![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাকিব শাহরিয়ার। যেহেতু পৃথিবীর বুকে নিজের অস্তিত্ব অনুভব করি সেহেতু আমি একজন মানুষ। তবে বিবেকের কাঠ গড়ায় দাড়ালে কতটা হতে পেরেছি তা বলতে পারি না। তবুও আমি একজন মানুষ বা মানুষ হওয়ার প্রত্যাশায় তপস্যা রত এক সত্তা বলে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিতেই বেশি সম্মান বোধ করি।
এই ব্যাপারটাতে বোধহয় তসলিমা নাসরিনও কখনো আলোকপাত করেন নাই।
আচ্ছা এই নারী স্বাধীনতার যুগে পুরুষকে কেন দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে? বউ কি বাজারের পণ্য যে কিনা নিতে হবে? মোহরানার ব্যাপারটাও পণ্য ব্র্যান্ডিং এর মতই। পণ্যের যেমন ব্র্যান্ড যত ভালো দাম তত বেশি তেমনি মেয়েদের বেলায়ও পারিবারিক আভিজাত্য ও শিক্ষাগত যোগ্যতা যত ভালো দেনমোহর ততবেশি। আর অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে প্রগতিবাদী মেয়েটাও এ ব্যাপারে কাঠ মোল্লা
তবে এই দেনমোহর এর barrier কে বাইপাস করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে প্রেম করে পালায়ে বিয়ে করা। ব্যাপারটা অনেকটা ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে আমদানি করা আইফোনের মতই । অরিজিনাল প্রোডাক্ট কিন্তু ননওয়ারেন্টি। সাবধানে হ্যান্ডেল করতে হবে কারন এই প্রোডাক্ট এর ওয়ারেন্টি নাই ঝামেলা লাগলে কেউ দায় দায়িত্ব নিব না। যাইহোক, এইসব আগর-বাগর কথাবার্তা আমার মূল উদ্দেশ্য না আমর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মেয়েদের বুঝায় দেয়া যে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা দেনমোহর এর নামে তাদের আজন্ম পণ্য করে রেখেছে। অতএব, "জাগো গো ভগিনী"। এসো দেনমোহর কে না বলি।
তাইলে সিস্টেম টা কি হবে? সিস্টেমটা হতে পারে "ক্ষতি পূরণ চুক্তি" মানে "Deed of Indemnity". আর এই চুক্তির শর্ত হবে পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে যদি চুক্তির কোন পক্ষ সংসার করতে করতে হাঁপিয়ে উঠে তো Indemnity Money পরিশোধ করে সাংসারিক ঝুট ঝামেলা থেকে মুক্তি নিতে পারে। আর এই আইন বলবৎ হলে ব্যাপারটা কতটা রোমান্টিক হবে ভাবছেন?
তখন বউরা সুর পাল্টিয়ে বলবে, শুধু Indemnity র টাকা দিতে পারবো না বলে তোমার সংসার করে যাচ্ছি। দাঁড়াও আর কয়দিন, চাকরির বেতনটা বাড়লে ঢিল মেরে টাকা কয়টা দিয়ে চলে যাব। নীকুচি করি এই সংসারের।
আর আপনি মুচকি হেসে বলবেন যাওনা কেন? গেলে তো কয়ডা টাকা পাই ।।
০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৬
সাকিব শাহরিয়ার বলেছেন: হুম তাই তো।।
২| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৮
রাখালছেলে বলেছেন: কথাটা প্রতি বছর নতুন করে ঘুরে ফিরে আসে । বাসে মেয়দের জন্য সীট বরাদ্দ, মেকাপের জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ মানে ফেয়ার এন্ড লাভলী না লাগালে চাকুরী পাওয়া অসম্ভব কতকিছুই না মেয়েদের জন্য কোটা করে দেয়া হয়েছে । এইসব সুবিধা তো কেউ ছেড়ে দিতে চায় না । তারপরও আমরা ছেলেরা বাসে মেয়েদের জন্য সীট ছেড়ে দেই, রাস্তাঘাটে যেকোন সমস্যায় মেয়েদের সমস্যাকে নিজের সমস্যা মনে করে এগিয়ে যাই,ঈদে নিজের জন্য কিছু না কিনে বউদের আব্দার রাখি । তারপরও কিছু হলেই কথা উঠে মেয়েরা সমাধিকার পায় না । হায়রে সেলুকাস কত বিচিত্র এই দেশ !
০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৮
সাকিব শাহরিয়ার বলেছেন: সত্যি সেলুকাস ভাই!
৩| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪৩
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: বাংলাদেশে যেভাবে দেনমোহর ঠিক করা হয় তা নারীদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক। দুই পক্ষের দর কষাকষি দেখলে গরুর হাটের কথা মনে পড়ে যায়। আমার বিয়েতেই পাত্রীপক্ষ দশ লাখ চেয়েছিল পরে অনেক তর্ক-বিতর্কের পর চার লাখে নামিয়ে আনি। অনেক সময় পাত্রী নিজের দর নিজেই ঠিক করে ফেলে, দশ লাখের নিচে বিয়েতে বসবেই না। সৌভাগ্যের বিষয় পাত্রের সামর্থ্য বিবেচনা না করে ধার্য করা এইসব দেনমোহরের অর্থ ডিভোর্স না হলে শোধ করতে হয় না।
০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২০
সাকিব শাহরিয়ার বলেছেন: সেটাও কিন্তু ভয়ের বিষয়। কারন ইদানিং ডিভোর্সের হার খুবই বেশি।
৪| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৪৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ধর্মে মানলে দেনমোহর দিতে হবে। ফুল স্টপ...
০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৩
সাকিব শাহরিয়ার বলেছেন: আপনি আমার লেখার মর্মার্থ বুঝতে ব্যার্থ। তাই আমিও ফুল স্পট
৫| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: রাতে ঘুম আসে?
না মানে এমন অদ্ভুত চিন্তা আসে মাথায়।
০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৭
সাকিব শাহরিয়ার বলেছেন: অদ্ভুত চিন্তা আসলে করেন সমস্যা কি??
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৩
সনেট কবি বলেছেন: নারী কেন পুরুষের দান গ্রহণ করবে?