![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৮ কোটি ১০ লাখ ডলার বাংলা টাকায় যা প্রায় ৬৩৫ কোটি টাকার সমান। যে পরিমাণের অর্থ ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সরানোর ঘটনায় অল্প বিস্তর আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। এমন একটি শিরোনামের খবর আমাদের চিন্তিত করছে বারবার। বারবার নানান প্রশ্নর উত্তর খুঁজে ফিরছে সচেতন সবাই। কিন্তু যে শিরোনামটি ব্যবহার করা হচ্ছে তা কতটা যুক্তিযুক্ত? আমার কিছুটা আপত্তির সাথে সাথে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তরের পেছনে আমিও ছুটে চলছি সমান্তরাল ভাবে।
প্রথম প্রশ্নটি খুব সহজ। আসলে কোথায়, কবে, কোথা থেকে এই হ্যাকিং হয়েছে? আমরা যেখানেই এ সংক্রান্ত খবর দেখছি সবাই একই কথা বলছে, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক এর ব্যাংক একাউন্ট হ্যাক হয়েছে। কিন্তু এমন খবর সবার কাছে প্রকাশ হবার সাথে সাথেই ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক দাবী করেছে তাদের ব্যাংক একাউন্ট হ্যাক হয়নি। মিডিয়ার কল্যাণে আমরা সাধারনে যা জানতে পারছি তা হল, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাক করে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে ৩৫টি অর্থ ছাড়ের নির্দেশ দেওয়া হয়। যে নির্দেশ গুলোর মধ্যে থেকে মাত্র ৫টি নির্দেশের বিপরীতে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অর্থ ছাড় করে মাত্র। তাহলে এমন একটি ঘটনায় কিভাবে বলা হচ্ছে যে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক হ্যাক হয়েছে। হ্যাক যদি হয়ে থাকে তা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক সিস্টেম অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা। তাই শিরোনামেই আমরা ভুলে রয়েছি।
এ চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন সুখবর না থাকলেও রয়েছে বিভ্রান্তি। বাংলাদেশ ব্যাংক জানাচ্ছে এমন চুরির ঘটনা ঘটেছে ৪ বা ৫ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু তদন্তে থাকা দেশি বিদেশী সংস্থা গুলো প্রাথমিক ভাবে জানাচ্ছে যে এ অর্থ চুরির ঘটনা ঘটেছে ২৪ জানুয়ারি। তাই আমরা সেই অন্ধকারেই হাতড়াচ্ছি যে আসলে কোন তারিখটি সঠিক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বলা ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি যদি সঠিক তারিখ ধরে নেই তাহলে প্রায় ১ মাস পরে কেন জাতি এমন খবর পেল? জাতির কথা না হয় বাদ দিলাম। খোদ দেশের অর্থমন্ত্রীর এ সংক্রান্ত দুঃসংবাদ পেতে এত কালক্ষেপণ কেন করা হল? প্রায় ১ মাস পরে ঘটনাটি যখন সবার কাছে পৌঁছে যায়, তখন শুরু হয় চুরি যাওয়া এ অর্থ উদ্ধারের নানা মুখী পদক্ষেপ। সাহায্য চাওয়া হয় বিভিন্ন বিদেশী সংস্থার কাছে। এমন একটি ঘটনা ঘটার পরে ফিলিপাইনের ব্যাংক থেকে অর্থ তুলে সেটা দিয়ে জুয়া খেলে বৈধ অর্থ হিসেবে তা অন্য এক দেশে পাঠিয়ে দেবার যে সুযোগ, সেটাই হচ্ছে চলে যাওয়া এই প্রায় ১ মাস। এমন ঘটনায় কেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক চুপ করে বসে ছিল? কেন সাথে সাথেই বিভিন্ন সংস্থাকে জানিয়ে সাহায্য চাওয়া হয়নি? এত সব প্রশ্নের সাথে সাথে এ প্রশ্নও চলে আসে যে, এমন একটি ঘটনা খোদ ব্যাংকের গভর্নরের গোচরে আসতে কত সময় লেগেছিল? চুরির চাইতেও বড় অপরাধ এখন এমন তথ্য গোপন রাখার অপরাধ। সঠিক সময়ের সঠিক পদক্ষেপ অনেকাংশে চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারতো। যা এখন অনেক দূরের বিষয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকৃত ঘটনা অবশ্যই কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা ব্যাংকের গভর্নরের স্পট বক্তব্যর দ্বারা তুলে ধরা উচিৎ। যদি সরষের মধ্যেই ভূত থেকে থাকে তাহলে বিষয়টি লুকিয়ে রাখা মানেই ভবিষ্যতের জন্য হুমকি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাক করে অর্থ ছাড়ের যে নির্দেশ গুলো দেওয়া হয়েছিল তা ছিল প্রকল্পের বিপরীতে অর্থ ছাড়। এমন ঘটনায় সিস্টেম হ্যাক এবং প্রকল্প সংক্রান্ত তথ্য এ দুটি বিষয়ের মিলনের ইঙ্গিত দেয়। যার ফলশ্রুতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরও মনে করেন ব্যাংকের ভেতর থেকে কারো সহযোগিতা না থাকলে এমন ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতিতে সব থেকে বড় প্রশ্ন চলে আসে যে, হ্যাক নাকি চুরি? সরষের মধ্যেই কি ভূত?
