নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা বড়ই উদাস, কই যে যাই কি যে করি..

সামদ

আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে... বৈশাখ মাসে তার হাটু জল থাকে

সামদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাস্তুহারা খালেদা জিয়ার ২০০৭ সালের সম্পদের পরিমান (উনার সম্পত্তির বিবরণী থেকে)

১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩৪





আজকে খালেদা জিয়া নিজেকে বাস্তুহারা দাবি করলেন। দেখিতো একজন বাস্তুহারা(!) মানুষের কত সাদা টাকা আছে আসলে। কালো টাকার কথা না হয় আপাতত নাই বললাম।





২০০৭ সালের ৭ই আগষ্ট খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী এডভোকেট আহমেদ আযম খান দুদক সচিব মো. মোখলেস-উর-রহমানের কাছে সম্পত্তির হিসাবের বিবরণী দাখিল করেন। দৈনিক ইত্তেফাক ৭ই আগস্ট, ২০০৭ সালে "খালেদা জিয়ার দুটি বাড়িসহ ৪ কোটি টাকার সম্পদ" শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করে। সেদিনের অন্যান্য পত্রিকা থেকেও জানা যায় যে খালেদা জিয়া ১ কোটি ৩২ লাখ কালো টাকা সাদা করেছেন যেটা একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার জন্য মোটেও সন্মানের নয়। আজকের পোষ্ট সেখবর গুলোকে ভিত্তি করেই। পোষ্টের শেষে সূত্রগুলো উল্লেখ করা হল।



সম্পদের বিবরণী অনুযায়ী জানা যায় -



১. খালেদা জিয়ার নামে রাজধানী ও সাভারে দুটি বাড়ি ও দুটি জমি রয়েছে।



দুটি বাড়ি ও জমির মূল্য তিনি দেখিয়েছেন ১২ হাজার ৪ শ’ টাকা। কিন্তু এ দুটি বাড়ির প্রকৃত মূল্য প্রায় ৮০ কোটি টাকা বলে জানা গেছে।



ক. ক্যান্টনমেন্টের ৬, শহীদ মইনুল রোডে ২ দশমিক ৭২ একর জমির ওপর একটি বাড়ি। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টের বাড়িটি ১০১ টাকায় পেয়েছেন।



খ.গুলশানে এক বিঘা ১০ কাঠা ১১ ছটাক জমির ওপর আর একটি

বাড়ি।গুলশানে দেড় বিঘা জমিসহ বাড়িটির জন্য সরকারকে দিয়েছেন ১০১

টাকা।এ দুটি বাড়ির প্রকৃত মূল্য প্রায় ৮০ কোটি টাকা বলে জানা গেছে।



গ. সাভারের রাজফুলবাড়িয়ায় ১০ কাঠার একখণ্ড জমি ও উত্তরখানে ৮

শতাংশ জমি রয়েছে। ১৯৭০ সালে জিয়াউর রহমান ৯ হাজার টাকা দিয়ে

সাভারের জমিটি এবং ৩ হাজার ৩ শ’ টাকা দিয়ে উত্তরখানের জমিটি

কিনেছিলেন।



২.তার নিজ নামে অগ্রণী ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকে ১১টি ফিক্সড ডিপোজিট (এফডিআর) ও ২টি স্থায়ী আমানত রয়েছে।



১১টি এফডিআরে লাভসহ তিনি এক কোটি ৬৫ লাখ ১৫ হাজার ১০৫ টাকা, ৮টি ব্যাংক স্থিতি ও সঞ্চয়পত্রে দেখিয়েছেন এক কোটি ৮৯ লাখ ৪২ হাজার ৯৭৯ টাকা।



৩. তার নামে চারটি গাড়ি রয়েছে।



ক. এর মধ্যে একটি নিশান পেট্রোল গাড়ির দাম ২২ লাখ ২৪ হাজার এবং দু’টি টয়োটার দাম ২৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। টয়োটা ১৩০০ সিসি গাড়িটি ১৯৯৫ সালে এমপি কোটায় কিনেছিলেন



খ. ১৯৯০ সালে দু’টি টয়োটা জিপ ও নিশান জিপ ১৯৯১ সালের নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য কিনেছিলেন।



৪.মইনুল সড়কের বাসায় পাঁচটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র রয়েছে



যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা। এছাড়া আরো ৫টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, ৭ সেট সোফা, ২০টি ল্যাম্প, একটি খাট, ৩টি কার্পেট, ৩টি টিভি, ৫০ তোলা স্বর্ণেরও হিসাব দেখিয়েছেন। এছাড়া তিনি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঋণী রয়েছেন।



আযম খান আরো জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার কার্যক্রমের সুযোগ নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এক কোটি ৩৩ লাখ টাকার জন্য ৩৩ লাখ ৩৭ হাজার ২৫ টাকা আয়কর দিয়েছেন।



জিয়াউর রহমানের জীবদ্দশায় অর্জিত সম্পদ



সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জীবদ্দশায় যেসব সম্পত্তি রেখে গেছেন, তারও একটি হিসাবের বিবরণী দাখিল করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, সাভারের রাজফুলবাড়িয়ায় ১০ কাঠা জমি, যার মূল্য ৯ হাজার টাকা। বঙ্গভবন সংলগ্ন জনতা ব্যাংকে ২ হাজার ৩৫৯ টাকা এবং বেগম খালেদা জিয়ার নামে একই ব্যাংকে ৫০ হাজার টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করেছিলেন।



কালো টাকা সাদা করেছেন খালেদা জিয়া ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান!!



সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অপ্রদর্শিত আয়ের আবেদন গ্রহণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সোমবার কর অঞ্চল-২ এর ২১ নং সার্কেল অফিসে গিয়ে এনবিআর নির্দেশিত ফরমে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার আবেদন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী এডভোকেট আহমেদ আজম খান। সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিস তা গ্রহণ করে। উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১ কোটি ৩২ লাখ টাকার সমপরিমাণ অপ্রদর্শিত আয়ের বিপরীতে প্রায় ৩৪ লাখ টাকার আয়কর প্রদানের আবেদন করেন। কিন্তু নির্ধারিত ফরমে এই আবেদন না করায় এনবিআর তা গ্রহণ করেনি। এনবিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হবে।



সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট শিমুল বিশ্বাস বলেছেন, এনবিআরের সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেই আবেদন করা হয়েছে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অপ্রদর্শিত আয়ের আবেদন সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিস গ্রহণ করেছে।



অন্যদিকে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান যথাযথ নিয়ম মেনে জরিমানাসহ আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ায় তার অঘোষিত আয় বৈধ করেছে এনবিআর। গত ৩১ জুলাই কর অঞ্চল-৮ এ সাবেক অর্থমন্ত্রী তার অপ্রদর্শিত আয়ের বিপরীতে প্রায় ৩১ লাখ টাকা আয়কর প্রদান করেন



--------------------



পোষ্টের অন্যান্য সূত্র



১. Khaleda avails NBR amnesty (ডেইলী স্টার - ১/৮/২০০৭)



২. Khaleda's properties worth Tk 3.54cr (ডেইলী স্টার - ৭/৮/২০০৭)



৩. Khaleda owns Tk 3.54cr in bank accounts ( নিউ ঈজ - ৭/৮/২০০৭)



৪. Khaleda pays Tk 33 lakh tax ( নিউ এইজ - ১/৮/২০০৭)



৫. খালেদা জিয়ার অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার আবেদন গ্রহণ

(দৈনিক সমকাল- ৭/৮/২০০৭)



৬. খালেদা-সাইফুর ৬৪ লাখ টাকা কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করেছেন

( সমকাল- ১/৮/২০০৭)



বি. দ্র. : এটি একটি রিপোষ্ট।

মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +১৮/-১৪

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪৩

বিডি আইডল বলেছেন: বাস্তুহারা শব্দের বাংলা তাহলে গরীব?

১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০৪

সামদ বলেছেন: আচ্ছা ঐ শব্দের ব্যবহার পরিবর্তন করে দিচ্ছি।

খালেদা জিয়া কালো টাকা যে সাদা করলেন সেটা নিয়া কোন বক্তব্য আছে কি?

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪৬

""ফয়সল অভি "" বলেছেন: বৈদেশিক ব্যাংকে জমা অপ্রদর্শিত টাকার কথা বাদ গেছে-দুর্নীতির এতো এতো টাকা কোথায় গেলো?? তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে কি পরিমার্ণ আছে তা হয়ত তারা নিজেরাও জানে না


১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৭

সামদ বলেছেন:
বিদেশে রাখা টাকা দিয়েই তো তারেক ও কোকো এখন মৌজফূর্তি করছে। এজন্যই সাধারন লোকজন তারেক চুরা ও তার ভাইকে দুর্নীতির রাজপুত্রদ্বয় হিসাবেই জানে। এখন এদের(চোর সমর্থক ব্লগারদের) চোখ খুলবে কবে কে জানে। চোখের সামনে সব দেখেও বিশ্বাস করবে না।তারেক জিয়ার মত বাংলাদেশে কয়জন মানুষ আছে যার শুধু বিদেশী ব্যাংকেই দুই হাজার কোটিরও বেশি টাকার খবর পাওয়া যায়?

