![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এমন খবর মাঝে মাঝেই দেখবেন পশ্চিমের কোন শহর শিকাগো, বন, বা টটেনহামের কোন স্কুলে একজন লোক বন্দুক নিয়ে ঘুকে পরছে এবং এলোপাথাড়ি সুটিং করে কয়েকজন ১০-১৫ শিশুকে হত্যা করে নিজেও আত্নহত্যা করছে। মনোবিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বলেছেন, এরা মানুষিক ভাবে অসুস্থ। এবং পাশ্চাত্যের সমাজের বিভিন্ন ক্ষতের জন্যই এ ধরনের মানসিক রোগীর জন্ম হচ্ছে। এজন্য তারা ক্ষত সারাতে অনেক কাজ করছে- বাবা দিবস, মা দিবস, বেশি সন্তান নিয়ে ট্যাক্স ফ্রি বা গাড়ি-বাড়ি ইত্যাদি ইত্যাদি। অনেক গর্ব করে বলতাম কই আমাদের দেশের ২০০০ বছরের ইতিহাসে এ ধরণের পাগলের জন্ম হয়নি। আমরা বিলাশিতায় আর যাই হোক মানবতায় পশ্চিম এর চেয়ে লক্ষ যোজন এগিয়ে। রাজন এর হত্যার পর একটা বিষয় মাথায় কাজ করছে……
আমাদের দেশে কি হয়- রাজনের হত্যা নতুন কিছু নয়। এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে- রাজনের ঘটনার মধ্যেই চট্টগ্রামে পিকন নামে ৮ বছর বয়েসি একটি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। সে তার কারখানায় কর্মরত মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করেছিল। এই অপরাধে তার মামা তাকে বেধড়ক মারধর করলে মারা যায় শিশুটি। রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার বিএফআইডিসি স্টাফ কোয়ার্টারে শিশুকে মারধর করেন তারই মামা সুজন দাশ। তখনও কেউ এগিয়ে যায়নি।
কিছুদিন আগে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে ছাত্রলীগের একটি মিছিল থেকে জামায়াত-শিবির সন্দেহে বিশ্বজিৎকে ধাওয়া করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে বিশ্বজিৎ একটি মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নিলেও হায়েনারা সেখানেও ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রকাশ্যে কোপানো ও পেটানো শুরু হয়।
সেখান থেকে পালিয়ে মারাত্মক জখম অবস্থায় বিশ্বজিৎ বের হয়ে রাস্তা দিয়ে দৌড় দেয়। পিছু পিছু অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হায়েনার মতো পুনরায় ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয় বিশ্বজিৎকে। রক্তাক্ত অবস্থায় বিশ্বজিৎ রাস্তায় পড়ে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। পরে এক রিকশাচালক স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর কিছুদিন আগে সাভারে শবে বরাত এর রাতে ৬ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করে গ্রামবাসী। লিমনের ঘটনাতো এখনও চোখে জ্বল জ্বল করছে। তার আগে পিটিয়ে লাশের উপর নাচারও ঘটনা ঘটেছে।
জানি না কেন ঘটছে। যারা সাইকোলজি নিয়ে কাজ করেন তারা এটা নিয়ে কাজ করতে পারেন। তবে আমার কাছে এখন যা মনে হচ্ছে তা হল- আমাদের অতি গর্বের বিষয় অর্থাৎ প্রাচ্যের মন নিয়ে আমাদের যে গর্ব তা পুরাটাই মেকি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৩১
নতুন বলেছেন: আমাদের সমাজে এখনো অনেক বাসাতেই কাজের ছেলে/মেয়ে আছে। তাদের প্রতি কতটা ভাল ব্যবহার করা হয়?

নিজের ছেলে/মেয়েকে স্কুলে পড়িয়ে ভাল খাইয়ে মানুষ করার চেস্টায় রত কিন্তু গরীবের সন্তানকে বাসার কাজের ছেলে/মেয়ে বানিয়ে রাখবে।
শিশুশ্রম চলতেই থাকবে।
চুরির দায়ে ধরা পড়লে:- চোখ উঠিয়ে দেও/ হাত ভেঙ্গে দেও/ মাইরা ফেলা/শেষ কইরা ফেলা<< পরামশ দেবার লোকের অভার নাই।
এই সমস্যা আরো বড় হবে।
এর একটা কারন আমার মনে হয় মানুষ এখন পাঠ্যপুস্তক ছাড়া অন্যকিছু পড়েনা। বিশ্বসাহিত্য জানেনা। মমনশীল কিছু শেখে না। তাই ভালমনের মানুষ তৌরি হচ্ছেনা। আপনার আমার যে চিন্তা/ফিলোসফি তা গড়ে উঠার পেছনে কিন্তু বিশ্বসাহিত্যের বড় একটা ভুমিকা আছে। সামনের জেনারেসন এই জিনিস ছাড়াই বড় হচ্ছে।
আগে আমরা ম্যাকগাইভার দেখাতাম ( নতুন ভাবনা মাথায় থাকতো)
এক্সফাইলস দেখতাম ( নতুন চিন্তায় মগ্ন থাকতো সবাই)
এখন সবাই:-
এরা ডেক্সার দেখছে ( সিরিয়াল খুনি যেখানে নায়ক)
স্পাটরাকাস দেখছে ( যেখানে রক্ত আর শরিরের প্রধান্য)
তাই বলতেই হয় আমাদের সমাজেও :- Winter Is Coming