নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রনাথ, নজরুল এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:২১

রবি ঠাকুর। বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক। তিনি বাংলা সাহিত্য এবং ভাষা কে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। শুধু বাংলা কেন, সব ভাষায় সব যুগের ৫ জন শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক এর মধ্যে তাকে একজন ভাবা হয়। যারা নজরুলকে তার সাথে তুলনা করে তারা যাই হোক, সাহিত্যের জ্ঞানে আস্ত একটা মূর্খ ছাড়া আর কিছু না।
তবে কথা এখানেই শেষ না। আমাদের মুদ্রায় অন্য পিঠও জানতে হবে…
১। তিনি জমিদার প্রথার পক্ষে ছিলেন। তিনি সাধারন মানুষের সম্পদের মালিকানার বিরোধী ছিলেন।
২। জমিদার হিসেবে রবীবাবু খুবই অত্যাচারি ছিলেন।
I. সব জমিদারা খাজনা আদায় করত একবার,কিন্তু রবীন্দ্রনাথ এলাকার কৃষকদের থেকে খাজনা আদায় করত দুইবার। একবার জমির খাজনা দ্বিতীয় বার কালী পূজার সময় চাদার নামে খাজনা। ( তথ্যসূত্র: ইতিহাসের
নিরিখে রবীন্দ্র-নজরুল চরিএ, লেখক
সরকার শাহাবুদ্দীন আহমেদ )
II. কর বৃদ্ধি করে বল প্রয়োগে করে খাজনা আদায়ের ফলে প্রজাবিদ্রোহ ঘটলে তাও
তিনি সাফল্যের সঙ্গে দমন করেন।
" শোষক রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে শিলাইদহের
ইসলাইল মোল্লার নেতৃত্বে দু’শঘর প্রজা
বিদ্রোহ করেন। [ তথ্যসূত্র: অমিতাভ
চৌধুরী, জমিদার রবীন্দ্রনাথ, দেশ
শারদীয়া, ১৩৮২।]"
৩। তিনি বঙ্গ-ভঙ্গের বিপক্ষে ছিলেন। বঙ্গ-ভঙ্গ হলে বাংলাদেশের মানুষ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সভ্যতার দিক দিয়ে এগিয়ে যাবে। কলকাতার সাম্প্রদায়িক হিন্দু বাবুদের সাথে তিনিও এটা সহ্য করতে পারেননি। এর বিরোধিতা করেন। তখনই “আমার সোনার বাংলা” গানটি লেখেন যা মারাত্নকভাবে বাংলাদেশ বিরোধী।
৩। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রবল বিরোধী ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে “মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়” বলে ব্যাঙ্গ করেন। এবং বলেন পূর্ব বাংলার মানুষ “চাষা-ভুষা” তারা বিশ্ববিদ্যালয় এর কি বুঝবে। ঢাবির শিক্ষার্থীরা এটা জানে না! অবাক লাগে। তাই এটার ত্তথ্যসূত্র দিলাম-
I. ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের ২৮ মার্চ
কলিকাতার গড়ের মাঠে এক বিরাট
সমাবেশ করা হয়। ঠিক তার দু’দিন পূর্বে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং হয়েছিল। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, ঢাকায় ইউনিভার্সিটি হতে দেওয়া যাবে না। উক্ত উভয় সভার সভাপতি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ( তথ্যসূত্র: কলকাতা ইতিহাসের দিনলিপি, ড. নীরদ বরণ হাজরা, ২য় খণ্ড, ৪র্থ পর্ব)।
II. ১৯১২ সালের ২৮শে মার্চ কলিকাতা গড়ের মাঠে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিবাদে এক বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়। [ তথ্যসূত্র: আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতা এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা, লেখক,মেজর জেনারেল (অব.) এম এ মতিন (সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা)]
৪। যদিও তিনি প্রচায় করেন, তিনি ব্রাহ্ম। তবে বাস্তবে তিনি ছিলেন হিন্দু এবং চরমভাবে বর্ণবাদী হিন্দু। তার মেয়েদের বিয়ে দেন ব্রাহ্মন ছেলের সাথেই। পরিবার এবং শান্তি নিকেতনও তিনি বর্ণপ্রথা মেনে চলেন।
৫। তিনি একজন চরম সাম্প্রদায়িক লেখক ছিলেন। তার লেখায় নেতিবাচক চরিত্রের বড় অংশ মুসলিম। মুসলিম প্রধান এলাকায় থাকলেও তার লেখায় মুসলিম চরিত্র পাওয়াই যায় না। এর সাপেক্ষে এত বেশি উদাহারন যে দিলে কয়েক পাতা লাগবে।
৬। পতিতালয় ছিল তাদের পারিবারিক ব্যবসা।

আজ তার নামে আমাদের বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় হল। আহারে, আমরা কি মহান জাতি! কি ক্ষমাশীল জাতি। সব ভুলে যাই। ব্রিটিশদের ২০০ বছরের লুটপাট,চাপিয়ে দেওয়া দুইটা দূরবিক্ষ (গনহত্যা যাতে প্রায় এক কোটি মানুষ মারা যায়) ভুলে গেছি। ৭১ এ ম্যাসাকার চালানো আটক সব পাক সেনাকেও মাফ করে ছেড়ে দিসি। ফেলানির কথা ভুলে গেছি। জুয়তু বাংলাদেশী। জয়তু।
পুনশ্চঃ
১। অনেক সুশীল বলার চেষ্টা করছেন বঙ্গবন্ধু নাকি রবীবাবু প্রভাবিত ছিলেন। তাদের জন্য একটা বানী যোগ করলাম-
“আলাদা দেশ না হলে দশ কোটি মুসলমানের কি হবে? অখণ্ড ভারতে যে মুসলমানদের অস্তিত্ব থাকবে না এটা আমি মন প্রাণ দিয়ে বিশ্বাস করতাম”
-অসমাপ্ত আত্নজীবনী
২। কারো চুলকানি হলে নিজ দ্বায়িত্বে মলম লাগিয়ে নিন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.