রিলেটেড পোষ্ট:

সম্রাট তারেক রহমানের লন্ডন জীবন: ১- আলমগীর হাসনাইন

সম্রাট তারেক রহমানের লন্ডন জীবন: ২ - আলমগীর হাসনাইন

দুর্নীতির রাজপুত্র

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪৬

বাংলাদেশী পোলা বলেছেন:
বাস্তুহারা শব্দের বাংলা অর্থ না জাইনা ফাইভ পাশ করছো কেমতে.......??

১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৫

সামদ বলেছেন:
হে হে.... বড়ই আমোদ পাইলাম। এই বাড়ি ১ টাকায় কিনতে চাই। বাস্তুহারা শব্দের বাংলা মানে জানলে কিনতে পারব কি?







৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪৭

উদাসীফাহিম বলেছেন: বাস্তুহারা মানে বুঝ?

১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৮

সামদ বলেছেন:
বস খালেদা জিয়ার নিচের বাড়ির মত একটা বাড়ি ১ টাকায় দামে দেখে দিতে পারবেন?





৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫২

দ্বীপ রয় বলেছেন: উনাকে বাস্তুহারা কমিটির চেয়ারম্যান ঘোষনা করা হউক!! আমার অত টাকা ও সম্পদ নেই-তাই আমি বাস্তুহারা নই!!!!

১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১১

সামদ বলেছেন:
হে হে...

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৩

প্রলেতারিয়েত বলেছেন: বাই দ্যা ওয়ে, ডিড আই ফরগেট টু সেই দ্যাট আই গেভ অ্যা সুলেমানি মাইনাস ইন আর্মি-কর্পোরেট-বাকশাল পোস্ট?

১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১০

সামদ বলেছেন: মাইনাস উপহারের জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য আমার উপহার তারেক চোট্টাকে নিয়ে একটি ছোট খবর। :)



দৈনিক যুগান্তর (২৭/৩/২০০৭)
তারেক-মামুন দু’বন্ধুর ব্যবসা আর দুর্নীতি চলেছে সমানতালে


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার গিয়াসউদ্দিন আল মামুন। দু’বন্ধু ব্যবসায় যেমন ছিলেন অংশীদার, তেমনি দুর্নীতিতে। মামুনের দেয়া তথ্যে দুর্নীতির বরপুত্রদের হাজার হাজার কোটি টাকার হিসাববহির্ভূত ধনসম্পদ ও রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্বসাতের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও দুদক। তারেক রহমান ও মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক মামলার প্রস্ততি চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

মামুনের নামে-বেনামে গড়ে তোলা বিপুল সম্পদ ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে সংরক্ষিত হাজার হাজার কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, তারেক ও মামুন প্রভাব বিস্তার করে ছোট-বড় মিলে ৫০টির মতো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং নামসর্বস্ব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে গত ৫ বছরে সব ধরনের ব্যবসা ও টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করেছেন। এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে তারেক হাতিয়ে নিয়েছেন বিভিন্ন প্রকল্প ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সিংহভাগ অর্থ। আর এ অর্থ বিভিন্ন চ্যানেলে দেশের বাইরে পাচার করেছেন তারা। সূত্র জানায়, শুধু মালয়েশিয়াতেই তারেক রহমানের রয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকার অর্থ-সম্পদ। বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার হাওয়া ভবন সংশ্লিষ্ট ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের দুর্নীতি তদনে-র উদ্যোগ নেয়ায় ধীরে ধীরে দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচিত হতে শুর” করেছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বিগত ৫ বছরে হাওয়া ভবনের মাধ্যমে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও নেতা-পাতি নেতাদের দুর্নীতির প্রতিটি ঘটনা ধরে ধরে তদন্ত করা হচ্ছে। এজন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হাওয়া ভবনের দুর্নীতির একটি শ্বেতপত্র তৈরি করেছে। সেই সূত্র ধরে মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বাড়ি ভোলায়। বড় হয়েছেন ঢাকায়। তারেক রহমানের সঙ্গে লেখাপড়া করেছেন। বন্ধুত্ব থেকে বিজনেস পার্টনার। ১৯৮৭ সালে বন্ধু তারেক রহমানের হাত ধরে মামুনের ব্যবসা শুরু। কয়েক বছর আগেও মামুনের উল্লেখযোগ্য কোন ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল না বললেই চলে। অথচ বর্তমানে তিনি ওয়ান গ্রুপের অধীনে সাতটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে ওয়ান টেক্সটাইল, খাম্বা লিমিটেড, ওয়ান কম্পোজিট, প্রিকাস্ট কংক্রিট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, ওয়ান স্পিনিং, ওয়ান ডেনিম এবং ওয়ান কনজ্যুমার প্রডাক্ট লিমিটেড। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ওয়ানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকও তিনি। একই সঙ্গে তিনি সিলভার লাইন কম্পোজিট মিল ও রহমান নেভিগেশনের পরিচালক। মামুন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্ণধার হলেও পরিচালক হিসেবে বিএনপির অনেক নেতা ও তাদের পুত্ররা জড়িত রয়েছেন। দেশে একাধিক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি বিদেশেও মামুন শিল্প-কারখানা গড়ে তুলেছেন বলে জানা গেছে। বিদ্যুৎ সেক্টরের কোটি কোটি টাকা লুটপাটের তথ্যও ফাঁস হয়ে গেছে। উ”চ দরে বিদ্যুতের খাম্বা সরবরাহ করে মামুন কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। এমনকি বিদ্যুতের খাম্বা সরবরাহ করতে নিজে কারখানাও গড়ে তোলেন। এসবই তিনি স্বীকার করেছেন গোয়েন্দাদের কাছে।

একই সঙ্গে হাওয়া ভবন ও তারেক রহমানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে মামুন কিভাবে ৫ বছরে ওয়ান স্পিনিং, ওয়ান ডাইং, প্রিকাস্ট কংক্রিট ইন্ডাস্ট্রিজ, ওয়ান কম্পোজিট, ওয়ান টেক্সটাইল, ওয়ান কনজ্যুমারস প্রোডাক্ট, সিলভার লাইন কম্পোজিট মিল, রহমান নেভিগেশন, বহতল ভবন, ওয়ান এন্টারটেইনমেন্ট, খাম্বা লিমিটেড, আলিশান গাড়ি, জাজ ডিস্টিলারিজ, জাহাজ, তারেক রহমানের সঙ্গে ড্যান্ডি ডাইং ফ্যাক্টরি, গাজীপুরের আলিশান বাড়ি (খোয়াব)সহ বহু বাড়ি-গাড়ি ও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তার প্রতিটি বিষয়ে আলাদা আলাদাভাবে তদন্ত করে মামলা দায়ের করা হবে। মামুনের বিরুদ্ধে কতগুলো মামলা হবে তার হিসাব এখনই বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। মামুনের বির”দ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে তার প্রতিটি অভিযোগের অংশীদার তারেক। তাই এসব মামলায় তারেককেও সংশ্লিষ্ট করা হতে পারে।

এদিকে, মামুনের খাম্বা লিমেটেডের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক খুঁটি তৈরি ও সরবরাহ সংক্রান্ত কাজে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। দু’জন উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে বৈদ্যুতিক খাতে ৫ বছরের লুটপাটের ঘটনা তদন্ত হচ্ছে। মামুন মন্ত্রী-এমপি না হয়েও বিগত চারদলীয় জোট সরকারের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে সর্বত্রই প্রভাব বিস্তার করেছেন। তার অপকর্মের আশ্রয়দাতা ছিলেন বন্ধু তারেক রহমান। বিএনপি থেকে বাতিল হওয়া গত জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী অনেকের অভিযোগ, তারা দলীয় মনোনয়ন পেতে মামুনকে কোটি কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছেন। টাকা দিয়েও অনেকে মনোনয়ন পাননি। এসব তথ্য-প্রমাণ হাওয়া ভবন থেকে জব্দ করা ফাইলে রয়েছে। হাওয়া ভবনের একটি বিশেষ কক্ষে বেশ কয়েকটি কম্পিউটারে সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষিত রাখা হতো। সরকারি প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার থেকে শুরু করে পিয়ন পর্যন্ত নিয়োগ-বদলি নিয়ন্ত্রণ করা হতো হাওয়া ভবনের মাধ্যমে। দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ছোট-বড় কোন টেন্ডার হাওয়া ভবনের পার্সেন্টেজ ছাড়া বাস্তবায়ন সম্ভব হতো না। তারেক রহমান তার কক্ষে বসে দেশের সবকিছু মনিটরিং করতেন এবং মন্ত্রী-সচিবদের নির্দেশ দিতেন। এসব কাজে আর্থিক লেনদেন দেখাশোনা করতেন মামুন, বকুল, আশিকদের মাধ্যমে। হাওয়া ভবনের প্রতিটি কক্ষে ছিল সিসিটিভি। সবকিছু মনিটরিং করা হতো সিসিটিভির মাধ্যমে। টাকা-পয়সা লেনদেন শেষে ২/৩ মিনিটের জন্য আগতরা তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ পেতেন। সূত্র জানায়, এসব দুর্নীতির তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন মামুন।
ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি প্রশাসনেও একছত্র আধিপত্য ছিল তারেক ও মামুনের। অনেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে চাকরি বাঁচাতে তাদের তোয়াজ করতে হয়েছে। ২০০১ সালের নির্বাচনে হাওয়া ভবনে তারেক রহমানকে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে সহায়তা করেন মামুন। সে সময় মামুন তার ভাই হাফিজ ইব্রাহিমকে ভোলা থেকে মনোনয়ন পাইয়ে দেন। নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি মামুনকে।

এদিকে, মামুন সরকারি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী না হওয়ায় দুদক তার বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির মামলা দিতে পারছে না। তবে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত শত শত কোটি টাকার অর্থ-সম্পদ তার দখলে রাখার অভিযোগে দুদক আজকালের মধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলা দিতে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে গোপন তদন্ত কাজও প্রায় শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা। মামুন দুদকের প্রথম সন্দেহভাজন ৫০ দুর্নীতিবাজের তালিকায় ৭ নম্বর অভিযুক্ত ব্যক্তি।

৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৬

ঢাকাই জোয়ান বলেছেন: বিডি আইডল বলেছেন: বাস্তুহারা শব্দের বাংলা তাহলে গরীব?

