![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশের হিন্দু এবং মুসলিম সমাজের মধ্যে বিভিন্ন কারনে ধর্ম সংক্রান্ত বিষয়ে নানা কুসংস্কার ছিল যার সুযোগ নিয়েছে ধর্ম ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন সময়ে অনেক সমাজ সংস্কারক জন্ম নিয়েছে এবং তাদের অসাধারণ চিন্তা ভাবনা দিয়ে সমাজে এনেছেন পরিবর্তন। যেমন হিন্দু সমাজে বিদ্যাসাগর, রামমোহন রায়, জোত্যিরিন্দ্র ঠাকুর প্রমুখ। তারা হিন্দু সমাজে প্রচলিত সতী-দাহ, বিধবা বিবাহ না হওয়া, কৌলান্য ইত্যাদি কু-প্রথার বিলোপ ঘটান। মুসলিম সমাজেও হাজি শরীয়াতুল্লাহ, তিতুমীর, সৈয়দ আমীর আলী একটা পরিবর্তন আনেন। এই পর্যন্ত ঠিক আছে।
তবে ব্যাপার হল হিন্দু সমাজের সংস্কারকগন নিজেরাও সংস্কারক মুক্ত ছিলেন না। জোত্যিরিন্দ্র ঠাকুর কঠিনভাবে জমিদারী প্রথার পক্ষে এবং সাধারন মানুষের সম্পদের অধিকারের বিরোধী ছিলেন। রামমোহন রায় যখন ইউরোপ যান তখন সাথে একটি গরু এবং একজন ব্রাহ্মণ পাচক নিয়ে যান কারন তিনি ছিলেন ব্রাহ্মণ ইউরোপের মানুষ অচ্ছুত-ম্লেচ্ছ তাদের হাতে তৈরি খাবার তার জন্য নিষিদ্ধ। বর্তমানে সিংহভাগ হিন্দুই সকল এসব কুসংস্কার থেকে মুক্ত। তারা উপরের কুসংস্কার থেকে মুক্ত তো বটেই এমনকি তাদের সংস্কারকগন যে সকল কুসংস্কার এর মধ্যে ছিলেন তা থেকেও মুক্ত অর্থাৎ তাদের থেকেও আধুনিক। তারা আর অচ্ছুত, জাত-পাত বিচার করে না। মুসলিমদের সাথে একই সাথে খায়, খেলে, কোলাকুলিও করে। অন্যদিকে মুসলিমদের একটা বড় অংশ এখনও সেই আগের অবস্থাতেই আছে। তারা শরীয়াতুল্লাহ বা তিতুমীর থেকে আরও ভালভাবে মানবে কি উল্টো তাদের সংস্কার থেকে বহু দূরে। এখনও তারা মাজারে পূজা করে, অদ্ভুত কিছু অনুষ্ঠান পালন করে (যেমন তাজিয়া মিছিল), পীর পূজা করে, এমনকি পীরকে আল্লাহ মানে। কয়েকদিন আগে এক ছোট ভাই বলেছিল, দেওয়ান বাগী ভণ্ডের ভক্তরা নাকি তার পায়ের আঙ্গুলই নাকি চিকন বানিয়ে ফেলছে চুষতে চুষতে। যদিও বিদ্যাসাগর, রামমোহন রায়, জোত্যিরিন্দ্র ঠাকুর এখন বাংলাদেশে প্রাসঙ্গিক না তবে শরীয়াতুল্লাহ, তিতুমীর বা আমীর আলীকে এখনও শতভাগ প্রাসঙ্গিক।
সুতরাং আমাদের আবেগ যাই বলুক, হিন্দুদের ধর্ম নিয়ে যতই মজা করুক কিছু আম জনতা। বাস্তবতা হল বাংলাদেশের বেশিরভাগ হিন্দু মুসলিমদের একটা বড় অংশের চেয়ে ১৫০ থেকে ২০০ বছর বেশি আধুনিক।
পুনশ্চঃ আমি সকল মুসলিম এর কথা বলিনি। আমি পীর ও মাজার পন্থীদের কথা বলেছি। তাদের সংখ্যা নেহাত কম না।
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩১
যাযাবর চিল বলেছেন: ধন্যবাদ
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩১
যাযাবর চিল বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
আধুনিকতার সংগাটা ঠিক যেন কি??
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩৫
যাযাবর চিল বলেছেন: আধুনিকতা শব্দটি দিয়ে আপনি কি বোঝেন? বলেন, তারপর আলোচনা হতে পারে। যদি কোন ধারনাই না থাকে এই শব্দটির সাথে, তাহলে আপনার জন্য এ পোস্ট না। যান কিশোর ধারাপাত পড়েন।
৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি আধুনিক হইতাম চাই না।
আসলে আধুনিক শব্দের অর্থই আমি জানি না।
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৪০
যাযাবর চিল বলেছেন: আধুনিক মানে (ভুল) অর্বাচীন পরিত্যাগ করা। অর্থাৎ (পুরাতন) মিথ্যাকে ত্যাগ করে নতুন সত্যকে গ্রহণ করা। এটা সবাই পারে না। আর ভাই শুধু পাশ করিয়া চাকুরি করিবার লাইগা স্কুলে গেলে খুবই স্বাভাবিক শব্দের অর্থ জানবেন না। <অর্ধ মূর্খ>
৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৯
শাহ আজিজ বলেছেন: দেওয়ান বাগের ভণ্ডের ভক্তরা নাকি তার পায়ের আঙ্গুলই নাকি চিকন বানিয়ে ফেলছে চুষতে চুষতে।
দারুন তথ্য দিয়েছে , ও ওকি চুষেছে ??
৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কথাটা একশভাগ সঠিক| মুসলিমরা ঠিক কোন সঠিক সংস্কারক পায়নি| শরিয়ত তিতুমীর তো পার মৌলবাদী| তাদের চেয়ে বিদ্যাসাগর অন্তত হাজারগুন আধুনিক| এখনও তাই আছে| তবে হিন্দু মুসলিম তফাৎ করাটাই অনাধুনিকতা
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৪৫
যাযাবর চিল বলেছেন: ভাই আবার পুরা লেখাটা পড়েন। আমি বলছি হিন্দু সংস্কারক গন (ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়) নিজেরাই কুসংস্কার এর মধ্যে ছিল। তিতুমীর বা শরীয়াতুল্লাহ এর মধ্যে কোন রুপ কুসংস্কার ছিল না। আর তারা সত্যের পক্ষে মৌলবাদী ছিল। কে কার চেয়ে বেশি আধুনিক তা দাঁড়িপাল্লা আর বাটখারা দিয়ে কিভাবে মাপালেন বুঝতে পারছি না। -_-
৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:০৯
তারা চাঁন বলেছেন: @ যাযাবর চিল- আধুনিকতার সংজ্ঞা যদি আগে আমাদের বলতেন তাহলে আপনার এই গবেষণা লব্ধ ও জ্ঞান পুষ্ট পোস্ট পড়ে আমরাও আধুনিক হওয়ার চেষ্টা করতাম।
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৪৭
যাযাবর চিল বলেছেন: আধুনিক মানে (ভুল) অর্বাচীন পরিত্যাগ করা। অর্থাৎ (পুরাতন) মিথ্যাকে ত্যাগ করে নতুন সত্যকে গ্রহণ করা।
তারা-চান মিয়া আশা করি উপকার পাবেন
৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১৯
যোগী বলেছেন: যুক্তি দেখি ভালই দিছেন কেমনে খন্ডামু।
দেওয়ান বাগের ভণ্ডের ভক্তরা নাকি তার পায়ের আঙ্গুলই নাকি চিকন বানিয়ে ফেলছে চুষতে চুষতে।
এই কাহিনীডা কি সত্যিই সত্যি?
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৪৯
যাযাবর চিল বলেছেন: আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয় এর মুসলিম ছাএ এর কাছে শুনেছি । আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে। আপনি একটু খবর নিতেই পারেন।
৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:১৮
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: তুমি আমার বালের আধুনিকতা শিখাইতে আসছো।
মুসলমানের কিছু যদি মাজারে গিয়া পীরের আর কবরের পুজা কইরা অনাধুনিক হইয়া যায়, তাইলে সব হিন্দু এখনো মুর্তিপুজা কইরাও খুব আধুনিক হইয়া গেলো?? নাকি ওরা মুর্তি পুজা করা বাদ দিয়া ধর্মরে আরো আধুনিক বানাইয়া ফেলারো পরিকল্পনায় আছে?
( হিন্দু কাউকে আঘাত করার জন্য না। কাউন্টার লজিক। আধুনিকতার সংগার সাথে ধর্মের সম্পর্ক নাই। ধর্ম সারাজীবনই ধর্মই থাকে। কোন ধর্মই বলেনা তোমরা আমারে এতো বছর পর পর সংস্কার কইরা উদ্ধার করবা। ধর্মে ধর্মে তুলনা কইরা এইসব আবালই সব ধর্মের বারোটা বাজায়)
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৫২
যাযাবর চিল বলেছেন: ইতরকে চেনার উপায় হল অশ্লীল বাক্য ।
-হযরত আলী (রা)
আমার সংবিধান অনুসারে কোন ইতর এর সাথে সংজ্ঞাপন করা নিষিদ্ধ। ধন্যবাদ নিজের এবং নিজের পরিবারের পরিচয় দেওয়ার জন্য। আগে জানলে উপরের কমেন্টেরও রিপ্লাই করতাম না।
৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:২৮
বিলোয় বলেছেন: দেওয়ানবাগির মত ভণ্ডগুলোর কিছু হবে না, হামলা হবে কেবল অভিজিতের মত মুক্তমনাধারিদের
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৪:০৪
যাযাবর চিল বলেছেন: অভিজিৎ এবং দেওয়ানবাগি> এরা সিস্টার কনন্সারন। একই মাল। । । একজন নিজেকে ধর্মের পীর বলে ব্যবসা আর একজন ধর্মকে গালি দিয়ে ব্যবসা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২
সাইলেন্ট পেইন বলেছেন: হুম।