নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভবঘুরে ছেলেটা

দৈনন্দিন জীবনে যা ঘটছে মাঝে দিনলিপি আকারে ঐগুলা নিয়েই লিখবো ভাবছি.। জানি আপনারা পড়বেন। কিন্তু পড়ার সময় মনে রাখবেন এটা আমার ডায়েরী। আমার চিন্তা ভাবনায় যা আসে নির্দ্বিধায় লিখবো। এটা নিয়ে কারো সাথে কোন ঝগড়া করার ইচ্ছা আমার নাই। ঘাঁড় ধরে পড়াচ্ছিনা।

ভবগুরে ছেলেটা

আমি হুদা একজন পাবলিক ভাই! আমারে নিয়া লিখার মত কিছু পাইলাম না।

ভবগুরে ছেলেটা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসমাপ্ত আত্মজীবনী~ শেখ মুজিবর রহমান : অনুচ্ছেদ ৭

১১ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

এই সময় রিলিফের কাজ করার জন্যে গোপালগঞ্জ ফিরে আসি। গোপালগঞ্জ মহকুমার একদিকে যশোর জেলা, একদিকে খুলনা জেলা, আরেকদিকে বরিশাল জেলা। বাড়িতে এসে দেখি ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ সব প্রায় না খেতে পেয়ে কঙ্কাল হতে চলেছে। মুসলমানরা ব্যবসায়ী এবং যথেষ্ট ধান হয় এখানে। খেয়েপরে মানুষ কোনমতে চলতে পারত। অনেকেই আমাকে পরামর্শ দিল, যদি একটা কনফারেন্স করা যায় এবং সহরাওয়ার্দী আর মুসলিম লীগ নেতাদের আনা যায় তবে চোখে দেখলে এই তিন জেলার লোকে কিছু সাহায্য পেতে পারে এবং লোকদের বাঁচানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। ...........................

..............................

আলোচনা করে ঠিক হলো, সম্মেলনের 'দক্ষিন বাংলা পাকিস্তান কনফারেন্স ' নাম দেয়া হবে এবং তিন জেলার লোকদের দাওয়াত করা হবে। সভা আহ্বান করা হল অভ্যররথনা কমিটির জন্যে। প্রধান যারা ছিলেন তাদের কেউ রাজী হন না, কারণ খরচ অনেক হবে। দেশে দুর্ভিক্ষ, টাকা পয়সা তুলতে পারা যাবে না। শেষ পর্যন্ত সকলে মিলে আমাকেই অভ্যর্থনা কমিটির চেয়ারম্যান এবং যশোর জেলার মৌলভী আফসারুদ্দিন মোল্লা নামে এক বড় ব্যবসায়ী, তাকে সম্পাদক করা হল।

আমি কলকাতা রওনা হয়ে গেলাম, নেতৃবৃন্দকে নিমন্ত্রন করার জন্যে।যখন সোহরাওয়ার্দী সাহেবকে দাওয়াত করতে গেলাম, দেখি খাজা শাহাবুদ্দিন সেখানে উপস্থিত আছেন। শহীদ সাহেব বললেন, "আমি খুবি ব্যস্ত, তুমি বুঝতেই পারো, নিশ্চয়ই চেষ্টা করবো যেতে। শাহাবুদ্দীন সাহেবকে নিমন্ত্রন কর উনিও যাবেন।" ........................

....................................

দিন তারিখ ঠিক করে আমি বাড়ি রওনা হয়ে এলাম। সামান্য কিছু টাকা তুললাম শহর থেকে।আমি গ্রামে বের হয়ে পড়লাম, কিছু কিছু অবস্থাশালী লোক ছিলো মহকুমায়, তাদের বাড়ি যেয়ে যেয়ে কিছু টাকা তুলে আনলাম। কাজ শুরু হয়ে গেছে। লোকজন চারদিকে নামিয়ে দিয়েছি। অতিথিদের খাবারের ভার আব্বাই নিলেন। তবে পাক হবে এক সরকারী কর্মচারীর বাড়িতে। পরে দুই পক্ষ হয়ে গেলো। গোলমাল শুরু হলে পড়ে গোপালগঞ্জ আমাদের বাড়িতেই বন্দোবস্ত হল। প্যান্ডেল করলাম নোউকার বাদাম দিয়ে। যাদের বড় নৌকা ছিল তাদের কাছ থেকে বাদাম ধার করে আনলাম। পাঁচ হাজার লোক বসতে পারে এমন প্যান্ডেল করলাম, খরচ খুব বেশি হল না।

এদিকে এই কনফারেন্স বন্ধ করার জন্যে অনেকেই চেষ্টা করতে আরম্ভ করল। টেলিগ্রাম করলো আমন্ত্রিত নেতাদের কাছে। কনফারেন্সের মাত্র তিন দিন সময় আছে, আমার কাছে তমিজুদ্দিন ও শাহাবুদ্দিন সাহেব টেলিগ্রাম করেছেন, কনফারেন্স বন্ধ করা যায় কিনা? আমি টেলিগ্রাম করলাম, বন্ধ করা অসম্ভব।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~♦000♣000♠~~~~~~~~~~~~~~~~~~~



চমৎকার একজন বাবা ছিলেন শেখ লুৎফর রহমান !

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.