আপনার জন্ম কি ইনডিয়ায় নাকি? তাওতো পশ্চিম বংগে হলে বোঝার কথা। বুঝেন্না বাংলা আব্র বোলগাইতে মঞ্চায়?

১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৩

সামদ বলেছেন:
পোষ্ট নিয়া কথা বলুন। বিডি আইডল বা কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমন করতে চাইলে অন্য কোথাও যান। এইখানে এইসব চলবে না।

৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৭

কঠিনলজিক বলেছেন: হে হে
আপনার মত ফকির পাবলিকের লাইগাই এই পোস্ট Click This Link
কার কোথায় কত সম্পত্তি আছে তার পুরা হিসাব করেন। এর পরে যে কোন একটা ড্রেইনের পাশে বইসা রাতের খাবার খায়া আসেন।

আপনার পোস্টের বক্তব্য কি ?
খালেদার কত সম্পত্তি আছে এটা সমস্যা? নাকি অবৈধ ভাবে উনি কোন সম্পত্তি অর্জন করেছেন যার কোন গোপন সংবাদ আপনার হাতে আসছে তা জানাইতে চাচ্ছেন ?

গরিবের ঘরে জন্ম নিছেন এটা আপনার দুর্ভাগ্য না ।
নিজের ভুল দৃস্টি ভংগীর কারণে গরীব শ্রেনী ভুক্ত হয়ে আছেন এর জন্য অন্য কেউ দোষী না। নিজের দৃস্টি ভংগী পরিবর্তন করেন ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০৯

সামদ বলেছেন:

কালো টাকা সাদা করেছেন খালেদা জিয়া ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান!!


সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অপ্রদর্শিত আয়ের আবেদন গ্রহণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সোমবার কর অঞ্চল-২ এর ২১ নং সার্কেল অফিসে গিয়ে এনবিআর নির্দেশিত ফরমে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার আবেদন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী এডভোকেট আহমেদ আজম খান। সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিস তা গ্রহণ করে। উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১ কোটি ৩২ লাখ টাকার সমপরিমাণ অপ্রদর্শিত আয়ের বিপরীতে প্রায় ৩৪ লাখ টাকার আয়কর প্রদানের আবেদন করেন। কিন্তু নির্ধারিত ফরমে এই আবেদন না করায় এনবিআর তা গ্রহণ করেনি। এনবিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হবে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট শিমুল বিশ্বাস বলেছেন, এনবিআরের সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেই আবেদন করা হয়েছে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অপ্রদর্শিত আয়ের আবেদন সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিস গ্রহণ করেছে।

অন্যদিকে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান যথাযথ নিয়ম মেনে জরিমানাসহ আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ায় তার অঘোষিত আয় বৈধ করেছে এনবিআর। গত ৩১ জুলাই কর অঞ্চল-৮ এ সাবেক অর্থমন্ত্রী তার অপ্রদর্শিত আয়ের বিপরীতে প্রায় ৩১ লাখ টাকা আয়কর প্রদান করেন

৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০০

জেনারেশন৭৫ বলেছেন: বাংলাদেশী পোলা বলেছেন:
বাস্তুহারা শব্দের বাংলা অর্থ না জাইনা ফাইভ পাশ করছো কেমতে.......??

১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৬

সামদ বলেছেন:
নেত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র






১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০১

বিডি আইডল বলেছেন: @ঢাকাই জোয়ান...জ্বী আমার জন্ম কলিক্যাত্যায়। আমি দাদাদের নির্মল হাওয়া খেয়ে বড় হয়েছিলুম।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৮

সামদ বলেছেন:
আমি ওনাকে অনুরোধ করেছি - কোন ব্যক্তিগত আক্রমন এইখানে চলবে না।

যাই হোক নিচের খবরটা নিয়ে আপনার কোন প্রতিক্রিয়া আছে কি?

কোকোর বিরুদ্ধে আমেরিকান সরকার ঘুষের জন্য তদন্ত করছে

(Department of Justice Seeks to Recover Approximately $3 Million in Illegal Proceeds from Foreign Bribe Payments)


WASHINGTON – The Department of Justice has filed a forfeiture action against accounts worth nearly $3 million that are alleged to be the proceeds of a wide-ranging conspiracy to bribe public officials in Bangladesh and their family members in connection with various public work projects, Acting Assistant Attorney General Matthew Friedrich of the Criminal Division announced today.

The forfeiture action was filed Jan. 8, 2009, in U.S. District Court in the District of Columbia against funds located in Singapore held by multiple account holders. The forfeiture complaint relates primarily to alleged bribes paid to Arafat "Koko" Rahman, the son of the former prime minister of Bangladesh, in connection with public works projects awarded by the government of Bangladesh to Siemens AG and China Harbor Engineering Company. According to the forfeiture complaint, the majority of funds in Koko’s account are traceable to bribes allegedly received in connection with the China Harbor project, which was a project to build a new mooring containment terminal at the port in Chittagong, Bangladesh.

"This action shows the lengths to which U.S. law enforcement will go to recover the proceeds of foreign corruption, including acts of bribery and money laundering," said Acting Assistant Attorney General Matthew Friedrich. "Not only will the Department, for example, prosecute companies and executives who violate the Foreign Corrupt Practices Act, we will also use our forfeiture laws to recapture the illicit facilitating payments often used in such schemes."

Siemens Aktiengesellschaft (Siemens AG), a German corporation, and three of its subsidiaries pleaded guilty on Dec. 15, 2008, to violations of and charges related to the Foreign Corrupt Practices Act (FCPA). Specifically, Siemens Bangladesh admitted that from May 2001 to August 2006, it caused corrupt payments of at least $5,319,839 to be made through purported business consultants to various Bangladeshi officials in exchange for favorable treatment during the bidding process on a mobile telephone project. At least one payment to each of these purported consultants was paid from a U.S. bank account.

According to the forfeiture complaint, the bribe payments from Siemens AG and China Harbor Engineering Company were made in U.S. dollars, and the illicit funds flowed through financial institutions in the United States before they were deposited in accounts in Singapore, thereby subjecting them to U.S. jurisdiction. Money laundering laws in the United States cover financial transactions that flow through the United States involving proceeds of foreign offenses, including foreign bribery and extortion.

In August 2006, the President announced a National Strategy to Internationalize Efforts Against Kleptocracy to fight high-level corruption around the world. This strategy combines the policy and law enforcement tools of several federal agencies, including the Departments of Justice, Treasury, State and Homeland Security.

The case is being prosecuted by Deputy Chief Linda Samuel and Trial Attorney Frederick Reynolds of the Criminal Division’s Asset Forfeiture and Money Laundering Section. Additional assistance was provided by the Criminal Division’s Office of International Affairs. The case was investigated by the FBI’s Washington Field Office in cooperation with Bangladeshi law enforcement.

১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৯

কঠিনলজিক বলেছেন: কাল টাকা সাদা করা মানে কি আপনি কেমনে জানবেন? আপনার তো টাকাই নাই এই গুলা আপনার জানার কথা না।
অপ্রদর্শীত আয় আর চুরির টাকা এক জিনিষ না।
অপ্রদর্শিত আয় "আয়কর এবং জরিপানা" দেওয়ার পর বৈধ এবং সাদা টাকা।
আবার চুরির টাকা র জরিপানা এবং আয়কর দিলে টাকাও সাদা হবে না এবং চুরির অপরাধও মাফ হয়ে যায় না।
এ গুলা বুঝতে হইলে কিছু টাকা পয়সা থাকতে হয় আগে "জাতে উঠেন" পরে বুঝবেন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২১

সামদ বলেছেন:
হা হা হা....

হেভী বলেছেন তো। জিয়ার ভাঙা সুটকেস থেকে কোটি কোটি টাকা বের করল কোকো ও তারেক জিয়া। এরকম সুটকেস কই পাওয়া যায় একটু বলবেন?


১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৯

দ্বীপ রয় বলেছেন: বিডি আইডল বলেছেন: বাস্তুহারা শব্দের বাংলা তাহলে গরীব?


: বাংলাদেশী পোলা বলেছেন:
বাস্তুহারা শব্দের বাংলা অর্থ না জাইনা ফাইভ পাশ করছো কেমতে.......??


ভাই, বাস্তুহারা শব্দের বাংলাটা কি দয়া করে জানাবেন কি? বাস্তুহারা কোন ভাষার শব্দ?

