![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নিশ্চিত এ ছবিটির মত করেই ১৬ কোটি মানুষের দীর্ঘশ্বাসে ভরা চোখ দুটি উপরের দিকেই ছিল। যেখানে ছিল ক্ষোভ, ছিল প্রকাশ্য চোখের পানি। আর যারা প্রকাশ্যে চোখের জল ঝরাতে পারেননি তারা নীরবে হলেও হাহাকার নিয়ে গোপনে মনে মনে কেঁদেছেন। এ কান্না এ হাহাকার গোটা একটি দেশের মানুষকে ছুঁয়ে গেছে গত রাতে।
গত কালের ইন্ডিয়া দলের মুখে হাঁসিতে কিন্তু নিজেদের যোগ্যতার ছাপ ছিলনা। সে হাঁসিতে ছিল বাংলাদেশের ব্যর্থতা। ইন্ডিয়া দল কিন্তু ভালো খেলতে পারেনি, কিন্তু ভালো খেলেও বাংলাদেশ জয় ছিনিয়ে নিতে পারেনি। তবে এ দুয়ের মাঝে জিতেছে মাথা ঠাণ্ডা রেখে ইন্ডিয়া দলের শেষ পর্যন্ত খেলে যাওয়ার শক্তি। যাকে আমি বাহবা না দিলে হয়তো সঠিক যোগ্যতার মূল্য দেওয়াতে কৃপণতা করা হবে। কারন বাংলাদেশের থেকে পিছিয়ে থেকেও জয় ঘরে তুলে নেওয়া আর ইন্ডিয়ার থেকে এগিয়ে থেকেও এক রকম পাগলামি করে হেরে যাওয়ার সাক্ষী গতকালের ম্যাচ।
বাংলাদেশ দল খেলায় যেমনি হোক তাদেরকে অন্তত একটি কথা বাদ দেওয়া উচিৎ এবার। তা হল "এদের আরও শিখতে হবে"। আইসিসি ট্রফি জেতার ১৯ বছর পরেও যদি আরও শেখার জন্য সময় লেগে যায় তাহলে আর খেলবে কবে? এ ১৯ বছরে বড় বড় দল গুলোতেও তো খেলোয়াড় বদলেছে। কই তাদের তো জাতীয় দলে খেলতে এসে শেখার সময় লাগে না। সম্ভবত বাংলাদেশ দল একমাত্র দল যেখানে জাতীয় দলে এসে খেলা শিখতে হয়। আর অন্যরা সেখানে শিখে আসা খেলা খেলে জাতীয় দলে।
বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের সব থেকে বড় যে বিষয়টি অর্জন করতে হবে সেটা হল মনস্তাত্ত্বিক শক্তি। একটা সময় ছিল যখন কোন বড় দলের বিপরীতে খেলার আগেই আমরা হেরে বসে থাকতাম। এখন এর কিছুটা উন্নতি হলেও সেটা কচ্ছপ গতিতে। যদিও মনস্তাতিক দিক থেকে উন্নতি করানো খুব কঠিন কাজ। যে মানুষটি হয়তো অজপারা গায়ে খেলে এসেছে তার জন্য ৭০০ কোটি মানুষের সামনে ১৬ কোটি মানুষের প্রতিনিধি হয়ে খেলার মানুষিক শক্তি থাকাতাই যে ভালো খেলার থেকেও বেশী গুরুত্ব পূর্ণ। নিজের যোগ্যতার উপর নিজের আস্থা না থাকলে ৩ বলে ২ রান নিতে গিয়েও হারতে হবে বারবার। আমার কাছে ক্রিকেট মানে ভালো ব্যাটিং, বলিং বা ফিল্ডিং নয়। ক্রিকেট মানে মনস্তাত্ত্বিক শক্তির খেলা। কারন এখানে ২০ ওভারে ২২৯ রান করেও ম্যাচ জেতা যায় না।
২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৪
mh emon বলেছেন: ২০ কি ২১ বছরে অভিষেক হওয়া,কোন কোন ক্ষেত্রে এর’চে কম!তারা জাতীয় দলে আসে,বাজে খেলে তারপর বাদ পরে।বলাবলি চলে;প্রতিভা ছিল রে,কাজে লাগলো না।মূলকথা,অল্প বয়সে ভারী বোঝা সইতে পারে কয়জনা?২০ কি একুশে অভিষিক্ত তরুণের বেলায় নির্বাচকেরা শুধুমাত্র দেখে খেলোয়াড়ি প্রতিভা।মনস্তাত্ত্বিক প্রতিভা বাড়ানোর জন্য যে আরো সময় দরকার,এই সুযোগ খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে ঢোকার আগেই অর্জন করা উচিত।কিন্তু বোধহয় তাদের ভাবনা,খেলা পারলেই হল,আর কিছু লাগেনা!তাই আমাদের খেলোয়াডেরা জাতীয় দলে ঢোকার পর শিখতেই থাকে,শিখতেই থাকে এবং হারতেই থাকে!
৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১১
সজীববুরী বলেছেন: খুব ভালো বলেছেন। অল্প বয়সে ভারী বোঝা বহন।
৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১১
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আপনি ভাল লিখেছেন। তবে ওরাও ভাল খেলেছে। আমি খুশি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬
সাইফুল তুহিন বলেছেন: