নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Specialist Quality Control Department at JSC Elektrosevkavmontazh, Krasnodar, Russia. Branch office in Peoples Republic of Bangladesh. Rooppur Nuclear Power Plant, Ishwardi, Pabna, Bangladesh.

সেলিম আহমেদ পাভেল

Specialist Quality Control Department at JSC Elektrosevkavmontazh Krasnodar Russia Branch office in Peoples Republic of Bangladesh Rooppur Nuclear Power PlantIshwardiPabnaBangladesh

সেলিম আহমেদ পাভেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জ্বালানি নিরাপত্তা ও বাংলাদেশ

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:১৫

জ্বালানি নিরাপত্তা ও বাংলাদেশ - নসরুল হামিদ
BANGLADESH AWAMI LEAGUE·SATURDAY, JANUARY 9, 2016
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে, অ্যাডমিরাল্টির ফার্স্ট লর্ড উইনস্টন চার্চিলের একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত নেন ব্রিটিশ নৌবাহিনীর জাহাজের শক্তির উৎস কয়লা থেকে তেলে রূপান্তর করা। তেলশক্তিতে চালিত ব্রিটিশ জাহাজ প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জার্মানদের থেকে দ্রুত ছিল; কিন্তু কয়লা, যা ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে বিশাল পরিমাণে পাওয়া যেত, তা ব্যবহার না করে তেল, যা শুধু পারস্যে পাওয়া যেত, তা ব্যবহার করা একটা জাতীয় কৌশল একটি প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। চার্চিলের উত্তর? ‘তেলের নিরাপত্তা এবং নিশ্চয়তা কেবল, এবং কেবলমাত্র জ্বালানির উৎসের বৈচিত্র্যের কারণে।’
উন্নত বিশ্বের অনেক দেশ তাদের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য বহু বছর ধরে কাজ করছে। আমেরিকার টেক্সাস ও আলাস্কায় এই তেলের বিশাল ভাণ্ডার থাকা সত্ত্বেও তারা তেলের জন্য মেক্সিকো, কানাডা, ভেনেজুয়েলা এবং অন্যান্য ওপেক দেশের ওপর নির্ভর করে। গত ইউরোপ চলে রাশিয়ান প্রাকৃতিক গ্যাসে। জার্মানি বিশ্বে শীর্ষ স্থান নিয়েছে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে। ১৯৭৩ সালে আরব দেশগুলো জ্বালানি তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি আড়াই মার্কিন ডলার বেড়ে ১২-১৪ ডলারে উন্নীত হয়। এ সময় উন্নত দেশগুলো বিকল্প জ্বালানি অনুসন্ধান শুরু করে। পরবর্তী সমাধান হিসেবে নিউক্লিয়ার শক্তি আহরণ করা শুরু হয়।
স্বাধীনতার পর আমরা জ্বালানির জন্য তেলের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। খাদ্যশস্যের পর জ্বালানি তেল ছিল বাংলাদেশের মূল আমদানি। আমাদের মোট আমদানি বাজেটের অধিকাংশই চলে যাচ্ছিল এটি আমদানিতে। এর আগ পর্যন্ত দেশে স্থানীয়ভাবে গ্যাসের কদর ছিল না। এরপর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে গ্যাসসম্পদ ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে ওঠে। সত্তরের দশকের শেষ দিক থেকে আশির দশক পর্যন্ত ব্যাপক হারে গ্যাস ব্যবহার বাড়ে। ১৯৮৫ সালের পর থেকে আমাদের প্রাথমিক জ্বালানি আমাদের দেশি প্রাকৃতিক গ্যাস।
পেট্রোবাংলার করা শেষ জরিপে বলা হয়, দেশে আবিষ্কৃত গ্যাস মজুদের পরিমাণ ২০ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। এর মধ্যে ব্যবহার হয়েছে, ১২ দশমিক ৪১ টিসিএফ। বর্তমানে মজুদ রয়েছে ৮ দশমিক ২৩ টিসিএফ গ্যাস। দেশে প্রতিবছর গড়ে প্রায় এক টিসিএফ করে গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে। আমাদের বেশ কিছু কয়লা মজুদ আছে, প্রায় ৩ হাজার ৩০০ মিলিয়ন টন উন্নতমানের কয়লা। কিন্তু বড়পুকুরিয়া বাদে বাকি কয়লা খনিগুলোতে বাণিজ্যিক উত্তোলন এখনই সম্ভব নয়। বাংলাদেশ তেলের জন্য ইম্পোর্টের ওপর নির্ভরশীল। ২০১৬ সালে মোট ২৪ লাখ ৬০ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল (গ্যাস অয়েল) আমদানি করবে বাংলাদেশ। আগামী বছরের প্রথম অর্ধবার্ষিকে কম খরচে জ্বালানি আমদানি করতে এরই মধ্যে ১৪টি কোম্পানির সাথে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন। বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই। নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশের জ্বালানিনীতি অনুযায়ী শুধু এক প্রকার প্রাথমিক জ্বালানি ব্যবহার করা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য সংকট তৈরি করতে পারে। কিন্তু তৎকালীন সরকারের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে আমরা জ্বালানি বৈচিত্র্যের দিকে আগাতে পারিনি। ২০১০ সালে জাইকার সহায়তায় আমরা পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি সেক্টর মাস্টার প্লান তৈরি করি, তার মাধ্যমে আমরা আমাদের জ্বালানি বৈচিত্র্যের দিকে যাত্রা শুরু করি।
ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের জন্য ৫০ শতাংশ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ২৫ শতাংশ গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ নিউক্লিয়ার ও অন্যান্য সূত্র থেকে আহরণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য প্রধান শক্তির উৎসগুলো নিশ্চিত করার জন্য আমরা একটি সমন্নিত জাতীয় কৌশল প্রণয়ন করি। এই কৌশলের আওতায় সরকারের কিছু পদক্ষেপের কথা আলোচনা করি।
প্রথমে গ্যাসের কোথায় আশা যাক। আবাসিকে ১২ শতাংশ, সিএনজিতে ৬ শতাংশ এবং ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৭ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত এবং শিল্প খাতে দেশজ প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারে আমাদের আরও সাবধানী হতে হবে। আমাদের নিজস্ব প্রাকৃতিক সম্পদের বাইরে আমাদের গ্যাসভিত্তিক অন্য জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে।
* ভবিষ্যতে গ্যাসের বিকল্প হবে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস)। এজন্য মহেশখালী ও খুলনায় দুটি এলএনজি টার্মিনাল করা হচ্ছে। সিএনজির বদলে এলএনজি দেওয়া হবে গাড়িতে।
* সেই সাথে সরকার আবাসিক খাতে এলপিজি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
* বসতবাড়ির জ্বালানি হিসেবে পাইপলাইন গ্যাসের বদলে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারের প্রচলন বাড়ানো হবে। এলপিজি সিলিন্ডার যেন সকলের সামর্থ্যরে নাগালে থাকে, তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা চলছে।
* সরকার দেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় রোধে ২২.৮০ লাখ প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপনেরও একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া সরকার ২০১৮ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে এলপিজি সুবিধা প্রদানে আরও একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। আমাদের দেশজ গ্যাসের উদঘাটন এবং উত্তোলনের জন্য সরকার কাজ করছে।
* সমুদ্রসীমায় গ্যাস অনুসন্ধানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা নিয়ে যে বিরোধ ছিল তা মীমাংসা হয়ে যাওয়ার ফলে এ সুযোগ আরও বেড়েছে। দেশি এবং বিদেশি অনুসন্ধান প্রকল্পের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি চালানো হচ্ছে।
* বাপেক্সকে আন্তর্জাতিকমানের একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে বাপেক্স দেশি গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারবে।
* বর্তমান পাওয়ার প্লান্টগুলোতে উৎপাদনক্ষমতা এবং সর্বোচ্চ উৎপাদন এর মধ্যে পার্থক্য কমাতে হবে। এই লক্ষে আমরা জাতীয় গ্রিডের দক্ষতা নির্ণয় করার জন্য একটি প্রকল্প নিয়েছি।
বাংলাদেশ এখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দিকে ঝুঁকছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। সরকারিভাবে ১৩টি বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন অথবা প্রস্তাবনার পর্যায়ে রয়েছে। এগুলোর মোট উৎপাদন ক্ষমতা হচ্ছে, প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট। বর্তমানে চীনের মোট বিদ্যুতের উৎপাদনের ৭৯ শতাংশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৪৫ এবং ভারতে ৬৮ শতাংশ আসে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। বেসরকারি মালিকানায় ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এগুলোর মোট উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে, ৪ হাজার ২৫৪ মেগাওয়াট। সরকারি-বেসরকারি মিলে সাড়ে ১৯ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এসব কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বছরে প্রায় ৪৪ মিলিয়ন টন কয়লার প্রয়োজন হবে। এর অধিকাংশই আসবে ইম্পোর্ট থেকে। কয়লাকে প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে স্থাপন করার ক্ষেত্রে কিছু বিতর্ক আছে। মূল বিতর্ক হলো পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে।
