![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুটা দায় বোধ, কিছুটা খারাপ লাগা থেকে এই লেখাটি লিখতে বসা। আর যাকে নিয়ে লিখছি তিনি প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। নিচের দেওয়া ছবি গুলো কম বেশী আপনি আমি সবাই দেখেছি মিডিয়ার কল্যাণে। বলতে দ্বিধা নেই যে এমন প্রকাশ্য ছিগারেট খাওয়ার ছবি দেখে আমিও একসময় ফেসবুকে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম তাকে কটাক্ষ করে। হয়তো আপনি করেছিলেন। জীবিত থাকা অবস্থায় এ মানুষটি আপনার আমার কাছে উঠে এসেছে নেতিবাচক কিছু খবরবের মাধ্যমে। কিন্তু মানুষটির আসল রূপ কি ছিল তা আমরা জানতে পারিনি। অথবা মিডিয়া কখন সে দিকে নজর না দিয়ে তাকে নিয়ে সমালোচনা করার মত খবরই প্রচার করেছে। ফলে আমি দেখেছি, আপনি দেখেছেন, এভাবে দেশের সবাই তাকে খারাপ ভাবেই দেখেছেন। আদতে মানুষটি সম্পর্কে এখন যে সকল তথ্য সবার সামনে চলে আসছে তাতে একদিকে নিজেকে অপরাধী মনে হয়, অন্য দিকে তার প্রয়াণে মনে হয় দেশ একজন সমাজের সেবক হারিয়েছে, যার খোঁজ আমরা সাধারনে করে থাকি যুগের পর যুগ ধরে
চ্যানেল আই অনলাইনে প্রকাশিত “সাংবাদিক বন্ধুর চোখে মহসিন আলী” শিরোনামের সাংবাদিক ফরিদ হোসেনের এক সাক্ষাৎকার ভিত্তিক পোষ্ট শেয়ার করে আরও লেখেন- একজন জারনালিস্ট হয়ে বলছি, আপনারা সৈয়দ মহসিন আলীকে বুঝলেন না। উনিও আপনাদের বুঝিয়ে যেতে পারলেন না।
এমন একজন নেতা মারা যাবার পরে ঠিক এই মুহূর্তে মিডিয়ার কল্যাণেই যে তথ্য গুলো এখন সবার সামনে উঠে এসেছে তার কিছুটা নিচে তুলে ধরা হল, যা সংগ্রহীত --------
মৃত্যু সংবাদ শুনে সৈয়দ মহসিন আলীর বাড়িতে ছুটে আসা সদর উপজেলার কাগাবলা ইউনিয়নের বিধবা সুরমা বেগম আহাজারি করে বলেন, ‘এখন আমার পরিবারকে কে দেখবে? প্রতি মাসে মাসে কে সন্তানদের ভরণপোষণ ও লেখাপড়ার খরচ দেবে?’ সুরমা জানান, তার স্বামীর মৃত্যুর পর সৈয়দ মহসিন আলী নিয়মিত তাঁকে আর্থিক সহায়তা করতেন।
সাইনবোর্ড পেইন্টার সুজিত জানান, তাঁর স্ত্রী ফুসফুস সমস্যায় ভুগছিলেন। আর্থিক অনটনে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। সাহায্যের জন্য সৈয়দ মহিসন আলীর কাছে যান। মন্ত্রী ঢাকায় নিজ বাসায় তাদের রেখে উন্নত চিকিৎসা করান। সেখানে সুস্থ হয়ে ফেরেন সুজিতের স্ত্রী।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার জনি দত্ত বলেন, ‘মন্ত্রীর মিন্টু রোডের বাসা যেন মিনি হসপিটাল। সব সময় ২০ থেকে ২৫ জন ক্যান্সার, লিভার, কিডনি ইত্যাদি রোগী থাকেন। নিজ জেলার বাইরেও সারাদেশ থেকে লোকজন আসেন। তাদের নিজ খরচে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতেন তিনি।’
