নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Specialist Quality Control Department at JSC Elektrosevkavmontazh, Krasnodar, Russia. Branch office in Peoples Republic of Bangladesh. Rooppur Nuclear Power Plant, Ishwardi, Pabna, Bangladesh.

সেলিম আহমেদ পাভেল

Specialist Quality Control Department at JSC Elektrosevkavmontazh Krasnodar Russia Branch office in Peoples Republic of Bangladesh Rooppur Nuclear Power PlantIshwardiPabnaBangladesh

সেলিম আহমেদ পাভেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাজার কোটি টাকার মূল্যবান খনিজ পদার্থ পাচার হয়ে যাচ্ছিল চীনে!

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

হাজার কোটি টাকার মূল্যবান খনিজ পদার্থ পাচার হয়ে যাচ্ছিল চীনে!

পাহলোয়ান এরশাদ
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি”
রবি ঠাকুরের এই কবিতা ও আমাদের জাতীয় সঙ্গীত
অথবা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর
“ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি
আমার দেশের মাটি”
এই দুটি কবিতা শুধুই কবিতা বললে ভুল হবে ।এই কবিতা গুলো বিজ্ঞান বা দর্শনের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী।কবি বা সাহিত্যিকদের চিন্তাশক্তি বিজ্ঞানীদের চেয়েও বেশি এই কারণে তারা লক্ষ লক্ষ মানব হৃদয়ে স্থান করে নেয়। আমাদের এই ভুখন্ড তলাবিহিন ঝুরি নয় বরং খনিজ সম্পদের ভান্ডার। এই দেশের প্রতিটি ইনচি মাটি দামী খনিজ সম্পদে ভরপুর। হিমালয় থেকে আসা সমস্ত খনিজ সম্পদের আধার এই দেশ।

পর্য়ায় সারণির ১৭টি মৌলকে বলা হয় রেয়ার আর্থ মৌল এর মধ্যে ল্যান্থানাইড গ্রুপের ১৫টি ও স্কায়ন্ডিয়াম ও ইট্রিয়াম এই দুটি। এই সব মৌলগুলি প্রকৃতিতে যৌগ আকারে পাওয়া যায়, যার সবগুলি বাংলাদেশের বালিতে পাওয়া যায়। এই সব রেয়ার আর্থ মৌল ব্যাবহার করা হয় কম্পিউটার মেমরি, ডিভিডি, ব্যাটারী, সেল ফোন, অনুঘটকের কনভার্টার, চুম্বক, প্রতিপ্রভ আলোর এবং আরো অনেক যন্ত্রে৷ এছাড়াও সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন সমরাস্ত্রে ও রাতে-ভিশন গগলস, স্পষ্টতা গাইডসহ অস্ত্র, যোগাযোগ সরঞ্জাম, জিপিএস সরঞ্জাম, ব্যাটারি এবং অন্যান্য ডিফেন্স ইলেক্ট্রনিক্স এই গুরুত্বপুর্ন্য মৌল ব্যাবহার করা হয়৷ সারা বিশ্বের এই সব মৌল সবচেয়ে বেশি ব্যাবহার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। আর এইসব মৌলের সর্ব্বোর্চ উত্তোলনকারী দেশ চীন, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ এই সময়ের মধ্যে তারা বেশিভাগ রেয়ার আর্থ মৌলই উত্তোলন করেছে যার কারণে তারা এখন রাপ্তানি করা বন্ধ করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে চীন জামবিয়ার বালুবা খনি কিনেছে। ঢাকা,রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বাবিদ্যালয়ের ভুতত্ত্ব বিভাগের সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলী ও ছাত্রদের গবেষণালব্ধ তথ্য বলছে এই দেশের প্রতিটি ধূলিকণাই মুল্যবান খনিজ কনা। ঢাকা,রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বাবিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের দীর্ঘদিনের গবেষণার ফলাফল যা দেশী-বিদেশী জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধের আলোকে মূল্যবান সম্পদ একশ্রেণী অসাধু ব্যাবসায়ী বিদেশে পাচার করে দিচছে।

