নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সজিব তৌহিদ এর তুফান তারুণ্য

I am waiting for someone and I know she will ever come.

সজিব তৌহিদ

Student,Debater

সজিব তৌহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যৌন থেরাপির প্রথম নারী

২৯ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪





আমেরিকান দু’জন যৌন গবেষক উইলেয়াম মাস্টার্স এবং ভার্জিনিয়া জনসন দীর্ঘ যৌন পযর্বেক্ষণের বৃহৎ পরিসর গড়ে তুলে পরবর্তীতে তারা বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হয়েছিলেন। ভার্জিনিয়া জনসন সম্প্রতি ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। জনসন নামের এই নারীই বিশ্বে প্রথম যৌন বিষয়ক বৈজ্ঞানিক গবেষণা করেছেন বলে জানা গেছে।



১৯৫০ সালে জনসন তার পরিবারকে সাহয্য করার জন্য যখন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি খঁজতে যান তখন তার বয়স ছিল ৩০ বছর।



খুব দ্রুতই তিনি আরেক যৌন গবেষক উইলিয়াম মাস্টার্সের সহকারী এবং পরবর্তীতে প্রেমিকা হন। যৌন আচরণের উপর তারা যৌথভাবে ১৯৬৬ Human Sexual Response এবং ১৯৭০ সালে Human Sexual Inadequacy প্রকাশ করে বেস্ট সেলিং বইয়ের তালিকায় চলে আসে।



মাস্টার্স এবং জনসন ১৯৭০ সালে বিয়ে করেন কিন্তু ২০ বছর পরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। শেষ পযর্ন্ত জনসনের এক সময়কার জীবনসঙ্গী উইলিয়াম মাস্টার্সও মারা যান ২০০১ সালে।



‘যৌনতার জয়’ শীর্ষক বইয়ের লেখক এবং মনস্তত্ত্ববিদ সুসিয়ো কিউলিয়াম দাবি করেন জনসন ছিলেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাস্টার্স এবং জনসন দম্পতি ১৯৭২ সালে মানব সেবায তাদের গবেবেষণা কে ব্যবহার করেছেন।



জরিপে দেখা গেছে, ভার্জিনিয়া জনসন ছিলেন প্রথম নারী যিনি এই অঞ্চলে প্রথম গভীরভাবে যৌনতা বিষয়ক বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনা করেছেন। নিরবতা ভেঙ্গে তিনি প্রথম মাস্টার্সের কাজে নারীর বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন।



এই দম্পতি বিশ্বে সর্বপ্রথম যৌন থেরাপি পরিচালনা করেন, যেখানে একটি ল্যাবরোটারিতে প্রায় ৭’শ মানুষের ১০ হাজার সেক্মচুয়াল ঘটনা পযর্বেক্ষণ করা হয়। যাদের সেটিই ছিল প্রথম সেক্ম। এই থেরাপির মাধ্যমে তারা জানার চেষ্টা করেছেন যৌনতাকালীন নানা সমস্যা এবং সম্ভাবনার বিষয়গুলো কেমন।



বেডরুমে যৌনতায় লিপ্ত নারী-পুরুষের যৌন আচরণ কেমন হয় সেটি এই গবেষণায় গরুত্বের সাথে স্থান পেয়েছে।



এসময় হৃদসম্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাস হার, মস্তিষ্কের কাযর্ক্রম, বিপাক ক্রিয়া ইত্যাদি নিরীক্ষা করা হয়। এর মাধ্যমে অসম্পন্ন এবং অসফল যৌন সম্পর্ক বের করা যায় বলে তাদের গবেষণায় তারা দাবি করেন। এবং কোনটি পরিপক্ক এবং অপরিপক্ক যৌন ক্রিয়া সেটিও বের কারা যায় এই থেরাপির মাধ্যমে।



রোবার্ট ক্লোডনি তার গবেষণায় তিনি বলেন, ষাটের দশকে এই দম্পতি ছিল অনন্য যৌন গবেষক। এবং জনসন ছিলেন যৌন গবেশণার ক্ষেত্রে অদ্বিতীয় একজন নারী। জনসন তার কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ বিজ্ঞানে অবদানের জন্য বিংশ শতাব্দীতে অন্যতম নারী হিসেব বহু পুরস্কার লাভ করেন।





যৌন থেরেপির ক্ষেত্রে যৌন বিজ্ঞান ভার্জিনিয়া জনসন কে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গেই স্মরণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সকলে মনে করছেন।



সূত্র: বিবিসি: অনুবাদ: সজিব তৌহিদ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.