এ ঘটনায় কি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক কে কি দায়ী করা যায়? যদিও এ সংক্রান্ত ভাল বলতে পারবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ গুলো। কারন আমরা সাধারণে হয়তো নির্দিষ্ট আইন সম্পর্কে অজ্ঞ। তারপরেও যদি কিছু দিন আগে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বিদেশীদের দ্বারা এটিএম মেশিন জালিয়াতির ঘটনার দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই এমন জালিয়াতির কারনে খোয়া যাওয়া অর্থ তার গ্রাহককে ফেরত দিয়েছে আক্রান্ত ব্যাংক গুলো। কারন জালিয়াতি যা হয়েছে তা ব্যাংকের সাথে হয়েছে, এক্ষেত্রে গ্রাহকের সাথে কোন যোগাযোগ ছিল না। ফলে গ্রাহককে ক্ষতি বহন করতে হয়নি। রিজার্ভ ব্যাংকের অর্থ হ্যাকিং এ যদি সব কলকাঠি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেই নাড়া হয়ে থাকে তাহলে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক শুধু দায়িত্ব পালন করেছে মাত্র। সে ক্ষেত্রে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের কাছ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক কি সুবিধা আদায় করতে পারবে সেখানেও প্রশ্ন থেকে যায়।
ঘটনা যাই ঘটুক, যেভাবেই ঘটুক, এর ফল প্রায় ৬৩৫ কোটি টাকার ক্ষতি। তার থেকে বড় ক্ষতি নিরাপত্তার দিক থেকে। আস্থার দিক থেকে। খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি দেশের অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে আস্থা ধরে রাখা কঠিন তো হবেই। প্রশ্ন বিদ্ধ হবে এর সাথে জড়িত সকল পক্ষ। তাই সরকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সহ সংশ্লিষ্ট সকলের উচিৎ যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের অর্থের সঠিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১১
কামের কথা কন!! বলেছেন: আর একটা বিষয় এটা কোন হ্যাকিং না । কিছু বাহান চো* রা এটা করেছে যাদের ল্যাংটা কইরা রাস্তায় ন্যারি কুকুরের ন্যায় ছেড়ে দিতে হবে।
//দুঃখিত খারাপ ভাষার ব্যাবহার করার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৮
কামের কথা কন!! বলেছেন: প্রথমত আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এই বিষয় টা নিয়ে লেখার জন্য। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে চাচ্ছি এই বিষয় টা নিয়ে কন্টিনিউয়াস লেখা হোক। আফটার অল এটা আমাদের হার্ডসিপ ইনকাম। আমার ব্লগ এ ঘুরে আসতে পারেন ওখানে কিছু কালেক্টেড কোশ্চেন দেয়া হয়েছে।
সকল ব্লগার ভাই দের কাছে আহ্বান এই বিষয় টা নিয়ে লিখতে থাকেন সব যায়গায়, যে যেখানে পারেন লিখেন।