১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৩

সামদ বলেছেন:
আরে ভাই মূল ব্যাপার হল পোষ্টের ফোকাস ঘুরানো। এইজন্য এটারে ইস্যু করছে। এইটা অনেক পুরানো টেকনিক।

পোষ্টে খালেদা জিয়ার কালো টাকা সাদা করা নিয়া কয়জন কথা বলেছে দেখেন।

:)

১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২০

কঠিনলজিক বলেছেন: আমার মন্তব্যের জবাব দেবার দরকার নাই । ছোট লোকে আমার রুচি নাই অন্য কারো সাথে টাইম পাস করেন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪৫

সামদ বলেছেন:
ঈদের দিনে ভদ্রলোক ও ছোটলোক সবাইকেই সন্মান করা উচিত বলে আমি মনে করি। দেখেন না ভদ্রলোক দুরের পাখি ও তার উল্টা আপনি - দুই ধরনের মানুষের কমেন্টেরই উত্তর দিলাম। :)

১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৪

দুরের পাখি বলেছেন: ছিছি , গরীব মানুষের শেষ সম্বল কটা টাকা আর একটু ভিটেমাটি । ওখানেও আপনাদের লোলুপ চোখ পড়েছে । ঘৃণা হয় আপনাদের জন্য ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩১

সামদ বলেছেন: হ, আপনার সাথে আমিও ধিক্কার জানাই সেসব লোকদের। না হয় মা খালেদা জিয়া কালো টাকা সাদা করেছে, কোকো ঘুষ খাওয়ার জন্য আমেরিকানদের লিষ্টে নাম তুলেছে, আর তারেক জিয়া লন্ডনে ফূর্তি করছে ডাকাতি করে নেয়া টাকাগুলো দিয়ে - এসব নিয়ে কেন যে লোকজন কথা বলে।

বেয়াদপ পাবলিক সব। :)

১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৫

দ্বীপ রয় বলেছেন: কঠিনলজিক বলেছেন: কাল টাকা সাদা করা মানে কি আপনি কেমনে জানবেন? আপনার তো টাকাই নাই এই গুলা আপনার জানার কথা না।
অপ্রদর্শীত আয় আর চুরির টাকা এক জিনিষ না।
অপ্রদর্শিত আয় "আয়কর এবং জরিপানা" দেওয়ার পর বৈধ এবং সাদা টাকা।
আবার চুরির টাকা র জরিপানা এবং আয়কর দিলে টাকাও সাদা হবে না এবং চুরির অপরাধও মাফ হয়ে যায় না।
এ গুলা বুঝতে হইলে কিছু টাকা পয়সা থাকতে হয় আগে "জাতে উঠেন" পরে বুঝবেন।




@@লজিক! ভাই--কত টাকা থাকলে এসব বিষয় জানা যায়?
একজন ব্যাক্তি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মাসিক কত টাকা বেতন ভাতা পান? তাঁর ষ্টাটাস অনুযায়ী প্রতিমাসে তাঁর কত টাকা খরচ হবার কথা? আয় ব্যয় শেষে তাঁর কত টাকা প্রতিমাসে বাড়তি থাকার কথা? হিসাবটা যদি মিলিয়ে দিতেন তাহলে বুঝতে সুবিধা হত।


যতদুর জানি জ্ঞাত আয় বহির্ভুত অর্থকেই কালো টাকা বলা হয়।অর্থাৎ-নিজের অজান্তে যে টাকা আয় করা হয়-যার সোজাসুজি অর্থ হলো দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা। যে কোনো দেশে বৈধ ব্যাবসা বানিজ্য করতে হলে প্রতি মাসে বা বাৎসরিক ভাবে আয়কর জমা দিতে হয়-যদি না দেওয়া হয় তাহলে অবশ্যই তাঁর ব্যাবসায়িক লাইসেন্স বাতিল ও জেল জরিমানার সম্মুখীন হতে হয়। এখন যদি ধরে নেই-ম্যাডাম খালেদা জিয়ার এমন কোনো ব্যাবসা আছে যার মাধ্যমে তিনি এতো টাকার মালিক হয়েছেন কিন্তু তিনি তাঁর ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের আয়কর জমা দেননি-তাহলে আমরা তাঁকে কি বলতে পারি??? নৈতিকতা বিবির্জিত ক্ষমতার অপব্যবহারকারী কি বলতে পারি না? আয়কর না দেওয়া এক প্রকার চুরি, তাহলে কি তাঁকে চোর ও বলা যায়??

আশা করি তথ্যগুলো জানিয়ে কৃতার্থ করবেন-ধন্যবাদ


১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪০

সামদ বলেছেন:

কঠিনলজিক এর নিচের লজিক পড়ে হাহাপগে

অপ্রদর্শীত আয় আর চুরির টাকা এক জিনিষ না।

১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০৬

কঠিনলজিক বলেছেন: জ্ঞাতআয় বহির্ভুত আয় ।
অপ্রদর্শিত আয় ।
আর চুরির টাকা এক জিনিষ?

অপ্রদর্শিত আয় আয়কর পরিশোধ মাত্র বৈধ এবং সাদা টাকা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১১

সামদ বলেছেন:
এটা কমেন্ট ১৫ এর উত্তরে দিলেন কি?

১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০৭

কঠিনলজিক বলেছেন: লেখক @
অপ্রদর্শীত আয় আর চুরির টাকা এক জিনিষ এরকম ব্যাখ্যা কিসের ভিত্তি তে দিলেন বলবেন কি ?

১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১৮

সামদ বলেছেন:
১৫ নং কমেন্টের সাথে ছোট করে যোগ করা যায় - চুরি/দুর্নিতী যে করে সেই চোর/দুর্নীতিবাজ। নানা ভাবে কেউ ২০০ টাকা চুরি করলেও সে চোর আবার ২ কোটি টাকা যে চুরি করে সেও চোর। এখন কেউ বড় চোর বা ছোট চোর এইসব নিয়ে গালগল্প করতে এলে হাসি চলে আসে এই আর কি।

যাই হোক নিচের খবরটা নিয়ে আপনার কোন প্রতিক্রিয়া আছে কি? এইটা কি বড় চুরি না মাঝারি না ছোট চুরি?

কোকোর বিরুদ্ধে আমেরিকান সরকার ঘুষের জন্য তদন্ত করছে

Department of Justice Seeks to Recover Approximately $3 Million in Illegal Proceeds from Foreign Bribe Payments

WASHINGTON – The Department of Justice has filed a forfeiture action against accounts worth nearly $3 million that are alleged to be the proceeds of a wide-ranging conspiracy to bribe public officials in Bangladesh and their family members in connection with various public work projects, Acting Assistant Attorney General Matthew Friedrich of the Criminal Division announced today.

The forfeiture action was filed Jan. 8, 2009, in U.S. District Court in the District of Columbia against funds located in Singapore held by multiple account holders. The forfeiture complaint relates primarily to alleged bribes paid to Arafat "Koko" Rahman, the son of the former prime minister of Bangladesh, in connection with public works projects awarded by the government of Bangladesh to Siemens AG and China Harbor Engineering Company. According to the forfeiture complaint, the majority of funds in Koko’s account are traceable to bribes allegedly received in connection with the China Harbor project, which was a project to build a new mooring containment terminal at the port in Chittagong, Bangladesh.

"This action shows the lengths to which U.S. law enforcement will go to recover the proceeds of foreign corruption, including acts of bribery and money laundering," said Acting Assistant Attorney General Matthew Friedrich. "Not only will the Department, for example, prosecute companies and executives who violate the Foreign Corrupt Practices Act, we will also use our forfeiture laws to recapture the illicit facilitating payments often used in such schemes."

Siemens Aktiengesellschaft (Siemens AG), a German corporation, and three of its subsidiaries pleaded guilty on Dec. 15, 2008, to violations of and charges related to the Foreign Corrupt Practices Act (FCPA). Specifically, Siemens Bangladesh admitted that from May 2001 to August 2006, it caused corrupt payments of at least $5,319,839 to be made through purported business consultants to various Bangladeshi officials in exchange for favorable treatment during the bidding process on a mobile telephone project. At least one payment to each of these purported consultants was paid from a U.S. bank account.

According to the forfeiture complaint, the bribe payments from Siemens AG and China Harbor Engineering Company were made in U.S. dollars, and the illicit funds flowed through financial institutions in the United States before they were deposited in accounts in Singapore, thereby subjecting them to U.S. jurisdiction. Money laundering laws in the United States cover financial transactions that flow through the United States involving proceeds of foreign offenses, including foreign bribery and extortion.

In August 2006, the President announced a National Strategy to Internationalize Efforts Against Kleptocracy to fight high-level corruption around the world. This strategy combines the policy and law enforcement tools of several federal agencies, including the Departments of Justice, Treasury, State and Homeland Security.

The case is being prosecuted by Deputy Chief Linda Samuel and Trial Attorney Frederick Reynolds of the Criminal Division’s Asset Forfeiture and Money Laundering Section. Additional assistance was provided by the Criminal Division’s Office of International Affairs. The case was investigated by the FBI’s Washington Field Office in cooperation with Bangladeshi law enforcement.

১৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১৯

একাকি একজন বলেছেন: পেরথমেই পিলাস +++ তারপর পড়া শুরু ;) ;)

১৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৭

আমি বিদ্রোহী বলেছেন: কঠিনলজিক বলেছেন: কাল টাকা সাদা করা মানে কি আপনি কেমনে জানবেন? আপনার তো টাকাই নাই এই গুলা আপনার জানার কথা না।
অপ্রদর্শীত আয় আর চুরির টাকা এক জিনিষ না।
অপ্রদর্শিত আয় "আয়কর এবং জরিপানা" দেওয়ার পর বৈধ এবং সাদা টাকা।
আবার চুরির টাকা র জরিপানা এবং আয়কর দিলে টাকাও সাদা হবে না এবং চুরির অপরাধও মাফ হয়ে যায় না।
এ গুলা বুঝতে হইলে কিছু টাকা পয়সা থাকতে হয় আগে "জাতে উঠেন" পরে বুঝবেন।

২০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৩২

মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেছেন: বাস্তুহারা শব্দের বাংলা তাহলে গরীব?


