![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Student,Debater
বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের দিকে একটু চেয়ে দেখলে মনটা শান্ত হয়। স্বস্তি খুঁজে পায়। দ্বিতীয় বারের মত নিউজিল্যান্ডকে ‘বাংলাওয়াশ বা হোয়াইট ওয়াশ’ করার আনন্দে বুকটা ভরে যায়। বাঙালি, বাংলাদেশি বীরের জাতি হিসেবে মাথা উচু করে চিৎকার করতে ইচ্ছে হয়। নতুন করে দেশটা কে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে মনটা ব্যাকুল হয়।
তাবাদে কোথাও কোন সু-সংসবাদ নেই। সহিংসতা, হরতাল আর হত্যা দিয়ে গোটাদেশ অস্থির। নিরাপত্তাহীনতা ও বোমা-ককটেলের আতঙ্কে বেড়েছে হার্টবিট। আইন-আদালত, প্রশাসন বা কর্তৃপক্ষ বলে কিছু নেই তাই নিজের প্রতি স্বান্তনা এ যেন নষ্ট জন্মের কষ্টের দোলনা।
চলমান সহিংস পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মাঝে দেশের রাজনৈতিক নেতাদের উপর এতো ক্ষোভ এবং ক্রোধ দেখা দিয়েছে যে, বেহায়া রাজনীতিকরা সেটা বোঝেও না বোঝার ভান করেন, শোনেও না শোনার ভান করেন। শান্তি প্রিয় বাঙালি কোন কালেই সংঘাত ও সহিংসতা চায় নি। কিন্তু সে পথে যাওয়ার জন্য তাদেরকে বিভিন্ন সময় বাধ্য করা হয়েছে। আর থোকা থোকা প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে। এতো উদার গণতান্ত্রিক, মিডিয়া স্বাধীনতায় বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ সরকার একটা সুস্থ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে নি। ক্ষমতার লোভে আরো একটা ‘ওয়ান এলিভেন’ যাতে না হয় সেই দোহাই দিয়ে তারা মনের মত সংবিধান সংশোধন করে নিয়েছে। অপরদিকে দীর্ঘ ৫ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার তীব্র-জ্বালা যন্ত্রনায় বিএনপি উন্মাদ হয়ে ওঠেছে ক্ষমতায় বসার জন্য। চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় অকাতরে নির্বিচারে মানুষের যে প্রাণ যাচ্ছে সেটা কি নেতাদের বিন্দু পরিমাণ পীড়া দেয় না..? পীড়া দিক আর না দিক সেটা নিয়ে মায়া কান্নার সুযোগ আর নেই।
এই বিধ্বংসী নেতাদের উপর আর ভরসা করা যায় না। ‘ কে থাকে ঘুমে, কে থাকে ভেতরে, কে একা নি:সঙ্গ বসে আশ্রুপাত করে ’। ১১৮৯ সালের রংপুরের কৃষক নেতা নূরল দীনের মত করে জেগে ওঠার সময় এসেছে। ‘জাগো বাহে কনঠে সবাই’ এই শ্লোগানে শ্লোগানে বায়ুম-লকে ভারী করার সময় এসেছে। দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের জন্য কণ্ঠে আওয়াজ তোলার এই তো সু-সময়। এতে হয়তো কেউ কেউ চেঁচিয়ে ওঠবেন এবং বলবেন, ‘আবারো টু- মাইনাস থিয়োরি’র ষড়যন্ত্রকারীরা সোচ্চার হয়েছেন। মনে রাখা দরকার, খাল কেটে যদি কুমির আনার সুযোগ দেয়া হয় তাতে দোষ কার..?
