নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধীনতা মানে অন্যের স্বাধীনতা হরন করা নয়।

সজীববুরী

স্বাধীনতা মানে অন্যের স্বাধীনতা হরন করা নয়।

সজীববুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরার আগে আমি একটু পানি খেতে চেয়েও পানি পাইনি.....................

১৩ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

মরার আগে আমি একটু পানি খেতে চেয়েও পানি পাইনি.......................

যদি মৃত রাজনের মুখোমুখি আমাদের দাড় করানো যেত, তাহলে হয়তো রাজন পানি না খেয়ে মরার কষ্টের কথাই সবার আগে এভাবে বলতো। মানুষের নাকি বয়স বারার সাথে সাথে সাহস বারে, মন শক্ত হয়। সত্যি বলছি আমার মনের সাহস দিন দিন কমে যাচ্ছে, আমার মন দিন দিন আরো দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আমি এখন অনেক কিছুই দেখে আর সহ্য করতে পারিনা। আমি শেখ সামিউল আলম রাজণের কান্নার ছবিটাও ঠিক মত তাকিয়ে দেখতে পারিনা। আমার কাছে নির্যাতনের ভিডিও থাকার পরেও আমি সেটা দেখতে পারিনি। বারবার মনে হয়েছে এই জীবিত ছেলেটি একটু পরেও মরে যাবে এবং আমরা সেটা যেনে ফেলেছি। কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে সেই বিষয়টা যে একটু পরেই মৃত্যু এবং আমরা তা আগের থেকেই জানতে পারি। আমার কেন যেন মনে হয় আমিও তো ঐ বয়সে ছিলাম। ঐ বয়সের আমাকে এমন ভাবে মারলে কি আমি সহ্য করতে পারতাম? আমরা পাল্লা দিয়ে দিন দিন বর্বর হচ্ছি। যেখানে রাজনৈতিক দল গুলো বর্বর, যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বর্বর, সেখানে আমরা সাধারণ মানুষ গুলোও সমান বর্বর। আমরা দিন দিন অসুস্থ হয়ে পরছি। আমরা অসুস্থ হয়ে গেছি। আমরা মানুষিক বিকার গ্রস্থ হয়ে গেছি।



আমি শেখ সামিউল আলম রাজণ এর পক্ষ থেকেই আইনের প্রতি সম্মান রেখেই দেশের প্রধান বিচারপতির কাছে জানতে চাইছি, যেখানে স্পষ্ট ভাবে হত্যাকারী চিহ্নিত। যেখানে প্রতিটা পশুর চেহারা স্পষ্ট। যেখানে আর নতুন করে প্রমানের দরকার নেই যে কে বা কারা রাজনকে হত্যা করেছে, নির্যাতনের ভিডিও ধারন করেছে, আবার সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছে। সেখানে এর বিচার প্রক্রিয়া কি হতে পারে? কতটা দীর্ঘ অথবা সংক্ষিপ্ত হতে পারে এমন বিচার প্রক্রিয়া, অথবা এই ঘটনার বিচারে কি আদালতে বছরের পর বছর ধরে চক্কর খেয়ে যেতে হবে? যেমনটা হচ্ছে রাজধানীর ডেমরা থাকায় একটি হত্যা মামলায় যা কিনা ঢাকা মহানরগ দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে (মেট্রো দয়ারা মামলা নং ৪৪৮/০২) ১৭টি বছর ধরে চলে আসছে। এবং শাস্তি যাহাই হোক আসামী ইতিমধ্যে ১৭ বছর জেলে বন্দী? (সুত্রঃ কালেরকণ্ঠ ১২ জুলাই ২০১৫)। নাকি এক সময় আইনের ফাক গলে ভুয়া জামিনের কাগজ তৈরি করে জেল থেকে আসামী বের হয়ে যাবার সুযোগ পেয়ে যাবে? এমন সব বাস্তব ঘটনার প্রকৃত পক্ষে আমাদের শঙ্কিত হতে শেখায় মাননীয় প্রধান বিচারপতি।



আমি আইনের ছাত্র নই, এই ক্ষেত্রে আইন কি বলে তাই আমার জানার কথা নয়। কিন্তু যেখানে নির্যাতন করে হত্যার আসামীরা স্পষ্ট ভাবে চিহ্নিত, সেখানে কি আদালত স্ব-প্রণোদিত হয়ে অনেক অনেক মামলার মত এই হত্যার জন্য মামলা দায়ের করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফাঁসীর রায় দিয়ে দিতে পারেন না? রায় দেবার জন্য সকল উপাদান বিদ্যমান। আমরা আদালতের কাছে স্ব- প্রণোদিত হয়েই এই বিচারের রায় এবং রায় কার্যকরের ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাই।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

আলী আকবার লিটন বলেছেন: জানি এই খুনেরও সঠিক বিচার হবে না ।তাই এই জালিম সরকারের কাছে বিচার প্রার্থনা করে মানবতাকে আর ছোট করতে চাইনা ।তবে এই পবিত্র রমজান মাসে একমাত্র মহান আল্লাহ্‌র কাছেই এই শিশু হত্যার বিচার সপে দিলাম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.