন্ত এসেছে। সকালে মামি বাথরুমের যাওয়ার জন্য বের হয়। কলের পাড়ে (টিউবওয়েল) পানি নিতে গেলে মামিকে শাস্তি দেবার জন্য পুকুরে ফিক মারে। জ্বীন বলে সে মামিকে ছাড়বে না।
হুজুর বিভিন্ন দোয়া পড়ে জ্বীনকে বশে আনে। তাল পাতার কাঠি দিয়ে মামি তথা জ্বীনের হাতে মেরে বলে, বল একে ছেড়ে যাবি কি না?
জ্বীন বলে, আমাকে মারিস না আমি ছেড়ে যাচ্ছি।
হুজুর আবার জিজ্ঞেসা করে, বল আর কোনদিন ফেরত আসবে কিনা?
জ্বীন বলে ওর আত্মীয়-স্বজন নাকি ইন্ডিয়াতে থাকে। ও ইন্ডিয়াতে চলে যাবে। আর ফিরত আসবো না।
হুজুর জ্বীনকে বলে যাওয়ার সময় ইশারা চিহ্ন দিয়ে যাইতে।
জ্বীন বলে ঠিক আছে সে যাওয়ার সময় গাছের একটা ডাল ভেঙে দিয়ে যাবে।
এটা কিভাবে সম্ভব হলো আমি নিজেও জানিনা। সত্যি সত্যি মটাশ শব্দে গাছের ডাল ভাঙলো এবং জ্বীন প্রস্থান করলো।
ঘন্টা খানিক পর মামি পুরা সুস্থ। লজিক-ফজিক আমি জানিনা। অনেক কিছুই হতে পারে। তবে একজন ছয় মাসে গর্ভবতী মহিলা কোনদিনও এই কনকনে শীতের সকালবেলা পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে অন্তত আত্মহত্যা করতে যাবে না। এই ঘটনার পর মামির আর কোন সমস্যা হয়নি। শুনেছি তার বাঁচাও সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে হয়েছে।
পৃথিবীর বড়ই রহস্যময়। আমার চোখের সামনে ঘটা এই ঘটনা আমার কাছে সত্যি মনে হয়।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৩
শায়মা বলেছেন: আমি সিংহ রাশি! জ্বীন মনে হয় তাই আমাকে ভুই পাই ভাইয়ু!!! যাক যাক বাঁচা গেলো!!!
আটরশীর পীর জীবনে প্রথম শুনলে?? হায়রে এত পিচকী তুমি!!!!!!!!!!!!
যাইহোক আটরশী পীর তো মনে হয় ফরিদপুরে বাড়ি! এমনই শুনেছিলাম কিন্তু নাম শুনেছি বটে। আর এই বেটা ভন্ড সেটাও শুনেছি। আসলে পীর মানেই ভন্ড মনে হয় আমার।
ভাইয়া জ্বীনে ধরা ভূতে ধরা সবই মানসিক সমস্যা আর ঐ ডাল ভাঙ্গা মটাস মুটুস সবই ঐ সব ভন্ড ওঝাদের ভেলকীবাজী।
মরে গেলেও আমি বিশ্বাস করি না মামীকে জ্বীনে নিয়ে পুকুরে চুবিয়েছিলো।
উনি নিজেই পুকুরে চুবতে গেছিলেন।
৩৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১০
জটিল ভাই বলেছেন:
বোইনরে, এতো লিখা কই পান? নাকি AI দিয়া লেখান? আমরা এক লাইন লেইখাই ভাবি পরে কি লিখুম।
আপনার এই লিখায় আমার কম হইলেও একশোডা পোস্ট হইতো। আপনার শাস্তি দাবী করছি
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২১
শায়মা বলেছেন: হা হা আমার ধৈর্য্য অপরিসীম!!!!
৩৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তুমিতো ভীতুর ডিম্ব। রাতে যদি জ্বীন আসে আর তুমিএকা তখন তুমি কি করবে। আমার তো মনে হয় তুমি অজ্ঞান হয়ে যাবে। আমার অবশ্য ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা আছে। এখনও আমার বিশ্বাস হয় না।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৯
শায়মা বলেছেন: বেশি বাড় বাড়লে আমি তখন বুঝিয়ে দেই আমি ভীতুর ডিম্ব নাকি ভীতুদের ডিম্ব!
তোমার ব্যাতিক্রমী অভিজ্ঞতা যে গাঁজাখুরি সেটা বুঝতেই পারছি!
৩৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১১
মিঃ হাসান বলেছেন: বেশিরভাগ জায়গাতেই আমার যাওয়া হয়নি, তবে লেখাটি পড়ে কল্পনায় ঘুরে আসলাম। খুব ভালো লাগলো।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৭
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়ু!
৩৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪৩
sumon3d বলেছেন: Apu@ Still are you writing here? After a long while (Around 10 years+), I just visited this blog without reasons and got your name in the blogger list. I logged in just to write this comment. Logging was not so easy as I forgot the password of my blog as well as the associated email ID. But, finally, I managed to recover those passwords and completed login. Hope you remain the same as the old days.
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৩
শায়মা বলেছেন: হা হা মনে হয় ঠিক তেমনই আছি কিন্তু কত কিছু বদলে গেলো এই এতগুলো বছরে। তুমি তো প্রানের জবটা ছেড়ে মনে হয় বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলে।
এখন কোথায় আছো? কেমন আছো?? বিয়ে করেছো? বেবি হয়েছে? এই ১০ বছরে তোমারও নিশ্চয় অনেক অনেক চেইঞ্জ!
যাইহোক তোমার কথা ভুলিনি। আমি আসলে কিছুই ভুলিনা। আমারফ মেমোরী অসাধারণ!!! হা হা
রাতুল শাহকে দেখিনা অনেকদিন। তোমরা বন্ধু ছিলে।
৩৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:০৮
sumon3d বলেছেন: Apu@ Sorry for sharing a wrong info. I logged in 2019 last time after 2013 just to comment one of your posts, and after that today. Also sorry for writing in English as I could not write properly through Phonetic Keyboard due to a long gap using this keyboard.
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৫
শায়মা বলেছেন: সেটাও মনে আছে আমার। বললাম না আমি কিছুই ভুলিনা।
আর আমি জানি ফোন দিয়ে আমিও বাংলায় লিখতে পারিনা। পারলেও কমেন্টের জবাব অপশনটাও দেখিনা।
সামু অনেক অনেক ঝামেলায় পড়ে লগ ইনেও ঝামেলায় পড়েছে।
তবুও নড়বড় করে টিকে আছি আমরা ক'জন নেশাগ্রস্থ মানুষ!!
কত মানুষ এলো গেলো ....... কত স্মৃতি জমা হলো.....
৩৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শোন কন্যা
তোমার রক্ত চক্ষুর পরোয়া আমি করিনা
বয়স তোমার মোটে বারো রাগ দেখাতে পারো আরও
তুমি এখন দূরন্ত কিশোরি তাই কেয়ার করো না
বয়স তোমার বাড়বে যখন
আমায় ভালো লাগবে তখন
আমার কথা ফেলতে পারবে না
যতই করো ঢং আমিও নই যে কম
তোমায় নিয়ে ভুতের বাড়ি
রেখে আসবো তাড়াতাড়ি
দেখবো তোমার কতো সাহস
গগন বিদারী চিৎকারেও তোমার সহসা
সাহায্যের হাত বাড়াবো না।
ভয়ে তুমি কাঁপবে থরোথর
রাতের আধার ভর করবে তোমার উপর
জ্বিনের দলও কিন্তু ছাড়বে না
ভেবে দেখো উত্তর দাও
তুমি ভীতুর ডিম্ব কিনা
ঘ্যান ঘ্যন তুমি করো না.।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১০
শায়মা বলেছেন:
ভীমরতিটা ধরে নাকি বুড়া হলে শুনেছি
সেই আদিকাল হতেই তোমার ভীমরতিতেই দেখেছি।
গেলো না আর ভীমরতিটা কোনোভাবেই কাটানো
রক্ত চক্ষু ব্যানের ভয়টা কিংবা গলা ফাটানো
ভীমরতিতে বুদ হয়ে রও দেখো চোখে কিশোরী
নিজেও বুড়া কিশোর সেজে বাঁজিয়ে যাচ্ছো বাঁশরী!
৩৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাব মারতে আইসো
যখন বয়স তোমার ষোলো
কথা তুমি কইতে পারো
যখন তোমার বয়স আঠোরো।
দ্বাদশ বছর বয়সের হে দূরন্ত কিশোরী
এখন তুমি ভাবনার আকাশে সাতার
কাটতে পারো, উড়াল দিতে পারো
এখনও যে অসীম তোমার আকাশ
এখনও বুঝনা নিয়তির নির্মম পরিহাস
মানুষ আমি গড়পরতা অতি সাধারণ
আমার জন্যই নিবেদিত তোমার সুন্দর গরণ
বুঝবে একটু পরে আঠারো বছর বয়সে
এখন তুমি ভাব মারতে পারো
বয়স তোমার যে এখনও মোটে বারো
ভালোয় ভালোয় অহমিকা ছাড়ো
ভালোবেসে আমার দুহাত ধরো…
হে নির্মম স্নিগ্ধ অতীব সুন্দর
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭
শায়মা বলেছেন: ভালোবেসে ধরবো দু'হাত দেখিয়া এই আশা
ভর সন্ধ্যায় আমার মুখে ঝরছে না আর ভাষা!
কোন আক্কেলে বললে ভায়া বুদ্ধি আছে ঘটে?
ভাবীজান আর পোলাদেরকে ভুললে তুমি বটে!
বলেছিলে নানান রোগে ধরছে নাকি দিনদিনই
মাথাখানাই দেখাও আগে সবার আগে এক্ষনি।
কাব্য লিখে লিখে পাহাড় ভরলে সামুর পাতা
এই করে কি তোমার এমন বিগড়ে গেলো মাথা!!!