তাইলে আমি বড় হইলে এইটা হবো।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২২

সামদ বলেছেন:




আপনি ১ টাকায় নিচের মত বাড়ি গাড়ি করতে পারলে আপনি বাস্তুহারা হবেন --




২১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪২

আমি বিদ্রোহী বলেছেন: ভাইজান, ধরেন আমি এই বছর ৫,০০,০০০ টাকা ইনকাম করলাম বৈধ উপায়ে (চুরি না)। এখন আমি এই টাকার আয়কর না দিলে এটা কালো টাকা। কর দিলে সাদা টাকা। বুজসেন ভাইজান? জতসব গরু গাধা ব্লগিং করতে আসছে। X( X(

১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫০

সামদ বলেছেন:
হা হা হা.....ভাই যেহেতু অনেক আপনি জ্ঞানী ব্যাক্তি তাই আপনার জন্য ১৫ নং কমেন্টটা। ১৫ নং কমেন্টের সাথে ছোট করে যোগ করা যায় - চুরি/দুর্নিতী যে করে সেই চোর/দুর্নীতিবাজ। নানা ভাবে কেউ ২০০ টাকা চুরি করলেও সে চোর আবার ২ কোটি টাকা যে চুরি করে সেও চোর। এখন কেউ বড় চোর বা ছোট চোর এইসব নিয়ে গালগল্প করতে এলে হাসি চলে আসে এই আর কি।

১২ শীর্ষ ব্যবসায় বেনামে অংশীদারিত্ব ।। ব্যবসার জন্য মামুন ও সেলিমকে তারেক রহমান দিয়েছিলেন ৫৮২ কোটি টাকা

বস, তারেক জিয়ার এই ৫৮২ কোটি টাকা কি বড় চুরি না ছোট চুরি - কোনটাতে ধরব? আর এই টাকা যে ভাঙা সুটকেস থেকে বের হয়েছে সেটার কি অবস্থা এখন?


আর ১ টাকায় খালেদা জিয়ার বাড়ির মত একটা বাড়ির খবর দিতে পারবেন? তাইলে একটা বাড়ি কিনতাম।




২২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪৬

রফিক মাহমুদ বলেছেন:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। অনেক তথ্য পাওয়া গেল বেগম জিয়া সম্পর্কে। আশা করি এ-সব আপনি নির্ভরযোগ্য নিরপেক্ষ সূত্র থেকে দিয়েছেন, যদিও আইএসপিআর কর্তৃক সীল করা বাড়িতে সাংবাদিক ডেকে নেয়া আইনের বিরট ব্যত্যয়, এবং মদের বোতল ও পর্ণো ফেলে যাওয়ার গল্প কেউই বিশ্বাস করছে না। আমার ধারণা ছিল সম্পদ বিবরণও গোপন তথ্য, শুধু জারাবো-এর জন্য।

আশা করি আপনি অচিরে আমাদেরকে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, সায়মা হোসেন এবং রেহানা সিদ্দিকীর দেশে-বিদেশে সম্পদের পূর্ণাংগ হিসেব দেখাবেন।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৪

সামদ বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ।

আপনি পোষ্টটি এখনো পড়ার সময় পান নাই মনে হচ্ছে। এটি ২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার নিজের দেয়া সম্পত্তির হিসাব। পত্রিকার থেকে সংগৃহীত এবং সেগুলোর লিংক রেফারেন্সে দেয়া আছে। আমি কিছু যোগ বা বিয়োগ করি নাই।

এখনও পরিস্কার না হলে বলেন আবার বুঝাই?

২৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৬

ব্রিগেডিয়ার আলফা বলেছেন: ছামু ব্লগের মেঘলা ছাগু, সোনা ব্লগে গিয়ে এসব কি করছে ?? সব বাকশালী ভারতীয় কুকুরদের ষড়যন্ত্র ??

১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১৬

সামদ বলেছেন: প্লাস দিয়া আসছি। ঐ লোকের লজ্জা শরমের বালাই নাই।

২৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২০

তানভীর চৌধুরী পিয়েল বলেছেন: হে হে.... বড়ই আমোদ পাইলাম। এই বাড়ি ১ টাকায় কিনতে চাই। :P :P

২৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৭

বিডি আইডল বলেছেন: খালেদা জিয়া তাহলে ১ টাকায় ওই বাড়ী কিনছে?

আজকাল ছাগু আর বলদের সাথে গাধারাও ব্লগিং করে...!

১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩৬

সামদ বলেছেন:


পোষ্টের ফোকাস ঘুরানোর চেষ্টা করে লাভ নাই। নিচের খবরটা নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলাম অনেকক্ষন আগে। সেটা আগে বলেন।

কোকোর বিরুদ্ধে আমেরিকান সরকার ঘুষের জন্য তদন্ত করছে

(Department of Justice Seeks to Recover Approximately $3 Million in Illegal Proceeds from Foreign Bribe Payments)

WASHINGTON – The Department of Justice has filed a forfeiture action against accounts worth nearly $3 million that are alleged to be the proceeds of a wide-ranging conspiracy to bribe public officials in Bangladesh and their family members in connection with various public work projects, Acting Assistant Attorney General Matthew Friedrich of the Criminal Division announced today.

The forfeiture action was filed Jan. 8, 2009, in U.S. District Court in the District of Columbia against funds located in Singapore held by multiple account holders. The forfeiture complaint relates primarily to alleged bribes paid to Arafat "Koko" Rahman, the son of the former prime minister of Bangladesh, in connection with public works projects awarded by the government of Bangladesh to Siemens AG and China Harbor Engineering Company. According to the forfeiture complaint, the majority of funds in Koko’s account are traceable to bribes allegedly received in connection with the China Harbor project, which was a project to build a new mooring containment terminal at the port in Chittagong, Bangladesh.

"This action shows the lengths to which U.S. law enforcement will go to recover the proceeds of foreign corruption, including acts of bribery and money laundering," said Acting Assistant Attorney General Matthew Friedrich. "Not only will the Department, for example, prosecute companies and executives who violate the Foreign Corrupt Practices Act, we will also use our forfeiture laws to recapture the illicit facilitating payments often used in such schemes."

Siemens Aktiengesellschaft (Siemens AG), a German corporation, and three of its subsidiaries pleaded guilty on Dec. 15, 2008, to violations of and charges related to the Foreign Corrupt Practices Act (FCPA). Specifically, Siemens Bangladesh admitted that from May 2001 to August 2006, it caused corrupt payments of at least $5,319,839 to be made through purported business consultants to various Bangladeshi officials in exchange for favorable treatment during the bidding process on a mobile telephone project. At least one payment to each of these purported consultants was paid from a U.S. bank account.

According to the forfeiture complaint, the bribe payments from Siemens AG and China Harbor Engineering Company were made in U.S. dollars, and the illicit funds flowed through financial institutions in the United States before they were deposited in accounts in Singapore, thereby subjecting them to U.S. jurisdiction. Money laundering laws in the United States cover financial transactions that flow through the United States involving proceeds of foreign offenses, including foreign bribery and extortion.

In August 2006, the President announced a National Strategy to Internationalize Efforts Against Kleptocracy to fight high-level corruption around the world. This strategy combines the policy and law enforcement tools of several federal agencies, including the Departments of Justice, Treasury, State and Homeland Security.

The case is being prosecuted by Deputy Chief Linda Samuel and Trial Attorney Frederick Reynolds of the Criminal Division’s Asset Forfeiture and Money Laundering Section. Additional assistance was provided by the Criminal Division’s Office of International Affairs. The case was investigated by the FBI’s Washington Field Office in cooperation with Bangladeshi law enforcement.

২৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫২

প্রলেতারিয়েত বলেছেন: আমার প্রথম কমেন্ট মুছে দিলেন কেন? ভয় পান নাকি?

১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:০২

সামদ বলেছেন: পোষ্টরিলেটেড ও ভদ্রতার মাত্রা রেখে কমেন্ট করেন। দেখেন (কমেন্ট ৭) খাস বিএনপি সাপোর্টার বিডি আইডলকে একজন বাজে কমেন্ট করায় আমি উনাকে বলেছি যে এখানে ফাজলোমো না করতে। একই নিয়ম সবার জন্যই প্রযোজ্য।

২৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৪

বিডি আইডল বলেছেন: কোকো চুরি করলে আমার কাছে প্রতিক্রিয়া চাওয়ার কি হলো...পোষ্ট দিলেন ১ টাকার খালেদার বাড়ী নিয়ে কথা সেইদিকেই বললাম আর ফোকাস ঘুরলো এখন?! :)

১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:১৪

সামদ বলেছেন:
বিডি আইডল বলেছেন:............পোষ্ট দিলেন ১ টাকার খালেদার বাড়ী নিয়ে কথা...

তাহলে আপনি যা বুঝেছেন তা হল এই পোষ্টের মূলবক্তব্য হল- ১ টাকার খালেদার বাড়ী ?

পোষ্ট আবার পড়েন। এই পোষ্ট মাননীয়া দেশনেত্রীর ২০০৭ সালে দেওয়া সেসময়ে ওনার ভাষায় ওনার সব সম্পত্তির বিবরনী। ঐখানে অনেক তথ্যই আছে।

আপনার আগের কমেন্টের সাথে সহমত পোষন না করে পারছি না এখন -

বিডি আইডল বলেছেন: আজকাল ছাগু আর বলদের সাথে গাধারাও ব্লগিং করে...!

নিজের চোখেই তো বুদ্ধির দৌড় দেখছি।

কোকো চুরি করলে আমার কাছে প্রতিক্রিয়া চাওয়ার কি হলো

কোকোর বিরুদ্ধে আমেরিকানদের এই অভিযোগ বা খালেদা জিয়া টাকা সাদা করেছেন এটাকে আপনি কি চোখে দেখেন - সেটা জানতে আগ্রহী ছিলাম। কারন আপনি ঐ দলের সাপোর্টার। এখনও জানাতে পারেন চাইলে।

২৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:০৫

মুভি পাগল বলেছেন:

বিশাল সম্পদের মালিক হতে পেরেছেন উনি। জানিনা কিসের বদৌলতে।

আমার এক বন্ধুর বড় ভাই মেজর। ওর বাসায় রাতে গিয়েছিলাম। ওর বাবাও ক্যাপ্টেন ছিলেন। এখন অবসরপ্রাপ্ত। ওদের তো কোন সম্পদই দেখলামনা।

তারমানে কেবলমাত্র আর্মি পার্সনের স্ত্রী হলেই সম্পদের মালিক হওয়া যায়না। এর পেছনে অন্য কৌশল রয়েছে।

অবশ্য আমার ফ্রেণ্ডের বাবা বা বড় ভাই প্রধানমন্ত্রী নয়। কিন্তু তবুও প্রধানমন্ত্রী হবার বদৌলতেই কেবল এত্ত এত্ত সম্পদের মালিক হওয়া সম্ভব?

ওয়াও, কেন সবাই চাকুরি ছেড়ে প্রধানমন্ত্রী হবার চেষ্টায় লিপ্ত হয়না?

সাথে তো মনে হয় গার্ড অফ অনার ফ্রি!!! ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;)

১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:১৭

সামদ বলেছেন:

আপনার ও আপনার পরিচিত জনদের কাছে জিয়ার রেখে যাওয়া ভাঙা সুটকেস ও ছেড়া গেন্জি নাই। সে জন্য অনেকেই পারে না এরকম টাকার মালিক হতে।

তারেক মামুন কোকো এরা যদি একটা বই লিখত- কিভাবে বড়লোক হইতে হইবে....তাইলে কমজ্ঞানীরা একটু জ্ঞান লাভ করতে পারত।




২৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:১৯

দ্বীপ রয় বলেছেন: একজন প্রধানমন্ত্রী কতটাকা বেতন ভাতা পেয়ে থাকেন? বর্তমান হিসাবে ৬০টাকার মত। তাহলে ৫বছরে কত হয়? ৩৬ লক্ষ টাকা। তাহলে ২বারে ৭২ লক্ষ টাকা। আর ১০ বছরে খরচ কত হতে পারে? দাস দাসির বেতন ভাতা সহ নিজের সামাজিক মর্যাদা অনুযায়ী অন্তত ৫০হাজার টাকা মাসে।সে হিসাবে ৬০লক্ষ টাকা ১০ বছরে ব্যয় হবার কথা। তাহলে বর্তমানে বেগম জিয়ার সম্পদের পরিমান থাকার কথা ১২ লক্ষ টাকার মত।
অতিরিক্ত এই কোটি কোটি টাকার আয়ের উৎস কি?

১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪১

সামদ বলেছেন:
কারে কি বলেন? এরা আগে থেকেই ধরে রেখেছে যে তাদের নেত্রী খুব ভালো মানুষ। চোখের সামনে প্রমান দেখালেও সেটা ষড়যন্ত্র।

৩০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:২১

প্রলেতারিয়েত বলেছেন: আমি কোনো ফাইজলামি করি নাই। কোনও স্ল্যাং ইউস করিনাই। আপনার আইডিওলজিকাল বেসিস এবং আপনার স্বার্থের জায়গাটা পরিস্কার করে বুঝিয়ে দিয়েছি আপনি কিভাব গণমানুষের শত্রুদের তাবেদারী করছেন।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩৮

সামদ বলেছেন:


শোনেন, একটা কথা ডাইরেক্টলী বলি।

আপনি আমার পোষ্টের/কথার ভূল ধরিয়ে দেন, আমি সানন্দে সংশোধন করে নেব। আপনি আমার সাথে একমত না হতে পারেন সেটাতে আমার কোন সমস্যা নাই। উপরে দেখেন একাধিক নিকের এই পোষ্ট যে পছন্দ হয়নাই তা তারা কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন। তাতে আমার কোন সমস্যা হয়নাই। তাদের কমেন্ট (+ আপনার শেষদুটো) তো আমি মুছি নাই। আপনার আগেরটা তাহলে কেন মুছলাম? কারন আমি মনে করি সেই কমেন্ট রুচিহীনতার পরিচায়ক।

আর একনেত্রী যার -

১. পাঁচ পাঁচটি জন্মদিন রয়েছে

২. যিনি নির্লজ্জভাবে কালো টাকা সাদা করেন

৩. যার দুই ছেলে দুর্নীতিবাজ , ঘুষখোর

তার কথা কথা বলাটা যদি আপনার ভাষায় গণমানুষের শত্রুদের তাবেদারী হয় তাহলে বলতেই হয় যে আপনার এই গনমানুষ ঠিক কারা?

বাংলাদেশের সাধারন মানুষ যাদের হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে কোকো, তারেক জিয়ারা তারা আর যাই আপনার ভাষায় গনমানুষের মধ্যে পড়ে না কিন্তু।



৩১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৯

দ্বীপ রয় বলেছেন: আমি বিদ্রোহী বলেছেন: ভাইজান, ধরেন আমি এই বছর ৫,০০,০০০ টাকা ইনকাম করলাম বৈধ উপায়ে (চুরি না)। এখন আমি এই টাকার আয়কর না দিলে এটা কালো টাকা। কর দিলে সাদা টাকা। বুজসেন ভাইজান? জতসব গরু গাধা ব্লগিং করতে আসছে। X( X(

@@ভাইজান,নিজেকে বেশী বুদ্ধিমান ভাবা মানেই বেশী বোকামির পরিচয় বহন করে!!!!!
আয়কর সম্পর্কে কি কোনো ধারনা আছে আপনার? একজন ব্যাক্তি বাৎসরিক ১২০,০০০/=টাকা রোজগার করলেই তাকে আয়কর দিতে হয়। কেও যদি আয়কর না দেই তবে তাকে জেল-জরিমানা এমনকি তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অধিকার রাখে আয়কর বিভাগ বা এন বি আর। কালো টাকা সাদা করলেই ঐ টাকা বৈধ বলে বিবেচিত হয় না। সরকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয় কি কারনে জানেন? যাতে এই বিপুল পরিমান টাকা বিদেশে পাচার হয়ে না যায়। কালো টাকা যারা সাদা করে তারা কালো তালিকাভুক্ত বলে বিবেচিত হয়-যে কারনে তাদেরকে সর্বচ্চ আয়কর দাতা হিসাবে বিবেচনা করা হয় না।

নিজের বৈধ আয়ের বাইরে অবৈধ উপায়ে রোজ়গারের টাকায় হচ্ছে কালো টাকা। সেটা হতে পারে সুদ-ঘুষ-কালোবাজারী-চোরাকারবারী ইত্যাদি।

আমরা গরু গাধা মেনে নিলাম-এখন আপনি বলেন, বেগম জিয়ার আয়ের উৎস কি? কিভাবে তিনি কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন? যদি বৈধ আয় হয়ে থাকে তবে তা প্রকাশ করা হোক!!

১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪৪

সামদ বলেছেন:
ট্যাক্স ফাঁকি দেয়াটা যে অন্যায় এটাও এখন অনেকের মাথায় ঢুকে না। তুলনা করতে আসে ঐটা ছোট অন্যায় এইটা বড় অন্যায় এইভাবে। সারাটা জীবন এক সাইফুর রহমান বলে গেছেন মানুষ ট্যাক্স দেয়না আর শেষে দেখা গেল তিনি নিজেই দেন নাই। এটা হল ডাবল স্ট্যান্ডার্ড।

৩২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩০

বিডি আইডল বলেছেন: গাধা কি আর সাধে বলি! পোষ্ট আর কমেন্টে যে কি কি কপি পেষ্ট করছে নিজেই বলতে পারবে না!

১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪০

সামদ বলেছেন: বুঝাই যাচ্ছে মাথা গরম হয়ে গিয়েছে। মাথা ঠান্ডা রেখে কথা বলতে পারলে বলেন নাইলে রাস্তা মাপেন।

৩৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪৫

বাংলাদেশী পোলা বলেছেন:
হাসিনার নামে ১৪ টা চুরি -চান্দাবাজী-কমিশন ভোগের মামলা ছিল, চার্জশীটে হয়েছিল তিনটি চান্দাবাজী মামালায়|

সাজা হওয়ার ভয়ে কোর্টে যায় নাই, পিছনের দরজা দিয়ে মামলা তুলে নিয়েছে|

শেখ সেলিম বলেছিল ৫ মিলিয়ন ডলার মিগ কিনতে কমিশন নিয়েছে হাসিনা |
নূর মিয়া বলেছিল ক্যাশ ৩ কোটি টাকা নিয়েছে হাসিনা|

আজম জে চৌধুরী বলেছে ৫ কোটি টাকা নিয়েছে ব্যাংক চেকে, চেকের ফটো কপিল আর্মি পেয়েছে, আদালতে জমাও দিয়েছে|

ধূতি খুইল্য ফালামু কইলাম.........!!


