নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধীনতা মানে অন্যের স্বাধীনতা হরন করা নয়।

সজীববুরী

স্বাধীনতা মানে অন্যের স্বাধীনতা হরন করা নয়।

সজীববুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ্যান্ডসাম ফেরিওয়ালা লিখন ও স্মার্ট বাদাম বিক্রেতা তাহমিনার তামশা আর খেটে খাওয়া মানুষের পশু হয়ে যাওয়া।

০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

কাল আমার এক ছোট বোন ফেসবুকে তার স্বামীকে পশু ডাক্তারের কাছে যাবার পরামর্শ দেবার সাথে সাথে তার সুন্দর কারন গুলোও তুলে ধরেছিল। যে সকল কারন গুলো ও তুলে ধরেছিল সেটা যে কোন কষ্ট করে অর্থ উপার্জনকারী মানুষ এক বাক্যে মেনে নেবেন বলেই আমার বিশ্বাস। বাস্তব জীবনে অর্থ উপার্জন করতে গিয়ে আমরা সাধারন মানুষ গুলো যে দিন দিন মানুষ থেকে পশুতে রূপান্তরিত হচ্ছি এটা বাস্তব।



বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতির দিকে তাকালে স্পষ্ট ভাবে দুটি শ্রেণী ধরা পরে। যেখানে এক শ্রেণীর হাতে অঢেল অর্থ এবং যা তারা খরচ করছে ৫ টাকার জিনিস ১৫ টাকা দিয়ে ক্রয় করে। আর অন্য একটি শ্রেণীর সকাল শুরু হয় মোরগের মত তাড়াতাড়ি ধরফর করে উঠে, ঘোড়ার মত ছুটে, গাধার মত সারাদিন খেটে, শেয়ালের মত সারাদিন এদিক ওদিক থেকে তথ্য সংগ্রহ করে, সিনিয়রদের কথায় বাঁদরের মত নাচন-কুর্দন করে, দিনশেষে বাসায় ফিরে ফ্যামিলির সবার ওপর কুকুরের কত করে চিৎকার করে আর রাতে যতটুকু ঘুম সেটা মহিষের মত ঘোঁত ঘোঁত করে। এক কথায় এমন শ্রেণীর জীবিত জীব গুলোর জীবনকে যান্ত্রিক জীবন না বলে পশুর জীবন বলাই যুক্তিযুক্ত। ঠিক এমন সময় জীবন যেখানে খুব খুব কঠিন সেখানে লিখন ও তাহমিনা নামক দুজনের এমন কঠিন বাস্তবতার জীবন নিয়ে তামশা আমার কাছে বিরক্তের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।



"হ্যান্ডসাম ফেরিওয়ালা লিখন" শিরোনামে একটি খবর অনলাইনে বেশ সারা ফেলতে দেখেছি। অনেক অনেক অনেকেই খুব বাহবা দেবার চেষ্টা করেছেন। খুব যুক্তি সঙ্গত কারনেই আমি বাহবাটা দিতে পারিনি। যে লিখন উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান এবং ঢাকা শহরের দুটি ফ্ল্যাট বাড়ির মালিক যিনি তার রাস্তায় নেমে এমন তামশা করলেই কি বা না করলেই কি? তার তো আর সত্যি সত্যি পেটের দায়ে রাস্তায় নামতে হয়নি। দিন শেষে বা মাস শেষের উপার্জনের উপর তার জীবনে কিছু যায় আসে কি? হেড ফোন কানে দিয়ে গলায় দামী ক্যামেরা ঝুলিয়ে ঢাকার রাস্তায় ফেরিওয়ালা সাজা আমার কাছে এক কথায় তামশা। আমার তো মনে হয় এমন নিশ্চিত জীবন থাকলে আমি প্রতি দিন সকালে আমার বাড়ির কাছের সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা নিজের মত করে যত্ন করে ঝাড়ু দেবার কাজ করতাম বিনা পয়সায়। যে রাস্তায় আমি আমার মেয়েকে নিয়ে খুব ভোরে উঠে হাঁটতে বের হতাম।