৪০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সোনার কন্যা উত্তর তুমি দিও আরও
ছয় বছর পর, এখন তোমার বয়সন্ধিকাল
মনের ভিতর ঝড়, দোষ তোমার নাই
বয়সের দোষ দংশেছে তোমায়
প্রথম প্রথম এ রকমই হয়
প্রেমের হুল ফোটার পড়ে
সবকিছু ঠিক হয়ে যায়।
নয় তো বেশি দেরী
মাত্র বারো বছর ধরে তোমায় লালন পালন করি
সময় ঘনিয়ে এলো তুমিও হবে ভীষণ পরিণত
তোমার আমার লাল নীল সংসার
জমবে ভীষণ ভালো
আমরা গড়বো ক্রিকেট টিম
আর মাত্র লাগবে বছর বারো...
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৮
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তুমি মাথার ডক্টর দেখাও প্লিজ!
ভেবেছিলাম ভীমরতি। এখন দেখছি পুরাই মস্তিস্ক বিকৃতি!!!
তাড়াতাড়ি ডক্টর দেখাও!!!
৪১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১০
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: এইটা কী এক বছরের জন্য বাড়ীর কাজ দিলেন আপা? আমি কিন্তু ডাক্তারের প্রেসক্রিভসনের মত পড়বো...
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৯
শায়মা বলেছেন: হা হা এক বছর ধরে লিখিনি!!! মাত্র কয়েক সপ্তাহ লেগেছে লিখতে। পড়তে আর কয়দিন লাগবে??
৪২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এত বড় লেখা বাপরে। তোমার ধৈর্য আছে বটে
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০০
শায়মা বলেছেন: আমার ধৈর্য্য অপরিসীম!
৪৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৪
বিউটিফুল ইউ বলেছেন: আমি নিজস্ব নামে লিখতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। তাই ছদ্ম নামে লিখতে চাই। তাই আমার এই নিক টি নিরাপদ করার অনুরোধ করছি।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৬
শায়মা বলেছেন: হুম!!!
ব্লগিং এ নিক নিরাপদ হবার দুইটা নিয়ম আছে। এটা সবারই মনে হয় জানা।
১ নং নিয়ম ভালো ভালো পোস্ট দিয়ে মডু এবং অন্যান্য সকলের নজর কেড়ে নেওয়া
২নং নিয়ম গঠনমূলক, চিন্তাশীল, যৌক্তিক এবং অবশ্য অবশ্য সংযত আচরণমূলক মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য করা।
এর দুইটার একটাও কি করেছো তুমি ভাইয়ু??
তোমার ব্লগিং পরিসংখ্যান
• পোস্ট করেছি: ০টি
• মন্তব্য করেছি: ২০টি
• মন্তব্য পেয়েছি: ০টি
• ব্লগ লিখেছি: ৪ মাস ৩ সপ্তাহ
• অনুসরণ করছি: ০ জন
• অনুসরণ করছে: ০ জন
এই প্রায় ৫ মাসের ব্লগিং জীবনে তুমি একটাও পোস্ট লেখোনি। ২০টা মন্তব্যের একটা মডারেশন থেকে মুছে দেওয়া হয়ছে যা সামু নীতিমালা বিরোধী ছিলো নিশ্চয়! আর অন্যান্য ১৯ মন্তব্যগুলো বিচার বিশ্লেষন করে দেখলে বুঝা যায় মডারেটরের কোনো উপায় মনে হয় হবেনা তোমাকে নিরাপদ করার।
৩৪. ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭০
বিউটিফুল ইউ বলেছেন: সনাতন টপিক্স লইয়া পুনরায় নাড়াচাড়া কইরা মরা ব্লগরে জিবন্ত করনের চেষ্টা চলিতাছে আফা।খেল হইতাসে ফেসবুকের ইনবক্সে। ভ্লগে বেকার লোক বেশি।
ঢাবিয়ান বলেছেন: সোহানী আপু , আমি অবাক হচ্ছি ব্লগ কতৃপক্ষের ভুমিকায়। তারা কি ঘুমিয়ে কাটাচ্ছে?
@ নীল সাধু , আপনি হয়ত বুঝতে পারছেন না যে , আপনি একজন মহিলা ব্লগারকে সম্মানহানি করছেন যা মোটেও কাম্য নয়। নিজের মান নিজেই বজায় রাখুন।
~এই সাগুর দানারে লইয়া আর পারা গেলনা।হজ্ঞল সময়ে নারী পুরুষরে আলাদা মূল্যায়ন করা শিবিরগুলোর বাপদাদার শেখানো আমল। ব্লগার ব্লগারই, নারী আর পুরুষ কিরে ছা+গ+ল?
এই নিকের পিছের মানুষ যতই পুরাতন হোকনা কেনো কোনো নতুন নিকের প্রথম মন্তব্যই হয় যদি এমন কেচালপ্রিয় বা সাগুর দানা, শিবির, ছাগল পাগল বলা তাহলে কি মডারেটর তোমাকে সেইফ করবে বলে তোমার মনে হয়?