১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪৯

সামদ বলেছেন:
আগেই বলেছি পোষ্টের ফোকাস ঘুরানো যাবে না পোষ্টের বাইরের বিষয় টেনে এনে।
এই পোষ্ট খালেদা জিয়াকে নিয়ে সেই বিষয়ে কথা বলেন। আর না বলতে পারলে অযথা সময় নষ্ট কইরেন না। আলবিদা।


৩৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫০

বাংলাদেশী পোলা বলেছেন:

ট্যাক্স ফাকির গল্প মারাইতাছে!

সে ট্যাক্স দিতে দেরী করেছে কারন ঐ সময় হাসিনার ক্ষমতার পার্টনার মঈন খালেদাকে জেলে রেখেছিল|

ট্যাক্স দিতে দেরী হলে ইন্টারেষ্ট সহ যে কোন সময় ট্যাক্স দিলেই চলে, আবালরা এসব বুজবে না|

১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫৮

সামদ বলেছেন: সে ট্যাক্স দিতে দেরী করেছে কারন ঐ সময় হাসিনার ক্ষমতার পার্টনার মঈন খালেদাকে জেলে রেখেছিল|

এইতো পোষ্ট রিলেটেড কমেন্ট করলেন। মূল পোষ্টে আছে দেখেন -

গত ৩১ জুলাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১ কোটি ৩২ লাখ টাকার সমপরিমাণ অপ্রদর্শিত আয়ের বিপরীতে প্রায় ৩৪ লাখ টাকার আয়কর প্রদানের আবেদন করেন

মঈনের সরকার তো দুইবছরের জন্য ক্ষমতায় ছিল। তার আগে কি করেছিলেন ম্যাডাম? আপনি শাক দিয়া মাছ ঢাকতে গিয়া কিন্তু লাভ হচ্ছে না।

৩৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫০

দ্বীপ রয় বলেছেন: রফিক মাহমুদ বলেছেন:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। অনেক তথ্য পাওয়া গেল বেগম জিয়া সম্পর্কে। আশা করি এ-সব আপনি নির্ভরযোগ্য নিরপেক্ষ সূত্র থেকে দিয়েছেন, যদিও আইএসপিআর কর্তৃক সীল করা বাড়িতে সাংবাদিক ডেকে নেয়া আইনের বিরট ব্যত্যয়, এবং মদের বোতল ও পর্ণো ফেলে যাওয়ার গল্প কেউই বিশ্বাস করছে না। আমার ধারণা ছিল সম্পদ বিবরণও গোপন তথ্য, শুধু জারাবো-এর জন্য।

আশা করি আপনি অচিরে আমাদেরকে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, সায়মা হোসেন এবং রেহানা সিদ্দিকীর দেশে-বিদেশে সম্পদের পূর্ণাংগ হিসেব দেখাবেন।

@@ ভাই, সজীব ওয়াজেদ জয় একজন তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলী,তিনি মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলে চাকুরী করেন।প্রতিমাসে তাঁর গড় আয় ৩৫ থকে ৪০হাজার মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার মত হবে। জয়ের স্ত্রী একজন এটর্নি, তাঁর বেতনও নিশ্চয় এমন ই হবে!! জয়ের শ্বশুর মার্কিন পার্লামেন্টের একজন সিনেটর। তো সব মিলিয়ে তাঁর টাকা রোজগারের একটা পথ মোটামুটি পরিস্কার!!
সায়মা ওয়াজেদ, আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধি কর্মি, আমেরিকাতে কর্মরত,তার স্বামী একজন ব্যাবসায়ী এবং তিনিও আমেরিকাতে ব্যাবসা করেন।তাদের রোজগার নিশ্চয় খারাপ না।
শেখ রেহেনা যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত, স্বামী সন্তান সকলেই চাকুরী জীবি।যতটুকু জানি তাঁরা সেখানে মধ্যবিত্ত জীবন জাপন করেন।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ২:১১

সামদ বলেছেন:
ভাই আপনাকে একটা অনুরোধ করি? যাদের এই পোষ্ট পছন্দ হচ্ছে না তারা নানাভাবে পোষ্টের আলোচনাকে মূল প্রসঙ্গ থেকে অন্যদিকে নিয়ে যেতে চাইবেই। এটা এই ব্লগের একটা পুরানো টেকনিক। এদের ফাঁদে দয়া করে পা দিবেন না। এখানে যে বিষয়ে আলোচনা চলছে সেটাই চলুক। কি বলেন। অনুরোধটা ভেবে দেখবেন আশা করি।

হাসিনা, জয় এঁদের নিয়ে অন্য কোন সময় আলোচনা হবে নে। :)

ভালো থাকবেন।

৩৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫৬

বাংলাদেশী পোলা বলেছেন:
-

জয় প্রতিমাসে তাঁর গড় আয় ৩৫ থকে ৪০হাজার মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ আয় করে........????!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!



----------->>ওরে আমারে ধররে.....

১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৮

সামদ বলেছেন: :)

৩৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫৭

দ্বীপ রয় বলেছেন: বাংলাদেশী পোলা বলেছেন:

ট্যাক্স ফাকির গল্প মারাইতাছে!

সে ট্যাক্স দিতে দেরী করেছে কারন ঐ সময় হাসিনার ক্ষমতার পার্টনার মঈন খালেদাকে জেলে রেখেছিল|

ট্যাক্স দিতে দেরী হলে ইন্টারেষ্ট সহ যে কোন সময় ট্যাক্স দিলেই চলে, আবালরা এসব বুজবে না।



হা হা হা---বেগম খালেদা জিয়ার নামে কিন্তু কোনো ট্যাক্স ফাঁকির মামলা হয়নি!!!যে কারনে দেরি করার কারন জানার দরকার নাই!!


** বেগম জিয়ার আয়ের উৎস কি? কিভাবে তিনি কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন?

১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৮

সামদ বলেছেন:

হূমমমম...

৩৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৫

দ্বীপ রয় বলেছেন: আপাতত এইটা দেখে নিয়ে ঘুমাতে যান-----

১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ২:১৫

সামদ বলেছেন:
আপনি বোধহয় নিচের লিংকটা দিতে চাইলেন-

http://www.somewhereinblog.net/blog/deeproy/29264758


আমিও লগঅফ করছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনায় অংশগ্রহন করার জন্য। গুড নাইট। :)

৩৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৪

সামদ বলেছেন: ফরহাদ মাহমুদ// একজন ‘বাস্তুহারা’র প্রতিকৃতি// নভেম্বর ২৫, ২০১০

কয়েক দিন আগে বর্তমান বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে টিভি চ্যানেলগুলোতে কাঁদতে দেখে সবার মতো আমারও খুব খারাপ লেগেছে। সেদিনই তাঁকে সেনানিবাসের বাড়ি ছেড়ে চলে আসতে হয়েছিল। তিনি বারবার রুমালে চোখ মুছছিলেন, আর সাড়ে তিন দশকের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটির কথা বলছিলেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, বাড়ি থেকে তাঁকে এক কাপড়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে তিনি দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ করেছিলেন। অবশ্য, সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ বা আইএসপিআর এর পাল্টা বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, হাইকোর্টের দেওয়া সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে চলে যান।

তারা উল্টো অভিযোগ করেছেন, একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য তিনি বরং সেনাসদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। এমনকি, গালিগালাজও করেছেন। এখন কোন বক্তব্য সঠিক তা বলা মুশকিল। তবে, একটি বিষয়ে তাঁর বক্তব্য অনেকের মতোই আমার কাছেও হাস্যকর মনে হয়েছে। সেটি হলো, সেনানিবাসের বাড়ি হারিয়ে তিনি এখন ‘বাস্তুহারায়’ পরিণত হয়েছেন। তাই বাস্তুহারা প্রসঙ্গটি নিয়ে দুয়েকটি হালকা কথার এই অবতারণা।

আমার কৈশোর কেটেছে গ্রামে। শহরের প্রতি ছিল দুর্নিবার আকর্ষণ। আর তাই সে সময় ঘর-পালানোর একটি বদ-অভ্যাস আমার মধ্যে গড়ে উঠেছিল। পালিয়ে আসার কারণে শহরে কোনো আত্মীয়ের বাসায় উঠতাম না। আমার সঙ্গী হতো আমার সমবয়সী এক খালাতো ভাই। আমাদের রাত কেটে যেত নির্মাণাধীন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। ট্রেন তখন ফুলবাড়িয়া স্টেশনেই যাতায়াত করত। মাঝে মাঝে রাতে সেখানেও ঘুমাতাম। সে সময় কমলাপুর ও ফুলবাড়িয়া স্টেশনে অনেক বাস্তুহারাকে দেখেছি।

