নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাসে গন-ধর্ষণ, ভারতের পথে বাংলাদেশ এবং কিছু চিন্তা

২৩ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৩৮


অনেকদিন আগে যৌনতা নিয়ে ড. হুমায়ন আজাদ স্যার এর একটি অসাধারন লেখা পড়েছিলাম। লেখাটার বক্তব্য ছিল অনেকটা এমন, যখন মানুষ এর মধ্যে যৌনতা এর ব্যাপারটি আসে, তখন পশ্চিমা সমাজে ছেলে মেয়েদের একে অন্যের সাথে ঘনিস্টতা তৈরি হয়। তারা সেটিকে উপভোগ করে। আর আমাদের প্রাচ্য সমাজের ছেলে মেয়েরা তখন সেটি নিয়ে প্রচণ্ড হতাশায় ভোগে, বিকৃত চিন্তা করে, অস্তিরতার মধ্যে থাকে। যখন তারা সেটি কাছে পায় তখন খুবই বিকৃতভাবে তা ব্যবহার করে এবং এর ফলশ্রুতিতে কোনদিনই তারা যৌনজীবনে সুখি হতে পারে না।
আমি জানি আমাদের সমাজে হুমায়ন আজাদ এর খুব একটা গ্রহণযোগ্যতা নেই। তবে এই কথাটি খুবই নগ্ন সত্য। তার প্রমান আমরা সব সময়ই দেখি, পহেলা বৈশাখে এটা খুব অশ্লীলভাবে আমাদের চোখে পড়েছে। আমারা এতদিন ভারতকে খুবই বিদ্রুপ করতাম যা নিয়ে, অলাইনে ভারতকে ব্যাঙ্গ করে রেন্ডিয়া (রেপ+ইন্ডিয়া) বলা হয় যে ঘটনার প্রেক্ষিতে সেই একই ঘটনা দুইদিন আগে আমাদের ঢাকায় ঘটলো। মাইক্রোবাসে এক তরুণী গন-ধর্ষণের শিকার হল।
এমন কঠিন না হলেও এ ধরণের ঘটনা আমাদের দেশে নতুন না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবদন্তি জনাব মানিক সাহবে ধর্ষণ এর সেঞ্চুরি ঘটা করে পালন করেছেন। নওয়াব সলিমুল্লাহ মুসলিমদের উচ্চ শিক্ষার জন্য যে বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়েছিলেন সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থার্টি ফাস্ট নাইটে বাঁধন তারই সহপাঠীদের দ্বারা নিপীড়ন এর শিকার হন। বুয়েটে সানি। ইত্যাদি ইত্যাদি। বলা শুরু করলে শেষ হবে না।
আমাদের এখন আমাদের সামনে দুইটা ব্যাপার আছে। এক বিচার করতে হবে এই সব ঘটনার। বিচার হতে হবে খুবই কঠোর। এর একমাত্র শাস্তি হবে মৃত্যুদন্ড। এবং সবচেয়ে ভাল হবে দণ্ডটি যদি সবার সামনে কার্যকর করা হয়। তাহলে বাকীদের মনে ভীতির সঞ্চার হবে। ১০০০ বার ভাববে কিছু করার আগে।
শুধু শাস্তি দিলেই কাজ শেষ হবে এমনটা মনে হয় না আমার। এখন আমাদের এই তরুণদের মধ্য থেকে হতাশা, বিকৃত চিন্তা এবং অস্থিরতা দূর করতে হবে। কিন্তু কিভাবে?
হুমায়ন আজাদ তার লেখায় এর সমাধান দিয়েছেন তা হল পশ্চিমা সমাজ থেকে শিক্ষা নেওয়া। এখন এই সমাধানে কতজন একমত হবেন তা নিয়ে সন্দেহ আছে। খোদ আমি নিজেই এই সমাধানে বিশ্বাসী না। কারন এক- আমাদের সমাজের জন্য এই সমাধান কোন ভাবেই বাস্তবায়ন যোগ্য না। দুই- এটা আরও নতুন কিছু সমস্যার জন্ম দেয় পশ্চিমা সমাজ এখন যেগুলোর সম্মুখীন এর মধ্যে আছে এইডস, পিতৃ পরিচয়হীন শিশু(কয়েকটা দেশে এমন শিশুর পরিমাণ অনেক ৫০ ভাগেরও বেশি)।
তাহলে সমাধান কি হতে পারে?
এটাও তারাই বের করেছে তা হল কম বয়েসে বিয়ে। প্রায় সব পশ্চিমা দেশে বিয়ের বয়স ১৫/১৬। অ্যামেরিকার কিছু রাজ্যে ১৪। জানি অনেকের কম বয়সে বিয়ের ব্যাপারে চুলকানি আছে। কিন্তু এর থেকে ভাল সমাধান আর নাই বা হতেও পারে না।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:০৯

বালির চর ০৭ বলেছেন: তাহলে সমাধান কি হতে পারে?
এটাও তারাই বের করেছে তা হল কম বয়েসে বিয়ে। প্রায় সব পশ্চিমা দেশে বিয়ের বয়স ১৫/১৬। অ্যামেরিকার কিছু রাজ্যে ১৪। জানি অনেকের কম বয়সে বিয়ের ব্যাপারে চুলকানি আছে। কিন্তু এর থেকে ভাল সমাধান আর নাই বা হতেও পারে না। সহমত

২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:২০

যাযাবর চিল বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:১০

নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: কম বয়সে বিয়ে দিয়ে রেপিস্ট হওয়া ঠেকানো যাবেনা। এই রেপটাই যারা করেছে, খোঁজ নিলে দেখা যাবে তাদের বেশিরভাগই বিবাহিত। আর পশ্চিমা বিশ্বে কি রেপ হয়না? হয়, আমাদের চেয়ে বরং বেশিই হয়। এটা একটা চিরায়ত কুপ্রবৃত্তি পুরুষদের, যা জঙ্গলে বসবাসকালীন সময় থেকে পুরুষেরা নিয়ে এসেছে; যখন মানুষ পশুর মতো ছিলো, তখন থেকেই। এক্ষেত্রে দেশ বিচার করে লাভ নেই, একটা পৃথিবীর সমস্যা। তবে প্রকাশ্য শাস্তি একটা ভালো সমাধান হতে পারে বলে আমারও ধারনা।

২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:১৮

যাযাবর চিল বলেছেন: ভাই রেপিস্ত ঠেকানো না তরুণদের মধ্য থেকে হতাশা, বিকৃত চিন্তা এবং অস্থিরতা দূর করতে কম বয়সে বিয়ে। কারন এর জন্য একজন রেপ করে বসতে পারে। এগুলো ঠেকানোর কোন ভাল উপায় আপনার জানা আছে?

৩| ২৪ শে মে, ২০১৫ ভোর ৫:৪৯

মিউজিক রাসেল বলেছেন: দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য X((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.