১২. ২৬ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৩২০
বিউটিফুল ইউ বলেছেন: ব্লগ জমজমাট করবার লাইগা ব্লগার অপু তানভীর উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন ইতোমধ্যে। তিনি সামুর হিট ব্লগারগো তালিকা প্রকাশ করেছিলেন। যুগ শ্রেষ্ঠ ব্লগারের ইন্টারভিউ প্রকাশ করিলেন। কিন্তু বড়ই আচানক এর সহিত আফসোস কোন লাভ হইলনা।
এই মন্তব্যখানা দেখো। পুরাই হিংসাত্মক মনোভাবাপন্ন। যাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছিলে সেই তারই কাছে আজ এসেছো সেইফ হবার অনুরোধ জানাতে নিয়তির একি পরিহাস ভাইয়ু!!! এই রকম কোনো মন্তব্যকারীকে তুমি সেইফ করবে??
৩. ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪৩১
বিউটিফুল ইউ বলেছেন: অতীব উত্তম প্রস্তাবনা। কিন্তু সমস্যা হৈল গিয়া আড্ডার পোস্টে ২ জনের ৫-১০ মাল্টি ছাড়া কেহও অংশগ্রহণ করেনা। এপোস্টে কিছুক্ষণের মইধ্যে ৩/৪ জন (মাল্টি সহ ৭-১০ জন) মিইলা শত শত মন্তব্য মন্তব্য করব। মানুষ ইদানীং পোস্ট আকারে বড় হইলেই পড়বার চায়না সেখানে ২/৩ জনের (মাল্টি সহ ৭-১০ জনের) শত শত মন্তব্য পড়তে চাইবেনা। তাছাড়া চাঁদগাজী সমর্থিত ব্লগার গন আড্ডা পোস্টে অংশগ্রহণ করবেন না।তারা আড্ডা বিরোধী । ব্লগের মজার নিক গুলো সবই উনার ভক্ত কুল। উনারা ছাড়া যেখানে ব্লগই জমেনা সেখানে আড্ডা তো জমবেইনা। বুঝাতে পেরেছি ব্যাপারটি?
এই মন্তব্যেও বুঝা যায় তোমার হিংসাত্মক মনোভাব আর চাঁদগাজী ভাইয়ার চামচামি করার ব্যার্থ প্রচেষ্টা। দেখো কেউ কারো প্রিয় হতেই পারে। মানুষ মানুষের ফ্যান বা ভক্ত হয়। চাঁদগাজী ভাইয়ার অনেক ভক্ত এখনও আছে কিছু কিছু তবে ভক্ত আর চামচামির মাঝে প্রভেদ কি জানো? ভক্তদের নিজেদেরও কিছু গুণ থাকে। চামচাদের থাকে না। তারা শক্তির পূাজরী হয়। চাঁদগাজী ভাইয়ার নেগেটিভ আচরণকে তোমার শক্তি মনে হয়েছে তাই তুমি এইরকম আস্ফালন করছো! যা অনেক বড় ভুল ভাইয়ু! এতে তোমার নিজস্ব কোনো গুনাবলীর প্রকাশ ঘটেনি যে তোমাকে সেইফ করে ব্লগিং করে তোমার নিজের ও দেশের বা দশের উন্নতি হবে কিছু।
৯. ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৭২
বিউটিফুল ইউ বলেছেন: ঢাবিয়ান একজন বিএনপি জামাতের পেইড এজেন্ট মনে হয়। মডুর পা চাটে ফলে প্রকাশ্যে ব্লগে মাস্তানি করে। ওরে গোনেন কেন? ও কি বলল কি বললনা এগুলো ভুয়া ছাড়া কেউ পুছে না। হেতে সারাদিন বিএনপি জামাতের দালালি করবে, তারে কেউ বিএনপি জামাত বললে তার মডু বাপরে বিচার দিবে। মডু বাপ এসে আপনারে ৩ মাসের জন্য ব্যান করে রাখবে। হেতের মতের বিরুদ্ধে কেউ কিছু লিখলে তার বাপ ভুয়ার সাহায্যে তারে ব্লগ থেকে বাহির করে দিতে চাইবে। এই ছাগলের কোন ব্যক্তিত্ব নেই। সারাক্ষণ ক্যাচাল আর ভিন্নমতের ব্লগারদের ব্লগ ছাড়া করার ষড়যন্ত্র করে। এই রামছাগলকে পাত্তা দেয়ার কিছু নেই।
ইয়া খোদা খোদা খোদা!!!! ব্লগারদেরকে যাচ্ছেতাই বলেছো বলেছো!! মডু ওদের বাপ সেটাও বলেছো। তবে ওদের বাপের কাছে সেইফ হতে চাওয়া কেনো?? নাকি আমাকে মডু আম্মা পেয়েছো তাই ......