শীতের এক রাতে কমলাপুর স্টেশনে শুয়ে আছি। কনকনে শীত, সেই সঙ্গে জোড় উত্তুরে বাতাস। সুঁইয়ের মতো শরীরে বিঁধে যাচ্ছে। স্টেশনের মোটা থামের আড়ালে জবু-থবু বসে আছি। সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। অথচ সে রাতেও সেই প্লাটফর্মে শতাধিক পরিবারকে দেখেছি, কোনো রকমে ছেঁড়া কাথা মুড়ি দিয়ে সন্তান-সন্তুতিসহ আধমরার মতো শুয়ে থাকতে। তারাই তো সত্যিকারের বাস্তুহারা। কারো ঘরবাড়ি কেড়ে নিয়েছে সর্বনাশা নদী। কেউ দায়-দেনায় সর্বস্ব হারিয়ে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে আশ্রয় নিয়েছে। কেউবা কাজের আশায়, বেঁচে থাকার মতো জীবিকা অর্জনের জন্য ঢাকায় এসে প্লাটফর্মে ঠাঁই নিয়েছে। এ ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা ছিল না। তারাই প্রকৃত বাস্তুহারা। বর্তমানে শুধু রেল স্টেশন বা লঞ্চ টার্মিনালই নয়, যেকোনো রাস্তার ফুটপাতে হাজার হাজার পরিবারকে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষায় খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে দেখা যায়। প্রকৃত বাস্তুহারা তো তারা। সারা দুনিয়াই এ রকম কোটি কোটি বাস্তুহারা রয়েছে। যাদের জীবনের দুঃখকষ্টের চিত্র কল্পনা করলেও চোখের কোণায় জল জমে যায়। কিন্তু তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর নিজেকে ‘বাস্তুহারা’ দাবি করেন কীভাবে? তাঁর এই দাবির পেছনে কী যুক্তি আছে? একটু খতিয়ে দেখা যাক।

সরকারিভাবে তাঁকে দুটি বাড়ি দেওয়া হয়েছিল। সেনানিবাসের বাড়িটি ছাড়তে হলেও গুলশানের মতো অভিজাত এলাকায় ৩১ কাঠা জমির ওপর তাঁর আরেকটি বাড়ি রয়েছে। আত্মীয়-স্বজন এবং পরিবারের সদস্যদেরও অনেকের সরকারিভাবে পাওয়া প্লট বা বাড়ি রয়েছে। সর্বোপরি, বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসেবে তাঁর জন্য বরাদ্দ করা একটি সরকারি বাড়ি সম্পূর্ণ খালি পড়ে রয়েছে। তারপরও তিনি ‘বাস্তুহারা’ হন কী করে? তাঁর এভাবে নিজেকে ‘বাস্তুহারা’ দাবি করা কি প্রকৃত বাস্তুহারাদের সঙ্গে পরিহাস করার শামিল নয়? সম্ভবত সে কারণেই সেদিন বাস্তুহারা কল্যাণ সমিতির একজন নেতা ঠাট্টা করে বলছিলেন, ‘আমরা তাহলে ওনাকে সমিতির সদস্য করে নিলেই পারি!’

শুধু তাই নয়, দিনাজপুর শহরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মা ‘রানীমাতা’ নামে সমধিক পরিচিত। সেই মায়ের নামে সেখানে রয়েছে প্রাসাদোপম ‘তৈয়বা ভবন’। দিনাজপুরে কান্তজির মন্দির বানিয়েছিলেন যে মহারাজা, তিনি সেখানে পাঁচটি বড় দিঘি কাটিয়েছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাতাসাগর। ৪৬ একর জমির ওপর কাটা এ দিঘিটি তীরবর্তী কিছু জমিসহ লিজ দেওয়া হয়েছিল খালেদা জিয়ার বাবাকে। জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনামলেই এ লিজ দেওয়া হয়েছিল। জানা যায়, লিজের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল চার লাখ টাকার মতো, যা তিনি কখনো জমা দেননি। অথচ মাতাসাগর ভোগদখল করে আসছিলেন তারা। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হন। ইতিমধ্যে তাঁরা বাবা মারা গেছেন। সম্ভবত ১৯৯৪ সালে সেই মাতাসাগরের লিজ হস্তাস্তর করা হয় তৎকালীন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটল ও তাঁর ভাইদের নামে এবং তখন লিজের টাকা পরিশোধ করা হয়।

দিনাজপুর পৌরসভার অবিভক্ত বাংলার এককালীন চেয়ারম্যান বাবু যতীন্দ্র মোহন সেনের বাড়িটা লিজ দেওয়া হয়েছিল খালেদা জিয়ার মা তৈয়বা বেগমের গড়া একটি এনজিওকে। সেই এনজিওটির কমিটিতে তাদেরই আত্মীয়স্বজন এবং বিএনপির কিছু লোক রয়েছেন। পঞ্চগড়ে ঐতিহ্যবাহী জাজ ডিস্টিলারির মালিক হয়েছিলেন তার ছেলে ও ভাগ্নে। সেখানেও প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। বগুড়ায়ও তাঁর স্বামীর এবং পরবর্তীকালে ছেলের অর্জিত বেশ জায়গাজমি ও বিশাল বিশাল স্থাপনা রয়েছে। খালেদা জিয়ার বাবার আদি বাড়ি ছিল বৃহত্তর নোয়াখালীর ছাগলনাইয়ায়। তিনি সেখান থেকে নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেখানেও জমিজমার অধিকার তারা ছাড়েননি। সাভারেও তাদের নামে-বেনামে অনেক জমি আছে। ছোট ভাই ইস্কান্দারের সেখানেও রীতিমতো রাজত্ব রয়েছে। সারা দেশে তাদের এ রকম আরও কত সম্পত্তি রয়েছে, তার সব হিসাব আমাদের জানা নেই। একটি পরিবারের অনেক সম্পত্তি থাকতেই পারে। তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার আমাদের নেই। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি আইনবহির্ভূতভাবে যদি কাউকে দেওয়া হয়, তাহলে প্রশ্ন ওঠাটা স্বাভাবিক। আর তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী অশ্রুসজল চোখে নিজেকে ‘বাস্তুহারা’ দাবি করাটা সম্ভবত সঙ্গতও নয়।


প্রথমেই বলেছি, বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ি ছাড়া কিংবা উচ্ছেদের ব্যাপারে দু ধরনের মতই আমরা পেয়েছি। কোনটি বিশ্বাসযোগ্য তা ভবিষ্যৎই বলতে পারবে। তবে কিছু ঘটনার কথা এখানে উল্লেখ করা যায়। যেদিন খালেদা জিয়া বাড়িটি ছেড়ে যান, তার আগের দিন দৈনিক প্রথম আলো প্রধান শিরোনামে যে খবরটি ছাপা হয়েছিল, তা প্রণিধানযোগ্য। ‘বাড়ি ছাড়ার প্রস্তুতি খালেদার’ শিরোনামের খবরটিতে বলা হয়, তিনি ১ নভেম্বর থেকেই বাড়ি ছাড়ার প্রস্তুতি নিতে থাকেন এবং বাড়ির মালামাল সরিয়ে নিতে শুরু করেন। এ কাজে তিনি সেনাবাহিনীর সহায়তাও চেয়েছিলেন। ১, ৪, ৯ ও ১০ নভেম্বর অর্ধশতাধিক কার্টন মালামাল, কয়েকটি বড় ব্যাগ, স্টিলের বড় ট্রাংক ইত্যাদি সরিয়ে নেওয়া হয়। অধিকাংশ মালামাল নেওয়া হয় ছোটভাই এস্কান্দার ও ছেটো ছেলে কোকোর শাশুড়ির বাসায়। খবরে বলা হয়, খালেদা জিয়া বাড়ি ছাড়ার ব্যাপারে মনস্থির করে ফেলেছেন এবং পরদিন (১৩ নভেম্বর) বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে আইএসপিআরের দাবিকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তা ছাড়া হাইকোর্টের রায়ের বিপরীতে আপিল করার সময় স্থগিতাদেশ না চাওয়াটাও বিশেষ অর্থ বহন করে। এ নিয়ে খোদ বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যেই ভিন্নমত রয়েছে। অনেকে একে একটি বড় ভুল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

যাহোক, আমরা চাই মহাজোট সরকার বিরোধী দলীয় নেতার সেনানিবাসের বাড়ির ব্যাপারে সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযমের পরিচয় দেবে। কোথাও যেন কোনো রকম বাড়াবাড়ি না হয়, সে ব্যাপারে সরকার সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে। এ ব্যাপারে কেউ যেন অনাহুত কোনো বক্তব্য দিয়ে অযথা পরিস্থিতি ঘোলাটে না করে, সেদিকে সরকারকে সাবধান হতে হবে। বিরোধী দলীয় নেতার প্রতি দেশবাসীর স্বাভাবিকভাবেই একটি সহমর্মিতা থাকবে। এ ব্যাপারে আদালত যেভাবে রায় দেবে সেভাবেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আর বিরোধী দলীয় নেতারও উচিত হবে, এ ব্যাপারে যা সত্যি তাই প্রকাশ করা। জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হলে তা হিতে-বিপরীত হবে। আর এই ইস্যুতে হরতাল ডেকে কিছুদিন আগে অনেক রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করা হয়েছে। আবারও হরতাল ডাকা হয়েছে। দেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক বিকাশের স্বার্থে, সর্বোপরি জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে হরতালের রাজনীতি বিসর্জন দেওয়া উচিত বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। তাই আগামী ৩০ নভেম্বরের হরতাল প্রত্যাহার করে নেওয়াটাই সম্ভবত বিএনপির জন্য সবচেয়ে সমীচিন হবে। বিষয়গুলো বিরোধী দলকে আন্তরিকভাবে ভেবে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।

৪০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:০৭

রোবোট বলেছেন: :)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সামদ বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.