![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারতে পেয়াজের ফলন ভাল হয়নি, তাই পেয়াজের রপ্তানি মূল্য ১৫০ ডলার থেকে ৪০০ ডলার তারপর ৭০০ ডলার করেছে ভারত সরকার। ৪০০ ডলার মূল্য হওয়ার সাথে সাথেই পেয়াজ আমদানি একেবারে কমে যায়। ৭০০ ডলার মূল্য হবার পরে আমদানি বন্ধ। মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে ৪০ টাকা কেজির পেয়াজ এখন ৮০ টাকা। ১৫০ থেকে ৪০০ ডলার মূল্যে আমদানি করা সেই পেয়াজ কেন ৭০০ ডলার মূল্যে দেশের বাজারে বিক্রি হবে? বিষয়টা এখন এমন যে, যার ১ কোটি টাকা মূল্যর পেয়াজ গোডাউনে রয়েছে সে বসে বসে আরো ১ কোটি টাকা মুনাফার পথ পেল আর সাধারণ মানুষের কাঁধে চাপলো বোঝা।
এক্ষেত্রে যে শুধু মাত্র আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবনতা দায়ী তা কিন্তু নয়। দেশের আইন ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও সাধারণ জনগণও এ ক্ষেত্রে দায়ী। ধরা যাক কোন এক খুচরা বিক্রেতা ৮০ টাকা কেজি পেয়াজ বিক্রি করছে। তিনি কত টাকা মূল্যে কোথা থেকে পেয়াজ কিনেছে সেটার বিল সংগ্রহ করে সেই পাইকারি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তার পেয়াজ কেনার বিল মেলানো হোক। এভাবে উল্টো পথে বিল মিলিয়ে মিলিয়ে একবারে আমদানিকারক পর্যন্ত গিয়ে দেখা হোক কে মূল্য অতিরিক্ত বাড়িয়েছে। ছোট এই পদক্ষেপের মাধ্যমে খুব সহজেই অতিরিক্ত মুনাফা ভোগী ব্যবসায়ীকে বের করতে পারে এ কাজে নিয়োজিত মন্ত্রণালয়।
ব্যবসায়ী ও সরকারের পর যদি সাধারণ জনগনের কথায় আসি। এ দেশে কোন একটি জিনিসের মূল্য যদি হঠাৎ করে বেড়ে যায় তাহলেই সবাই মিলে আগের থেকে বেশী কেনা শুরু করে দেই। যদি পরে না পাই, যদি আরো মূল্য বেড়ে যায় এই সব ভেবে। তাতে করে স্বাভাবিক চাহিদা থেকে বাজারে পণ্য বিক্রি আরো বেড়ে যায়। ফলে মূল্য বাড়ার অজুহাত শক্ত হতে থাকে। বিষয় গুলো দেখা যায় রোজার সময়, ঈদের উৎসবের সময়, বন্যার সময় আর হঠাৎ আমদানি মূল্য বেড়ে যাওয়া পণ্যর সময়।
দেশের ব্যবসায়ীদের যেমন অতিরিক্ত মুনাফার প্রবণতা কমাতে হবে, সরকারের যেমন নিয়ন্ত্রণ আরো শক্ত করতে হবে, ঠিক সেই ভাবে সাধারণ জনগনকে পালন করতে হবে সবথেকে বড় দায়িত্ব। হুজুগে পরে বেশী বেশী পেয়াজ সহ হঠাৎ বেড়ে যাওয়া উচ্চমূল্যর কেনা বন্ধ করতে হবে, প্রয়োজনে মূল্য বৃদ্ধির সময় কম কিনতে হবে। আমরা উচ্চ মূল্যে পণ্য কিনি বলেই তো ব্যবসায়ীরা সেগুলো বিক্রি করতে পারেন। আর এই সাহসেই তো বছরের পর বছর হঠাৎ হঠাৎ কিছু কিছু পণ্যর মূল্য আকাশ ছোঁয়ার সাহস পেয়েছে। এটা যে শুধু পেয়াজের ক্ষেত্রেই তা কিন্তু নয়, যখনি যে পণ্যর মূল্য অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাবে তখন যদি সাধারণ জনগন কেনার আগ্রহ কমিয়ে দেয় তাহলে আর ব্যবসায়ীরা লাফিয়ে লাফিয়ে মূল্য বাড়াতে পারবেনা। কারন সবজি জাতীয় কাঁচা পণ্য দিনের পর দিন গোডাউনে রেখে দেয়া যায় না, হয় শুকিয়ে ওজন কমে যায়, নয়তো পোঁচে যায়।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫
সজীববুরী বলেছেন: ভাই, ব্যাক ক্যালকুলেশন করার দায়িত্ব কিন্তু সরকারের নির্দিষ্ট দফতরের।
২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩
ভিটামিন সি বলেছেন: না খাইয়া থাকবেন নাকি?
আসলে আমরা সবাই (শহরে, গ্রামে, গঞ্জে) বাজারমুখী হয়ে পড়েছি। ছোটবেলায় দেখেছি আমার বাড়িতে আম্মা যেসব সবজির গাছ লাগাতেন এই যেমন ঝিঙ্গা, করলা, লাউ, বরবটি, শিম, কাকরোল, পেঁপেঁ, কাঁচা মরিচ ইত্যাদি তা আমাদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে আত্মীয়-স্বজনরাও নিত। আর এখন একদিন বাজার না হলে চলে না। সবাই বাজার থেকে কিনে আনি আর খাই। দাম তো বাড়বেই। যোগানের চেয়ে চাহিদা বেশী। তাছাড়া রয়েছে বিভিন্ন সংগঠন এর চাঁদা। না ধরে না ছুঁয়ে সবজি, মাছ থেকে মুনাফা লুটে মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়ারা। এতে কৃষকও মরে, ক্রেতাও মরে। ফড়িয়ার জমিতে উঠে দালান-বাড়ি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ঠিক ঠিক..কিন্তু ব্যাক ক্যালকুলেশনটা করবে কে আর ধরবেই বা কে ?!?