১০. ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০০
বিউটিফুল ইউ বলেছেন: কিছু গরু ছাগলের পোস্ট ওদের নিজেগো ২/৪ টা মাল্টি ছাড়া কেউ পড়েনা। তাই প্রতিদিন আপিনারে নিয়া গড়ে ২ টি পোস্ট ও ৩০/৪০ টা মন্তব্য করে। আপনারা কয়েকজনই তাদের ব্লগিং এর খোরাক।
এই যে আরেক অন্ধের মত কমেন্ট তাও আবার অন্য ব্লগারদেরকে হেয় করে। এই সব করে কি ভালো ব্লগার হওয়া যায় ? তুমিই বলো!!!
১১. ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫২
বিউটিফুল ইউ বলেছেন:
এই মন্তব্যটি মুছে ফেলা হয়েছে, মন্তব্য করার সময় ব্লগ ব্যবহারের শর্তাবলীর দিকে খেয়াল রাখুন । শর্তাবলী
কি বলেছিলে এমনই নীতিমালা বিরোধী যে মডু মুছেই দিলো!
২৬. ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২১০
বিউটিফুল ইউ বলেছেন: আপনার মত ভন্ড আমি ব্লগে ২য় টা দেখি নাই। ইসলাম নিয়ে লেখেন অথচ ফেতনা করেন, গীবত করেন, ক্যাচাল করেন, অন্য ব্লগারকে অসম্মান ও ব্যক্তি আক্রমণ করে পোস্ট দেন।
ইসলাম কি এগুলো পারমিট দিয়েছে নাকি?
হায়রে ওরা যদি এসব করে তবে তুমি কি করছো!!! নাকি নিজের দিকে তুমি দেখতেই পাও না!!!
২. ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০০
বিউটিফুল ইউ বলেছেন: আমি বুঝতেছিনা আপনারে গালি দিয়ে প্রতিদিন ১ টি পোস্ট করে পোস্ট দেয়া হচ্ছে, দৈনিক গড়ে ৩০/৪০ টি মন্তব্য করা হচ্ছে। ব্লগ টিম চুপ কেন? আপনাকে যারা গালি দেয় তাদের মধ্যে ১ জন মডু আরেকজন মডুর চামচ। অথবা ঐ মডু উক্ত গালিবাজের চামচ।
আমার কথা হল মডুর চামচ হলেই কি যে কেউ অন্য যে কাউকে গালিগালাজ ব্যাক্তি আক্রমণ করে প্রকাশ্যে পোস্ট দিতে পারবে?
নিজে চাঁদগাজী ভাইয়ার চামচ তাই সবাইকেই অমন মনে হয় বুঝি??
৩২. ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১২১
বিউটিফুল ইউ বলেছেন: আপনাকে ব্যান করবে নাকি রাখবে উহা নিয়ে কথা বলা অনুচিত। কর্তৃপক্ষ ভালো বুঝবেন তাদের লাভ ক্ষতি। তবে মডারেটর কে মনে করিয়ে দিতে চাই ব্লগ সচল রাখতে ব্লগার লাগে। বিভিন্ন মতাদর্শের ব্লগার লাগে। শুধু এক মতাদর্শের ব্লগারদের রেখে অন্যান্য মতাদর্শের ব্লগারদের দমন ব্লগের জন্য ভালো হবে বলে মনে হয়না।
তবে মডু যারা ব্লগারদের হত্যার উদ্দ্রশ্যে হিট লিস্ট বানিয়েছিল তাদের ভয়ে শুধু ২/৩ জন এর উপর নীতি মালা প্রয়োগ করতে বাধ্য হয় তাহলে উনার প্রতি কোন অভিযোগ নেই। মানুষ নিরুপায় হয়ে অনেক কিছু করতে বাধ্য হয়।
ব্লগে না লেখার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।
এতই যখন বুঝো মডু এর ভয়ে এই করে তার ভয়ে সেই করে তাইলে আর কি ভীতু মডুদেরকে ভয় পেতে দাও। আর আরেকজনকে না লিখতে বলে নিজে আবার সেইফ হ্তে চাচ্ছো কেনো বুঝলাম না।
যাইহোক অনেকগুলা উদাহরনসহ ব্যাখ্যা দিলাম!
সত্যিই যদি সেইফ হতে চাও তো মিথ্যে করেও কিছু ভালো লেখা দিয়ে এবং ভদ্র সভ্য এবং যৌক্তিক অহিংস মন্তব্য দিয়ে নিজেকে প্রমান করো। তারপর সেফ হবার পর আবার গালাগালি অভব্য আচরণ করে ব্যান হতে পারো।
৪৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তোমার অনেক ধৈর্য্য
ওটাই তো সৌন্দর্য
শুধু মাঝে মাঝে ঘটে ধৈর্য্যচ্যুতি
তোমার আপন জনার কাছে
যে বসত করে তোমার মনের মাঝে
বাকী যত আছে
কোমলতাই পায় শুধু তোমার আছে
তোমার অনেক ধৈর্য্য
প্রতিপক্ষের কাছে
তোমার শুধু ধৈর্য্যচ্যুতি আমার সাথে
প্রেমের একান্ত অধিকারে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫
শায়মা বলেছেন: প্রেমের একান্ত অধিকার!!!!
কেমনে ভাইয়ু??
