![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রায় এক মাস বা তার বেশি হয়ে গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ দেশের সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক একটি সতন্ত্র বেতন কাঠামোর জন্য আন্দোলন করছে।
কোন মানে হয়? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ক্লাস নিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করে। এই এনজিও সেই এনজিওর উপদেষ্টা সেখানেও আয় নেহাত কম নয়। তার উপর আবার আন্দোলন!! শিক্ষিত লোকগুলো জ্ঞানের অভাবে আন্দোলন করছে।- কথা গুলো সরকারের।
আমার মাথায় ঢোকে না যারা এই গুলো বলেন তারা কি একবারও ভেবে বলেন? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ক্লাস নিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করেন ঠিক আছে। আচ্ছা তারা কি জানেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কয়টা বিষয় আছে? ব্যবসায় অনুষদ, ইংরেজি, আইন এ রকম গোটা চার-পাঁচটা বিষয় পড়ানো হয়। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয় আছে ৮০ টিরও বেশি। আর যে বিভাগগুলো আছে সেখানে কয়জন শিক্ষক ক্লাস নেন? আমার বিভাগের মাত্র ৪-৫ জন শিক্ষক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেন। কোটি কোটি টাকা আয়ের হিসাবে যদি আসি, তাহলে সরকার একবার দেখুক একজন অধ্যাপক যখন অবসর নেন তখন ঢাকা শহরে কত টাকার সম্পদ থাকে আর একজন সচিব যখন অবসরে যান তার কি পরিমানে সম্পদ নামে বেনামে থাকে।
কলেজের শিক্ষকগন প্রাইভেট পড়ান, কোচিং এ ক্লাস নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগন সেটা করতে পারেন না। দেখে যতটা বুঝি, আমার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ২-৪ জন ছাড়া বাকি সবায় চেয়ে আমার কলেজর (রাজউক উওরা মডেল কলেজ) অধিকাংশ শিক্ষকদের মাসিক আয় অনেক বেশি। [এটা দেশের শ্রেস্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা। বাকি গুলার যে অবস্থা কেমন আল্লাহ মালুম]
একটা দেশের মেরুদণ্ড কতটুকু সোজা সেটা নির্ভর করে সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপর। বড় বড় জাতিয় সঙ্গিত, জাতিয় পতাকা, বিলবোর্ড বা খেলার উপর না।
হয়তো সরকার আর সব বিষয়ের মত এটিও কোন ভাবে ম্যানেজ করে শিক্ষকদের বসিয়ে দিতে পারবে। কিন্তু তার ফলাফল হবে কি? একদিনে সেটা বোঝা যাবে না। আমি যদি শিক্ষকদের কেউ হতাম তাহলে দেশেই থাকতাম না। বিদেশ চলে যেতাম। এটা সবাই জানে ঢাবির অন্তত ৪০-৪০ ভাগ শিক্ষক যদি চায়, তাহলে ১০০% বৃওি নিয়ে তাদের বিদেশি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে ১ মাসও লাগবে না।
দেশ এমন কিছু হারাবে যা টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব না।
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১২
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: হুয় সহমত ।
৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০২
বটপাকুড় বলেছেন: আচ্ছা বলেন তো ভার্সিটির শিক্ষকদের কাজ কি? গবেষণা করা আর পড়ানো। ওনারা না ঠিক মত পড়ান আর গবেষণার কথা আর নাই বা বললাম। তারপরে বেসরকারি ভার্সিটির গুলোতে পড়ানো ছাড়াও এনজিও গুলোতে পচুর কনসালটেন্সি থাকে আমাদের শিক্ষকদের। সেগুলোর না দেন কোন ট্যাক্স, খালি সচিবদের সাথে পরশ্রীকাতরতা। ভার্সিটির শিক্ষকদের বেতন কম এটা তো নিশ্চয় আকাশ থেকে হঠাৎ উদয় হয়নি। ওনারা জেনে শুনে চাকুরী নিয়েছেন। তখন সিভিল সার্ভিসে পরীক্ষা দিতে কে নিষেধ করেছিল? সরকার?
এটা সবাই জানে ঢাবির অন্তত ৪০-৪০ ভাগ শিক্ষক যদি চায়, তাহলে ১০০% বৃওি নিয়ে তাদের বিদেশি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে ১ মাসও লাগবে না।
ভাই আপনি এখনও ষাটের দশকে আছেন, বিদেশের পড়ালেখা অনেক উপরে চলে গেছে। ঢাবি এর শিক্ষকদের চাকুরী দেবে কিসের জন্য? না গবেষণা করেন, না ভালো পাবলিকেশন? সারাক্ষণ তেলবাজী আর দলবাজি এর উপর চলতে থাকেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৪
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: সহমত ।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শতকরা কতো জন " শিক্ষক " আর কতজন কেবল " চাকুরীজীবী " বলে আপনার ধারণা?? নিজে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যাদের পেয়েছি তাদের প্রায় সবাই-ই চাকুরীজীবী । পড়ানোতে এদের আগ্রহ খুব একটা নেই ।
আরেকটা কথা । সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একজন শিক্ষক সম্ভবত বড়জোর সপ্তাহে ৬ - ৮ টা ক্লাস নেন ( এবং আমার বিভাগে প্রতিটি ক্লাস ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট করে ) । সেই বিবেচনায় বর্তমানে তাদের যে পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে তা কি খুব বেশী অযৌক্তিক ?