নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মীরসরাই[email protected]

সাইমুম

শখ : অতি সাধারণ। বই পড়া আর বিদেশ ভ্রমণ।

সাইমুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

'ঙ' দিয়ে তৈরি শব্দ 'ঙাপ্পি'

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:০৯

বাংলা ভাষায় ঙ দিয়ে শুরু বর্ণ চোখে পড়ে না। সবেধন নীলমণি হিসেবে এখনো টিকে আছে 'ঙাপ্পি' শব্দটি। এটির সফল প্রয়োগ দেখিয়েছেন সুকুমার রায়। তিনি তার 'খাই খাই' কবিতায় লিখেছেন :



'ব্যাঙ খায় ফরাসিরা [খেতে নয় মন্দ]

বার্মার ঙাপ্পিতে বাপরে কি গন্ধ'।



বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চল ও সাবেক বার্মার (বর্তমানের মিয়ানমার) অধিবাসীরা চাটনি হিসেবে তীব্র গন্ধযুক্ত ঙাপ্পি খায়। খোসা ছাড়ানো চিংড়ি মাছের সাথে নানা রকম মসল্লা মিশিয়ে এ খাদ্য তৈরি করা হয়। তবে পাহাড়িদের মাঝে ঙাপ্পি তৈরির ফর্মুলা এক নয়। কেউ কেউ মাছ ও চাল পচিয়ে এ ঙাপ্পি তৈরি করে। চট্টগ্রামে এটা 'নাপ্পি পোঁচা' নামে পরিচিত।



ঙ বাংলা পঞ্চম ব্যঞ্জনবর্ণ। তবে অভিধানে এ শব্দটির নানা অর্থ দেখা যায়। যেমন বিষয়, ভৈরব, বিষয়লালসা।



আবার তন্ত্রশাস্ত্রে ঙ-কারের অনেক নাম রয়েছে। যেমন শঙ্খী, ভৈরব, চণ্ড, বিন্দুওংস, শিশুপ্রিয়, একরুদ্র, দক্ষণখ, খর্পর, বিষয়প্পৃহা, কান্তি, শ্বেতাহবয়, ধীর দ্বিজাত্মা, জ্বলিনী, বিয়ৎ, মন্ত্রশক্তি, মদন, বিঘ্নেশী, আত্মনায়ক, একনেত্র, মহানন্দ, দুর্ধর, চন্দ্রমা, যাত, শিবঘোষা, নীলকণ্ঠ, কামেশী, ময়, অংশুক।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৫৭

বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: কিন্তু এই ঙাপ্পির উচ্চারণ টা কি হবে? :|

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৩

সাইমুম বলেছেন: ইয়াপ্পি।
ঙ (ইয়ো বা ইঞো) অক্ষরটিকে অনেকে নিয়ো বা নিঞো উচ্চারণ করেন। ইয়াপ্পি্ চট্টগ্রামে নাপ্পি্ হিসেবে উচ্চারিত হয়।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

ফারা তন্বী বলেছেন: এইটার উচ্চারণ কি হবে ভাই?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৮

সাইমুম বলেছেন: ইয়াপ্পি। নাপ্পি উচ্চারণ করলেও চলবে। ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩১

রেজোওয়ানা বলেছেন: জেনে নিলাম, শেষটা ইনটারেস্টিং. . .

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সাইমুম বলেছেন: ধন্যবাদ। .....তাই নাকি?

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫১

পলাশ১ বলেছেন: জানতাম না। জানলাম। ধন্যবাদ। :)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৩২

সাইমুম বলেছেন: শুকরিয়া।

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২২

সায়েম মুন বলেছেন: বাহ! শেয়ারের জন্য ধইন্যা।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৩২

সাইমুম বলেছেন: ইউ টু!

৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪১

মুভি পাগল বলেছেন:


আপনি কোন ব্র্যাণ্ডের পারফিউম ব্যবহার করেন?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৩৩

সাইমুম বলেছেন: মিসরীয় 'রেমসেস'।

৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ইন্টারেস্টিং!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৪৮

সাইমুম বলেছেন: ইয়েস, ইন্টারেস্টিং!!! ধন্যবাদ।

৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১৭

শিব সত বলেছেন: ঙাপ্পি খাইতে কিন্তু খারাপ না ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:২৫

সাইমুম বলেছেন: তাই নাকি? আমি খাইনি।

৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৩

মে ঘ দূ ত বলেছেন: উচ্চারণটা কি হবে তাই ভাবছিলাম। মন্তব্যের উত্তরে জবাব পেয়ে গেলাম।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সাইমুম বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৫

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: শব্দটা নাপ্পিই জানতাম অনেক বছর ধরে। তবে কি এখন ঙ দিয়ে এই শব্দটার প্রবক্তা কি সুকুমার রায়? নাকি তার আগে অভিধানে তার অস্তিত্ব ছিল। অবশ্য তার আগে জানতে কৌতুহল কী যোগ্যতা থাকলে কবির নিজস্ব একটি শব্দ অভিধানে শব্দ বলে স্বীকৃতি পায়?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫২

সাইমুম বলেছেন: ঙাপ্পি শব্দটির প্রবক্তা সুকুমার রায় নন। এই মুহূর্তে হাতে প্রমাণ এখন নেই। তবে যতটুকু জানি, শব্দটি মধ্যযুগের বাংলায় চালু ছিল। সুকুমার রায় শব্দটিকে নতুন করে বাংলা ভাষায় জায়গা দিয়েছন।

কবি, নতুন শব্দ অভিধানে ঠাঁই পাবার অন্যতম শর্ত হলো 'গ্রহণযোগ্যতা'। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'কৌলিণ্য' শব্দের অনুকরণে বাংলায় ইংরেজি original শব্দটির পরিভাষা হিসেবে 'মৌলিণ্য' শব্দটি চালু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা পাঠকদের কাছে গ্রহণীয় হয়নি। নজরুল international এর বাংলা 'অন্তরন্যাশনাল' করেছেন। তাও মার্টেট পায়নি। তার 'আন্দাজিক্যালি' শব্দটিও চালু হয়নি। অর্থাৎ গ্রহণযোগ্যতার মানদণ্ডে শব্দটিকে উত্তীর্ণ হতে হবে। এখন যেমন নির্মলেন্দু গুণের 'মুঠোফোন' শব্দটি চালু হয়ে যাচ্ছে।

অন্ততপক্ষে শব্দটি সম্পর্কে অভিধানকারের ধারণা থাকতে হবে।
আবার অস্পষ্ট ধারণার শব্দও অভিধানে ঠাঁই পায়। যেমন, 'রামকান্ত'। আক্ষরিক অর্থে এটা দিয়ে 'রামের মতো স্বামী' বোঝায়। কিন্তু শব্দটি দিয়ে ভিন্ন কিছু বোঝাতো। শব্দটি আবার আঞ্চলিক। এ কারণে হরিচরণ ও জ্ঞানেন্দ্রমোহন শব্দটি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু শব্দটির প্রয়োগ ঘটিয়েছেন দীন বন্ধু মিত্র। তিনি রামকান্তু বলতে চাবুক বুঝিয়েছন। ইংরেজ কুঠিয়ালরা বাঙালী কৃষকদেরতে কুঠিতে ধরে নিয়ে চাবকাতো। এটাই রামকান্ত। তিনি লিখেছেন, একজন মানুষকে মারিতে দুঃখ হইত, এখন দশজন মেয়ে মানুষকে নির্দ্দম করিয়া রামকান্ত পেটা করিতে পারি; চপরাও, শুয়ার কি বাচ্চা! রামকান্ত বড় মিষ্টি আছে।'

বোঝা যাচ্ছে তিনি চাবুক অর্থে রামকান্ত শব্দটি ব্যবহার করেছেন। কিন্তু হরিচরণ ও জ্ঞানেন্দ্রমোহন্ উদ্ধৃতি ছাড়াই রামকান্ত শব্দটির যে ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন, তা গ্রহণযোগ্য মনে হয় না।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.