এইটাই বলেছি মাথার গন্ডগোল....ডক্টর দেখাতে হবে।
৪৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরের বার জয়পুরহাট গেলে আমাকে সাথে নিয়েন।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৩
শায়মা বলেছেন: তোমাকে নিয়ে যাবো!!!!!!!!!!!!!
কোন দুস্কে শুনি!!!
সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর পোড়োবাড়িগুলিতে শুনেছি জ্বীন ভূতেদের আড্ডাখানা। সেখানে রেখে আসতে নিয়ে যাবো নাকি!!!!
যাইহোক আমার মিররমনি লাপাতা লেডিস হয়ে গেলো কেনো!!!!!!!!
আমার এই পোস্টে আসলোই না!!!!!!!!!!!
তবে চিন্তায় আছি। আসলেই কেমন আছে সে???
আর একলব্য ভাইয়ু তো ডুমুরের ফুল হয়ে গেলো!!!
৪৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি আমাকে না নেন সমস্যা নাই। আমি ঐ দিকে গেলে আপনাকে সাথে নিয়ে যাবো।
ভুত নাই। জীন আছে। অন্য ধর্মে জীনকেই ভুত বলে। মেয়ে জীনকে পরী বলে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলিতেও জীন আছে। জীনেরা আমাদের রসূলের (সা) কাছে এসেছিলেন এবং কোরআন শুনে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। এই কথা কোরআন শরীফে আছে। আরেক ঘটনা অনুযায়ী রসূলও (সা) জীনদের দ্বীন শিক্ষা দিয়েছেন এক রাতে। হজরত সোলায়ামানের (আঃ) নির্দেশে জীনেরা কাজ করতো। এই কথা কোরআনে আছে। তাই জীন এই পৃথিবীতেই আছে। এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
আমার ধারণা মিররমণি আপনার আগের পোস্টের এক কানওয়ালা ছবি দেখে রাগ করে এই পোস্টে আসে নাই। এই কারণে বুঝে শুনে পোস্ট দিতে হয়।
শুভ ভাইয়ু আরেকটু সুস্থ হলে নিয়মিত হবে আশা করি।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩২
শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে জ্বীনের সাথে দেখা করে এসো এইবার জয়পুরহাটে গেলে। সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর পোড়োবাড়িগুলোতে নাকি ওদের আখড়া।
এক কানওয়াকা ছবি দেখে মিররমনি রাগ করবে কেনো?? কারণ কি ?? কি কারণে এমন মনে হলো শুনি!!!!!!!!!
আর শুভ ভাইয়ু সুস্থ্য হয়ে উঠুক তাড়াতাড়ি......
৪৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জয়পুরহাটে আমার বন্ধু জেলা নির্বাচন অফিসার। ওনি অবশ্য ট্রান্সফার হওয়ার চেষ্টা করছে। উনার সাথে দেখা করলে আমার বিষয়ে কথা বললে মাথা গন্ডগোল ঠিক হয়ে যেতো শায়মা মণি। একলব্য এখন ও আসলো না কখন যে আসে ডলিকেও দেখা যাচ্ছে না কি খবর উনাদের।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৬
শায়মা বলেছেন: কথা বললে হয়ত আমার মাথায়ই গন্ডোগোল লেগে যাবে। কোনোই দরকার নেই....
জানিনা তাদের কি খবর!!!!!!!!!! চিন্তায় আছি........
৪৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কথা বললে গণ্ডগোল হবে না সারাদিন যে পরিমাণ বগর বগর তুমি করো কই তোমার মাথাতো ঠিক ই থাকে। প্রিয়ংবদা এত কথা কেমনে বলো ?
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৭
শায়মা বলেছেন: নাম্বার ওয়ান আমি টিচার। টিচারেরা এমনিতেই অনেক কথা বলে।
কিন্তু আমি এ ছাড়া কই কই কথা বলি তুমি জানার কথা না। সামুতে লিখে লিখে বলি....
আমার মাথা এমনিতে ঠিকই থাকে। তবে বিগড়ে গেলে কি হয় কে জানে.....
৪৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৫
রানার ব্লগ বলেছেন: সেলিম আনোয়ার @ ভাই মারাত্বক সব কবিতা৷ এক কাজ করেন এই বই মেলায় এই কবিতা গুলা ছাপিয়ে শায়মা কে উতসর্গ করেন। বলা যায় না ফুটবল ক্রিকেট দুইটা টিম এক সাথে হতে পারে৷
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৩
শায়মা বলেছেন: হা সেলিম্মা ভাইয়ুর পাগলা মাথার স্বপ্নে ....... মানে দিবা স্বপ্নে আকাশ কুসুম ফুটে ...... উৎসর্গে নাম দেখলে অবশ্য ভাবীজানের মাথাও পাগলা হয়ে পাগলা থেকে ভাইয়াকে আরও টাকলা করে দিতে পারে.....