এখন আবার নতুন করে চলছে স্মার্ট বাদাম বিক্রেতা তাহমিনার গল্প। যার উচ্চ শিক্ষার জন্য মলয়শিয়া যাবার সুযোগ থাকে অথবা যার সপরিবারে মালয়শিয়া স্থায়ী ভাবে বসবাসের সুযোগ থাকে তাদের যে দিন আনি দিন খাই এমন নিশ্চয়ই নয়। এখানেও একই গল্প। প্রতিদিনের বা মাস শেষের উপার্জনের দিকে কেও তো তাকিয়ে থাকে না তাই আমরা এমনি এমনি খাই টাইপের গল্প। যেমনটা মনে হয় রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের বেলায়ও। নজরুল যদি রবীন্দ্রনাথের মত করে নদীতে নৌকা নিয়ে মনের জানালা গুলো খুলে দিতে পারতো তাহলে হয়তো আমরাও অন্যরকম নজরুলকে পেতাম। তাই এমন তামশায় বাহবা দেবার মত কিছু খুঁজে পাই না আমি। জীবনে দরকার আর বিলাসিতা তো আর এক নয়। মানুষ জীবনের দরকারের পথে নামে আর এরা নেমেছে বিলাসিতা করার জন্য।

এরা বিলাসী ফেরিওয়ালা। চাইলেই ছুটি, চাইলেই আরাম। বরং এ কাজ গুলো যারা প্রকৃত পেটের দায়ে করে থাকে তারা কিন্তু এমন দামী ক্যামেরা, কানে হেডফোন গুঁজে করতে পারেনা, অথবা চাইলেই আজ ছুটি বলে কাজ ফেলে চলে যেতে পারেনা। ফলে অসহায় মানুষ গুলোর অসাহায়ত্ত নিয়ে এক প্রকারের মজা করা আরকি। এমন কাজে প্রকৃত নিয়োজিত খেটে খাওয়া মানুষ গুলোর মনে না পাওয়ার কষ্ট, ধনীতে গরীবে ভেদাভেদ তুলে ধরার জন্য এরা দুজনই যথেষ্ট। যারা এদের বাহবা দিচ্ছেন তাদের কে অনুরোধ করছি এদের সম্পর্কে খবর রাখতে থাকুন। দেখবেন তাদের এমন বিলাসি তামশা বেশী দিন চলছে না। কারন তামশা বা বিলাসিতার স্থায়িত্ব যে ক্ষণস্থায়ী।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

আহলান বলেছেন: খুবই যুক্তিসংগত কথা বলেছেন। ঢং দেখানো আর কি! পেটের দ্বায় আর ঢঙ্গের দ্বায় এক হতে পারে না ...

১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

সজীববুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। এদের যোগ্যতা অনুযায়ী এরা আরও ভাল কিছু করতে পারতো বলেই মনে হয়।

২| ০৯ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: "যে লিখন উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান এবং ঢাকা শহরের দুটি ফ্ল্যাট বাড়ির মালিক যিনি তার রাস্তায় নেমে এমন তামশা করলেই কি বা না করলেই কি?" - এমন 'তামাশা' করতে মনের অনেক শক্তি লাগে। সেই শক্তিটা উপেক্ষা বা অবজ্ঞা করার নয়, শ্রদ্ধার। আপনার সাথে এ বিষয়ে একমত হতে পারলাম না বলে দুঃখিত। তবে, সাধারণ মানুষের প্রতি আপনার যে সমবেদনা ফুটে উঠেছে সেটিকেও সম্মান করি।

১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২২

সজীববুরী বলেছেন: কেন যেন আমি শ্রদ্ধার জায়গাটা খুঁজে পাই না ভাই। দেখুন পেশা বিষয়টার একটা ধারাবাহিকতা থাকা চাই। যেমন বাদাম বিক্রেতা আবার রোজার পরে বাদাম বিক্রি করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। আমার হিসেবে আপনার যে যোগ্যতা সেটা না করে যদি যা অন্যরা করছে কম যোগ্যতা সেটা করা শুরু করেন তাহলে আসলে দায় থেকে মুক্তির মত দেখায়। বাদাম বিক্রি অথবা ফেরি করাই যদি পেশা হিসেবে নেওয়ার ইচ্ছে তাহলে আর শিক্ষার পেছনে অর্থ আর সময় ব্যয়ের কি দরকার, যে শিক্ষা আমরা শুধু মাত্রই অর্জন করি জিপিএ ৫ পাওয়া এবং ভাল চাকুরী করার স্বার্থে? শ্রদ্ধা দেখাতাম যদি তারা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করে নিজের সাথে সাথে অন্যদের জীবনে আয়ের পথ এবং জীবনের সম্মানের পথ তৈরিতে সাহায্য করতো। তারপরেও ভাই নানা পথ নানা মত তো থাকবেই। আমি আপনার মতামতকেও সম্মান জানাই।