এরই মধ্যে গত ২২ অক্টোবর ৪৫০ মেট্টিক টন ওজনের ১৭ কন্টেইনার মূল্যবান খনিজ টিটেনিয়াম ও ইলমেনাইট স্যান্ড আটকে দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। চীনে রপ্তানিকালে চট্টগ্রাম বন্দরে এসব কন্টেইনার আটকে দেয়া হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া বিধি বহির্ভূতভাবে এসব কন্টেইনারে বালু রপ্তানি করা হচ্ছিল বলে চালানটি আটকে দেয়ার কথা জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ঢাকার মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদী হাউজিং লি. এর হাউজ ২৭/এ ঠিকানার জেড. এম. ইন্টারন্যাশনাল এই কন্টেইনারগুলোর রপ্তানিকারক। চট্টগ্রামের ফকিরহাট রোডের এম কিউ প্লাজার চ্যালেঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েট নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট কন্টেইনারগুলো চীনের চ্যাংদু হেইপিঞ্জ সাউদার্ন এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কোং লি. এর কাছে রপ্তানির দায়িত্বে নিয়োজিত। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রপ্তানিকালে গত ২২ অক্টোবর কন্টেনারগুলো আটকে দেয় চট্টগ্রাম কাস্টমস। প্রতি কন্টেনারে প্রায় ২৬ মেট্রিকটন করে মোট ৪৫০ মেট্রিকটন বালু রয়েছে ১৭ কন্টেনারে। আটক করা এই বালুর রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২২ হাজার ৫০০ ডলার। টাকার হিসেবে দাঁড়ায় ১৮ লাখ।এদিকে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্পগবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) থেকে জানা গেছে, এ ধরনের প্রতি এক হাজার কেজি বালিতে ছয় কেজি ইলমেনাইট পাওয়া যায়। আর এ পরিমাণ ইলমেনাইট থেকে পাওয়া যায় দুই কেজি ৪০০ গ্রাম টিটেনিয়াম। প্রতি কেজি টিটেনিয়ামের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য ১৯ হাজার ৫০০ থেকে ২২ হাজার ডলার। আটক প্রায় সাড়ে চার লাখ কেজি বালুর সবগুলো যদি কালাবালু হয়ে থাকে তাহলে তাতে বড় অংকের টাকার টিটেনিয়াম পাওয়া যাবে। বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের মতে, পৃথিবীর দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ উপকূলীয় এলাকায় খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ বালুর ১৭টি পয়েন্ট রয়েছে। এগুলোর মধ্যে, শাহপরীর দ্বীপ, বদর মোকাম, টেকনাফ, সাবরাং, ইনানী, কলাতলী, শীলখালী, কুতুবজোম, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, ফকিরাহাট পয়েন্ট অন্যতম। এসব পয়েন্টের বালিতে ইলমেনাইট, জিরকন, ম্যাগনেটাইট, গার্নেট, রিউটাইল, লিওকনিক্স, কায়ানাইট, মোনাজাইটেথসহ আটটি খনিজ পদার্থ রয়েছে। কক্সবাজার সৈকত ও ব্রহ্মপুত্র নদ এলাকার বালিতে কমপক্ষে ২০ লাখ টন খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ বালু রয়েছে। এর মধ্যে জিরকন রয়েছে এক লাখ ৫৮ হাজার ১১৭ টন, রিউটাইল ৭৪ হাজার ২৭৪ টন, গার্মেট দুই লাখ ২২ হাজার ৭৬১ টন, ম্যাগনেটাইট ৮০ হাজার ৫৯৯ টন, মোনাজাইট ১৭ হাজার ৩৫২ টন, ইলমেনাইট ১০ লাখ টনসহ অন্যান্য খনিজ পদার্থ। মহামূল্যবান হিসেবে এসব খনিজ বালু বিবেচিত। জিরকন ব্যবহৃত হয় রাসায়নিক বিকিরণের উপাদান হিসেবে। মরিচা প্রতিরোধেও জিরকন ব্যবহার করা হয়। আর মোনাজাইট থেকে যে সেরিয়াম পাওয়া যায়, তা দিয়ে কালার টেলিভিশনের পিকচার টিউব ক্যাথডরে ও ক্যামেরার লেন্সের কোটিং হিসেবে কাজে লাগানো হয়। এ ধরনের খনিজ পদার্থ পরমাণু প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানায় ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। এসব খনিজের মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান, গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্ববাজারে ব্যাপক চাহিদাসম্পন্ন হচ্ছে টিটেনিয়াম, যা পাওয়া যায় ইলমেনাইট খনিজ পদার্থ থেকে। আর এ খনিজ পদার্থটি আমাদের সৈকত, উপকূল আর ব্রহ্মপুত্রের প্রবেশমুখ এলাকার বালিতে সর্বোচ্চ পরিমাণে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উড়োজাহাজ শিল্পের প্র্রধান কাঁচামাল হিসেবে টিটেনিয়াম ব্যবহার করা হয়। উন্নতমানের রং তৈরিতে বিশেষ করে রঙের দীর্ঘস্থায়িত্বের জন্য টিটেনিয়াম ব্যবহার অপরিহার্য।[1]