তাই সময় নষ্ট না করে দলমতকে থোড়াই কেয়ার করে দেশ ও মানুষের কথা চিন্তা করে তরুণ প্রজন্মের এক দফা এক দাবিতে মহাত্মা গান্ধী’র আহিংস চেতনায় রাজপথে নামতে হবে। * ‘হয় সমোঝাতার ভিত্তিতে নির্বাচন দিতে হবে, না হয় দুই নেত্রীকে দেশ ছাড়তে হবে। ’ সাধারণ মানুষের প্রাণ নিয়ে তারা ছিনিমিনি খেলতে পারে না। এটা অন্যায়। সেই অন্যায় এই থ্রিজি যুগের তরুণ প্রজন্ম বসে বসে শুধু দেখে যেতে পারে না। পারা উচিত নয়। গণমানুষের যে গণচেতনা, মুক্তিযুদ্ধের যে প্রেরণা জাতির আজ সংকট কালে তরুণ প্রজন্মের বসে থাকা মানেই অতীতের জ¦লজলে আন্দোলনের সেই ইতিহাস কে কোরবানি করার শামিল।
চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারির পর শাহবাগী চেতনা যেভাবে গোটা দেশে সবশ্রেণীর মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছিল। সব চেতনায় না হোক অন্তত ঐক্যবদ্ধতার চেতনা কে কাজে লাগিয়ে হাসিনা-খালেদাকে বুঝিয়ে দেয়া উচিত আপনারা হাঙ্কি-পাঙ্কি করলে তরুণ প্রজন্ম বসে থাকবে না। তারা এই দেশের হাল ধরবে। দেশের মানুষের আলোর দিশারী হয়ে আলোর মশাল জ্বালাবে। বিজয়ের নতুন ঝা-া উড়াবে।
এখন শুধু অপেক্ষা কতিপয় তরুণের ফেসবুকে ইভেন্ট খুলে উদ্যোগ গ্রহণ। সাহিত্যিক, সাংবাদিক আনিসুল হকের মত ‘অরণ্যে রোদন’ নয় বরং তারই আশা জাগানিয়া কবিতার মতন, ‘মানুষ কি জাগে নাই অন্ধকার তাড়ানিয়া সূর্য্যরে মতন/ জীবন কি জাগে নাই, মরণের আবরণ ভেঙ্গে.. ?’
এবার মরণের আবরণ ভেঙ্গে যারা জাগবে তারাই হবে এ দেশের প্রকৃত প্রিয় তৃতীয় শক্তি। সেই শক্তি নিয়ে তরুণ প্রজন্ম আসছে....!!
সজিব তৌহিদ
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০০
সজিব তৌহিদ বলেছেন: নতুন কাউকে তো অবশ্যই...
২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪১
শফিউল আলম চৌধূরী বলেছেন: চলেন এক হই, তারপর কোন একটা দল আইসা ঘাড়ে চাইপা বসুক।
যেমনে বসছিল শাহবাগে
৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
মহিদুল বেস্ট বলেছেন: এক হই চলুন... কোন তৃতীয় শক্তির আনয়ন করি... ওরাও বুঝুক তারুণ্য কি
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৪
সজিব তৌহিদ বলেছেন: ওরাও বুঝুক তারুণ্য কি ..? সত্যিই বোঝানো উচিত..
৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫১
কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
তৃতীয় আরেকটি দল আসুক, তবে পেছনের দরজা দিয়ে নয়,
নির্বাচনে জিতে -
তবে তার আগে যেসব দাড়ীওয়ালা যারা শিকের ভেতরে আছে, রায় হয়েছে সবার ফাঁসি ঝুলন্ত অবস্থাতে দেখতে চাই।
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১৭
সজিব তৌহিদ বলেছেন: আশরাও চাই..
৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০
শ।মসীর বলেছেন: কে জাগাবে কার ঘুম ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২১
সজিব তৌহিদ বলেছেন: সেটাই আসল কথা
৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
মোঃ শিলন রেজা বলেছেন: তৃতীয় শক্তি কেন আসবে না। সারাজীবন কি হাসিনা আপা আর খালেদা আপার লড়ায় চলবে। আসুক তৃতীয় শক্তি আমরা সাগতম জানাবো।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৪
সজিব তৌহিদ বলেছেন: আমরাও সেটাই চাই.. রেজা ভাই..
৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: বাংগালী কখনো প্রথাগত বা ধাপে ধাপে অগ্রসর হবার নীতি অনুসরণ করেনি। তাই হয়তো বাংগালী খালি বিপ্লব আর জ্বালাও পোড়াও নীতির মাধ্যমে পরিবর্তন করে যা খুব কম সময় স্থায়ী হয়। সামান্য কিছু উদাহরণ দেখি চলেন:
(১) সিপাহী বিদ্রোহ: হঠাত শুরু হঠাত শেষ। লক্ষ্য অর্জনের খুব কাছাকাছি যাওয়া আর ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা।
(২) মাষ্টারদার অভিযান: লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়েও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা।
(৩) একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দেশে স্বাধীন হয়ার লক্ষ্য পূরণ। স্বল্প সময়ে বিশাল বিশাল এক ত্যাগ। যুদ্ধের পর স্বাধীন দেশের লক্ষ্য পূরণে ক্রমান্বয় ব্যর্থতা কিংবা শম্ভুক গতি।
(৪) ৯০ এর গণআন্দোলন: প্রতিষ্ঠিত স্বৈরাচার হঠানো । কিন্তু গণতান্ত্রিক স্বৈরাচার পদ্ধতির সূচনা।
(৫) ৯৬ এর তত্বাবধায়ক আনার আন্দোলন: সরকার পদ্ধতিতে নতুন নিয়মের সূচনা ।
(৬) ১/১১/২০০৭: অর্ন্তবর্তিকালিন সরকারের আড়ালে সামরিক শাসকের আগমন। প্রচলিত রাজনীতিকদের চরম ওলট পালট। নতুন র্নিবাচিত সরকারের আগমন কিন্তু আবার সেই পুরোনো গণতান্ত্রিক স্বৈরাচার আর নপুংশক বিরোধী দলের আগমন।
(৭) রাজাকার বিরোধী শাহবাগ আন্দোলন : পরাজিত শক্তির বিচারের আর বিলুপ্তির জন্য গণজনগণের সহযোগিতায় নতুন এক আন্দোলনের সূচনা। সবশেষে এই আন্দোলন সাধারণের আন্দোলন থেকে এক পক্ষীয় আন্দোলনে পরিণত হওয়া।
৭১ থেকে ৯০, ৯০ থেকে ২০১৩, ২০১৩-?
৭১ এ যে তরুনেরা দেশের জন্য প্রাণ দিতে পরোয়া করেনি, ফিরে এসেছিলো বিজয়ীর বেশে আজ তারা কেন ৭২-৯০ পর্যন্ত দেশের মধ্যে থেকে নিজেরা নিজরা সংঘর্ষে লিপ্ত, কিংবা ব্যক্তি স্বার্থ ব্যস্ত? কিংবা দেশবিরোধীদের নিয়ে দেশ বিভাজনে ব্যস্ত?
৯০-২০১৩?
যে তরুন শপথ খেয়েছিল নূর হোসেনের রক্ত ছুয়ে। যে ছুটে গিয়েছিল স্বৈরাচারের ট্রাকের চাকার তলে প্রান দিতে, সেই তরুন কেন আজ র্দূণীতিতে? কেন আজ সে দেশের কথা না ভেবে পরদেশে গোলামীতে ব্যস্ত?
২০১৩ তরুণ? তার লক্ষ্য কি? জীবন বাজি রেখে জীবনের জয়গান গেয়ে শেষে ক্ষুদ্র স্বার্থপরতা, ব্যক্তিস্বার্থ আর ভিন দেশের গোলামী আর ক্ষমতার নেশাকি তাকে অন্ধ করে দেবে?
বাংগালী তরুনেরা কি শুধু তারুণ্যেই দেশের জন্য সব কিছু উজার করে দেয় আর বয়স যত বাড়তে থাকে ততই কি নিজেদেরকে বিলিয়ে দেয় অন্যায় আর স্বার্থপরতার কাছে?
৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৭
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: বিশ্বাস করি 1971- লাইক,
অনেকগুলো, অনেকগুলো, অনেকগুলো ।
৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৬
সজিব তৌহিদ বলেছেন: বিশ্বাস করি 1971-এ । আপনার কথাগুলো অসাধারণ লাগলো ভাই। সহমত থাকলো। ভালো থাকবেন.. খালো রাখবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৩
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: মঈনুদ্দীন ফকরুদ্দীনকে চাইনা ।
ইউনুসকেও না ।