৫০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মাথা বিগড়ে গেলে জানিয়ো ললিপপ খাইয়ে দিবো। তাহলে মুখবন্ধ হয়ে যাবে। আমার নাগাল তো আর তুমি পাবেনা। জয়পুরহাটে বিসিএসআইর অফিসে ড আমিনুর আছে। ঐখানে আমাদের আবিষ্কৃত লাইমস্টোন পয়েন্ট আছে সেখানে কি গেছো?
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৫
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
আমার মনে হচ্ছে সোনাগাজী ভাইয়াকে ব্যান না করে তোমাকেই আসলে ব্যান করা উচিৎ!
কেনো সেটা তুমি নিশ্চয় বুঝতে পারছো!
৫১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জাহিদ অণিক কি করে? তার নতুন ব ই বের হবে কবে? উনার চাকরির কি অবস্থা?
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৬
শায়মা বলেছেন: জাহিদ অনিকের খবরে এত দরকার কি তোমার বলোতো??
হঠাৎ এত মানুষ থাকতে তার কথা কেনো!!!!!!!
৫২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তোমার সাথে আড়ি
প্রেমের খেলায় তুমি যে আনারী
তুমি শুধু বুঝো ঝগড়া
ভালোবাসা বাসা বুঝো না
চাঁদ গাজী পাজির চেয়ে কমনা
তোমারে বাসি ভালো
তুমি করো মুখ কালো যে অমাবস্যার চাঁদ
গোয়েন্দা গিরি ভাবো পটো
আসলে গোজবে দাও কান
আসল খবর তুমি পাও না
তুমি হও বিভ্রান্ত
এই বার এইসব দাও ক্ষান্ত
সামনে পড়ে আছে অনন্ত সম্ভাবনা
এসো দু'জন করি ভাব
দুজনে মিলে করবো জয়
সুপ্রিয় বাবুই পাখির বাসা
কার না ছল না
আমি লিখবো কবিতার বই
তুমি আঁকবে প্রচ্ছদ
দুজনে মিলে গড়বো মোরা
উৎসব মুখর ক্ষণ
এই হোক মোদের পণ
ওগো মোর প্রিয়তমা
৫৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১৩
কিরকুট বলেছেন: সেলিম আনোয়ার# আপনার অবস্থা দেখে আমার সেলিম আনোয়ার
এই গান টা খুব মনে পরছে।
৫৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৬
মিরোরডডল বলেছেন:
কেমন আছো শায়মাপু?
ছবিগুলো দেখলাম।
সবচেয়ে ভালো লেগেছে নাগ কেশর গাছের থার্ড ছবিটা।
ফুলগুলো কি ভীষণ সুন্দর!
০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:০৭
শায়মা বলেছেন: আমি ভালো আছি। তোমার কোনো খবর না পেয়ে চিন্তায় ছিলাম। ভাবছিলাম আবার বাংলাদেশে চলে গেলে কিনা।
এই নাগকেশরের বর্ণনা আমার কঙ্কাবতীর কথা গল্পের বই এ আছে।
এই ব্লগে সিরিজ ছিলো একি খেলা আপন সনে।
৫৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩
মিরোরডডল বলেছেন:
সবচেয়ে যেটা এখানে আমার ভালো লেগেছিলো সেটা শেয়ালের কাঁঠাল খাওয়া গল্পের দৃশ্যটি।
তোমার এই ছবিটা সুন্দর।
আপু, এটা কি আগের ছবি?
০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:০৯
শায়মা বলেছেন: না লাস্ট রোজার ঈদের পরের দিনের ছবি। মানে পহেলা বৈশাখ!
৫৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৬
মিরোরডডল বলেছেন:
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমিও তাই জানি। কিন্তু ভাবছি, এতো ছোট একটা বাচ্চা একা একা দোলনায় সোজা হয়ে বসলো কিভাবে?
হা হা হা হা ..................
০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:১০
শায়মা বলেছেন:
৫৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৩
মিরোরডডল বলেছেন:
আলামিন১০৪ বলেছেন: আমি তো পড়ার এনারজীও পাই না, এনার্জী বিস্কুট খেলে কি কোন উপকার পাব?
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনার বয়স বাড়ছে।
মানুষের যখন বয়স বাড়ে, তখন তার শুধু অতীতের কথা মনে পড়ে।
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: এইটা কী এক বছরের জন্য বাড়ীর কাজ দিলেন আপা? আমি কিন্তু ডাক্তারের প্রেসক্রিভসনের মত পড়বো...
রানার ব্লগ বলেছেন: সেলিম আনোয়ার @ ভাই মারাত্বক সব কবিতা৷ এক কাজ করেন এই বই মেলায় এই কবিতা গুলা ছাপিয়ে শায়মা কে উতসর্গ করেন।
কিরকুট বলেছেন: সেলিম আনোয়ার# আপনার অবস্থা দেখে আমার সেলিম আনোয়ার
এই গান টা খুব মনে পরছে।
সামুতে এখন আর কোন ফান নেই, কিন্তু এই কমেন্টগুলো পড়ে সেইরকম মজা পেলাম!