এর আগে বিশ্বের প্রভাশালী দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সরকার কে সতর্ক করে দিয়েছিল এই দেশের অপরিশোধিত ইউরেনিয়াম আরেকটি পরামানু শক্তিধর দেশ পাচার করে নিয়ে যাচছে। আমাদের দেশের ইউরেনিয়ামের অনেক নমুনা এখন বিশ্বের একটি শক্তিশালী বিশ্ববিদ্যলয়ের গবেষণাগারে বিশ্লেষণ করা হচছে। এই দেশ থেকে কিভাবে ঐ নমুনা সেখানে গেল? রাষ্ট্র কি এর জবাব দিতে পারবে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্থান আছে যেখান থেকে আপনি একটি ধূলিকণাও সংগ্রহ করতে পারেবন না। আমাদের খনিজ সমৃদ্ধ স্থান গুলোকে নো ম্যন্স ল্যন্ড ঘোষণা করা উচিত এবং সেই সাথে বিদেশ থেকে আগত ব্যাক্তির উপর গভীর নজরদারি স্থাপন করা প্রয়োজন।

সারা বিশ্বে এই সম্পদের পরিমান দ্রুত বেগে হ্রাস পাচ্ছে, আগামি ১৫-২০ বছর পর এই সম্পদের মুল্য কয়েকশ গুন বৃদ্ধি পাবে তখন আমরা সারা পৃথিবীর ইলেক্ট্রনিকস পন্যের বাজার দখল করতে পারব সেই সাথে বাংলাদেশ পরিণত হবে প্রযুক্তি মোঘলে। সারাবিশ্বের বাজার দখল করতে হলে এখন থেকে সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। সারা বাংলাদেশে শত শত তরুণ ভুতত্ত্ববিদ আছে যাদের সহায়তা নিলে সরকার সস্তায় এই সব মুল্যবান সম্পদের খনি আবিষ্কার করতে পারবে। প্রয়োজন হলে আমরা বিনাপারিশ্রমিকেই সরকার কে সহযোগিতা করতে রাজি আছি তবুও দেশের একটুকরো মাটি পাচার হতে দিতে চাই না। ১৬ কোটি মানুষের এই দেশ কে আর কারও বোঝা হবে না বা আর কারও চোখ রাঙ্গানি দেখতে হবে না। আমরাই হব আগামী বিশ্বের সম্পদশালি রাষ্ট্র।

……..এক অসহায় ভূতত্ত্ববিদ
ফেইসবুকে আমি https://www.facebook.com/ershad.pahlowan

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.