৩| ০৯ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:২৯

রোষানল বলেছেন: উনারা দুজনই জন্মের চালাক। তাদের একমাত্র ভরসাই ছিলো হুজুগে মিডিয়ার প্রতি। তারা সাকসেস।তাদের নাম ফুইটা গেছে

১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৫

সজীববুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই হুজুগে মিডিয়ার হুজগ তুলে ধরার জন্য।

৪| ০৯ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

বাংলার জামিনদার বলেছেন: তারা চাইছিলো পরিচিতি বাড়াতে, একটা ধান্ধা করছে।

১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৭

সজীববুরী বলেছেন: ভাই মানুষ বছরের পর বছর ভিন্ন ধারায় কাজ করে পরিচিতি পায় না, তার রাস্তায় নেমেই পরিচিত পেয়ে গেলেন। এমন সস্তা পরিচিতি কত দিন তারা ধরে রাখতে পারে সেটা দেখার অপেক্ষায়।

৫| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

অপু তানভীর বলেছেন: যাদের আসলে সামনের দিনে কি খাবো কিংবা সামনে কিভাবে চলবে তাদের মনে কতই না রং লাগে কত কিছুই না করতে মনে চায় । অনেকে আবার এগুলোকে খুব শ্রদ্ধাও করে দেখা যাচ্ছে ।

কথা গুলো সত্যই মনে হয়েছে আমার কাছে । এটেনশন অর্জন ছাড়া আর কোন লক্ষ্য এদের নেই । এটেনশন অর্জনের জন্য তামাশা তো মানুষ করবেই !

১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

সজীববুরী বলেছেন: পেশা নামক শব্দটার একটা ধারাবাহিকতা থাকা চাই। বাদাম বিক্রেতা আবার রোজার পরে বাদাম বিক্রি করবেন। ঐ যে বলেছিলাম আজকের রুজির উপর আগামীকাল নির্ভর করে না তাদের। তাই তারা চাইলেই মাস খানেক ছুটি নিতে পারেন।

৬| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

সুমন কর বলেছেন: সকাল শুরু হয় মোরগের মত তাড়াতাড়ি ধরফর করে উঠে, ঘোড়ার মত ছুটে, গাধার মত সারাদিন খেটে, শেয়ালের মত সারাদিন এদিক ওদিক থেকে তথ্য সংগ্রহ করে, সিনিয়রদের কথায় বাঁদরের মত নাচন-কুর্দন করে, দিনশেষে বাসায় ফিরে ফ্যামিলির সবার ওপর কুকুরের কত করে চিৎকার করে আর রাতে যতটুকু ঘুম সেটা মহিষের মত ঘোঁত ঘোঁত করে। এক কথায় এমন শ্রেণীর জীবিত জীব গুলোর জীবনকে যান্ত্রিক জীবন না বলে পশুর জীবন বলাই যুক্তিযুক্ত। -- সাধারণ মানুষ নিয়ে সত্যটা বলে দিয়েছেন।

প্রচারটাই কি উদ্দেশ্য ছিল?

১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

সজীববুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করার জন্য।

৭| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সহমত।

১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

সজীববুরী বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শেয়াল বলেছেন: ভন্ডা আর ভন্ডীর গলফো। 8-|

১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

সজীববুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৯| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৮

কালনী নদী বলেছেন: @শেয়াল -- খেক - খেক!!!

লেখককে- সুন্দর লিখেছেন ভাই।

১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩২

সজীববুরী বলেছেন: প্রেরণা যোগানর জন্য কৃতজ্ঞ।

১০| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৮

খান সাব বলেছেন: শোনো
ভাত-ডাল আর বিরিয়ানির তফাৎ বুঝতে শেখ। প্রথম টা নেসেসারি আর পরের টা luxury!

১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

সজীববুরী বলেছেন: এর দুজন luxury দিয়ে মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের কাজে নেমেছে। ধন্যবাদ ভাই।

১১| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৯

খান সাব বলেছেন: শোনো
ভাত-ডাল আর বিরিয়ানির তফাৎ বুঝতে শেখ। প্রথম টা নেসেসারি আর পরের টা luxury!