জনি জানান, অসুস্থ হওয়ার পর সিঙ্গাপুরে যাওয়ার সময় মন্ত্রী রোগীদের দেখভাল করার জন্য তাঁকে বলে যান। মন্ত্রী তাঁকে বলেন, ‘তুমি বাসায় যাও। আমার রোগীরা যেন সুচিকিৎসা পায়, তাদের যেন যত্মআত্তির কম না হয়। সেদিকে খেয়াল রেখো।’ একথাটি বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন জনি।
মন্ত্রীর ছোট ভাই সৈয়দ সলমান আলী বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য নিবেদতি ছিলেন তিনি। মন্ত্রী-এমপি হওয়ার আগেও যেমন তাঁর দরজা সাধারণ মানুষের জন্য খোলা ছিলো। মন্ত্রী হওয়ার পরও ঠিক তেমনই। প্রতিদিন বাড়িতে কমপক্ষে হাজার খানেক আগন্তুক, নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও সমস্যাগ্রস্ত মানুষদের চা-বিস্কুট খাওয়াতে হয়। ভাত খাওয়াতে হয় কমপক্ষে শ’পঞ্চাশেক মানুষকে। বাড়িতে কখনও সীমানা প্রাচীর গড়ে তোলেননি। মন্ত্রী হওয়ার পরও ফোন নাম্বারটি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিলো। নিজেই ফোন ধরতেন। মানুষের সাথে কথা বলতেন। সাধারণ মানুষকে নিয়ে থাকতেই পছন্দ করতেন।
জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নাজমুল হক বলেন, সৈয়দ মহসিন আলী অসহায় দরিদ্র মানুষদের পাশে থেকেছেন সবসময়। নিজের উপার্জনের সবটুকু বিপদগ্রস্ত মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন।
একটা কথা প্রচলিত ছিলো- ‘মহসিন আলী যে টাকা হাতে পেয়েছেন তা নিজের জন্য যতটা না খরচ করেছেন। তারচেয়ে বেশি অসহায়, দরিদ্র, সমস্যাগ্রস্ত মানুষের মাঝে বন্টন করে দিয়েছেন। হয়তো কারো মেয়ে বিয়ে দিতে পারছেনা, কেউ অসুস্থ, কারো লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম; কেউ খালি হাতে ফেরেননি।
মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি এবং সৈয়দ মহসিন আলী বাল্যবন্ধু ডা. এম এ আহাদ বলেন, ২০১৩ সালের নির্বাচনের সময় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সারাদেশে মন্ত্রী এমপিদের সম্পদের হিসাব নিয়ে নিয়মিত সংবাদ পরিবেশন হয়েছে। দেখা যায় অনেকের সম্পদ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। কিন্তু সেখানে দেখা যায় তাঁর সম্পদ কমছে। জমি বিক্রি করে তিনি রাজনীতি করছেন।
ডা. আহাদ বলেন, ‘সৈয়দ মহসিন আলী বড়লোক ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে টাকা এনে গরীব অসহায় মানুষকে বিলিয়ে দিয়েছেন।
মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র এবং জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, আওয়ামীলীগ করলেও সকল দল ও মতের মানুষের সাথে তাঁর ছিলো বন্ধ্ত্বুপূর্ণ সম্পর্ক। তিনি ছিলেন এ অঞ্চলের মানুষের অভিভাবক।
পৌর কমিশনার নাহিদ হোসেন বলেন, সৈয়দ মহসিন আলীর হাত ধরেই মৌলভীবাজার পৌরসভা পরিচ্ছন্ন ও আধুনিকতার রূপ পেয়েছে।
ব্যবসায়ী সৈয়দ মুনিম আহমদ রিমনের প্রশ্ন, রাজনীতি করে ব্যাংক ব্যালান্স নাই, পৈত্রিক সম্পদ বিক্রি করতে হয়। ঋণের বোঝা বাড়ে- এরকম নেতা কয়জন আছে ?
মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের জেষ্ঠ সহ-সভাপতি আবদুল হামিদ মাহবুব বলেন, তাঁকে নিয়ে অনেক সমালোচনা হলেও ব্যক্তিগত অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আমরা সাধারন মানুষ গুলো সমাজের নানান তথ্য পাই মিডিয়ার কল্যাণে। আমরা জানি আইনের চোখ অন্ধ। আইন নিজের দেখতে পায়না। কিন্তু মিডিয়া মাঝে মাঝে মানুষের চোখ কে অন্ধ করে দেয়। যেমনটা ঘটেছে মহসিন আলীর ক্ষেত্রে। সবাই তার খারাপ দিকটাই জীবদ্দশায় তুলে এনেছে আর মানুষের সামনে তাকে দাড় করিয়েছে খারাপ ভাবে। যদি এ মহান নেতা মারা যাবার আগে তার সম্পর্কে মিডিয়া এখনের মত তার সম্পর্কে এমন ভালো তথ্য গুলো প্রকাশ করার চেষ্টা করত তাহলে হয়তো দেশবাসী তাকে যোগ্য সম্মান টুকু করার সুযোগ পেত। “সাংবাদিক বন্ধুর চোখে মহসিন আলি” লেখাটির লিংক শেয়ার করে এ মহান নেতার মেয়ে শারমিন ফেসবুকে লিখেছেন “আর কোন জারনালিস্ট মহসিন আলীর বকা খাবেন না। উনি আর কোন জারনালিস্টের নিউজ সোর্স হবেন না”।
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১
মিথ্যা প্রেমের গল্প বলেছেন: আল্লাহ তাকে বেহেস্ত বাসি করুক।
৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১০
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: আল্লাহ তাকে বেহেস্ত বাসি করুক। এদেশে মৃত্যুর পর সবাই ভালো হয়ে যায়। মৃত্যুর পর কাউকে হেয় করা ঠিক না।তবে মৃত্যুর পর এখন যেভাবে তার বন্দনা চলছে,তাতে দুএকটি কথা বলতে চাই।
হয়ত উনি ব্যক্তিগতভাবে ভালো।কিন্ত কেউ যদি নিজে দিনের পর দিন জোকারের মত কাজকারবার করে,তাহলে সংবাদিকতার দোষ কি? তিনি নিজে সাঙ্গবাদিক সমাজকে হেয় করেছেন।
সাংবাদিকরা বদমাইশ-চরিত্রহীন ও লম্পট : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
আর আজকে বলা হচ্ছে ওনার কাছে বিরোধী দলের লোকেরাও আশ্রয় পেতো। কিন্ত বাস্তবে দেখা মাত্র গুলির কথা বলেছেন।দেখা মাত্র গুলি চালানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
আর ইসলামবিরোধী কথা উল্লেখ নাই করলাম।
যাই হোক উনি এসবে উর্ধে,আবারো কামনা করি সব ভুল ত্রুটি মাফ আল্লাহ তাকে বেহেস্ত বাসি করুক।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৮
সজীববুরী বলেছেন: ভাই এটাও কোন এক সাংবাদিক লিখেছেন, যেখানে ১৩ নম্বর অংশে উল্লেখ করেছেন, নাশকতাকারি দেখা মাত্রই গান শুনিয়ে দেব। Click This Link
৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভালো কাজ করার অনেক সাদা মনের মানুষ সমাজে আছে - সব কিছু মিডিয়াতে আসে না। কিন্তু বিতর্কিত মন্ত্রীদের কথা মিডিয়াতে আসে এবং আনতে হয়। এখন এসব লিখে কোন লাভ নাই। চ্যাপ্টার ক্লোজড।
view this link
৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মৃত্যুর পর গাদ্দাফি আর সাদ্দামও ভালো হয়ে গিয়েছিলেন! কিন্তু তারা কী করেছিলেন সবাই জানে।
৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮
অেসন বলেছেন: কোন মিডিয়া অন্তত দুনীতির অভিযোগ করে নাই। সর্বোপরি উনি মুক্তিযোদ্ধা । দেশের জন্য এটাই সবচেয়ে বড় অবদান।
৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৪
যোগন বলেছেন: we should ask our self first what a good human being we are than to criticize others. Journalists should also feel that they are not above the law....
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
মোগল সম্রাট বলেছেন: হলুদ সংবাদিকতা ............................