বিশেষ করে কিরকুটের সেলিমকে দেয়া গানের লিংক, উফ আপু!
can't stop laughing
০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:১২
শায়মা বলেছেন: হা হা হা আমিও অনেক হাসছিলাম গানটা শুনে। তার আগের সেলিম্মা ভাইয়ার পাগলা কাব্যের জ্বালায় বাঁচিনা।
ভাইয়ার যখন কবিতার ভূত ওঠে। তাতে যাই বলবা ভূত তত বেশি ঘাড়ে চড়বে। তাই চুপ ছিলাম!!!!
৫৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০৬
মেহবুবা বলেছেন: কতটা সময় নিয়ে লিখেছো, শ্রম দিয়েছো; তবে সার্থক হয়েছো। কারন আমি এবং আরো অনেকে পুরনো দিন খুঁজে পেয়েছে।
২০১৬ বা ১৭ তে রাতে রাজশাহী থেকে বগুড়া গিয়েছিলাম দুই ছেলে মেয়ে এবং ওদের বাবাসহ, সেই ড্রাইভ করছিল। গুগল পথ দেখিয়ে দিচ্ছিল, ঘুটঘুটে অন্ধকারে নতুন রাস্তা বেশী প্রশস্ত নয়; উদ্বিগ্ন ছিলাম। বগুড়ার আলো দেখে শান্তি।
তুমি যে নাগকেশর বলছো সেটা নাগালিঙ্গম ফুলের গাছ, আমার অনেক পছন্দের। কান্ড ভেদ করে বর্ণিল ফুল।
দারুণ সব স্পট ঘুরেছো। এত সুগারমিলে গিয়েছো আমি তো ভাবছি অডিটে গিয়েছো। বিখ্যাত কুষ্টিয়া সুগার মিল বাদ গেল কেন?
বেশ তো রূপকথার রাজ্যে নিয়ে গিয়েছিলে, রূপপুরের কুরুপ কাহিনী মনটা বিগড়ে দিল!
অনেক ভালো থেকো।
২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৫৬
শায়মা বলেছেন: বাপরে!!! এত মন দিয়ে পড়েছো আপুনি!!!!!!!!
কুষ্টিয়া পাবনা কেরু কোম্পানী সেসবেও যাবো একদিন!!!
তুমি এত স্যুগারমিলের খবর জানো কেমনে??
দুলাভাইয়া তো মনে হয় আর্মীতে আছেন!
৫৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:২২
মেহবুবা বলেছেন: তুমি এত কষ্ট করে লিখতে পারো আমি পড়তে পারবো না?
কুষ্টিয়া সুগার মিলের ওখানে একটা স্কুল আছে নাম " কে এস এম ঢাকা মিনাপাড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়" জগতি কুষ্টিয়াতে অবস্থিত, ১৯৬৪ সনে প্রতিষ্ঠিত। মজা লেগেছে ঢাকা শব্দটা জুড়ে দেয়া দেখে। কারনটা যদি কেউ বলতে পারতো।
আমি আর আর্মি ---কল্পনাও করতে পারি না।
২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪
শায়মা বলেছেন: ওহ তুমি তাইলে কুষ্টিয়ার মেয়ে??
মিনাপাড়ায় আমি গেছি হয়ত একবার কারণ জগতি স্যুগারমিলেও আমি গেছিলাম আমার জীবনে একবার। তবে মিনাপাড়া আমার কাছে বিশেষ এক কারণে চির অম্লান!
সেখানকার কোনো স্কুল আমি চিনিনা তবে তোমার ঐ স্কুল সেটা নিশ্চয়ই স্যুগারমিলের স্কুল না .......
৬০| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
আমি সাজিদ বলেছেন: কয়েকটা পর্বে দিল ভালো হতো।
২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ কিন্তু টাইম নাই তাই সব একসাথে!
৬১| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:১৮
মেহবুবা বলেছেন: কুষ্টিয়ার মেয়ে নই আমি, শিলাইদহ কুঠিবাড়ি পর্যন্ত দৌড় আমার।
এখানেও গিয়েছো? তাইতো বলি বাংলাদেশের সুগারমিল কোনটা বাদ নেই।
মিনাপাড়া নামটা সুন্দর, তোমার কাছে কেন অম্লান জানি না। এটা কি জায়গাটার নাম?
কে এস এম মিনাপাড়া ঢাকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় অর্থাৎ কুষ্টিয়া সুগার মিল মিনাপাড়া ঢাকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
এ নামের মধ্যে ঢাকা কি করে এল সেটাই জানবার কৌতুহল।
২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৩৬
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ সেখানেও গিয়েছিলাম একবার!
হ্যাঁ মিনাপাড়া জায়গাটার নাম! কেনো অম্লান বলা গেলো না আপুনি!!! হা হা হা
ঐ নামের মধ্যে ঢাকা মনে হয় পরে লাগানো হয়েছে কে জানে??
নামাকরণের ইতিহাস জানতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৫
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: তবুও এই ব্লগটি এক চির সমুজ্জ্বল ক্যানভাস হয়েই গাঁথা থাকবে মনের মুকুরে।
বেশ! তাই যেন হয়।