১২| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:৪৩

অগ্নি-মশাল বলেছেন: কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ

১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮

সজীববুরী বলেছেন: এরা বিলাসী ফেরিওয়ালা। চাইলেই ছুটি, চাইলেই আরাম। বরং এ কাজ গুলো যারা প্রকৃত পেটের দায়ে করে থাকে তারা কিন্তু এমন দামী ক্যামেরা, কানে হেডফোন গুঁজে করতে পারেনা, অথবা চাইলেই আজ ছুটি বলে কাজ ফেলে চলে যেতে পারেনা। ফলে অসহায় মানুষ গুলোর অসাহায়ত্ত নিয়ে এক প্রকারের মজা করা আরকি।

১৩| ১০ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:২২

মহা সমন্বয় বলেছেন: এমন 'তামাশা' করতে মনের অনেক শক্তি লাগে। সেই শক্তিটা উপেক্ষা বা অবজ্ঞা করার নয়, শ্রদ্ধার।

১২ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

সজীববুরী বলেছেন: এটা সত্যি যে এমনটা করতে মনের অনেক শক্তি লাগে ভাই। কারন এমন কাজের ফলে যখন আগে থেকে করে খাওয়া মানুষের আয় কমে যায় অথবা তাদের ইচ্ছে হলে করলাম ইচ্ছে না হলে করলাম না এবং কানে হেডফোন গলায় ক্যামেরা ঝুলিয়ে প্রকৃত খেটে খাওয়া মানুষের সাথে নিজেদের পার্থক্য তুলে ধরা হয় তখন অবশ্যই মনের শক্তি থাকতে হয় ভাই। ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য।

১৪| ১০ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

বিজন রয় বলেছেন: যেমনটা মনে হয় রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের বেলায়ও। নজরুল যদি রবীন্দ্রনাথের মত করে নদীতে নৌকা নিয়ে মনের জানালা গুলো খুলে দিতে পারতো তাহলে হয়তো আমরাও অন্যরকম নজরুলকে পেতাম।

আপনার এই লাইনে আমার আপত্তি আছে।
আমি যদি বলি নজরুল যদি রবীন্দ্রনাথের জায়গায় জন্মাতেন তো এই নজরুল আমরা নাও পেতে পারতাম।
তাই যা পেয়েছি তা নিয়ে উপহাস করা ঠিক নয়।

১২ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

সজীববুরী বলেছেন: যা পেয়েছি তা নিয়ে কিন্তু উপহাস করা হয়নি ভাই। বরং যা পেয়েছি সেটা আরও একটু ভাল পেতে পারতাম কিনা সেটা দেখার চেষ্টা করেছি। বরং অর্থনৈতিক বাঁধার কারনে নজরুলের যে প্রতিভা সেটা যে সঠিক ভাবে প্রকাশ করতে পেরেছে কিনা বলতে চেয়েছি। তারপরেও আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

১৫| ১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমরা অতি-বিশ্লেষণ খুব ভাল পারি।

১৬| ১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ব্যাপারটাকে আমার ভন্ডামীও লাগছে না আবার খুব স্বাভাবিকও লাগছে না। তারা একটা কাজ করতে পারতো - যাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব দুঃশ্চিন্তা নেই তাদেরকেও তাদের মত করে এভাবে খাটার সাহস যোগাতে পারতো। তাহলে, সমাজে উচ্চ-মধ্য-নিন্ম বিত্তদের একটা সাম্যাবস্থা তৈরি হত।

একটা ঘটনাকে দেখার জন্য কয়েকটা দৃষ্টিকোণ আছে।

এক দৃষ্টিতে এটা শ্রদ্ধার। হ্যাঁ, আমিও বলব শ্রদ্ধার। ধনীর সন্তান হিসেবে যে ইগোটা তাদের থাকার কথা সেটা ভেঙ্গে সাধারণ মানুষের পেশায় নেমেছে। আর, সাধারণ মানুষেরও শখ আহ্লাদ থাকে কিন্তু মেটাতে পারে না। তারাও সাধারণ হওয়ার পর তাদের শখ আহ্লাদ তৈরি হয়েছে। এবং তারা সেটা মেটানোর চেষ্টা করেছে। যেমন ছেলেটার হাতের দামী ক্যামেরা বা মেয়েটির কানে লাগানো ইয়ারফোন।

