নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভবঘুরে ছেলেটা

দৈনন্দিন জীবনে যা ঘটছে মাঝে দিনলিপি আকারে ঐগুলা নিয়েই লিখবো ভাবছি.। জানি আপনারা পড়বেন। কিন্তু পড়ার সময় মনে রাখবেন এটা আমার ডায়েরী। আমার চিন্তা ভাবনায় যা আসে নির্দ্বিধায় লিখবো। এটা নিয়ে কারো সাথে কোন ঝগড়া করার ইচ্ছা আমার নাই। ঘাঁড় ধরে পড়াচ্ছিনা।

ভবগুরে ছেলেটা

আমি হুদা একজন পাবলিক ভাই! আমারে নিয়া লিখার মত কিছু পাইলাম না।

ভবগুরে ছেলেটা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসমাপ্ত আত্মজীবনী ~ শেখ মুজিবুর রহমান// অনুচ্ছেদ ৯

২৩ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

একদিনের কথা মনে আছে, আব্বা ও আমি রাত দুইটা পর্যন্ত রাজনিতির আলোচনা করি। আব্বা আমার আলোচনা শুনে খুশি হলেন। শুধু বললেন, “শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছুই বলিও না।”

শেরে বাংলা মিছিমিছিই ‘শেরে বাংলা’ হন নাই। বাংলার মাটিও তাকে ভালোবেসে ফেলেছিলো।যখনি হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেছি, তখনই বাধা পেয়েছি।........................

................................. .......................................

.................. সিপাহী বিদ্রোহ এবং ওহাবি আন্দোলনের ইতিহাসও আমার জানা ছিল। কেমন করে বৃটিশরাজ মুসলমানদের কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিলো, মুসলমানরা ব্যবসা-বানিজ্য, জমিদারি, সিপাহীর চাকরি থেকে কিভাবে বিতাড়িত হল- মুসলমানদের স্থান হিন্দুদের দ্বারা পূরণ করতে শুরু করেছিলো কেন ইংরেজরা? মুসলমানরা কিছুদিন পূর্বেও দেশ শাষন করেছে তাই ইংরেজদের গ্রহন করতে পারে নাই। সযোগ পেলেই বিদ্রোহ করতো। ওহাবী আন্দোলন কি করে শুরু করেছিলো হাজার হাজার বাঙ্গালী মুজাহিদরা ? বাংলাদেশ থেকে সমস্ত ভারতবর্ষ পেয়ে হেঁটে সীমান্ত প্রদেশে যেয়ে জেহাদে শরিক হয়েছিলো। তিতুমীরের জেহাদ, হাজী শরীয়তুল্লাহর ফরায়েজী আন্দোলন সম্বন্ধে আলোচনা করেই আমি পাকিস্তান আন্দোলনের ইতিহাস বলতাম। ভীষনভাবে হিন্দু বেনিয়া আর জমিদারদের আক্রমন করতাম। এর কারণও যথেষ্ট ছিল। একসাথে লেখাপড়া করতাম, একসাথে বল খেলতাম, একসাথে বেড়াতাম, বন্ধুত্ব ছিলো হিন্দুদের অনেকের সাথে । আমার বংশও খুব সম্মান পেত হিন্দু-মুসলমানদের কাছ থেকে। কিন্তু আমি যখন কোন হিন্দু বন্ধুর বাড়ী বেড়াতে যেতাম, আমাকে অনেক সময় তাদের ঘরের মধ্যে নিতে সাহস করতো না আমার সহপাঠীরা।



হিন্দু মহাজন ও জমিদারদের অত্যাচারেও বাংলার মুসলমানরা অতিষ্ট হয়ে উঠছিলো। তাই মুসলমানরা ইংরেজদের সাথে অসহযোগ করেছিলো। তাদের ভাষা শিখবেনা, তাদের চাকরি নেবে না, এইসকল করেই মুসলমানরা পিছিয়ে পড়ছিল। আর হিন্দুরা ইংরেজী শিক্ষা গ্রহন করে ইংরেজকে তোষামোদ করে অনেকটা উন্নতির দিকে অগ্রসর হয়েছিলো। যখন আবার হিন্দুরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলো তখন অনেকে ফাঁসীকাষ্ঠে ঝুলতে দ্বিধা করে নাই। জীবনভর কারাভোগ করেছে ইংরেজদের তাড়ানোর জন্যে। এই সময় যদি এই সকল নিঃস্বার্থ স্বাধীনতা সংগ্রামী ও ত্যাগী পুরুষরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পাশাপাশি হিন্দু ও মুসলমানদের মেলানোর চেষ্টা করতেন এবং মুসলমানদের উপর যে অত্যাচার হিন্দু জমিদার ও বেনিয়ারা করেছিলো, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেন তিক্ততা এতো বাড়ত না।



----------------------♣000♣000♣-----------------------------



অত্যন্ত সোজা সরল কথা... আমি প্রায়ই চিন্তা করি এই যে দ্বন্দ - এর শুরু আসলে কখন থেকে?

ইতিহাস ঘাঁটলে দেখি হরপ্পান জাতি প্রথম সিন্ধু নদীর তীরে বসতি গড়ে। তারপর নানান কাহিনী হয়ে পুরা ভারতবর্ষ প্রতিষ্ঠা... এখন হরপ্পানরা যতদূর জানা যায় পৌত্তলিক ছিলো।

তাই কেউ যদি বলে ভারতবর্ষ মুসলমানদের ছিলো আগ থেকেই সেটা ভুল। মুঘলদের আগমনের মাধ্যমে পরে ইসলাম এসেছে ভারতবর্ষে, কিন্তু অনেক পরিবর্তিত হয়ে। আমার ধারনা মুঘল সম্রাটরা নিজেদের প্রয়োজনে নিজস্ব রেওয়াজ প্রচলন করেছিলেন এবং শতকের পর শতক ধরে দুইটা জাতি পাশাপাশি থাকতে থাকতে কিছু রেওয়াজ মিশে গিয়েছিলো। যার কারণে ভারতবর্ষীয় ইসলামে ব্যক্তি প্রাধান্য অনেকটা পূজার দিকে চলে গিয়েছে। সাধুবাবা, পীর এবং মাজার সংস্কৃতির ব্যপারটা খেয়াল করলেই সেটা বুঝা যায়। কিন্তু এদিকের দুই ধর্মের মানুষেরই ধর্ম বিশ্বাস বড়ই চরমপন্থী। এটা কি নিজে নিজেই হয়ে গেলো নাকি কেউ নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্যে মানুষের মাঝে ভেদাভেদ সৃষ্টির জন্যে ধীরে ধীরে ঢুকিয়ে দিয়েছিলো সেটা চিন্তার বিষয়। কিন্তু যারাই ঢুকিয়ে থাক, পরবর্তীতে ইংরেজরাও এটা খুব সুন্দর ব্যবহার করেছে এই জাতির একতা ব্যহত করতে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.