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্গমন অবশ্যই একটা মাথাব্যথার কারণ। বিদ্যুৎকেন্দ্রর নির্গমন ও বায়ুদূষণের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। তাই আমরা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আল্ট্রা ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করছি, যা নির্গমনকে প্রায় শূন্যের কাছাকাছি নিয়ে যায়। সরকারি এজেন্ডায় পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। বাংলাদেশের রক্ষাকবজ সুন্দরবনের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা এবং দেশের মানুষের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করার জন্য সম্ভাব্য সর্বোত্তম সমাধান রামপালে গ্রহণ করা হয়েছে। পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান ২০১০-এ বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনায় কয়লাকে মূল জ্বালানি হিসেবে বিবেচনা করে ২০৩০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ২০ হাজার মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। স্থানীয় কয়লা উৎপাদনের জটিলতা, মজুদের সীমাবদ্ধতা ও আমদানিকৃত কয়লার বর্তমান সহনীয় বাজার মূল্য বিবেচনা করে সরকার আপাতত আমদানিকৃত কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বল্প মূল্য, কম মূল্য সংবেদনশীলতা ও সহজলভ্য হওয়ার কারণে দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানিনীতির জন্য কয়লার বিকল্প নেই।
এবার আশা যাক খনিজ তেলের বিষয়ে। বাংলাদেশের প্রথম প্রাথমিক জ্বালানি খনিজ তেলের মজুদ আমাদের দেশে নেই। আমরা আমাদের পুরো খনিজ তেলের চাহিদা আমদানির মাধ্যমে পূরণ করে থাকি। কিন্তু এখানেও আমাদের বেশ কিছু কাজ করার সুযোগ রয়েছে, যার লক্ষ্যে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
* দেশের প্রধান রিফাইনারি ইস্টার্নের সেকেন্ড ইউনিটের কাজ চলছে। এর মাধ্যমে আমাদের অপরিশোধিত তেল শোধন বছরে ১.৫ মিলিয়ন থেকে ৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন হবে। দেশের তেলজাত দ্রব্যের ৮০ শতাংশ চাহিদা ইস্টার্নই পূরণ করতে পারবে।
* ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বছরে ২৪ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
* সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং প্রজেক্ট তৈরি করা হবে।
* ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পেট্রোলিয়াম নির্বিঘ্নে পরিবহনের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে ২৫০ কিলোমিটার জ্বালানি পাইপলাইন স্থাপনে অন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
* এ ছাড়াও তেল আমদানির ক্ষেত্রে বিকল্প ফাইনান্সের উপায় দেখা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বিপিসি সহজে ও প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে তেল আমদানি করতে পারবে।
ইডকলের হিসাব অনুসারে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখ সোলার হোম সিস্টেমের ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে, যার মোট উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ১৩০ মেগাওয়াট। এর ব্যবহারকারীরা প্রায় সবাই প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দা। যেখানে গ্রিড শক্তি পৌঁছ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, আমরা সেখানে সোলার হোমের ব্যবস্থা করেছি। এ ছাড়াও বাণিজ্যিকভাবে সোলার পাওয়ার গ্রিডই যোগ করার বেশ কিছু প্রজেক্ট আমরা হাতে নিয়েছি। বাতাস থেকে বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও আমরা অগ্রগতি লাভ করেছি। দেশের সার্বিক স্পিড ম্যাপিং করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারী এই খাতে আগ্রহী হবে।
বাংলাদেশ পাবনার রূপপুরে রাশিয়ার করিগরি সহায়তায় দুটো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু করেছে, যার প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১০০০ মেগাওয়াট। এই দুটি কেন্দ্র থেকে ২০২০ সাল নাগাদ জাতীয় গ্রিডে ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। উপরন্তু, বাংলাদেশ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য জাপানের সহায়তার জন্য ইতোমধ্যেই সরকার আলোচনা শুরু করেছে। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছি আমরা। ঢাকা চিটাগাংয়ের মতো বড় শহরে মিউনিসিপালটির সাথে আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ করতে পারি। নবায়নযোগ্য খাতে বিদ্যুতের দাম বেশি হবে বলে আমাদের হাত গুটিয়ে বসে থাকার সুযোগ নেই। জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ, আমাদের নিজেদেরই সতর্ক হতে হবে। আমরা পারব, আমাদের সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদের সাথে আমাদের উদ্ভাবনশীলতা ও প্রতিভা ব্যবহার করে আগামীর জন্য একটি জ্বালানি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার।
Courtesy: uttarannews.net

https://www.facebook.com/notes/bangladesh-awami-league/জ্বালানি-নিরাপত্তা-ও-বাংলাদেশ-নসরুল-হামিদ/442224715967392

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.