অপরদৃষ্টিতে এটা বিলাসিতা। হ্যাঁ, আমিও বলব এটা বিলাসীতার। হয়তো জাস্ট লোক দেখাচ্ছে বা নিজেদের পরিচিত করে তোলার চেষ্টা করছে। এটা ভাবাও স্বাভাবিক। তাদের কোন দুঃশ্চিন্তা নেই কিছু নিয়ে। মাস শেষে তারা কত উপার্জন করছে তা নিয়েই চিন্তা নেই। তাদের সময় কাঁটানোই আসল কথা। সেই জন্যই এমনটা বেছে নিয়েছে। অন্তত তাদের এই কাজ করতে করতে এবং মানুষের তাদের নিয়ে কী ভাবনা সেটা পড়তে পড়তেই সময় কাঁটাচ্ছে।

আরেকটা দৃষ্টিকোণ থেকে - এটা থেকে অনেক কিছুই করা যাবে। অনেক গুলো স্তরের মানুষের মূল্যবোধ উন্নত করা যাবে।
যেমন - এক শ্রেণী আছে - যারা নিজেরা খুব ধনী না - কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষ দেখলে দুর্ব্যবহার করে। তাদের সামনে ধনীর আদরের দুলাল/দুলালী যদি খেটে খাওয়া মানুষের মত হয়ে আসে - তাহলে, তাদের ঐ দুর্ব্যবহার করার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। আর, পরিত্যাগ করায় তার মূল্যবোধের পাশাপাশি খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলো কিছুটা সম্মান পাবে।

অনেকের ঠকানোর অভ্যাস আছে। কিন্তু একটা স্মার্ট-হ্যান্ডসাম ফেরিওয়ালা বা ঐ রকম কেউ যদি সামনে আসে - তাতে তারা ঠকানোর চিন্তাও পরিহার করবে। এতে লাভ হবে - ঐ সাধারণ মানুষদেরই - যাদের প্রতিদিনই ঠকানো হয় - কিন্তু তারা কাউকে অভিযোগ জানাতে পারে না।

এরকম করে ভাবলে অনেক দিকেই উপকার খুঁজে পাওয়া যাবে।

কিন্তু, কে কীভাবে নেয় সেটা হল আসল কথা।

প্রথমবার পড়ে আমার বিলাসিতা, ঢং মনে হয়েছে - পরে আস্তে আস্তে ভেবে দেখলাম - পাশ্চাত্যের সব রীতিই যদি আমরা নকল করতে পারি - তাহলে, ইগো ছেড়ে এরকম ভাবে চলার রীতিটাই বা কেন অনুকরণ করতে পারব না?

১২ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

সজীববুরী বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ ভাল লাগার মত। সমাজে একেক জনের দৃষ্টি ভঙ্গি একেক রকম হতেই পারে। তারপরেও আমি বিষয়টাকে প্রথম দিকে পজিটিভ ভাবে দেখা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু অনেকটা সময় যাবার পরে যখন দেখালাম যে নতুন করে আরেক জন ঠিক একই পথে হাঁটা শুরু করলেন তখন বিষয়টা নিয়ে ভাবতে শুরু করলাম। এরা নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী অন্য কাজ করতে পারতেন। বাঁশ হয়ে ধঞ্চের কাজ করা শুরু করে দিলেন। ফলে যারা অসিক্ষিত খেটে খাওয়া মানুষ গুলো আগে থেকেই এমন পেশায় জড়িত তাদের জন্য এখন তারা হুমকি স্বরূপ। অন্যদিকে এরা দুজন দারিদ্রিতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে একটা মোটা দাগের পার্থক্য তুলে ধরেছেন। যে দরিদ্র লোকটি ফেরি করে বা যে বাদাম বিক্রি করে তারা তো আর দামী ক্যামেরা, কানে হেডফোন নিয়ে এ কাজ গুলো করতে পারেনা। অথবা চাইলেই আজ কাজে যাবনা সেটা বলতে পারেনা। কারন এদের আয়ে এদের জীবন চলে। আধুনিক দুই ফেরিওয়ালা অর্থনৈতিক বৈষম্য তুলে ধরেছেন। ফলে প্রকৃত গরীব মানুষ গুলোর মাঝে এদের মত বিলাসী জীবন না থাকার কারনে মানুসিক যন্ত্রণার সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক নয় কি?

লিখন বা কথা কি পারতেন না তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী অন্য কোন পেশায় নিয়োজিত হতে? যদিও তাদের বর্তমান কাজকে আমি পেশা হিসেবে দেখতেও নারাজ। পেশার তো একটা নির্দিষ্ট দায়িত্ব বোধ থাকা চাই। ইচ্ছা হলে করলাম আর ইচ্ছা হলনা আজ করলাম না সেটা কি পেশা হতে পারে? বরং মনে প্রশ্ন জাগে যে, বাদাম বিক্রেতা কি তার পড়াশোনা শেষ করেও বাদাম বিক্রি করবেন? যদি তাই করেন তাহলে ভাল চাকুরীর আশায় আমরা যে শিক্ষায় শিক্ষিত হই তার পেছনে বৃথা অর্থ এবং সময় ব্যয় করার যুক্তি দেখিনা। যে কারনে বহির্বিশ্বে কর্ম মুখী শিক্ষার গুরুত্ব বেশী। যা শিখে নিজে নিজে কিছু করা যায়। আপনি যখন ২০ কেজি ওজন বহন করার যোগ্যতা রাখেন এবং আধা কেজি বহন করেন তখন ফাঁকিবাজ বলার সুযোগ থাকে কি? বাদাম বিক্রেতা ব্যতিক্রমী কাজ করতে চাইছেন? তিনি কোন টিভি ফ্রিজ সার্ভিস সেন্টার থেকে হাতের কাজ শিখে সে কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে দেখিয়ে দিয়ে পারতেন মেয়েরাও ভিন্ন ধর্মী কাজে পারদর্শী। কেন ভাই গরীব বাদামওয়ালা ফেরিওয়ালাদের পেটে লাথি মারা?

১৭| ১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:৫৯

প্রবাসী একজন বলেছেন: সহমত!... এসব করা মানে গরীবের গরীব পেশা তামাশা করা....

১২ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

সজীববুরী বলেছেন: গরীব খেটে খাওয়া মানুষ আর এদের মধ্যেই যে পার্থক্য তুলে ধরেছেন তাতে গরীবের না করতে পারার সীমাবদ্ধতা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখালেন তারা।

১৮| ১১ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

মোঃমোজাম হক বলেছেন: দুঃখিত, আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না।
মেয়েটা নিজের জন্য নয়,দেখিয়ে দিল সেই সমস্ত শিক্ষিত বেকারদের যারা চাকুরী না পেয়ে হতাশায় ভুগছে।
এবং তাদের কি করনীয়।

১১ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

সজীববুরী বলেছেন: ভাই শিক্ষিত বেকারেরা চাইলে আরও ভাল কিছু করতে পারে। বরং সব বেকার মিলে যখন বাদাম বিক্রি শুরু করবে তখন ঐ যে ধানমণ্ডি লেকে যে সকল অশিক্ষিত বাদাম বিক্রেতা বাদাম বিক্রি করছিল তাদের না খেয়ে মরতে হবে। তখন আবার তাদের কর্মসংস্থানের জন্য কোন শিক্ষিত ভিক্ষা করে নতুন পথ দেখিয়ে দেবেন। যখন যোগ্যতা থাকা সত্তে সেই যোগ্যতা জায়গা মত কাজে না লাগানো হয় তাহলে সে অযোগ্য। পাকা বাঁশ যখন ধঞ্চের কাজ করা শুরু করে তখন যেমন একদিকে বাঁশের কাজের জায়গায় শূন্যতা সৃষ্টি হবে অন্য দিকে ধঞ্চের কাজ করার জায়গা নষ্ট হবে।

১৯| ১১ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

মোঃমোজাম হক বলেছেন: আপনি আপনার জায়গাতেই আছেন,একটুও হেলেননি :)
শুধু বাদামই কেন বিক্রি করতে হবে? ছোট বড় কাজে লজ্জা নেই মেয়েটি সেটাই শিখিয়ে গেল।
তারপরও যদি না বুঝেন আমার বলার কিছু নেই।
ধন্যবাদ।

২০| ১১ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: X( আপনি বেছে বেছে মন্তব্যের উত্তর দিয়ে বাকিদের অবমূল্যায়ণ করছেন। এইরকম করলে অন্যরা আপনার পোস্টে মন্তব্য করবে না।

১২ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

সজীববুরী বলেছেন: ভাই বেছে বেছে মন্তব্যর উত্তরের বিষয় না ভাই। আসলে হুট করেই তো একটা উত্তর দেওয়া যায় না। একটু সময় নিয়ে সবার উত্তর দেওয়া হচ্ছে ভাই। তারপরেও বিষয়টা ধরিয়ে দেবার জন্য কৃতজ্ঞ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.